গরু পালন/গাভীর প্রসবের পূর্বাভাস ও করণীয়

উইকিবই থেকে

লক্ষণ[সম্পাদনা]

  • গাভীর ওলান বড় হয়ে যাবে ও বাঁট দিয়ে দুধজাতীয় তরল পদার্থ বের হবে।
  • যোনিমুখ বড় হয়ে ঝুলে যায় এবং নরম ও ফোলা হয়ে যাবে।
  • পেট ঝুলে পড়ে। লেজের গোড়ায় দুই পাশের রগের স্থানে গর্ভের মতো হবে।
  • যোনিমুখ দিয়ে আঠাল তরল পদার্থ নির্গত হবে। গাভী ঘন ঘন প্রস্রাব করার চেষ্টা করবে।
  • চূড়ান্ত পর্যায়ে স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে বাছুরের সামনের দুই পা ও নাক দেখা যাবে।

গাভীর প্রসবকালীন পরিচর্যা[সম্পাদনা]

প্রসবকালীন লক্ষণ দেখে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে।

  • প্রসবের সময় গাভীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আরামদায়ক বিছানায় লোক চোখের আড়ালে নিরিবিলি স্থানে রাখতে হবে ও কুকুর, বিড়াল, শিয়াল যেন পরিবেশ অশান্ত না করে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
  • প্রসবের পূর্ব থেকে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
  • প্রসবের সময় প্রসূত বাচ্চা সাধারণত সামনের দুপায়ের মধ্যে মাথা দিয়ে বেরিয়ে আসবে। এর ব্যতিক্রম হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করতে হবে।
  • প্রসবকালীন গাভী বারবার উঠা-বসা করবে। এ সময় সাবধানের সাথে ধীরে ধীরে বাছুরকে বের করতে হবে।
  • প্রসবের ২/১ দিন আগে থেকে রাতে পাহারা দিতে হবে যেন গাভী প্রসব করলে গর্ভফুল খেয়ে না ফেলতে পারে। কারণ এতে গাভীর মারাত্নক ক্ষতি হয়।