উইকিশৈশব:মানবদেহ/মুখ

উইকিবই থেকে

মুখ কি?[সম্পাদনা]

মুখ মানবদেহের একটি অঙ্গ যা খাদ্য গ্রহণ করে এবং লালা রস ধরে রাখে। সম্ভবত মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কারণ এটি জীবনধারণের প্রধান কাজ খাদ্যগ্রহণের প্রথম ধাপ। মুখ ছাড়া আমরা খেতে পারব না কোন কিছু পান করতে পারবোনা এবং এই ভাবেই ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত হয়ে পানিশূন্যতায় ভুগব এবং অবশ্যম্ভাবী মারা যাব।

মুখ দেখতে কি রকম?[সম্পাদনা]

এভাবে ভাবো: দুটি লাল উজ্জ্বল গুড়ি কিন্তু মানুষের মত। মুখ যখন বন্ধ থাকে সে রকমই দেখতে হয়।

মুখের কাজ কি?[সম্পাদনা]

মুখ খাদ্য গ্রহণ করা, তরল পান করা এবং কথা বলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুখের শ্বাস বলতে মুখের মাধ্যমে শ্বাস নেওয়ার কাজকে বোঝায় (অস্থায়ী ব্যাকআপ সিস্টেম হিসাবে) যদি নাক,যা মানব দেহের জন্য নির্ধারিত শ্বাস -প্রশ্বাসের অঙ্গ, তা দিয়ে শ্বাস নিতে বাধা থাকে।

শিশুরা একপ্রকার মুখে আঙ্গুল দেওয়ার অভ্যাস নিয়ে জন্মায়, যার দ্বারা তারা স্বভাবতই তাদের ঠোঁট এবং চোয়াল ব্যবহার করে পুষ্টির জন্য চুষতে জানে। মুখ খাবার চিবানো এবং কামড়ানোর ক্ষেত্রেও সাহায্য করে।

কিছু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য, বিশেষ করে অনেক প্রতিবন্ধী শিল্পীদের জন্য, যারা অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা জন্মগত অক্ষমতার মাধ্যমে দক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে, তাদের মুখ তাদের হাতের জায়গা নেয়। তারা টাইপ, টেক্সটিং, লেখা, অঙ্কন, পেইন্টিং এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম ব্রাশ চালানোর সব কাজই মুখের সাহায্যে করে। মাউথ পেইন্টাররা ব্রাশটি তাদের মুখে বা তাদের দাঁতের মাঝখানে ধরে রাখে এবং তাদের জিহ্বা এবং গালের পেশী দিয়ে তা চালায়, তবে মুখের পেইন্টিং ঘাড় এবং চোয়ালের পেশীগুলির জন্য কষ্টদায়ক হতে পারে কারণ মাথাকে একইভাবে সামনে পিছনে নড়াচড়া করতে হয় যেমন একটি হাত করে।

একজন পুরুষের মুখ গড়ে ৭১.২ মিলি ও একটি মহিলার মুখ ৫৫.৪ মিলি ধারণ ক্ষমতা রাখে।

মুখের অংশগুলি কি কি?[সম্পাদনা]

মুখগহ্বর

মুখকে সাধারণত দুটি অংশে ভাগ করা যায় মুখবিবর এবং মুখগহবর। মুখবিবরের রয়েছে উপরে এবং নিচে দুটি ঠোঁট এবং কার্যকরী একাধিক ঐচ্ছিক পেশী। মুখগহবরের রয়েছে একাধিক অঙ্গ যেমন দাঁত, মাড়ি, জিহ্বা, আলজিহ্বা, তালু বা টাগরা, লালাপথ ও গলবিল।

মুখকে স্বাস্থ্যকর কিভাবে রাখা যাবে?[সম্পাদনা]

মুখ পরিষ্কার রাখার জন্য আমরা মাউথওয়াশ মাউথ রিনস, ওরাল রিনস বা মাউথ বাথ ব্যবহার করতে পারি। এগুলি মূলত এক প্রকার তরল যা মুখে গ্রহণ করে মুখ ফুলিয়ে মুখের পেশী এবং মাথা নড়াচড়া করে মুখগহ্বরের সম্পূর্ণ অংশ ধুতে সাহায্য করে। মুখ যেহেতু পরিপার্শ্বের সংস্পর্শে খুব বেশি আসে তাই মুখে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জমে থাকার সম্ভাবনা প্রবল, তাই মুখ পরিষ্কার করা জরুরি। এই ধরনের তরল পদার্থ করে ব্যবহার করে কুলকুচি এবং গার্গিল করা যেতে পারে। প্রত্যেকদিন দাঁত ব্রাশ এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে দাঁতের ফাঁক ফ্লস করা উচিত। ঠোঁটের যত্নের জন্য তার আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে আমরা লিপবাম ব্যবহার করতে পারি।