বিষয়বস্তুতে চলুন

যোগাযোগ তত্ত্ব/নেটওয়ার্ক সোসাইটি

উইকিবই থেকে

যৌথ সমাজের পরিচিতি[সম্পাদনা]

একুশ শতকের গবেষণায় তথ্য/ উপাত্ত একটি মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে, ঠিক যেমনটি বিশ শতকে পুঁজি/ মূলধন ছিল মুখ্য আলোচ্য বিষয়। এটা প্রায়শই বলা হয় যে সমাজ এখন একটি তথ্যের যুগে বাস করছে, যা বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি (যেমন: ইন্টারনেট এবং সেলুলার ফোন) ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করেছে। তবে "তথ্যের যুগ" কে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। যদিও অনেকেই বর্তমান অর্থনীতিকে তথ্য অর্থনীতি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেন, তবুও বর্তমান সমাজকে বোঝানোর জন্য সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত কোনো সংজ্ঞা নেই। বর্তমানে, সমসাময়িক সমাজের উল্লেখ করার জন্য ত্রিশটিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণ শিক্ষা-সংক্রান্ত ক্ষেত্র এবং নৈমিত্তিক কথোপকথনে ব্যবহৃত হয় (আলভারেজ এবং কিলবোর্ন, ২০০২)। এই বিশ্লেষণগুলির মধ্যে রয়েছে: তথ্য সমাজ, গ্লোবাল ভিলেজ, ডিজিটাল সমাজ, তার দ্বারা যুক্ত সমাজ, শিল্পোত্তর সমাজ এবং যৌথ সমাজ। কিছু শব্দ একই ঘটনাকে বর্ণনা করে, অন্যগুলো ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।

এই নতুন সমাজকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করা অসংখ্য পণ্ডিতদের মধ্যে, ম্যানুয়েল ক্যাসেলস সবচেয়ে অগ্রগণ্য এবং অনন্য, অন্তত দুটি দিক বিবেচনায়: প্রথমত, তিনি তথ্য যুগের বিষয়ে একজন অবিশ্বাস্যভাবে প্রবল এবং উদ্যমী মতবাদ প্রবক্তা। তিনি বিশটিরও বেশি বই লিখেছেন, একশোর বেশি একাডেমিক জার্নাল নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন এবং পনেরটিরও বেশি বইয়ের সহ-লেখকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, বার্কলেতে সমাজবিজ্ঞান এবং শহর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনার অধ্যাপক। তিনি অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থায়ও কাজ করেছেন যেমন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক জাতিসংঘ টাস্ক ফোর্সের উপদেষ্টা পরিষদ, তথ্য প্রযুক্তি ও উন্নয়ন বিষয়ক দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদ, গ্লোবাল সিভিল সোসাইটি এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের উচ্চ স্তরের প্যানেল এবং ইউনেস্কো। দ্বিতীয়ত, নেটওয়ার্ক এবং তথ্য অর্থনীতির প্রতি তার সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে অন্যান্য তথ্য অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীদের চেয়ে অনন্য করে তুলেছে। ক্যাসেলস "তথ্য সমাজের শিবির দখলকারী ইউটোপিয়ান" (ডাফ, ১৯৯৮, পৃষ্ঠা: ৩৭৫) দের থেকে আলাদা, কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে একটি নতুন অর্থনীতির অন্ধকার দিকটি নতুন প্রযুক্তির অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে নিহিত। এভাবে, ক্যাসেলস প্রযুক্তির প্রতি একটি নিয়ন্ত্রিত দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখেন, যেখানে ইউটোপিয়ানরা তথ্য প্রযুক্তিকে মানব বিবর্তনের উপকরণ হিসাবে বিবেচনা করে।

