বিষয়বস্তুতে চলুন

রন্ধনপ্রণালী:মণ্ডা

উইকিবই থেকে

ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার মণ্ডা বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত খাবার। ব্রিটিশ শাসনামলের শুরুর দিকে গোপাল পাল নামক একজন ময়রা সর্বপ্রথম এই মিষ্টান্নটি তৈরি করেন। জনশ্রুতি রয়েছে, গোপাল পাল স্বপ্নের মাধ্যমে এই মিষ্টান্নটির প্রস্তুত প্রণালী লাভ করেছিলেন। বর্তমানে গোপাল পালের বংশধররা তাদের পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যটি ধরে রেখে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একটি দোকানে মণ্ডা বিক্রি করে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে মণ্ডার প্রস্তুত প্রণালী অনুসরণ করে মণ্ডা বিক্রি হলেও তার স্বাদ গোপাল পালের দোকানের মণ্ডার অনুরূপ হয়না। গোপাল পালের বংশধররাও কখনো মণ্ডা তৈরির মূল প্রস্তুত প্রণালী বাইরের মানুষের কাছে প্রকাশ করেনি। তারপরও আপনি চাইলে ঘরে বসেই মণ্ডা প্রস্তুত করতে পারেন। স্বাদ গোপাল পালের দোকানের মত না হলেও তা খেতে সুস্বাদু হবে বলে আশা করা যায়।

উপকরণ

[সম্পাদনা]
নাম উপকরণ
গরুর দুধের ছানা ১ কাপ
চিনি ১ কাপ
তরল দুধ ৫ চা-চামচ
এলাচ ২টি
গাওয়া ঘি পরিমাণ মতো

রন্ধনপ্রণালী

[সম্পাদনা]
  1. প্রথমে একটি সুতি কাপড়ে ছানা নিয়ে হাত দিয়ে চেপে সকল পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর ছানাটুকু একটি কাপড়ে বেধে ১ ঘণ্টার জন্য ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এতে করে ছানার অবশিষ্ট পানি ঝরে গিয়ে ছানা শুকিয়ে আসবে।
  2. এক ঘণ্টা পর ছানা একটি পাত্রে নিয়ে তার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ভালো মত মথে নিতে হবে। মথার এক পর্যায়ে এর সঙ্গে সামান্য তরল দুধ মেশানো যেতে পারে।
  3. ভালো মত মথার পর একটি মন্ড প্রস্তুত হবে। মন্ডটি একটি হাঁড়িতে নিয়ে তা চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে হবে। কিছুক্ষন জ্বাল দেয়ার পর চিনি থেকে পানি বের হয়ে মিশ্রণটি কিছুটা তরল আকার ধারণ করবে।
  4. এ পর্যায়ে দুটি এলাচ গুড়ো করে মিশ্রণটিতে দিয়ে দিতে হবে। অনবরত নাড়তে নাড়তে মিশনটি যতটা সম্ভব আঠালো করে ফেলতে হবে।
  5. পর্যাপ্ত আঠালো হবার পর মিশ্রণটি চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে।
  6. হালকা গরম থাকা অবস্থায়ই মিশ্রণটি হাত দিয়ে চেপে চেপে চ্যাপ্টা গোল বা চার কোনা আকৃতি দিতে হবে। হাত দিয়ে চাপার সময় হাতে সামান্য ঘি মাখিয়ে নেয়া যেতে পারে।