ওয়াইফাই/ভূমিকা
অবয়ব
< ওয়াইফাই
ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক (বাংলা:তারহীন জালবুনুনি) (এছাড়াও বলা হয় wireless LAN অথবা WLAN) হল বেতার তরঙ্গের নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কে একটা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। ঠিকঠাকভাবে চালু হলে এটা তারবিহীন নেটওয়ার্ক থেকে একটুও (তারের সংযোগ ছাড়া) আলাদা কিছু নয়।
এগুলি সাধারণত একটা বাড়ির পরিবেশে দুটি প্রধান কারণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে: ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রিন্টার ভাগাভাগি করা এবং একটা নির্দিষ্ট বেতার তরঙ্গের কম্পাঙ্কে অন্তর্জাল যোগাযোগ ভাগাভাগি করা। স্বভাবত, একের বেশি কম্পিউটারকে একসাথে নেটওয়ার্ক কেবল এবং রাউটারের (অথবা হাব/সুইচ) সাহায্যে হুকিং করে নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা হয়। ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের বেতার তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ব্যবহৃত হয়।
তারবিহীন জালবুনুনি ব্যবহারের সাধারণ কারণ (তারের যোগাযোগের তুলনায়)
[সম্পাদনা]- তারবিহীন জালবুনুনির খুবই স্পষ্ট এবং সাধারণভাবে ঘোষিত পার্থক্য হল যে, এতে তার লাগে না।
- এই পদ্ধতি বিশেষভাবে কার্যকর যেখানে একটা নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং/অথবা যেখানে হাস্যকরভাবে অতিদীর্ঘ কেবল ব্যবহৃত হচ্ছে।
- যদি জালবুনুনির যন্ত্রপাতি স্থানান্তরযোগ্য অথবা বারংবার স্থানান্তর করা হয়, তখন কেবল ছাড়া তারবিহীন জালবুনুনির প্রয়োজন হতে পারে।
খারাপ দিক
[সম্পাদনা]- বর্তমানে তারবিহীন জালবুনুনির ব্যান্ডউইথ বা ব্যান্ডের গতি তারযুক্ত জালবুনুনির তুলনায় নিম্নমানের। ভবিষ্যতে এর মানোন্নয়ন হতে পারে। এটা মনে রাখা দরকার যে, সাধারণভাবে বাড়িতে যে জালবুনুনির কাজ হয় (ওয়েবপেজ দেখা, ই-মেইল করা, কোনো কিছু ছাপা ইত্যাদি) সেক্ষত্রে খুব বেশি শক্তিসম্পন্ন ব্যান্ডপ্রস্থ ক্বচিৎ ব্যবহার হয়ে থাকে। যদি না তুমি (ভিডিয়ো শেয়ারিঙের মতো) নিবিড় ফাইল শেয়ারিং করো তো এতে কোনো সমস্যা হয় না।
- যদি সেটআপ সঠিক না-হয় অথবা দুর্বল হয়, যে কেউ তোমার অজান্তে তোমার জালবুনুনিতে যা খুশি করতে পারে।
- যদিও বেতার তরঙ্গ হল তড়িচ্চুম্বকীয় বিকিরণ, দূরত্ব বেশি হলে তার হ্রাস হয়। যদি তোমার জালবুনুনি বিস্তৃত ছড়ানো হয়, তাহলে একদম কিনারার সিগন্যালের পরিসরের অভিজ্ঞতা বিশ্বস্ততা ও গতির দিক থেকে দুর্বল হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।