রন্ধনপ্রণালী:মাছের পিঠা
মাছের পিঠা | |
---|---|
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ | পিঠা |
পরিবেশন | ৪-৬ জন |
খাদ্য শক্তি | ২০০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম) |
তৈরির সময় | ১ ঘণ্টা |
কষ্টসাধ্য | |
টীকা | ঐচ্ছিকভাবে নারকেল যোগ করা যেতে পারে |
রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ
মাছের পিঠা একটি জনপ্রিয় বাঙালি পিঠা যা বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত। এটি মূলত চালের গুঁড়া, মাছ এবং মশলা দিয়ে তৈরি করা হয়। মাছের পিঠা তার অনন্য স্বাদ ও মশলাদার টেক্সচারের জন্য বিখ্যাত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মাছের পিঠার উৎপত্তি এবং প্রসার অনেক প্রাচীন এবং এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে মাছের পিঠা একটি জনপ্রিয় খাবার।
উপকরণ
[সম্পাদনা]নাম | উপকরণ |
---|---|
চালের গুঁড়া | ২ কাপ |
মাছ (ইলিশ বা চিতল) | ২৫০ গ্রাম |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
ধনে গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
গরম মসলা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
তেল | পরিমাণমতো (ভাজার জন্য) |
লবণ | স্বাদমতো |
নারকেল কুচি | ১/২ কাপ (ঐচ্ছিক) |
প্রস্তুত প্রণালী
[সম্পাদনা]- মাছ রান্না করা: প্রথমে মাছকে ধুয়ে পরিষ্কার করে ছোট টুকরো করে নিন। এরপর প্যানে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, এবং আদা বাটা দিয়ে ভালভাবে ভাজুন। মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে মাছের টুকরোগুলো, হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচ গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, এবং জিরা গুঁড়া দিয়ে ভালভাবে কষাতে হবে। লবণ যোগ করুন এবং মাছ রান্না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
- চালের গুঁড়ার মিশ্রণ তৈরি করা: চালের গুঁড়া একটি পাত্রে নিয়ে তাতে পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে খামির তৈরি করুন। খামিরটি মসৃণ ও নরম হতে হবে।
- পিঠার খোলস তৈরি করা: চালের গুঁড়ার খামির থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে তা পাতলা করে বেলে নিন।
- মাছের পুর তৈরি করা: বেলে রাখা খামিরের মাঝখানে রান্না করা মাছের মিশ্রণ রাখুন। এরপর খামিরের চারপাশ একত্রিত করে পিঠার আকার দিন।
- পিঠা ভাজা: প্যানে তেল গরম করে তাতে মাছের পিঠাগুলোকে হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। পিঠাগুলো ভালভাবে ভাজা হলে তেল থেকে তুলে নিন।
- পরিবেশন: পিঠাগুলো গরম গরম পরিবেশন করুন। চাইলে উপরে কিছু নারকেল কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন।
পরিবেশন
[সম্পাদনা]মাছের পিঠা সাধারণত গরম গরম পরিবেশন করা হয়। এটি একা খাওয়া যেতে পারে অথবা অন্যান্য বাঙালি পিঠার সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে।
পুষ্টিগুণ
[সম্পাদনা]মাছের পিঠা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।
জনপ্রিয়তা
[সম্পাদনা]বাঙালি সমাজে মাছের পিঠা খুবই জনপ্রিয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা যা বিশেষ করে উৎসব, অনুষ্ঠান এবং বিবাহে পরিবেশন করা হয়। এর অনন্য স্বাদ এবং মশলাদার টেক্সচার সকলের মন জয় করে।
প্রাসঙ্গিক তথ্য
[সম্পাদনা]- মাছের পিঠার স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- চাইলে মাছের পরিবর্তে চিংড়ি বা অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ ব্যবহার করা যেতে পারে।