বিষয়বস্তুতে চলুন

নিউজিল্যান্ডের ইতিহাস/বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় ব্যক্তি

উইকিবই থেকে

বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় ব্যক্তি[সম্পাদনা]

২০০৪ সালে পোল্যান্ডে স্যার এডমন্ড হিলারি

এডমন্ড হিলারি[সম্পাদনা]

স্যার এডমন্ড পার্সিভাল হিলারি নিউজিল্যান্ডের একজন পর্বতারোহী এবং অভিযাত্রী ছিলেন। ১৯৫৩ সালের ২৯ মে তিনি ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলের অংশ হিসেবে নেপালী পর্বতারোহী শেরপা তেনজিং নোরগের সাথে এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গে প্রথম আরোহণ করেন। সেই সময় এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গের উচ্চতা ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৯,০২৮ ফুট। এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গে জয়ের পর রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। স্যার এডমন্ড হিলারির এভারেস্ট পর্বত শৃঙ্গে জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিি হয়ে ওঠেন। তবে তিনি এখানেই থেমে থাকেন নি। তিনি ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ট্রান্স-অ্যান্টার্কটিক অভিযানে নিউজিল্যান্ড দলের নেতৃত্ব দেন। কমনওয়েলথ ট্রান্স-অ্যাটলান্টিক অভিযানের অংশ হিসেবে তিনি ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছন। পরবর্তীকালে তিনি উত্তর মেরু অভিযান করলে বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পৃথিবীর দুই মেরু ও সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পদার্পণের দুর্লভ কৃতিত্ব অর্জন করেন।

১৯৬০-এর দশকে তিনি নেপালের জনগণের জন্য ক্লিনিক, হাসপাতাল এবং স্কুল নির্মাণের জন্য নেপালে ফিরে আসেন। তিনি নেপাল সরকারকে তাদের বন এবং মাউন্ট এভারেস্টের আশেপাশের এলাকা রক্ষার জন্য আইন পাস করতে রাজি করান।

১৯৭০ এর দশকে হিলারির মাউন্ট এভারেস্ট যাত্রা সম্পর্কে বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়।

এডমন্ড হিলারি নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। তাকে সম্মান জানিয়ে নিউজিল্যান্ড সরকার পাঁচ ডলারের নোটে তার ছবি প্রকাশ করে।

তিনি ২০০৮ সালের ১১ জানুয়ারী মারা যান।

আর্নেস্ট রাদারফোর্ড[সম্পাদনা]

স্যার আর্নেস্ট রাদারফোর্ড

আর্নেস্ট রাদারফোর্ড ছিলেন একজন নিউজিল্যান্ডীয় নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি 'পরমাণু পদার্থবিদ্যার জনক' হিসেবে পরিচিত। তিনি তার বিখ্যাত স্বর্ণপাত পরীক্ষায় পরমাণু-কেন্দ্রক বা নিউক্লিয়াস থেকে রাদারফোর্ড বিক্ষেপণ আবিষ্কার করেন, যা পরবর্তীতে বোরের পরমাণু মডেল নির্মাণে পথপ্রদর্শক হয়। এই পরীক্ষার থেকে তিনি সিদ্ধান্তে আসেন যে পরমাণু বেশিরভাগই খালি স্থান নিয়ে গঠিত, যার ভর একটি কেন্দ্রীয় ধনাত্মক চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াসে কেন্দ্রীভূত।

তিনি নিউজিল্যান্ডের ব্রাইটওয়াটারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার কর্মক্ষেত্র ছিল ইংল্যান্ড। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি ইংল্যান্ডে বসবাস করেন।

তেজস্ক্রিয় মৌলের বিকিরণ ও রসায়ন নিয়ে কাজের জন্য ১৯০৮ সালে তিনি রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি কমনওয়েলথ অর্ডার অফ মেরিট পুরস্কারও লাভ করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের প্রিভি কাউন্সিল এবং রয়্যাল সোসাইটির সদস্য ছিলেন।

আর্নেস্ট রাদারফোর্ডকে সম্মান জানিয়ে নিউজিল্যান্ড সরকার একশ ডলারের নোটে তার ছবি প্রকাশ করে।

তিনি ১৯৩৭ সালের ১৯ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ শহরে মারা যান।