বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিশৈশব:মজার বৈজ্ঞানিক গবেষণা/কিসমিস নৃত্য

উইকিবই থেকে

এই পরীক্ষণটিতে আমরা কিছু সহজলভ্য উপকরণ ব্যবহার করে কিসমিস নৃত্য দেখব এবং এর পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও জানব।

কী কী লাগবে?

[সম্পাদনা]

এই মজার পরীক্ষণটি করতে প্রয়োজন:

  • একটি বিকার অথবা পানির গ্লাস
  • স্বচ্ছ কোমল পানীয় (যেমন:স্প্রাইট)
  • কয়েকটি কিসমিস

কিভাবে করবে?

[সম্পাদনা]

একটি বিকার অথবা পানির গ্লাস নিয়ে এতে স্বচ্ছ কোমল পানীয় (যেমন:স্প্রাইট) ঢেলে দাও।

কিসমিসগুলো ধীরে ধীরে গ্লাসে ছেড়ে দাও।

কী হবে?

[সম্পাদনা]

কিসমিসগুলো ভেসে উঠবে। তারপর আবার নেমে যাবে। তারপর আবার ভেসে উঠবে। এভাবে চলতে থাকবে। দেখে মনে হবে যেন কিসমিসগুলো নাচছে।

কেন হবে?

[সম্পাদনা]

তুমি যে কোমল পানীয়টি ব্যবহার করেছিলে তাতে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) নামে একটি গ্যাস ছিল। এই (CO2) পানীয় থেকে বুদবুদ আকারে বের হয়ে যায়। এটিই পানীয়টিকে মজাদার করে তোলে।

তুমি যখন কিসমিসগুলো গ্লাসে ফেলে দিয়েছিলে তখন কিছু বুদবুদ কিসমিসে আটকে গিয়েছিল। যেহেতু বুদবুদগুলো পানীয়টি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে, তারা কিসমিসকেও তাদের সাথে টেনে তোলে। গ্লাসের শীর্ষে এলে বুদবুদ পানীয় থেকে বেরিয়ে বাতাসে মিশে যায়। ফলে বুদবুদগুলি আর কিশমিশকে ধরে রাখে না। তাই এটি আবার নীচে নামতে শুরু করে। নিচে নামার পর আবার এগুলো বুদবুদের সাথে যুক্ত হয় এবং প্রক্রিয়াটি আবার শুরু হয়।

পরীক্ষণটি শেষ। তবে গ্লাসটি পরিষ্কার করে রাখতে ভুলে যেও না। আর উপকরণগুলো কিন্তু এখনো নষ্ট হয়ে যায় নি। তুমি চাইলে কোমল পানীয় এবং কিসমিসগুলো খেয়ে ফেলতে পারো।