বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিশৈশব:মানবদেহ/নাক

উইকিবই থেকে

নাক কী?

[সম্পাদনা]
নাকের ছবি
নাকের ছবি

নাক দেহের শ্বসনতন্ত্রের একটি অঙ্গ। বাতাস নাক দিয়ে অক্সিজেন সহ ঢুকে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়ে যায়। নাক ঢাকলে শ্বাস নেওয়া অনেকে কঠিন হয়ে যায়। এজন্য ঠান্ডা লাগলে রাতে অনেকের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য মুখ খুলে যায়। নাক দিয়েই আমরা গন্ধ নিই। বিকেলের রোদে পোড়া জামার গন্ধ, বিরিয়ানির গন্ধের মতো সুগন্ধ যেমন পাই, তেমনি রান্নার গ্যাস যদি নির্গত হল সতর্কতামূলক গন্ধ নাক দিয়েই পাই। তাই বেঁচে থাকার জন্য নাকের তাৎপর্য অনেক। এমনকি স্বাদ নিতেও নাক সাহায্য করে। এজন্যই গন্ধ নিয়েই অনেকে সময় বলে দেওয়া যায় রান্না ভালো হয়েছে না খারাপ। :)

নাক দিয়ে কী বাতাস সরাসরি ফুসফুসে যায়?

[সম্পাদনা]

নাকের ভিতর যে লোম থাকে তাতে বায়ুর ধুলাবালি, জীবাণু অনেকাংশেই আটকে যায়। নাকের ছিদ্রপথ সরু হওয়ায় এইদিক দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসলেও তা গরম হয়ে ফুসফুসে পৌছায়। তাই সরাসরি ফুসফুসে কোনো সমস্যা হয় না।

নাক আর কী কী কাজে সাহায্য করে?

[সম্পাদনা]

নাকের মাধ্যমে শ্বাস নিয়েই আমরা কথা বলি। চন্দ্রবিন্দু(ঁ) ও নাসিক্য বর্ণ যেমন: ঙ, ঞ, ণ, ন, ম এর মতো বর্ণ উচ্চারণে নাক সাহায্য করে।

অন্যান্য প্রাণির নাক

[সম্পাদনা]

কুকুর ও মাছের ঘ্রাণ শক্তি অত্যন্ত প্রখর। এছাড়া অন্যান্য প্রাণিরাও ঘ্রাণের মাধ্যমে শিকার ধরতে ও শিকারী আশার সতর্কতা পায়। কোনো কোনো প্রাণি নাকের মাধ্যমে দিকের অবস্থান বুঝতে পারে। সবচেয়ে বড় নাক হচ্ছে হাতির। হাতি নাক দিয়ে হাতের মতোই বিভিন্ন জিনিস তুলতে ও ব্যবহার করতে পারে।