বিষয়বস্তুতে চলুন

রন্ধনপ্রণালী:নিরামিষ তরকারি

উইকিবই থেকে
নিরামিষ তরকারি
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ নিরামিষ তরকারি
পরিবেশন ৪-৬ জন
খাদ্য শক্তি ১৫০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
তৈরির সময় ৩০ মিনিট
কষ্টসাধ্য
টীকা ঐচ্ছিকভাবে কাঁচা মরিচ ব্যবহার করা যেতে পারে

রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ

নিরামিষ তরকারি

নিরামিষ তরকারি একটি জনপ্রিয় বাঙালি নিরামিষ পদ যা বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

নিরামিষ তরকারি বহু যুগ ধরে বাঙালি রান্নার একটি অংশ হিসেবে পরিচিত। এটি বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে পরিবেশন করা হয়।

উপকরণ[সম্পাদনা]

নাম উপকরণ
আলু ২০০ গ্রাম
ফুলকপি ১৫০ গ্রাম
গাজর ১০০ গ্রাম
মটর ১০০ গ্রাম
টমেটো ৫০ গ্রাম
সরষের তেল ২ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ
কাঁচা মরিচ ৪-৫ টি
লবণ স্বাদমতো
পানি ১ কাপ

প্রস্তুত প্রণালী[সম্পাদনা]

  1. সবজি কাটা: সব সবজিগুলো ধুয়ে ছোট টুকরো করে কেটে নিন।
  2. মশলা প্রস্তুত করা: সরষের তেল গরম করে তাতে জিরা ফোড়ন দিন। এরপর পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাজুন।
  3. তরকারি রান্না করা: এরপর কাটা সবজি, হলুদ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, জিরা গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। সবজিগুলো সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত মাঝারি আঁচে রান্না করুন।
  4. পানি যোগ করা: সবজি কিছুটা ভাজা হয়ে এলে এক কাপ পানি যোগ করে ঢেকে দিন। সবজিগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
  5. পরিবেশন: তরকারি রান্না হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

পরিবেশন[সম্পাদনা]

নিরামিষ তরকারি গরম ভাত বা রুটি সঙ্গে পরিবেশন করা যায়। উপরে কিছু ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করা যেতে পারে।

পুষ্টিগুণ[সম্পাদনা]

নিরামিষ তরকারি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

জনপ্রিয়তা[সম্পাদনা]

বাঙালি সমাজে নিরামিষ তরকারি খুবই জনপ্রিয়। এটি একটি স্বাস্থ্যকর এবং মজাদার পদ যা সাধারণত পরিবারিক খাওয়াদাওয়ার অংশ হিসেবে পরিবেশন করা হয়।

প্রাসঙ্গিক তথ্য[সম্পাদনা]

  • তরকারির স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে তাজা সবজি ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • বিভিন্ন স্বাদে তরকারি তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।