রন্ধনপ্রণালী:চিংড়ি মাঁচা

চিংড়ি মাঁচা
রন্ধনপ্রণালী বিভাগ	মশলাদার পদ
পরিবেশন	৪-৬ জন
খাদ্য শক্তি	২৫০ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
তৈরির সময়	৪০ মিনিট
কষ্টসাধ্য
টীকা	ঐচ্ছিকভাবে নারকেল দুধ ও কাঁচা মরিচ ব্যবহার করা যেতে পারে

রন্ধনপ্রণালী সূচিপত্র | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ সমূহ

চিংড়ি মাঁচা

চিংড়ি মাঁচা একটি জনপ্রিয় বাঙালি মশলাদার পদ যা চিংড়ি মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি তার সুগন্ধি ও সুস্বাদু মশলার জন্য বিখ্যাত।

ইতিহাস

চিংড়ি মাঁচা বহু যুগ ধরে বাঙালি রান্নার একটি বিশেষ অংশ হিসেবে পরিচিত। এটি বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে পরিবেশন করা হয়।

উপকরণ

নাম	উপকরণ
চিংড়ি মাছ	৫০০ গ্রাম
নারকেল দুধ	১ কাপ
পেঁয়াজ বাটা	১ কাপ
রসুন বাটা	১ টেবিল চামচ
আদা বাটা	১ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ	৫-৬ টি
হলুদ গুঁড়া	১ চা চামচ
লাল মরিচ গুঁড়া	১ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া	১ চা চামচ
সরষের তেল	৩ টেবিল চামচ
লবণ	স্বাদমতো
গরম মশলা গুঁড়া	১/২ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালী

চিংড়ি প্রস্তুত করা: চিংড়ি মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। প্রয়োজনে মাথা ও খোসা ছাড়িয়ে নিন।
মশলা তৈরি করা: সরষের তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা এবং আদা বাটা দিয়ে ভাজুন। এরপর হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচ গুঁড়া এবং ধনিয়া গুঁড়া দিয়ে মশলা ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
চিংড়ি যোগ করা: মশলা কষানো হয়ে গেলে চিংড়ি মাছ দিয়ে ভালোভাবে মেশান। মাছগুলো মশলার সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন।
নারকেল দুধ যোগ করা: নারকেল দুধ দিয়ে ভালোভাবে মেশান এবং ১০-১৫ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করুন।
কাঁচা মরিচ যোগ করা: কাঁচা মরিচ ফালি করে চিংড়ির সাথে যোগ করুন।
গরম মশলা যোগ করা: রান্না শেষে গরম মশলা গুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে ভালোভাবে মেশান।
পরিবেশন: রান্না হয়ে গেলে চিংড়ি মাঁচা গরম গরম পরিবেশন করুন।

পরিবেশন

চিংড়ি মাঁচা সাধারণত গরম ভাত বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করা হয়। উপরে কিছু কাঁচা মরিচ ও ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করা যেতে পারে।

পুষ্টিগুণ

চিংড়ি মাঁচা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য উপকারী।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

চিংড়ি মাঁচার স্বাদ ও গুণমান উন্নত করতে তাজা চিংড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিভিন্ন স্বাদে চিংড়ি মাঁচা তৈরি করতে বিভিন্ন প্রকার মশলা বা সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়।