তথ্যগুপ্তিবিদ্যা/তথ্যগুপ্তিবিদ্যা এবং রিসালা ফী ইসতিখরাজ আল মুয়াম্মা

উইকিবই থেকে

রিসালা ফী ইসতিখরাজ আল মুয়াম্মা[সম্পাদনা]

আল কিন্দির গ্রন্থও করুণ পরিণতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি খলিফা আল মুসতালিনকে। ২৫১ হিজরিতে উৎখাত হন মুসতালিন, পরবর্তী খলিফা চাচাতো ভাই আল মুহতাজের নির্দেশে ২৫২ হিজরিতে শিরশ্ছেদ করা হয় তাঁর।

এর কয়েক বছর পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বৃদ্ধ আল কিন্দি। ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দে জৌলুসপূর্ণ বাগদাদ নগরী ধ্বংস করে হালাকু খান, বায়তুল হিকমার গ্রন্থাগারটি নিক্ষেপ করে দজলা নদীতে। লক্ষ লক্ষ বইয়ের বাধায় থমকে দাঁড়ায় দজলার স্রোত, প্রায় ছয় মাস ঘোর কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে থাকে তার পানি। সুখের বিষয়, বেঁচে যায় আল কিন্দির গ্রন্থটি, পারস্যের গণিতবিদ নাসির আদদিন তুসী শেষ মুহূর্তে যে চার লক্ষ গ্রন্থ রক্ষা করে আজারবাইজানে নিয়ে এসেছিলেন, এটি সম্ভবতঃ তাদের মধ্যে ছিল। তবে গত এক সহস্র বছরেরও অধিক সময়কাল ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালেই থেকে যায় গ্রন্থটি, ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে লেবাননের গবেষক ড. মুহম্মদ মরিয়াতি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সুবিশাল সুলাইমানিয়া উসমানী গ্রন্থাগারে ঘুরে বেড়ানোর সময় হঠাৎই তার মুখোমুখি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।


সুপ্রাচীনকাল থেকেই তথ্যগুপ্তিবিদ্যার (cryptography) প্রচলন থাকলেও গুপ্তলিপি পাঠোদ্ধারে (cryptanalysis) ভাষাবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান গণিতের সমন্বয়ে প্রথম যুগান্তকারী মৌলিক আবিষ্কারটি সাধন করেন আবু ইউসুফ ইয়াকুব ইবনে ইশহাক ইবনে আল সাব্বাহ ইবনে ইমরান ইবনে ইসমাইল ইবনে আল আশআত ইবনে কায়েস আল কিন্দি। যে অনন্য গ্রন্থটি নিয়ে এ রচনা, নাম তার রিসালা ফী ইসতিখরাজ আল মুয়াম্মা।