বিষয়বস্তুতে চলুন

ছাগল পালন/ছাগলের পরিচর্যা

উইকিবই থেকে

উন্নতমানের ও অধিক উৎপাদনশীল বাচ্চা পেতে হলে ছাগলকে সুপরিকল্পিতভাবে প্রজনন করাতে হবে। আর প্রজননের সুফল পেতে হলে প্রজননের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ছাগীর বিশেষ যত্ন নিতে হবে। প্রজননের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ছাগীর জীবনে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ লক্ষ্য করা যায়। ধাপগুলো হচ্ছে- ড্রাই পিরিয়ড, গর্ভকালীন সময়, প্রসবকালীন সময় এবং দুধ প্রদানকালীন সময়। উক্ত চারটি ধাপে ভিন্ন ভিন্নভাবে ছাগীর যত্ন নিতে হবে।

প্রজননের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ছাগীর যত্ন

[সম্পাদনা]

ড্রাই পিরিয়ড

[সম্পাদনা]

বাচ্চা দুধ খাওয়া ছেড়ে দেয়ার পর হতে পুনরায় প্রজনন করার পূর্ব পর্যন্ত (পরবর্তী গর্ভধারণকাল পর্যন্ত) সময়কে ছাগীর ড্রাই পিরিয়ড বলে। এ সময়ে দেহ রক্ষা, পর্যাপ্ত হরমোন নিঃসরণ এবং দেহের ক্ষয় পূরণের জন্য ছাগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।

গর্ভকালীন সময়

[সম্পাদনা]

সুস্থ, সবল ও স্বাস্থ্যবান বাচ্চা উৎপাদনের লক্ষ্যে ছাগীকে গর্ভকালীন সময়ে উন্নতমানের খাবার এবং উপযুক্ত যত্ন নেয়া জরুরি। এ সময়ে ছাগীকে স্বাভাবিক খাদ্যের পাশাপাশি ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করতে হবে। গর্ভস্থ ভ্রূণের দেহের দুই তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি ঘটে গর্ভধারণের শেষ সপ্তাহে। তাই এসময়ে আমিষের চাহিদা তিনগুণ হয়। এসময়ে ভ্রূণের বৃদ্ধি ও ছাগীর স্তনের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে উন্নত মানের খাবার দিতে হবে। বাচ্চা প্রসবের দুই সপ্তাহ পূর্ব হতে ছাগীকে পৃথক রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এসময় মাচার উপর বা উঁচু স্থানে ছাগীকে উঠতে না দেয়া ভালো। দিনে ঘর সংলগ্ন খোঁয়াড় অথবা উঠানে ছায়ার মধ্যে ছাগীকে রাখতে হবে। গর্ভবতী ছাগীকে শুকনা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে রাখতে হবে। রাতে মাটিতে শুকনো ও পরিষ্কার খড় বা চট বিছিয়ে বিছানা তৈরি করে দিতে হবে।

প্রসবকালীন সময়

[সম্পাদনা]

প্রসবের পূর্বে ছাগীর ওলান এবং লেজের চারপাশের পশম পরিষ্কার করতে হবে। এসময় দানাদার খাদ্য সরবরাহ কমিয়ে দিতে হবে বা বন্ধ করতে হবে। প্রসব ঘর অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, শুকনা এবং জীবানুমুক্ত রাখতে হবে। প্রসূতি ছাগী ও সদ্যজাত বাচ্চার জন্য মেঝেতে বিছানা/বেডিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রসবের ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। অত্যন্ত শীতের মধ্যে সদ্যজাত বাচ্চাকে যেন উষ্ণ রাখা যায় সে সুযোগ থাকতে হবে।

দুধ প্রদানকালীন সময়

[সম্পাদনা]

প্রসবের পর ছাগীর প্রয়োজনের উপর লক্ষ্য রেখে খাদ্যের পরিমাণ প্রয়োজন অনুসারে বৃদ্ধি করা আবশ্যক। গাভীর দুধের চেয়ে ছাগীর দুধে প্রোটিন ও চর্বির শতকরা পরিমাণ বেশি থাকে। যে কারণে দুগ্ধবতী ছাগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন ও ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার প্রদান করতে হবে। দুগ্ধবতী ছাগীর হাইপোক্যালসেমিয়া প্রতিরোধ করার জন্য খাদ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করতে হবে।

