রন্ধনপ্রণালী:মিষ্টি দই
অবয়ব
মিষ্টি দই | |
---|---|
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ | মিষ্টি |
পরিবেশন | ৪-৬ জন |
খাদ্য শক্তি | ১৫০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম) |
তৈরির সময় | ৬-৮ ঘন্টা (প্রস্তুতির সময়: ২০-৩০ মিনিট) |
কষ্টসাধ্য | |
টীকা | ঐচ্ছিকভাবে এলাচ ও জাফরান যোগ করা যেতে পারে |
রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ
মিষ্টি দই একটি জনপ্রিয় বাঙালি মিষ্টি যা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে প্রচলিত। এটি মূলত দুধ এবং চিনি দিয়ে তৈরি হয়। মিষ্টি দই তার মিষ্টি স্বাদ ও মসৃণ টেক্সচারের জন্য বিখ্যাত।
উপকরণ
[সম্পাদনা]নাম | উপকরণ |
---|---|
দুধ | ১ লিটার |
চিনি | ২০০ গ্রাম |
যোগুর্ট (দই) | ২ টেবিল চামচ (স্টার্টার হিসেবে ব্যবহৃত) |
এলাচ গুঁড়া | ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক) |
জাফরান | কয়েকটি দানা (ঐচ্ছিক) |
প্রস্তুত প্রণালী
[সম্পাদনা]- দুধ ফুটানো: প্রথমে দুধকে একটি পাত্রে ঢেলে মাঝারি আঁচে ফোটাতে হবে। দুধ ফুটে গেলে আঁচ কমিয়ে ধীরে ধীরে রান্না করতে হবে যতক্ষণ না দুধের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে আসে।
- ক্যারামেল তৈরি: একটি আলাদা পাত্রে চিনি নিয়ে কম আঁচে গলিয়ে ক্যারামেল তৈরি করতে হবে। ক্যারামেল তৈরি হলে তা ফুটানো দুধের সাথে মিশিয়ে ভালভাবে নাড়তে হবে।
- মিশ্রণ ঠান্ডা করা: মিশ্রণটি ভালভাবে নাড়তে হবে যাতে চিনি পুরোপুরি মিশে যায় এবং মিশ্রণটি একটু ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
- দই মেশানো: মিশ্রণটি হালকা গরম থাকা অবস্থায় ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে ভালভাবে নাড়তে হবে। যদি চান, এই সময়ে এলাচ গুঁড়া এবং জাফরান যোগ করতে পারেন।
- জমিয়ে রাখা: মিশ্রণটি ঢেকে উষ্ণ স্থানে ৬-৮ ঘন্টা বা রাতারাতি রেখে দিতে হবে যাতে এটি জমে যায়। এই সময়ে দই সেট হয়ে যাবে।
- ঠান্ডা করা: মিষ্টি দই জমে গেলে এটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে।
পরিবেশন
[সম্পাদনা]মিষ্টি দই সাধারণত ঠান্ডা করে পরিবেশন করা হয়। এটি একা খাওয়া যেতে পারে অথবা অন্যান্য বাঙালি মিষ্টির সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে। মিষ্টি দই পরিবেশন করার আগে উপরে কিছু জাফরান বা পেস্তা কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন।
পুষ্টিগুণ
[সম্পাদনা]মিষ্টি দই পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।
প্রাসঙ্গিক তথ্য
[সম্পাদনা]- মিষ্টি দইয়ের স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে বাড়িতে তৈরি দই ব্যবহার করা যেতে পারে।
- বিভিন্ন স্বাদে মিষ্টি দই তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার ফলের নির্যাস বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।