বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/হিলিয়াম

উইকিবই থেকে
পর্যায়ক্রমিক চার্টে হিলিয়ামের অবস্থান।
পর্যায় সারণীতে হিলিয়াম-এর প্রতীক

হিলিয়াম দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?

[সম্পাদনা]
হিলিয়ামের পরমাণু খুবই সরল প্রকৃতির

হিলিয়াম একটি বর্ণ ও গন্ধহীন গ্যাস। এটি সবচেয়ে পরিষ্কার উপাদান এবং এমনকি একটি তরল অবস্থায় (যা শুধুমাত্র প্রচণ্ড তাপ বা চরম ঠান্ডা প্রয়োগ করেও) এটি প্রায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছ। প্লাজমা অবস্থায় (নীচে দেখুন), এটি একটি গোলাপী আভা বিকিরণ করে।

হিলিয়ামের দৃশ্যমান বর্ণালী
প্লাজমা অবস্থায় হিলিয়াম।
হিলিয়ামের একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এটি টেক্সাসের অমরিলোতে অবস্থিত। বিশ্বের বেশিরভাগ হিলিয়াম এই এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়।

হিলিয়াম কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?

[সম্পাদনা]

১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী পিয়ের জনসেন ভারতে এক সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের জ্যোতির্বলয়ের বর্ণালীতে হিলিয়াম আবিষ্কার করেন। এর কিছুদিন পরেই এটি একটি মৌল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রায় ২৭ বছর পর ব্রিটিশ রসায়নবিজ্ঞানী স্যার উইলিয়াম প্রথম পৃথিবীতে এই মৌল আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি ক্লিভাইট নামে একটি ইউরেনিয়াম খনিজে হিলিয়াম শনাক্ত করেন। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ রসায়নবিজ্ঞানী স্যার আর্নেস্ট রাদারফোর্ড দেখান যে হিলিয়ামের নিউক্লিয়াস হলো আলফা কণা।

হিলিয়াম নামটি কোথা থেকে এসেছে?

[সম্পাদনা]

গ্রীকদের সূর্যের দেবতা হেলিওস (Helios) থেকে হিলিয়াম(Helium) মৌলটির নামকরণ করা হয়েছে।

তুমি কি জানো?

  • সৌরজগতে হিলিয়াম হচ্ছে দ্বিতীয় সহজলভ্য উপাদান।
  • হিলিয়াম একটি নিষ্ক্রিয় মৌল যার কারণে এটি অন্য কোন মৌল/যৌগের সাথে বিক্রিয়ায় অংশ নেয় না।

এটি কোথায় পাওয়া যায়?

[সম্পাদনা]

হিলিয়াম মহাবিশ্বে খুব সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু পৃথিবীতে এটি সহজে পাওয়া যায় নয়। তবে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এবং কানসাসে বেশি পাওয়া যায়। সেজন্য বেশিরভাগ হিলিয়াম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এবং কানসাস থেকে আসে। এটি মাটিতে ড্রিল করার সময় প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে বের করা হয়।

হিলিয়ামে ভরা একটি জেপেলিন ব্লিম্প।

এর ব্যবহার কোথায়?

[সম্পাদনা]

হিলিয়াম বেলুন এবং ব্লিম্পে ব্যবহৃত হয়। কারণ হাইড্রোজেনের পরে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে হালকা মৌল। তবে হাইড্রোজেনের মতো এটি জ্বলে না।

হিলিয়াম প্রায়শই (অক্সিজেন এবং কখনও কখনও নাইট্রোজেন গ্যাসের সাথে) শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ডুবুরিরা ব্যবহার করেন।

তরল হিলিয়াম হল সবচেয়ে ঠান্ডা পদার্থ। এটি প্রায়শই ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং- এর মতো ক্রায়োজেনিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে ব্যবহৃত হয় এবং এখানে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করা সম্ভব।

হিলিয়াম কি বিপজ্জনক?

[সম্পাদনা]

যদিও হিলিয়াম বিষাক্ত পদার্থ নয়, তবুও যদি খুব বেশি হিলিয়াম মিশ্রিত বায়ুতে তুমি শ্বাস নাও তবে অক্সিজেনের অভাবে তোমার শ্বাসক্রিয়া বিঘ্নিত হয়ে যেতে পারে।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]