গরু পালন/গাভীর গর্ভপাতের কারণ
নির্ধারিত সময়ের আগে অপরিণত বয়সে মাতৃগর্ভ থেকে বাচ্চা বের হয়ে আসলে তাকে গর্ভপাত বলে। সাধারণত রোগ জীবাণুর সংক্রমণ, শারীরিক আঘাত, বিষক্রিয়া, ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসা, গর্ভাবস্থায় ভুল করে প্রজনন, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি কারণে গাভীর গর্ভপাত হতে পারে।
রোগ জীবাণুর সংক্রমণ: গবাদিপশু ব্রুসেলোসিস, ভিব্রিওসিস, ট্রাইকোনিয়াসিস, লেপটোসপিরোসিস ইত্যাদি রোগ গর্ভপাতের কারণ। তাছাড়া অ্যানথ্রাক্স, ক্ষুরারোগ, গলাফুলা, গো-বসন্ত, মতো মারাত্মক রোগের কারণেও গর্ভপাত হতে পারে।
শারীরিক আঘাত: গর্ভাবস্থায় কোনো মারাত্মক আঘাত, আছাড় খাওয়া, অতিরিক্ত লাফালাফি, ছোটাছুটি বা কাজের চাপেও গর্ভপাত হতে পারে।
পুষ্টিহীনতা: অপুষ্টিজনিত কারণেও গাভীর গর্ভপাত হতে পারে। ভিটামিন এ, ও কিছু খনিজ পদার্থ যেমন- ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন, কোবাল্ট ইত্যাদির অভাবে গাভীর অনুর্বরতা ও গর্ভপাত হয় ।
বিষক্রিয়া: বিভিন্ন রাসায়নিক ও ভেষজ পদার্থ যেমন- পটাশিয়াম নাইট্রেট, লেড (সিসা) ও আর্সেনিক জাতীয় ঔষধ এবং স্টিলবস্টেরল ও ইসট্রোজেন হরমোন গর্ভকালের যে কোনো সময় গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসা: কোনো কোনো সময় রোগের ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসার ফলেও গর্ভপাত হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ভুল করে প্রজনন: অনেক সময় গাভী গর্ভধারণ করলেও গরম হতে পারে (৩-৭%) অথবা যদি গাভীর কোনো আচরণকে গরমের লক্ষণ বলে ধরে নিয়ে প্রজনন করার ব্যবস্থা নেয়া হয় তবে গর্ভপাত হয়ে যায়।