বিষয়বস্তুতে চলুন

রোজা/যেসব কার্যে রোজা ভঙ্গ হয়না

উইকিবই থেকে

বিভিন্ন কারণে রোজা ভেঙে যায়। আবার অনেক কারণ আছে যার ফলে রোজা ভাঙে না। যেসব কারণে রোজা ভাঙে না সে কারণগুলো হলো:

  • ভুলক্রমে পানাহার করলে রোজা ভাঙে না।
  • অনিচ্ছাবশত গলার মধ্যে ধোঁয়া, ধুলাবালি, মশা, মাছি চলে গেলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
  • স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙে না।
  • তেল, সুরমা, শিঙা লাগালে হলকে তার স্বাদ পেলে রোজা ভঙ্গ হয় না।
  • কাঠি দিয়ে কান খোঁচানোর ফলে কোনও ময়লা বের হলে তারপর ময়লাযুক্ত কাঠি বারবার কানে প্রবেশ করালে রোজা ভঙ্গ হয় না।
  • যেকোনো সময় মিসওয়াক করলে রোজা ভাঙে না। সেটি কাঁচা হোক কিংবা শুষ্ক।
  • দাঁত থেকে অল্প রক্ত বের হয়ে যদি গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোজা ভাঙবে না। যদি রক্তের চেয়ে থুতুর পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।
  • চানা বুটের চেয়ে ছোট বস্তু দাঁরে ফাঁকে আটকে গেলে এবং তা গলার ভেতর চলে গেলে কিংবা খেয়ে ফেললে রোজা ভাঙে না।
  • শরীর, মাথা, দাড়ি, গোঁফে তেল লাগালে রোজা ভাঙে না।
  • ফুল বা মৃগনাভির ঘ্রাণ নিলে রোজা ভাঙে না।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে নাকের শ্লেষ্মা মুখের ভেতর নিয়ে নিলে রোজা ভাঙে না।
  • মুখের থুতু গিলে ফেললে রোজা ভাঙে না।
  • তিল পরিমাণ কোনও জিনিস বাইরে থেকে মুখে নিয়ে অস্তিত্বহীন করে দেয়া ও গলায় তার কোনও স্বাদ অনুভূত না হলে রোজা ভাঙে না।
  • কপালের ঘাম কিংবা চোখের দু-এক ফোঁটা অশ্রু কণ্ঠনালিতে পৌঁছে গেলে রোজা ভাঙে না; কিন্তু যদি পরিমাণে বেশি হয় যে তার প্রভাব গলায় অনুভব হয়। তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।
  • রোজা অবস্থায় সাধারণ ইনজেকশন বা টিকা লাগানো বৈধ। তবে এমন ইনজেকশন বা টিকা লাগানো মাকরুহ, যেগুলো দ্বারা রোজার কষ্ট বা দুর্বলতা দূরীভূত হয়।
  • ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্ত বের করলে রোজা নষ্ট হবে না। আর দুর্বলতার আশঙ্কা না থাকলে মাকরুহও হবে না।
  • সাপ, বিচ্ছু ইত্যাদি দংশন করলে রোজা ভাঙে না।
  • পান খাওয়ার পর ভালোভাবে কুলি করা সত্ত্বেও যদি থুতুতে লাল আভা থেকে যায়, তাহলে রোজা মাকরুহ হবে না।
  • ভেজা কাপড় শরীরে দেয়া অথবা ঠান্ডার জন্য কুলি করা, নাকে পানি দেয়া অথবা গোসল করা মাকরুহ নয়।
  • স্বপ্নে কিংবা সহবাসে যদি গোসল ফরজ হয়ে থাকে এবং সুবেহ সাদিকের আগে গোসল না করে রোজার নিয়ত করে, তাহলে তার রোজার মধ্যে অসুবিধা হবে না।
  • গরমের দরুন দীর্ঘক্ষণ পানিতে অবস্থান করা মাকরুহ নয়।
  • গলা খাঁকারি দিয়ে গলদেশ থেকে মুখে কাশি বের করা, তারপর আবার গিলে ফেলা মাকরুহ নয়।
  • রোজা অবস্থায় মাথা বা চোখে ওষুধ দেয়া মাকরুহ নয়।
  • হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ঘ্রাণ নেয়া মাকরুহ নয়।
  • রোজা অবস্থায় পাইপ দ্বারা মুখে হাওয়া নিলে রোজা মাকরুহ হয় না।
  • রোজা অবস্থায় নাকের মধ্যে ওষুধ ব্যবহার করার দ্বারা ব্রেনে না পৌঁছালে রোজা মাকরুহ হয় না।
  • শরীরে কোনও ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বা রক্ত প্রবাহিত হলে বা রক্ত বের করলে রোজা নষ্ট হয় না। তবে রোজাদার থেকে বের করা মাকরুহ।
  • ডাক্তার যদি চিকিৎসার শুকনো কোনও যন্ত্র পেটে প্রবেশ করায়, অতঃপর তা বের করে ফেলে, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না।
  • পানিতে ডুব দেয়ার পর কানের ভেতর পানি চলে গেলে অথবা ইচ্ছাকৃত-ভাবে পানি দিলে রোজা মাকরুহ হয় না।
  • জৈবিক উত্তেজনার কারণে শুধু দৃষ্টিপাতের কারণে যদি বীর্যপাত হয়, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. রোজা ভাঙে না যেসব কারণে