ব্যবহারকারী আলাপ:Mizan Muhammad Hasan
আলোচনা যোগ করুনবাংলা উইকিবইয়ে স্বাগত
[সম্পাদনা]প্রিয় Mizan Muhammad Hasan, উইকিবইয়ে স্বাগত!
এই প্রকল্পে আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ; আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিবইকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন।। আপনার যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে এগুলি দেখুন:
আপনি সম্প্রদায়কে কোন সার্বজনীন প্রশ্ন করতে বা আলোচনা করতে আলোচনাসভা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সম্প্রদায়ের প্রবেশদ্বার আপনাকে কাজের একটি তালিকা দিবে যা দিয়ে আপনি এখানে সাহায্য করতে পারেন।
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা সরঞ্জামদণ্ডের চিহ্নে ক্লিক করার মাধ্যমে অথবা চারটি টিল্ডা (~~~~
) চিহ্ন দিয়ে নাম স্বাক্ষর করুন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার নাম এবং তারিখ যোগ করবে। যদি আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে অভ্যর্থনা কমিটির যে-কোনো সদস্যকে প্রশ্ন করুন, বা আপনার আলাপের পাতায় {{সাহায্য করুন}} লিখুন এবং তার নিচে আপনার প্রশ্নটি লিখুন। একজন সাহায্যকারী কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
আশা করি আপনি বাংলা উইকিবই সম্প্রদায়ের একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগত এবং শুভেচ্ছা!
— উইকিবই অভ্যর্থনা কমিটি ০৬:৪০, ১৮ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)
সুন্নাহর অনুসরণ : ক্ষমার ওয়াদা
[সম্পাদনা]সুন্নাহর অনুসরণে ক্ষমার ওয়াদা
মীযান মুহাম্মদ হাসান
সুন্নাহ এটি আরবি শব্দ। যার অর্থ– আদর্শ, রীতি নীতি, পদ্ধতি ও পন্থা ইত্যাদি। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল, আখলাক, অনুসরণ অনুকরণ ; তাঁর কাজ এবং তিনি যা করেছেন, সাহাবিদের করতে বলেছেন। কিংবা সাহাবিদেরকে করতে বারণ করেননি। বরং মৌন সমর্থন করেছেন। এ জাতীয় নিয়ম নীতি নৈতিকতা; পদ্ধতি ও আদর্শের অনুসরণকেই পরিভাষায় সুন্নাহ বলা হয়। যেসবের মধ্যে রয়েছে আমাদের মানবজাতির জন্য অসংখ্য কল্যাণ ও সমূহ উপকারিতা। এমনকি গুনাহ মাফের ওয়াদাও রয়েছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে।
কুরআনে কারীমে আল্লাহ তায়ালা বলেন– হে নবী! আপনি বলুন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার অনুসরণ করো। আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। -সুরা আলে ইমরান ৩১
এ আয়াতের তাফসিরে মুফাসসিরগণ লিখেছেন— "ইহুদি এবং খ্রিস্টান জাতির দাবি ছিল। আমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসি। আল্লাহ তায়ালাও আমাদেরকে ভালোবাসেন। বিশেষ করে খ্রিস্টানরা হজরত ঈসা আ. এবং তাঁর মা হজরত মারইয়াম আ.-এর প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসায় এ পরিমাণ বাড়াবাড়ি করেছিল যে, তাঁদেরকে উপাস্যের আসনে বসিয়ে দিয়েছিল। আর তারা এমনটি এই মনে করে করতো যে, এর দ্বারা তারা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা লাভে ধন্য হতে পারবে। তাই আল্লাহ তায়ালা সুরা আলে ইমরানে উপর্যুক্ত আয়াতে পরিস্কারভাবে নির্দেশনা প্রদান করেন—
কেবল মৌখিক দাবি এবং মনগড়া পদ্ধতি অনুসরণ করে আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করা যায় না। বরং আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা লাভ করার পথ একটাই, তা হলো– শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ঈমান আনা এবং তাঁর অনুসরণ করা।
অতএব, আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা প্রত্যাশাকারী কোনো ব্যক্তি যদি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণের মাধ্যমে তা অনুসন্ধান করে, তাহলে অবশ্যই সে সফল হবে এবং ভালোবাসার দাবিতে সত্য প্রমাণিত হবে। অন্যথা সে মিথ্যুক হবে এবং উদ্দেশ্য অর্জনেও ব্যর্থ হবে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "যে ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করল, যে কাজের নির্দেশ আমি দিইনি, তার সে কাজ প্রত্যাখ্যাত।" -সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম
হজরত আনাস রা. বর্ণিত হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন– যে ব্যক্তি আমার সুন্নাহ তথা আদর্শকে ভালোবাসে, (এবং সুন্নাহকে অনুসরণ করে জীবনকে পরিচালিত করে) সে যেন আমাকে ভালোভাসে। আর যে আমাকে ভালোবাসে, সে আমার সঙ্গে জান্নাতে থাকবে। – সুনানে তিরমিজি আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেছেন– নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন– আমার উম্মতের সকলেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তবে যে অস্বীকার করে সে ব্যতীত। সাহাবিরা প্রশ্ন করেন– অস্বীকারকারী কে? তিনি বলেন, যে আমাকে অনুসরণ করল সে জান্নাতে প্রবেশ করল। আর যে আমাকে প্রত্যাখ্যান করে তথা আমার সুন্নাহ ও আদর্শকে অস্বীকার করে। সে-ই হলো আমাকে অস্বীকারকারী। - সহি বুখারি
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সুন্নতের ওপর অনুসরণ করে গুনাহ মাফ করার তাওফিক দান করুন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রিয় নবীর আদর্শ মেনে আমল করার তাওফিক দান করুন। Mizan Muhammad Hasan (আলাপ) ১১:৫২, ১৮ জুন ২০২৪ (ইউটিসি)