উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/সারসংক্ষেপ

উইকিবই থেকে

পরিদর্শন[সম্পাদনা]

আমাদের চারপাশের পরমাণুরা[সম্পাদনা]

মহাবিশ্বের সবকিছুই পদার্থ দিয়ে তৈরি। আর সমস্ত পদার্থই তৈরি হয়েছে পরমাণু নামক ক্ষুদ্র কণা দিয়ে। পরমাণুর আকার এতই ক্ষুদ্র যে সাধারনত এরা দৈর্ঘ্যে ১০০ পিকোমিটার অর্থাৎ ১ মিটারের ১০,০০০,০০০,০০০ ভাগের ১ ভাগ হয়।

তুমি যদি একটি ভাষা শিখতে চাও প্রথমেই তোমার বর্ণমালার প্রয়োজন হবে। রসায়নেও অনেকটা তাই। তুমি যদি রসায়নে অণু তৈরি করতে চাও তখন তোমার মৌলের প্রয়োজন হবে। প্রতিটি মৌল আবার বাকি মৌলের থেকে একটু আলাদা। এখানে অণু তৈরির জন্য মৌলগুলি হলো ভাষার বর্ণমালার মতো।

এসো আমরা ধারণাটিকে আরও একটু প্রসারিত করি। তুমি যদি একটি বই পড় তাহলে আমরা বলতে পারি, তুমি একটি ভাষা পড়ছো। বর্ণমালাগুলি সেই ভাষা তৈরি করে। কিন্তু কাগজের পাতায় অক্ষর তৈরি করতে হলে তোমার কালির প্রয়োজন হবে এবং প্রতিটি অক্ষরের জন্য একই ধরনের কালি চাই।

মৌলগুলি সেই বর্ণমালার মতো এবং পরমাণুগুলি যেন লেখার কালির মতো। প্রতিটি মৌল একটি নির্দিষ্ট ধরনের পরমাণু দিয়ে তৈরি (একটি নির্দিষ্ট আকৃতির কালি দিয়ে তৈরি)। তেমনি প্রতিটি পরমাণু সর্বদাই একটি মৌল (যেমন কালি সবসময় একটি বর্ণমালার আকারে থাকে)।

যদিও পরমাণুগুলির বিভিন্ন ওজন এবং গঠন থাকতে পারে। তবে পরমাণুগুলি একই ভাবে তৈরি। সেগুলি ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন দিয়ে গঠিত। অর্থাৎ গোটা মহাবিশ্বকেই চালিত করছে এই ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন।

তুমি যদি আরও একটু বেশি চিন্তা করতে চাও তবে পদার্থের কণা দিয়ে শুরু করো। আমাদের চারপাশের সব পদার্থগুলিই পরমাণু তৈরি। মৌল তৈরি হয় পরমাণু দিয়ে। অণু তৈরি করতে আবার মৌলগুলি ব্যবহৃত হয়। এই ভাবেই চলতে থাকে। তোমার চারপাশে যা কিছু দেখছ তা কোনো না কোনো মৌল ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে।

সত্যি সত্যিই তুমি ছোট থেকে শুরু করতে পারো...

-পদার্থের কণা
-পরমাণু
-মৌল
-অণু
-বৃহদাণু
-কোষ অঙ্গাণু
-কোষ
-কলা
-অঙ্গ
-তন্ত্র
-জীব
-জীবগোষ্ঠী
-সম্প্রদায়
-বাস্তুতন্ত্র
-জীবাঞ্চল
-জীবমণ্ডল
-গ্রহ
-নক্ষত্র সহ গ্রহ ব্যবস্থা
-ছায়াপথ
-ছায়াপথ স্তবক
-মহাবিশ্ব

... এবং সত্যিই এটি বিরাট শেষ।

পরমাণুর জন্য এ সবই সম্ভব।