বিষয়বস্তুতে চলুন

নাক্ষত্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞান/শক্তি প্রবাহ

উইকিবই থেকে

তারার কেন্দ্রে যে শক্তি উৎপাদিত হয় তা তিনটি প্রক্রিয়ায় কেন্দ্র থেকে পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে। উল্লেখ্য যেকোন শক্তি প্রবাহের জন্যই এই তিনটি প্রক্রিয়া প্রযোজ্য। প্রক্রিয়াগুলো হচ্ছে:

  1. বিকিরণ
  2. পরিবহন
  3. পরিচলন

এই তিন প্রক্রিয়ায় শক্তি পৃষ্ঠে আসার পর তা তারা থেকে বেরিয়ে মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেই শক্তির বদৌলতেই আমরা তারাদেরকে আকাশে জ্বলজ্বল করতে দেখি। প্রক্রিয়া তিনটির গভীর পর্যালোচনা করা যাক।

বিকিরণমূলক প্রবাহ

[সম্পাদনা]

এই তাপ প্রবাহের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ঢালের সমীকরণ হচ্ছে

এই সমীকরণ থেকে দেখা যাচ্ছে, যখনই কোথাও তাপমাত্রা ঢাল থাকবে সেখানেই থাকবে একটি বহির্মুখী বিকিরণমূলক ফ্লাক্স। তার মানে এই নয় যে বিকিরণমূলক ফ্লাক্সই একমাত্র ফ্লাক্স। অন্য ফ্লাক্সও থাকতে পারে। এই সমীকরণের মাধ্যমে তারার অভ্যন্তরে ফোটনের শোষণ এবং পুনঃবিকিরণ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা যায়, আর এই ক্ষেত্রে মূল নিয়ন্ত্রণ থাকে অনচ্ছতা তথা অপাসিটির কাঁধে। অনচ্ছতাই নির্ধারণ করে কোন স্তরে কি পরিমাণ ফোটন শোষিত হবে এবং কি পরিমাণ পুনরায় বিকিরিত হয়ে পৃষ্ঠের দিকে যাত্রা করবে।

সমীকরণে অনচ্ছতার মান নির্ণয় করা যায় রোজেলান্ড গড় এর মাধ্যমে। সমীকরণটি হচ্ছে

পরিচলনমূলক প্রবাহ

[সম্পাদনা]

এর জন্য প্রয়োজন হবে তরল গতিবিদ্যার বিখ্যাত মিশ্রণ দৈর্ঘ্য তত্ত্বের। ধরা হয়, তারার পরিচলন অঞ্চলে পরিচলনের কাজে নিয়োজিত প্রতিটি বুদবুদের গড়পড়তা আকার এবং গড় মুক্ত পথ একই, আর এই সমান মানটির নামই মিশ্রণ দৈর্ঘ্য। মিশ্রণ দৈর্ঘ্যকে দ্বারা প্রকাশ করা হয়।