ক্যাসেলস বিগত ত্রিশ বছরে সবচেয়ে প্রভাবশালী তাত্ত্বিকদের একজন হয়ে উঠেছেন কারণ তার বিস্তৃত কাজ সমসাময়িক সমাজকে পরীক্ষা করার জন্য একটি অনন্য এবং সমালোচনামূলক কাঠামো প্রদান করেছে। তথ্য অর্থনীতিতে তার কাজের জন্য ক্যাসেলসকে সাইবারস্পেসের প্রথম মহান দার্শনিক বলা হয় (গার্স্টনার, ১৯৯৯)। ১৯৯৬ এবং ১৯৯৮ এর মধ্যে প্রকাশিত তার ট্রিলজি তথ্য যুগ সম্পর্কে তার তত্ত্বের একটি সংকলন হিসাবে স্বীকৃত। ট্রিলজিটি," দি নেটওয়ার্ক সোসাইটি", " দি পাওয়ার অফ আইডেন্টিটি" এবং " এন্ড অফ মিলেনিয়াম" নিয়ে গঠিত, নতুন অর্থনীতি নিয়ে ক্যাসেলসের বিশ্লেষণ নতুন সমাজের বিভিন্ন অংশকে একত্রিত করে যেমন: নতুন প্রযুক্তিগত দৃষ্টান্ত, বিশ্বায়ন, সামাজিক আন্দোলন এবং সার্বভৌম জাতি-রাষ্ট্রের পতন। " দি নেটওয়ার্ক সোসাইটি" " নতুন প্রযুক্তি-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা" নিয়ে কাজ করে (ক্যাসেলস, ২০০১, পৃষ্ঠা: ৪)। " দ্যা পাওয়ার অফ আইডেন্টিটি" সামাজিক আন্দোলন এবং রাজনীতিকে প্রতিরোধ বা যৌথ সমাজের সাথে খাপ খাওয়ানো নিয়ে আলোচনা করে। ট্রিলজির শেষ কাজ," এন্ড অফ মিলেনিয়াম", বিশ্বে আগের দুটি ঘটনার ফলাফল বর্ণনা করে। এই অধ্যায়টি এভাবে তার ট্রিলজি এবং অন্যান্য নিবন্ধগুলির অন্বেষণের মাধ্যমে একটি ক্যাস্টেলিয়ান যৌথ সমাজ কী তা অন্বেষণ করে।

নতুন অর্থনীতি[সম্পাদনা]

সময় এবং স্থানের নতুন রূপ[সম্পাদনা]

একটি তথ্য অর্থনীতি বা যৌথ অর্থনীতির ধারণা নিঃসন্দেহে নতুন তথ্য প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত। অর্থনীতিবিদদের মতে, তথ্য অর্থনীতির সংজ্ঞা বলতে কেবলমাত্র তথ্য প্রযুক্তির প্রচুর ব্যবহারই নয়, বরং যা ভিন্ন ভিন্ন কাজ, উৎপাদন এবং ব্যবহার করার পদ্ধতিকে প্রভাবিত করে এমন নতুন বিষয়কেও বোঝাতে পারে। এই প্রযুক্তির দ্বারা মানুষের প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়। সুতরাং, তথ্য অর্থনীতি বোঝার জন্য, একজনকে প্রথমে নতুন তথ্য প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলি বুঝতে হবে এবং তারপরে যৌথ সমাজের পরিবর্তনের উদাহরণ সম্পর্কে অধ্যয়ন করতে হবে।

ক্যাসেলস(১৯৯৬, ১৯৯৭, ২০০০) যৌথ সমাজকে একটি সামাজিক কাঠামো হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন যেটিকে যৌথ যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং তথ্য প্রক্রিয়াকরণ দ্বারা নির্দেশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে জাতিগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক পারস্পরিক নির্ভরশীলতার পাশাপাশি বিশ্বায়ন এবং স্বতন্ত্র পরিচয় সম্পর্কিত সামাজিক আন্দোলনের মতো সামাজিক ঘটনা। এই সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে, ক্যাসেলস (২০০০) অনুমান করেছিলেন যে যৌথ সমাজ সময় এবং স্থানের দুটি নতুন রূপকে ঘিরে সংগঠিত: অফুরন্ত সময় এবং প্রবাহমান স্থান।

অসীম সময়ের ধারণায়, নতুন প্রযুক্তি, যেমন: জৈবপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগের নেটওয়ার্ক, সময়ের জৈবিক বোধের পাশাপাশি সময়ের যৌক্তিক ক্রমকে ভেঙ্গে ফেলছে। ক্যাসেলসের (১৯৯৭) নতুন জৈবিক প্রজনন প্রযুক্তিগুলোর উদাহরণ জীবনচক্রের গতি কমিয়ে বা দ্রুত করার মাধ্যমে অভিভাবকত্ব পালনের শর্তে জীবনচক্রের ধরণগুলিকে অস্পষ্ট করে।

