উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/টাইটানিয়াম

উইকিবই থেকে
পর্যায় সারণীতে টাইটানিয়ামের অবস্থান।
পর্যায় সারণীতে টাইটানিয়াম-এর প্রতীক

ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?[সম্পাদনা]

টাইটানিয়ামের একটি স্ফটিক দণ্ড।

টাইটানিয়াম একটি রূপালী, হালকা, শক্ত ধাতু। এটি গন্ধহীন। এর গঠন যেমন রুক্ষ তেমনি ধারালো।

ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?[সম্পাদনা]

১৭৯১ সালে উইলিয়াম গ্রেগর নামে এক অপেশাদার ভূতত্ত্ববিদ ইংল্যান্ডের ক্রিড, কর্নওয়ালে টাইটানিয়াম আবিষ্কার করেন। উইলিয়াম গ্রেগর একজন ধর্মযাজক ছিলেন। যদিও তিনি প্রথমে মৌলটির নাম রাখেন মেনাকাইট। এর কয়েকবছর পরে জার্মান রসায়নবিদ মার্টিন হেনরিখ ক্ল্যাপরথ আলাদাভাবে এই মৌলটি আবিষ্কার করেন। তিনি এর নাম দেন টাইটানিয়াম।

ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?[সম্পাদনা]

গ্রিক পুরাণের দেবতা টাইটানের নামানুসারে এই মৌলটির নাম রাখা হয় টাইটানিয়াম।

তুমি কি জান?

  • টাইটানিয়াম কয়েকটি ধাতুর মধ্যে একটি যা হাড়ের সাথে মিশতে পারে।
  • পৃথিবীর ভূত্বকে টাইটানিয়ামর পরিমাণ নবম।

ধাতুটি কোথায় পাওয়া যায়?[সম্পাদনা]

টাইটানিয়াম প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় না। অন্য মৌলের সঙ্গে যৌগ অবস্থায় থাকে।

গ্রহাণু এবং চাঁদের পাথরেও টাইটানিয়াম ধাতুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

এর ব্যবহার কোথায়?[সম্পাদনা]

টাইটানিয়াম হালকা এবং শক্তিশালী ধাতু হওয়ায় এর অনেক ব্যবহার রয়েছে। টাইটানিয়ামের সংকর বিমানের ইঞ্জিন, জাহাজ, মিসাইল, রেসিং বাইক, পেট্রো-রসায়ন কারখানার যন্ত্রাংশ এবং মহাকাশযানে ব্যবহৃত হয়। কিছু কম্পিউটার, গল্ফ এবং টেনিস সরঞ্জামেও টাইটানিয়ামের ব্যবহার দেখা যায়।

ধাতুটি কি বিপজ্জনক?[সম্পাদনা]

টাইটানিয়ামের ক্ষতিকর প্রভাব বিশেষ তেমন নেই। তবে টাইটানিয়ামকে যদি মিহি গুঁড়ো করে বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে ফুঁ দেওয়া হয় তবে এটি পুড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।