বিষয়বস্তুতে চলুন

বাঁশি শিক্ষা/স্বরগ্রাম

উইকিবই থেকে

ছয়টি ছিদ্র দিয়ে সংগীতের সাতটি শুদ্ব স্বর: সা, রে (কর্ণাটকীতে রি), গ, ম, প, ধনি ― সহজেই বাজানো যায়। বাঁশিতে সমস্ত ছিদ্র যখন বন্ধ করা থাকে, তখন তার মূলসুর () নির্গত হয়। বাঁশির বদ্ধ প্রান্ত থেকে সবচেয়ে দূরের ছিদ্রটি শুধু খোলা রাখলে, "ধ" সুরটি নির্গত হয়। অনুরূপে ওই ধারেরই দুটো ছিদ্র খুললে "নি", ধারের তিনটি খুললে "সা", চারটে খুলে দিল "রে", পাঁচটি হলে "গ", আর সবগুলি ছিদ্র খুললে "ম" সুর নির্গত হয়।

গঠনের ওপর ভিত্তি করে প্রত্যেক বাঁশিরই শুদ্ধ "সা" (ষড়্‌জ)-এর সাপেক্ষে একটি মাত্রা বা স্কেল থাকে। বাঁশির দৈর্ঘ্য, ভিতরের ব্যাস এবং ছিদ্রের আকার-অবস্থানের প্রকৃতির ওপর মাত্রার বিভিন্নতা নির্ধারিত হয়। তাই বাদক তাঁর পছন্দমতো বাঁশি বেছে নানা মাত্রায় সুর তৈরি করতে পারেন। যে বাঁশিগুলি দৈর্ঘ্যে ছোটো, আর তার সবগুলি ছিদ্রই প্রায় সমান আকৃতির, সেগুলি সাধারণত G-স্কেলের হয়, আবার তুলনায় লম্বা বাঁশিগুলি C-স্কেলের হয়ে থাকে। বাদক ঠোঁট থেকে বায়ুর বেগ কমিয়ে বা বাড়িয়ে যথাক্রমে মন্দ্র সপ্তক (নীচের সমমেল) অথবা তার সপ্তক (উঁচু সমমেল) সৃষ্টি করতে পারেন।