সদ্য প্রসূত ছাগল ছানার যত্ন

[সম্পাদনা]

প্রসবের সাথে সাথে বাচ্চাকে মায়ের সামনে দিতে হবে যাতে ছাগী বাচ্চার শরীর চেটে পরিষ্কার করতে পারে। বাচ্চার নাক শ্লেম্মাতে আটকে থাকার কারণে দম বন্ধ হয়ে বাচ্চা মারা যেতে পারে তাই প্রসবের সাথে সাথে বাচ্চার সমস্ত শরীর ও নাকের শ্লেষ্মা সরিয়ে নাকের মধ্যে ফু দিয়ে বাচ্চার শ্বাস প্রশ্বাসে সহযোগিতা করতে হবে। শীতের সময় দ্রুত বাচ্চার শরীর মুছে না দিলে শীতে বাচ্চার শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা দ্রুত হারাতে থাকে এবং বাচ্চা কাঁপতে কাঁপতে মারা যায়। এজন্য বাচ্চাকে উষ্ণ স্থানে অর্থাৎ খড় বা চটের উপর রেখে চারদিক চট দিয়ে ঘিরে দিতে হবে অথবা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সদ্য প্রসূত ছাগল ছানাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক জায়গায় (ব্রট্রডিং পেন) রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। বাচ্চা প্রসবের পরপরই বাচ্চার নাভি ২-৩ সে.মি. রেখে বাকি অংশ কেটে দিতে হবে এবং উক্ত স্থানে টিংচার অব আয়োডিন লাগিয়ে দিতে হবে। সদ্য প্রসূত বাচ্চার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন শক্তি।

নবজাত ছাগল ছানা শক্তি পায় মায়ের দুধ হতে। তাই প্রসবের ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ছাগল ছানাকে মায়ের শাল দুধ খেতে সাহায্য করতে হবে। প্রয়োজনে শাল দুধ দোহন করে বোতলে খাওয়ানো যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে যে সকল বাচ্চা যেন সমভাবে দুধ পায়। অপেক্ষাকৃত দুর্বল বাচ্চাকে নিজের হাতে ধরে মায়ের দুধ খাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। জন্মের পর ১ম ৪-৫ দিন বাচ্চাকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের সময় বাচ্চার ওজন ১ কেজির কম হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি এক সপ্তাহ পর্যন্ত চিনির সিরা/ডেক্সট্রোজ দিনে ৩-৪ বার খাওয়ানো যেতে পারে। এতে বাচ্চার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং বাচ্চা মৃত্যুর হার কমে যায়। ছাগীর দুধ উৎপাদন কম কিন্তু বাচ্চার সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে তিন মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে মায়ের দুধের পাশাপাশি কৃত্রিম উপায়ে গাভীর দুধ, বার্লি, পাউডার মিল্ক, ভাতের মাড় প্রভৃতি খাওয়ানে যেতে পারে।

গরুর দুধ পাওয়া না গেলে প্রয়োজনে ছাগল ছানাকে মিল্ক রিপ্লেসার তৈরি করে দিনে ৩-৪ বার খাওয়ানো যেতে পারে। এতে ননীমুক্ত গুঁড়া দুধ (স্কিম মিল্ক) ৭০ ভাগ; চাল, গম বা ভুট্টার গুঁড়া ২০ ভাগ, সয়াবিন তেল ৭ ভাগ, লবণ ১ ভাগ, ডাইক্যালসিয়াম ফসফেট ১.৫ ভাগ এবং ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স ০.৫ ভাগ থাকে। উক্ত মিশ্রণের একভাগ, নয়ভাগ পানির সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে ফুটানোর পর ঠাণ্ডা করে ছাগল ছানাকে খাওয়াতে হবে।

বাচ্চা ছাগলের যত্ন

[সম্পাদনা]

