রন্ধনপ্রণালী:শুঁটকি মাছ
শুঁটকি মাছ | |
---|---|
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ | শুকনো মাছ |
পরিবেশন | ৪-৬ জন |
খাদ্য শক্তি | ১৫০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম) |
তৈরির সময় | ১-২ দিন (মাছ শুকানোর জন্য) |
কষ্টসাধ্য | |
টীকা | ঐচ্ছিকভাবে লবণ ও মশলা ব্যবহার করা যেতে পারে |
রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ
শুঁটকি মাছ বাংলাদেশের এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে প্রচলিত একটি প্রক্রিয়া, যেখানে মাছ শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। এটি সারা বছর সংরক্ষণ করা যায় এবং বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মাছ শুকানোর পদ্ধতি প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত। এটি মাছ সংরক্ষণের একটি প্রথাগত উপায়, বিশেষ করে যখন ফ্রিজ বা অন্যান্য সংরক্ষণ পদ্ধতি উপলব্ধ ছিল না।
উপকরণ
[সম্পাদনা]নাম | উপকরণ |
---|---|
তাজা মাছ | ১ কেজি (ছোট বা মাঝারি আকারের) |
লবণ | ৫০ গ্রাম |
প্রস্তুত প্রণালী
[সম্পাদনা]- মাছ পরিষ্কার করা: প্রথমে মাছগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মাথা এবং নাড়ি ফেলে দিতে হবে।
- লবণ মাখানো: পরিষ্কার করা মাছের ওপর লবণ মাখিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা রেখে দিন।
- শুকানোর জন্য প্রস্তুতি: লবণ মাখানো মাছগুলোকে একটি পরিষ্কার কাপড় বা নেটের ওপর বিছিয়ে রোদে শুকাতে দিন।
- শুকানো: মাছগুলোকে সম্পূর্ণরূপে শুকাতে ১-২ দিন সময় লাগবে। মাছের আকার এবং রোদে তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে সময় কমবেশি হতে পারে।
- সংরক্ষণ করা: সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে মাছগুলোকে একটি শুষ্ক এবং বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
ব্যবহার
[সম্পাদনা]শুকনো মাছ বা সুঁটকি বিভিন্ন ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা যায়। এটি ভাজা, ভর্তা, বা তরকারি হিসেবে রান্না করা যায়।
পুষ্টিগুণ
[সম্পাদনা]শুঁটকি মাছ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।
জনপ্রিয়তা
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট, এবং নোয়াখালী অঞ্চলে শুঁটকি মাছ খুবই জনপ্রিয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার যা বিশেষ করে উৎসব, অনুষ্ঠান এবং পারিবারিক মিলনমেলায় ব্যবহৃত হয়। এর তীব্র স্বাদ এবং সুগন্ধ সকলের মন জয় করে।
প্রাসঙ্গিক তথ্য
[সম্পাদনা]- শুঁটকি মাছর স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে ভাল মানের তাজা মাছ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- বিভিন্ন স্বাদে শুঁটকি মাছ তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।