গরু পালন/অধিক দুধ উৎপাদনশীল গাভীর বৈশিষ্ট্য

উইকিবই থেকে

যে গাভী অধিক দুধ দেয় তার শারীরিক আকার ও বিভিন্ন বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখেই গাভীটির দুধ উৎপাদন সম্পর্কে প্রায় নিশ্চিত ধারণা করা যায়। কাজেই কোনো ব্যক্তি যখন দুধের জন্য গাভী কিনতে বাজারে বা অন্য কোথাও গরু দেখতে যান তখন গাভীর মালিক বা দালাল গাভীটির দুধ উৎপাদন সম্পর্কে যে তথ্যই দিক না কেন ক্রয়কারী ব্যক্তি যদি অধিক দুগ্ধদানশীল গাভীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকে তবে তিনি নিজেই গাভীটি ভালোভাবে দেখে যাচাই করে দুগ্ধ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা করতে পারবেন।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

  • মাথা: মাথা হালকা ও ছোট আকারের, কপাল প্রশস্ত ও উজ্জ্বল চোখ হবে।
  • দৈহিক আকৃতি: দেহের সামনের দিক হালকা, পিছনের দিক ভারী ও সুসংগঠিত হবে। গাভীর সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সুগঠিত হবে। দৈহিক আকার আকর্ষণীয় ও শরীরের গঠন ঢিলা হবে।
  • পাজর: পাজরের হাড় স্পষ্ট অনুভব করা যাবে ও হাড়ের গঠন ঢিলা হবে।
  • চামড়া: চামড়া পাতলা হবে। চামড়ার নিচে অহেতুক চর্বি জমা থাকবে না। চামড়ার রং উজ্জল হবে। লোম মসৃণ ও চকচকে হবে।
  • ওলান: ওলান বড় ও সুগঠিত এবং দেহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। পিছনের দুই পায়ের মধ্যবর্তী স্থান প্রশস্ত হবে। বাটগুলো একই আকারের হবে। চারটি বাট সমান দূরত্বে ও সমান্তরাল হবে। ওলান দেখেই দুগ্ধ ধারণ ক্ষমতা অনুমান করা যাবে।
  • দুগ্ধশিরা: দুগ্ধশিরা মোটা ও স্পষ্ট হবে। তলপেটে নাভীর পাশ দিয়ে দুগ্ধ শিরা আঁকাবাঁকাভাবে বিস্তৃত থাকবে।