ছাগল ছানার ১৫ দিন বয়স হতে অল্প অল্প করে দানাদার খাদ্য এবং আঁশ জাতীয় খাবার (কাঁচা ঘাস, গাছের পাতা প্রভৃতি) খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে। যে সকল ছাগল ছানা দীর্ঘ সময় ধরে মায়ের অপর্যাপ্ত দুধ পাওয়ার কারণে দুর্বল হয় তাদেরকে অন্যান্য সুষম খাবার সরবরাহের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একটি করে কাঁচা বা সিদ্ধ ডিম খাওয়ানো যেতে পারে। এতে ছাগল ছানার আমিষের চাহিদা কিছুটা পূরণ হবে এবং বাচ্চা সুস্থ ও সবল হবে। শীতের সময় মেঝেতে ছালা বা খড় বিছিয়ে মায়ের সাথে ছাগল ছানাকে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ছাগল ছানার শরীর গরম কাপড় বা ছালা দিয়ে ঢেকে দেয়া যেতে পারে। ছাগলের ঘরের বেড়া বা দেয়াল চট দিয়ে ঢেকে দেয়া দেতে পারে যাতে ঘর হতে শীত শীত ভাব দূর হয়। প্রতিদিন খাদ্য ও পানির পাত্র পরিষ্কার করতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘর ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে না হয়। শীতে বা বৃষ্টির সময় ছাগর ছানাকে ঘরের বাইরে যেতে দেয়া উচিত নয়। এতে ঠাণ্ডা লেগে ছাগল ছানার নিউমোনিয়া হতে পারে। এছাড়াও বড় প্রাণির আক্রমণ হতে ছাগল ছানাকে রক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

বিভিন্ন কারণে ছাগল ছানার শরীরে উঁকুন, আঠালী, মাইট প্রভৃতি পরজীবির সংক্রমণ হতে পারে। এর ফলে বাচ্চা রক্তশূন্যতায় ভুগে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মারা যায়। এ সব পরজীবির আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ছাগল ছানাকে উকুন নাশক সাবান দিয়ে অথবা ০.৫% ম্যালাথিয়নের পানিতে গোসল করাতে হবে। ছাগল ছানার বয়স ২ মাস হলেই প্রতি সপ্তাহে দুইবার একে সাধারণ পানিতে গোসল করাতে হবে। শরীরে উঁকুন, আঠালী, মাইট প্রভৃতি পরজীবির সংক্রমণ দেখা দিলে মাসে দুইবার ০.৫% ম্যালাথিয়নের পানিতে বাচ্চাকে গোসল করাতে হবে। গোসলের পরপরই ছাগল ছানার শরীর কাপড় বা ছালা দিয়ে মুছে দিতে হবে।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছাগল ছানার পেটে গোল কৃমি, ফিতা কৃমি এবং যকৃত কৃমিসহ বিভিন্ন ধরনের কৃমি হতে থাকে। এর ফলে ছাগলের খাদ্য হজম কমে যায় এবং হজমকৃত খাদ্য শোষণে ব্যাঘাত ঘটে। এক পর্যায়ে বাচ্চা অপুষ্টিতে দুর্বল হয়ে মারা যেতে পারে। তাই বাচ্চার বয়স একমাসের অধিক হলে প্রতি চার মাস পরপর পায়খানা পরীক্ষা করে ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হবে।

পাঁঠার যত্ন

[সম্পাদনা]

ছাগীর তুলনায় পাঁঠার দৈহিক বৃদ্ধির হার বেশি। একটি পাঁঠা মাত্র তিন মাস বয়সেই বয়োঃপ্রাপ্তি লাভ করে। কিন্তু ৬ মাস বয়সের আগে তাকে প্রজনন কাজে ব্যবহার করা যাবে না; অন্যথায় পাঁঠার স্বাস্থ্যহানী ঘটবে। ১২ মাস বয়স প্রজনন কাজের জন্য আদর্শ। পাঁঠার প্রজনন ক্ষমতা ২-৩ বছর বয়সে সর্বোচ্চ। প্রজনন কাজে ব্যবহৃত পাঁঠাকে শারীরিকভাবে সুস্থ ও শৌর্য বীর্যের অধিকারী হতে হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য সরবরাহ করলে এবং উপযুক্ত পরিচর্যা করলে একটি পাঁঠাকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত প্রজনন কাজে ব্যবহার করা যায়।