প্রবাহমান স্থান এই ধারণা প্রদান করে যে সমাজের সংস্থাগুলির মধ্যে বাস্তবিক দূরত্ব দূর হতে পারে, এবং নতুন যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সহজেই এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে প্রেরণ করা যেতে পারে। এটি স্থানের যৌক্তিক ধারণার নির্মূলীকরণকে বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, ওয়েবপেজের হাইপারলিঙ্কটি সময় এবং স্থানের মধ্যে কার্যক্রমের পারম্পর্যকে ভেঙে দেয়, কারণ এটি তাৎক্ষণিকভাবে একজন ব্যক্তিকে এক অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে নিয়ে আসে। ক্যাসেলস (২০০০) বলেছেন: "স্থান এবং সময়, মানুষের অভিজ্ঞতার বস্তুগত ভিত্তি, রূপান্তরিত হয়েছে, কারণ প্রবাহমান স্থান পার্থিব স্থানের উপর আধিপত্য বিস্তার করে এবং অসীম সময় শিল্প যুগের ঘড়ির সময়কে ছাড়িয়ে যায়" (পৃষ্ঠা: ১)

সংশয়বাদ[সম্পাদনা]

ক্যাসেলসের তত্ত্ব শিল্পবাদ সম্পর্কে মার্কসবাদী সংশয়বাদকে পুনর্বিবেচনা করে। যৌথ সমাজের তত্ত্বটি মার্কসবাদীদের দ্বারা ঐতিহ্যগতভাবে ধারণ করা অনেক ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে ব্যবহার করে। ক্যাসেলস তথ্যের ধারণা দ্বারা শিল্পবাদে পুঁজির অবস্থানকে প্রতিস্থাপন করেন। তার বিশ্লেষণে, ক্যাসেলস স্বীকার করেছেন যে তথ্যবাদের উত্থান এবং নেটওয়ার্কের প্রকৃতি বৈশ্বিক সমাজগুলিকে বৈষম্য এবং সামাজিক বহিষ্করণের দিকে নিয়ে গেছে, " সাধারণ শ্রম" এবং " স্ব- পুনঃনিয়ন্ত্রণযোগ্য শ্রম," বৈশ্বিক শহর এবং স্থানীয় শহর, তথ্যে ধনী এবং তথ্যে দরিদ্র প্রভৃতির মধ্যে বিভেদকে বিস্তৃত করেছে। এইভাবে, টনি গিডেন্স, অ্যালাইন টুরাইন, পিটার হল এবং ক্রিস ফ্রিম্যান ক্যাস্টেলকে মার্কস এবং ওয়েবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমাজবিজ্ঞানীদের সাথে তুলনা করেন (ক্যাবট, ২০০৩)। ১৯৭০-এর দশকে, ক্যাসেলস একটি মার্কসবাদী বুদ্ধিবৃত্তিক গতিপথ প্রদর্শন করেছিলেন এবং তিনি স্বীকার করেছিলেন যে তথ্য যুগে রাজনৈতিক পরিবর্তনের তদন্তের জন্য তিনি মার্কসবাদের প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন।

উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

ক্যাসেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল যে তিনি বিস্তৃত দৃষ্টিকোণ থেকে তথ্য যুগের একটি দুর্দান্ত তত্ত্ব তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও তার কাজ এখনও এগিয়ে চলছে, তার বিস্তৃত বিশ্লেষণ তথ্য সমাজ সম্পর্কে একটি গভীর, অথচ বিস্তৃত অনুধাবনের ব্যবস্থা করেছে। তথ্য সমাজের সমসাময়িক সমস্যাগুলি নির্ণয় করার প্রয়াসে তাঁর বেশিরভাগ পদ্ধতিই গবেষণাধর্মী/প্রায়োগিক হয়েছে। টফলার এবং গিল্ডারের মতো ভবিষ্যতবাদীরা "নতুন" সমাজের জন্য যে ভবিষ্যদ্বাণী ঘোষণা করেছিলেন তার আপাত অতিমাত্রিকতা নিয়ে ক্যাসেলস তার উচ্চ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও কিছু সমালোচনা আছে যে ক্যাসেলস তথ্য অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাবকে অত্যধিক জোর দিয়েছিলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মতো প্রতিটি ক্ষেত্রে তার বিশ্লেষণ ছিল অভিজ্ঞতামূলক এবং অত্যন্ত সঠিক।

