বিষয়বস্তুতে চলুন

রন্ধনপ্রণালী:হাঁসের মালাইকারী

উইকিবই থেকে

ভোজনরসিক সবার কাছেই প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে হাঁসের মাংস। হাঁসের মাংস খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। হাঁসের মাংস দিয়ে তৈরি যেকোনো রেসিপি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে। হাঁসের মাংস খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো শীতকাল। সাধারণ ঝাল ভুনার পাশাপাশি স্বাদে ভিন্নতা আনার জন্য তৈরি করতে পারেন হাঁসের মাংসের মালাইকারী। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু এবং রান্নাও সহজ। বাড়িতে অতিথি এলে কিংবা শীতের খাবারের আয়োজনে রাখতে পারেন এই বিশেষ পদটি। এর স্বাদ সবাইকে মুগ্ধ করবেই। অনেকে মনে করেন, হাঁসের মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি ঠিক নয়। যেকোনো খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর। তবে পরিমিত খেলে এই মাংস মানবদেহের জন্য পুষ্টিকর ও উপকারী।

উপকরণ[সম্পাদনা]

নাম উপকরণ
হাঁস ২টি
নারিকেলের দুধ ৬ কাপ
টক দই ১ কাপ
মিষ্টি দই সিকি কাপ
গরুর কাঁচা দুধ ১ কাপ
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ
আদা বাটা ৪ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ
জিরা বাটা ০১ চা চামচ
বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ
পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়া ৮ চা-চামচ
মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ
গোল মরিচ গুঁড়া ০১ চা চামচ
গরম মসলার গুঁড়া ০১ চা চামচ
জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া ০১ চা চামচ
দারুচিনি ৬ টুকরা
এলাচ ৬টি
লবঙ্গ ৬টি
তেজপাতা ৪টি
ঘি আধা কাপ
তেল পৌনে এক কাপ
লবণ পরিমাণমতো
কাঁচা মরিচ ৫-৬টি
বেরেস্তা আধা কাপ

রন্ধনপ্রণালী[সম্পাদনা]

  1. হাঁস পরিষ্কার করে চামড়াসহ টুকরাগুলো ধুয়ে পানি ঝরিয়ে টক দই, দুধ, হলুদ মাখিয়ে এক ঘণ্টা রাখতে হবে।
  2. কড়াইতে তেল, ঘি দিয়ে পেঁয়াজ ভেজে অর্ধেকটা ভাজা পেঁয়াজ তুলে রাখুন।
  3. গরম মশলা গুঁড়া, তুলে রাখা পেঁয়াজ ভাজা ছাড়া সব মশলা আধা কাপ পানি দিয়ে কষিয়ে নিন।
  4. কিছুটা কষানোর পর অর্ধেক নারিকেল দুধ ও ৩ কাপ গরম পানি দিয়ে মাংস ভালো মত সেদ্ধ ও মাখা মাখা করে নিন। প্রয়জনে পানির পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। মাঝে মাঝে ঢাকনা তুলে নেড়েচেড়ে দিতে হবে।
  5. মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে গেলে অবশিষ্ট নারকেলের দুধ, বেরেস্তা, গরম মসলার গুঁড়া, কাঁচা মরিচ দিয়ে অল্প আঁচে আরও কিছুক্ষণ রেখে তেলের ওপর এলে মালাই ভেসে উঠলে নামিয়ে নিতে হবে।
  6. স্বাদ বৃদ্ধির জন্য নামানোর আগে ২ টেবিল চামচ ক্রিম দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখবেন।

হাঁসের মালাইকারী ছিটারুটি, নানরুটি, পরোটা, পোলাও কিংবা খিচুরির সঙ্গে খেতে খুব ভালো লাগে।