উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/রেডন
মৌলটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?
[সম্পাদনা]রেডন একটি অদৃশ্য, গন্ধহীন গ্যাস। এটি দেখা যায় না। এর গন্ধ বা স্বাদও নেওয়া যায় না।
মৌলটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?
[সম্পাদনা]১৯০০ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রিডরিচ আর্নস্ট ডর্ন রেডন আবিষ্কার করেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে রেডিয়াম যৌগগুলি একটি তেজস্ক্রিয় গ্যাস নির্গত করে।। ডর্ন গ্যাসটিকে মূলত "রেডিয়াম ইমানেশন" অর্থাৎ রেডিয়ামের থেকে নির্গত গ্যাস বলে অভিহিত করেন। গ্যাসটিকে পরে "নিটন" বলা হয়।
মৌলটির নাম কোথা থেকে এসেছে?
[সম্পাদনা]রেডিয়াম তেজস্ক্রিয় মৌল। তেজস্ক্রিয়তার জন্য এই মৌল ভেঙ্গে রেডন তৈরি হয়। তাই রেডিয়াম নামের থেকে মৌলের নামটি এসেছে। ১৯২৩ সালে এর নাম দেওয়া হয় "রেডন"।
তুমি কি জান?
- নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মধ্যে রেডন সবচেয়ে ভারী।
- রেডনকে প্রথমে "রেডিয়াম ইমানেশন" অর্থাৎ রেডিয়ামের থেকে নির্গত গ্যাস বলা হতো।
- রেডন ফুসফুসের ক্যান্সারের দ্বিতীয় প্রধান কারণ (তামাক ধূমপানের পরে)।
মৌলটি কোথায় পাওয়া যায়?
[সম্পাদনা]বায়ুমণ্ডলে খুবই নগণ্য পরিমাণে রেডনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কোনো কোনো অঞ্চলে ভূগর্ভ থেকে স্বাভাবিকভাবেই রেডনের দেখা মেলে। বিশেষ করে যেখানে তেজস্ক্রিয় খনিজের ভান্ডার রয়েছে। ইউরেনিয়াম খনি অঞ্চলের পাথর এবং মাটিতে ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার ফলে রেডন পাওয়া যায়। পৃথিবীর ভূত্বকে রেডিয়াম ক্ষয় থেকেও রেডন তৈরি হয়।
এর ব্যবহার কোথায়?
[সম্পাদনা]রেডন গ্যাস ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে। তাই ক্যান্সার চিকিৎসায় এবং রেডিও থেরাপিতে রেডন ব্যবহৃত হয়। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস জানতে রেডন গ্যাসের ব্যবহার দেখা যায়।
এটা কি বিপজ্জনক?
[সম্পাদনা]রেডন অত্যন্ত তেজস্ক্রিয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় জানা যায় যে, তামাক ধূমপানের পরে ফুসফুসের ক্যান্সারের দ্বিতীয় সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল রেডন গ্যাসের সংস্পর্শ। রেডন গ্যাসের উপস্থিতির সম্ভাবনা যেখানে রয়েছে সেখানে নিয়মিত এটি পরীক্ষা ও পরিমাপ করা প্রয়োজন।