বিশ্বজুড়ে ইসলাম/জর্জ ডব্লিউ বুশ
জর্জ ডব্লিউ বুশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ঠিক তখনি ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়। ওসামা বিন লাদেন যিনি একজন জঙ্গি ছিলেন। তিনি সৌদি আরবেরিএকজন মুসলিম। তিনি এই কাজের দায় স্বীকার করে। মার্কিন দূতাবাস ও ইউএসএস কোলে হামলার পর তাকে সুদান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। পরে সে আফগানিস্তানে তালেবানদের কাছে আশ্রয় নেয়।
মার্কিন সরকার তালেবানের কাছে ওসামা বিন লাদেনকে নিঃশর্তভাবে হস্তান্তর করার দাবি করে। কিন্তু তারা প্রত্যাখ্যান করলে, মার্কিন সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার প্রধানদের ধরতে দেশটিতে আক্রমণ করে। যার নেতৃত্ব দিয়েছিল ওসামা। প্রাথমিক আক্রমণ সফল হয় এবং জোট বাহিনী শীঘ্রই কাবুলের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে দেশটি তখনও পুরোপুরি জয়ী হয়নি। যুদ্ধবাজরা ক্ষমতার শূন্যতা পূরণ করতে ঢুকে পড়ে এবং তালেবানরা আবার সংগঠিত হয়। আট বছর পর, সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তির সম্ভাবনা কম হয়ে দ্বারায়।
যদিও বুশ প্রশাসন ব্যাখ্যা করতে আগ্রহী ছিল যে তার "সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" করছে। তারা কোনোভাবেই ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে না। আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশকে একটি "ক্রুসেড" বলা হত। কিছু মুসলমানদের জন্য এটি বেদনাদায়ক জায়গা ছিল।[১] বিশেষ করে ইরাকে দ্বিতীয় মার্কিন আগ্রাসনের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং "মুসলিম বিশ্বের" মধ্যে সম্পর্ক একটি সংবেদনশীল বিষয় হয়ে ওঠে।
বুশ প্রকাশ্যে এও বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করতেন যে মুসলিমদের স্বর্গে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। ইসলাম খ্রিস্টান ধর্মের মতোই ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য পথ।