হাঁস-মুরগির খামার স্থাপনের মুখ্য উদ্দেশ্য আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া ও মূল্যবান আমিষ খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য খামার ব্যবস্থাপনার প্রধানতম অংশ খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহ করা। খামার পরিচালনার জন্য মোট খরচের সিংহভাগ শুধু খাদ্যের জন্য খরচ হয়। এই খরচের শতকরা ৭০ ভাগের অতিরিক্ত হলে খামারে লোকসানের হার বৃদ্ধি পায়। তাই খামার ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা কালে খাদ্য খরচ শতকরা ৬০ হতে ৭০ ভাগের মধ্যে সীমিত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। হাঁস-মুরগির খাদ্য ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন লাভজনকভাবে খামার পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য এমন এক বস্তু যার অভাবে হাঁস-মুরগি সহ কোনো প্রাণি বাঁচতে পারে না। খাদ্যের বিভিন্ন পুষ্টি উপদানের সাহায্যে প্রাণিদেহ ও দেহের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হয়। প্রতিদিনের খাদ্য গ্রহণ দেহকে যেমন সবল রাখে তেমনি দেহকোষ গঠন ও নবায়ন করে। খাদ্য মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। খাদ্যের পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন প্রকার রোগের আক্রমণ থেকে হাঁস-মুরগিকে রক্ষা করে ।
সুষম খাদ্য: মুরগির জাত, বয়স ও উপযোগিতানুসারে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি খাদ্যকে সুষম খাদ্য বলে।
সম্পূর্ন খাদ্য: সুষম খাদ্যকে সম্পূর্ণ করার জন্য খাদ্যের সাথে বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, এনজাইম, এমাইনো এসিড খনিজ ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে খাদ্যের গুণগত মান সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, সুস্বাদু ও খাদ্য রূপান্তর হার বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়।