বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিশৈশব:মজার বৈজ্ঞানিক গবেষণা/Floating compass

উইকিবই থেকে

দিক নির্নয়ক কম্পাস (Directional compass):

উপকরণ:

১) মোটা কাগজের টুকরো, ২) পেন্সিল কম্পাস বা বৃত্তাকৃত হালকা প্লাস্টিকের টুকরো, ৩) গোলাকার ছোটো নিওডিয়াম ম্যাগনেট, ৪) এক টুকরো ধাতব ছোটো দণ্ড বা কাঠি (৩ সেমি মিনিমাম), ৫) ছোটো কাঁচি, ৬) আঠা, ৭) ছোটো স্কেল, ৮) মার্কার যেকোনো কালি।

কম্পাস প্রস্তুতি:

প্রথমত, মোটা কাগজের টুকরোটিতে পেন্সিল কম্পাসের সাহায্যে দুই দ্বারা ভাজ্য এমন সংখ্যার মাপে ব্যাসের হিসেবে দাগ দিয়ে বৃত্ত করতে হবে। হাতের কাছে পেন্সিল কম্পাস না থাকলে বৃত্তাকার হালকা প্লাস্টিকের টুকরোর মাপে কাটতে হবে।

দ্বিতীয়ত, মোটা কাগজের টুকরোটিকে ছোট কাঁচির সাহায্যে চার থেকে ছয় সেমি ব্যাস বিশিষ্ট আকৃতিতে কাটতে হবে।

তৃতীয়ত, মোটা কাগজের টুকরোটির মধ্য পয়েন্ট অর্থাৎ চারদিক থেকে ব্যাসার্ধের কেন্দ্রবিন্দু একই হবে এবং তাহাকে চিহ্নিত করতে হবে।

চতুর্থত, পরিমাপ করে কাটা কাগজের টুকরোটির ব্যাসার্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে আঠার সাহায্যে গোল ছোট নিওডিয়াম ম্যাগনেট উলম্ব আকারে আটকে দিতে হবে।

পঞ্চমত, নিওডিয়াম ম্যাগনেটের মাথায় কাঠি বা ছোট ধাতব দণ্ড (৩-৬ সেমি) আঠার সাহায্যে স্থাপন করতে হবে।

ষষ্ঠমত, উক্ত কাজগুলো সম্পন্ন হলে আঠা কিছুক্ষণ শুকিয়ে নিতে হবে।

সপ্তমত, একটি জলপূর্ণ পাত্রে হালকা করে স্থাপন করতে হবে । লক্ষ্য রাখতে হবে মডেলটি জলে ডুবে না যায়।

অষ্টমত, মডেলটি বিভিন্ন দিক করে জলে স্থাপন করে দেখতে হবে যে, কাঠি বা দণ্ডের যেকোনো একটি দিকই উত্তর দিক বারবার নির্দেশ করছে কিনা। এই ঘটনাটি তিন থেকে চার বার লক্ষ্য করে দেখতে হবে।

নভমমত, উক্ত ঘটনাটি ঘটলে বুঝতে হবে মডেলটি ঠিক আছে। তখন মডেলটিকে জল থেকে তুলে যেদিকে উত্তর দিক নির্দেশ করছিল সেই দিকে মার্কার দিয়ে সংকেতে 'N' লিখে দিতে হবে, বিপরীতে সংকেতে 'S' লিখে বাকি দুই দিকের সংকেত 'E,W' সঠিক জায়গায় বৃত্তাকার কাগজটির মধ্যে লিখে দিতে হবে।

দশমমত, মডেলটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর পুনরায় জলপূর্ণ পাত্রে হালকা করে স্থাপন করে দেখতে হবে সঠিক দিকনির্দেশনা করছে কিনা।

তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে একটি দিক নির্নয়ক কম্পাস।

পর্যবেক্ষণ:

উক্ত পদ্ধতিতে তৈরি দিক নির্নয়ক কম্পাস মডেলটি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

এই ভাবেই একটি সঠিক দিক নির্নয়ক যন্ত্র প্রস্তুত হয়ে যাবে।