উপরন্তু, ক্যাসেলের বিশ্লেষণ বিশ্ব মানের, যদিও তিনি বিশ্বায়নের অন্ধকার দিক সম্পর্কে সতর্ক করেন। যেহেতু বেশিরভাগ তথ্য অবকাঠামো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলিতে কেন্দ্রীভূত, তথ্য অর্থনীতির বেশিরভাগ গবেষণামূলক বিশ্লেষণ সেই দেশগুলিকে উদ্বিগ্ন করে। তা সত্ত্বেও, ক্যাসেলসের গবেষণামূলক অধ্যয়ন চতুর্থ বিশ্বের দেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

Alvarez, I., & Kilbourn, B. (2002). Mapping the information society literature: topics, perspectives, and root metaphors. First Monday, 7. Retrieved from http://www.firstmonday.org/issues/issue7_1/alvarez/index.html

Arunachalam, S. (1999). Information and knowledge in the age of electronic communication: A developing country perspective. Journal of Information Science, 25, 465-177.

Cabot, J.E. (2003). The information age; Manuel Castells; the rise of the network society. Research Policy, 32, 1141.

Carnoy, M. (1999). Sustaining flexibility: work, family, and community in the Information Age. New York: Russell Sage.

Castells, M. (1996). The rise of the network society. New York: Blackwell.

Castells, M. (1997a). The Power of Identity. Oxford: Blackwell.

Castells, M. (1997b). An introduction to the information age. City, 7, p. 6-16.

Castells, M. (1999). The Social Implications of Information & Communication Technologies. UNESCO's World Social Science Report. Retrieved November 8. 2005 from http://www.chet.org.za/oldsite/castells/socialicts.html

Castells, M. (2000a). End of Millennium. Oxford: Blackwell.

Castells, M. (2000b). Materials for an exploratory theory of the network society. The British Journal of Sociology, 51, 5-24.

Castells, M.(2000c). Toward a sociology of the network society. Contemporary Sociology, 29, 693-699.

Castells, M.(2001, May 9). Conversation with History[Webcast], UCTV. Retrieved November 8, 2005 from http://webcast.ucsd.edu:8080/ramgen/UCSD_TV/7234.rm

Castells, M.(2004). Informationalism, Networks, and the Network Society: a Theoretical Blueprinting, The network society: a Cross-Cultural Perspective. Northampton, MA: Edward Elgar.

Duff, A. F. (1998). Daniel Bell's theory of the information society. Journal of Information Science, 24, 373-393.

Fields, G. (2002). From Communications and Innovation, to Business Organization and Territory: The Production Networks of Swift Meat Packing and Dell Computer, BRIE. Retrieved November 8, 2005 from http://brie.berkeley.edu/~briewww/publications/149ch2.pdf

Gerstner, J. (1999). The Other Side of Cyberspace: An Interview with Manuel Castells, Cyber-Scientist, IABC's Communication World Magazine, March 1999. Retrieved November 8, 2005 from http://www.interanetsider.com/interviews/cyberspace/index.html

Gupta, D. (2003). Meeting “Felt Aspirations”: Globalization and Equity from an Anthropological Perspective, presented in the 4th Annual Global Development Conferences, Global Development Conference, January 2003, Cairo, Egypt.

Hutchins, B. (2004). Castells, regional news media and the information age. Continuum: Journal of Media & Cultural Studies, 18, 577–590.

Jone, R. R. (2000). Recasting the Information Infrastructure for the Industrial Age. A National Transformed by Information, Chandler, A. D. & Cortada, J. W(ED.).

Kaldor, M. (1998). End of millennium: The information age: Economy, society, and culture. Regional Studies, 32, 899-900.

Lucas, H. (1999). "Information technology and the productivity paradox". New York: Oxford University Press.

Winkel, O. (2001). The democratic potentials of interactive information technologies under discussion. International Journal of Communications Law and Policy.

টেমপ্লেট:Communication Theory/Navigation