গরু পালন/প্রসবোত্তর গাভীর পরিচর্যা

উইকিবই থেকে

বাচ্চা প্রসবের পর পরই নিমপাতা বা পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের কিছু দানা সহযোগে পানি গরম করে গাভীর জননতন্ত্রের বাইরের অংশ, ফ্লাংক এবং লেজ পরিষ্কার করতে হবে। গাভীর ঠাণ্ডা লাগলে উষ্ণতার ব্যবস্থা করতে হবে। কুসুম কুসুম গরম পানিতে তৈরি গুড়ের শরবত গাভীকে খাওয়ানো যেতে পারে।

গাভী যাতে নবজাতজক বাছুরকে চাটতে পারে এজন্য বাছুরকে গাভীর কাছে যেতে দিতে হবে। প্রসবের পরপরই গাভীকে আংশিকভাবে দোহন করতে হবে।

সাধারণত প্রসবের ২-৪ ঘণ্টার মধ্যেই গর্ভফুল বের হয়ে যায়। ১২ ঘণ্টার পরেও গর্ভফুল বের না হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। গর্ভফুল বের হওয়ার সাথে সাথে তা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে। গাভী যেন গর্ভফুল না খেয়ে ফেলে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

বাছুরকে কাচলা বা কলস্ট্রাম খাওয়ানোর জন্য ওলানের বাঁট চুষতে দিতে হবে। গাভীকে হালকা গরম পানিতে গমের ভূষি ভিজিয়ে খেতে দিতে হবে। একই সাথে অল্প পরিমাণ কাঁচা ঘাসও খাওয়ানো যেতে পারে। বাচ্চা প্রসবের ২ দিন পর থেকে গাভীকে দানাদার খাদ্য খাওয়ানো শুরু করতে হবে।

গাভী দোহনের আগে ও পরে গাভীর ওলান, তলপেট, আশ-পাশ ঈষৎ উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দ্বারা মুছে দিতে হবে। বাছুরকে দুধ খাওয়ানোর আগে ওলান একইভাবে ধুয়ে মুছে নিতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রথম খানিকটা দুধ ফেলে দিয়ে পরে বাছুরকে খেতে দিতে হবে। কারণ বাঁটের প্রথম দুধে ময়লা ও জীবাণু থাকতে পারে। বাছুরকে দুধ চুষে খেতে দেয়া উচিত, এর ফলে গাভী দেরিতে দুগ্ধহীনা হয়। বাছুর বাঁট চুষলে এক ধরনের ষ্টিমুলেশান হওয়ায় দুগ্ধদানের হরমোন নিঃসৃত হয়।

গাভীর ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ও শোবার জায়গায় পরিষ্কার শুকনা খড়ের নরম বিছানা করে দিতে হবে।