রন্ধনপ্রণালী:বিফ রোগান জোস
বিফ কারি বা ভুনা বাংলাদেশ এবং ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের একটি সুপরিচিত খাবার। সেই তুলনায় বিফ রোগান জোস তুলনামূলক কম জনপ্রিয় একটি খাবার। এর উৎপত্তিস্থল ধরা হয় কাশ্মীর। এটি কাশ্মীরী রন্ধন প্রণালির একটি বিখ্যাত খাবার। কাশ্মীরের প্রচলন অনুযায়ী রোগান জোস ছাগল বা ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরি হলেও গরুর মাংস দিয়েও রোগান জোসের অপূর্ব স্বাদ আনা সম্ভব।
রোগান জোস শব্দটির উৎস সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। তবে, হিন্দি ও ফার্সিতে রোঘান শব্দের অর্থ মাখন বা তেল এবং জুস শব্দের উৎপত্তিগত অর্থ সিদ্ধ করা। এ অর্থে রোগান জোসের অর্থ দাঁড়ায় মাখন বা তেলে ভাজা অথবা সিদ্ধ করা। অন্যদিকে, রোঘন শব্দের আরেকটি অর্থ লাল বা বাদামী। সে হিসেবে লাল বা বাদামী করে ভাজা মাংসও এই নামের অর্থ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
উপকরণ
[সম্পাদনা]নাম | উপকরণ |
---|---|
গরুর মাংস | ০১ কেজি |
সয়াবিন তেল | ০৮ চা চামচ |
তেজপাতা | ৪/৫ টি |
গোল মরিচের গুঁড়া | ০১ টেবিল চামচ |
দারুচিনি | ৪/৫ টুকরো |
এলাচ | ৬/৭ টি |
লবঙ্গ | ৪/৫ টি |
পাপরিকা | ০২ চা চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ০২ চা চামচ |
আদা বাটা | ০১ চা চামচ |
কাঁচামরিচ বাটা | ০১ চা চামচ |
লবন | পরিমান মত |
টক দই | ০১ কাপ |
রন্ধনপ্রণালী
[সম্পাদনা]- প্রথমে একটি বড় সসপ্যানে তেল গরম করুন। গরম তেলে দারুচিনি, তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোল মরিচের গুঁড়া প্রভৃতি একসাথে মিশিয়ে নিন।
- এ অবস্থায় মাংসের টুকরোগুলো ভালো মত ধুয়ে ৫/৭ মিনিট তেলে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। চুলা থেকে নামানোর আগে লবণ, পাপরিকা, আদা বাটা মিশিয়ে আরও ২/৩ মিনিট মাঝারি আঁচে ভেজে নিন।
- এরপর এক কাপ পরিমান টক দই রান্নার পাত্রে ঢেলে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। এই অবস্থায় ১০/১৫ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন।
- রান্নার এ পর্যায়ে চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে পাত্রটি ভালোভাবে ঢেকে আরও এক ঘণ্টা রান্না করুন। মাঝে একবার চেকে দেখতে পারেন সব মশলার পরিমান ঠিক আছে কিনা।
- এক ঘণ্টা পর মাংস সুসিদ্ধ হয়ে যাওয়া নিশ্চিত করে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
সাদা ভাত, পোলাও, রুটি, পরোটা, লুচি কিংবা নান রুটির সঙ্গে বিফ রোগান জোস খেতে খুব ভালো লাগবে।