একটি ব্ল্যাক বেঙ্গল পাঁঠার থাকার জন্য ২৪ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন হয়। পক্ষান্তরে একটি যমুনা পাতি পাঁঠার থাকার জন্য ৩৫ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন হয়। পাঁঠার খাদ্য ব্যবস্থাপনা দুধালো ছাগীর মতোই। তবে প্রজনন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য প্রতিটি পাঁঠাকে দৈনিক ১০ গ্রাম গাঁজানো ছোলা দেয়া প্রয়োজন। কোনো ভাবেই পাঠার শরীরে চর্বি জমতে দেয়া উচিত নয়। প্রয়োজনে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। ২৮-৩০ কেজি ওজনের একটি পাঁঠাকে দৈনিক ৪০০ গ্রাম করে দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হবে। একটি পাঁঠাকে সপ্তাহে ১০-১২ বারের বেশি প্রজনন কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়।

ছাগলের বাচ্চাকে খাসী করানো

[সম্পাদনা]

মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে খামারে ছাগল পালন করা হলে প্রজনন উপযোগী কয়েকটি পাঁঠা রেখে বাকি সব পুরুষ ছাগলকে খাসী করানো হয়ে থাকে। খাসী করানো হচ্ছে কোন প্রাণির সেক্স গ্লান্ডকে অপসারণ বা নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে উক্ত প্রাণির প্রজনন ক্ষমতা রহিত করা। খাসী করানোর মাধ্যমে খামারে অবাঞ্ছিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত প্রজনন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পাঁঠার শরীরে ক্যাপ্রিক এসিড ও ক্যাপ্রোয়িক এসিডের উপস্থিতির কারণে তীব্র গন্ধ বের হয়। খাসী করানো হলে উক্ত গন্ধ দূরীভূত হয়। এ ছাড়া ছাগলের মাংস গন্ধমুক্ত ও সুস্বাদু হয়। খাসীকরণের ফলে চামড়ার গুণগত মানও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ছাগল শান্ত ও নম্র স্বভাবের হয় এবং অনেক ছাগল একত্রে পালন সহজতর হয়। ২-৪ সপ্তাহ বয়সে পাঁঠা বাচ্চাকে খাসী করানো উত্তম।

খাসীকরণের পদ্ধতিসমূহ

[সম্পাদনা]

দুই পদ্ধতিতে আমাদের খাসীকরণ করা হয়ে থাকে:

  1. বন্ধ পদ্ধতি: বার্ডিজোস ক্যাস্ট্রেটর দ্বারা এবং রাবার রিং পরিয়ে ছাগলকে খাসী করা হয়ে থাকে। এ পদ্ধতিতে শরীর হতে সেক্স গ্লান্ড অপসারণ করা হয় না অর্থ্যাৎ সেক্স গ্লাণ্ড যথাস্থানেই থাকে।
  2. মুক্ত/খোলা পদ্ধতি: ধারালো ছুরি / ব্লেড/স্কালপেল এর সাহায্যে সার্জিক্যাল অপারেশনের মাধ্যমে এ পদ্ধতিতে শরীর হতে সেক্স গ্লান্ড অপসারণ করা হয়।

সতর্কতা ও পরিচর্যা

[সম্পাদনা]

সার্জিক্যাল অপারেশনে সৃষ্ট ক্ষতে যে মশা, মাছি বা পোকামাকড় না বসে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ক্ষতস্থানে সালফানিলামাইড পাউডার লাগাতে হবে। স্যাঁতসেঁতে ও অপরিষ্কার স্থানে খাসীকে রাখা যাবে না। শুকনো জায়গার ব্যবস্থ করতে হবে। প্রয়োজনে ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী খাসীকে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেয়া যেতে পারে।