বিষয়বস্তুতে চলুন

রন্ধনপ্রণালী:বালিশ মিষ্টি

উইকিবই থেকে

বালিশ মিস্টি বালিশ মিস্টি (ইংরেজি: Pillow Sweet) বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি মিষ্টান্ন। এটি মূলত নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রসিদ্ধ একটি মিষ্টি। নামের মতোই এর আকৃতি বালিশের মতো হওয়ায় এই নামকরণ করা হয়েছে। এই মিষ্টির সুনাম এবং স্বাদ সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে।

উৎপত্তি এবং ইতিহাস বালিশ মিস্টির উৎপত্তি হয়েছিল প্রায় শত বছর আগে। নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার এক মিষ্টি ব্যবসায়ী প্রথমে এই মিষ্টি তৈরি করেন। কাঁচামালের সহজলভ্যতা এবং বিশেষ স্বাদের কারণে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

উপকরণ এবং প্রস্তুত প্রণালী বালিশ মিস্টি তৈরিতে প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় খাঁটি দুধ, চিনি, ময়দা, এবং খাওয়ার সোডা। প্রথমে দুধ থেকে ছানা তৈরি করা হয়। এরপর ছানার সাথে ময়দা এবং খাওয়ার সোডা মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা হয়। মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বালিশ আকৃতির মন্ড তৈরি করে তা চিনির সিরায় ভেজানো হয়। অবশেষে, এই মন্ডগুলো চিনির সিরা থেকে তুলে এনে ঠান্ডা করা হয় এবং পরিবেশন করা হয়।

জনপ্রিয়তা এবং বর্তমান অবস্থা বালিশ মিস্টি বর্তমানে নওগাঁ জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। বিভিন্ন উৎসব, বিবাহ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে এটি বিশেষভাবে পরিবেশন করা হয়। নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় এই মিষ্টি তৈরি এবং বিক্রির বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব বালিশ মিস্টি শুধুমাত্র একটি মিষ্টি নয়, এটি নওগাঁ জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় মানুষদের জীবিকার অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও, এটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি খাবার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

রেফারেন্স ১. নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার স্থানীয় মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সাক্ষাৎকার। ২. বাংলাদেশের মিষ্টি এবং মিষ্টান্ন প্রস্তুতির ঐতিহাসিক দলিল।