উইকিশৈশব:ভাষা/লিথুয়ানীয়
এই ভাষাটি কোন লিখন পদ্ধতি(গুলো) ব্যবহার করে?
[সম্পাদনা]লিথুয়ানীয় ভাষা রোমান বর্ণমালা ব্যবহার করে লেখা হয়, যেটি মূলত ল্যাটিন লিখতে ব্যবহার করা হত। লিথুয়ানীয়তে ল্যাটিনের কিছু বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বর্ণ এবং কিছু অতিরিক্ত বর্ণও আছে। লিথুয়ানীয় বর্ণমালায় ৩২টি বর্ণ আছে এবং এটি বাম থেকে ডানে লিখা হয়। বর্ণগুলো হলো-
a, ą, b, c, č, d, e, ę, ė, f, g, h, i, į, y, j, k, l, m, n, o, p, r, s, š, t, u, ų, ū, v, z, ž
এই বর্ণগুলোর বেশিরভাগই ইংরেজিতে যেভাবে উচ্চারিত হয় সেভাবেই উচ্চারণ করা হয়, যদিও স্বরবর্ণগুলো বেশ আলাদা- কাপ-এ ইউ যেভাবে উচ্চারিত হয় অথবা ফাদারে এ যেভাবে উচ্চারিত হয় সেভাবে a উচ্চারণ করা হয়; ফাদারে এ যেভাবে উচ্চারিত হয় সেভাবে ą উচ্চারণ করা হয়; সেন্ড-এ ই যেভাবে উচ্চারিত হয় সেভাবে e উচ্চারণ করা হয়; স্যান্ড-এ এ যেভাবে উচ্চারিত হয় সেভাবে ę উচ্চারণ করা হয়; পিয়ার-এ ইয়া যেভাবে উচ্চারিত হয় অনেকটা সেভাবে ė উচ্চারণ করা হয়, তবে এটি জার্মান মেহর এর ইহ এর বেশি অনুরূপ; টিন-এ ই যেভাবে উচ্চারিত হয় সেভাবে i উচ্চারণ করা হয়; স্লিপ-এ ইই যেভাবে উচ্চারিত হয় সেভাবে į ও y উচ্চারণ করা হয়; রুম-এ উউ যেভাবে উচ্চারিত হয় সেভাবে u উচ্চারণ করা হয়; ব্যুম-এ উউ যেভাবে উচ্চারিত হয় সেভাবে ų ও ū উচ্চারণ করা হয়।
č, š ও ž; ছ, শ ও যহ (বেইজে এর জ) এর মতো করে উচ্চারণ করা হয়।
কতজন মানুষ এই ভাষায় কথা বলে?
[সম্পাদনা]প্রায় ৫০০ হাজার অভিবাসী লিথুয়ানিয়ানসহ লিথুয়ানিয়ায় প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন লোক লিথুয়ানীয়কে তাদের মাতৃভাষা হিসাবে ব্যবহার করে। লিথুয়ানিয়ান খুব কমই আন্তর্জাতিক আলোচনার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং খুব কম লোকই এটিকে বিদেশি ভাষা হিসাবে শেখে। ভাষাটি অনেক পুরোনো এবং অনেক প্রাচীন শব্দ ও ব্যাকরণের নিয়ম সংরক্ষণ করেছে, তাই কিছু বিশ্ববিদ্যালয়েরভাষা ইতিহাস নিয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সাধারণভাবে এই ভাষাটি শিখে থাকে।
এই ভাষাটি কোন স্থানে ব্যবহার করা হয়?
[সম্পাদনা]লিথুয়ানিয়ার সব অঞ্চলে এবং প্রতিবেশী দেশগুলির কিছু অংশে এই ভাষাটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের লিথুয়ানিয়ান সম্প্রদায়গুলো ভাষাটি ব্যবহার করে।
এই ভাষাটির ইতিহাস কী?
বর্তমানে ব্যবহার হয় এমন মাতৃভাষাগুলোর মধ্যে লিথুয়ানীয় সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা। এর কারণ অনেক পুরোনো ব্যাকরণ এবং শব্দ এতে এখনো রয়েছে, এবং কয়েক হাজার বছর আগে ইউরোপের প্রথম বাসিন্দারা যেভাবে কথা বলতেন তার থেকে খুব কমই পরিবর্তিত হয়েছে।
তবে এই ভাষার গুরুত্বকে সবসময় যথাযথ সম্মান করা হয়নি। যদিও লিথুয়ানিয়া মধ্যযুগীয় সময়ে একটি বৃহৎ দেশ ছিল, তবুও লোকেরা লিথুয়ানীয়র চেয়ে বেলারুশিয়ানে বা পোলিশে বেশি কথা বলত। লিথুয়ানীয়কে "কৃষকের ভাষা", মহৎ ব্যক্তিদের "অযোগ্য" হিসাবে বিবেচনা করা হত। ১৯ শতকে লিথুয়ানিয়া রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হয় এবং সরকার ভাষাটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। এ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে লিথুয়ানীয় ভাষায় লেখা নিষিদ্ধ ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর লিথুয়ানিয়া পুনরায় স্বাধীনতা লাভ করে এবং ভাষাটি দেশের সরকারি ভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর লিথুয়ানিয়াকে আবারো সোভিয়েত ইউনিয়ন দখল করে নেয় এবং ভাষার ওপরে নিপীড়ন চালাতে থাকে, যদিও এবার তা ততটা মারাত্মকভাবে ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর লিথুয়ানীয় আবারো দেশের সরকারি ভাষা হয়ে ওঠে। এই ভাষাটিকে বর্তমানে যতটা সম্ভব সংরক্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
কিছু বিখ্যাত লেখক বা কবি যারা এই ভাষায় কথা বলেন
[সম্পাদনা]বেশিরভাগ বিখ্যাত লিথুয়ানিয়ানরা দুর্ভাগ্যবশত শুধু লিথুয়ানিয়াতেই বিখ্যাত। মার্টিনাস মাজভিডাস ১৫৪৭ সালে লিথুয়ানীয় ভাষায় প্রথম "ক্যাথলিক ক্যাথেসিজম" বইটি লেখেন; এবং ক্রিস্টিজোনাস ডোনেলাইটিস ১৮ শতকে (1700 শতক) লিথুয়ানীয় ভাষায় কথাসাহিত্যের প্রথম লেখা মেতাই ("বছর") লেখেন।
কোন লিথুয়ানীয় মৌলিক শব্দগুলো আমি শিখতে পারি?
[সম্পাদনা]ল্যাবাস ! - হাই!
লাবা ডিয়েনা - হ্যালো (আক্ষরিক অর্থে, "শুভ দিন")
ল্যাবাস রইটাস - শুভ সকাল
ল্যাবাস ভাকারাস - শুভ সন্ধ্যা
লাবানাক্টিস - শুভ রাত্রি
তাইপ - হ্যাঁ
নে - না
কাইপ গিভেনি? - আপনি কেমন আছেন?
আচিউ - আপনাকে ধন্যবাদ
প্রসাউ - দয়া করে
আটসিপ্রসাউ - দুঃখিত
মানো ভারদাস... - আমার নাম...
তু মান পাতিঙ্কি - আমি তোমাকে পছন্দ করি (আক্ষরিক অর্থে, "তুমি আমার পছন্দ")
আস ময়লিউ টাভে - আমি তোমাকে ভালোবাসি বা লিথুয়ানিয়ান ভাষায় আরো উপযুক্ত: আস টাভে ময়লিউ
কুড় টুয়ালেটাস? - শৌচাগারটি কোথায়?
আস আল্কানাস/আল্কানা - আমি ক্ষুধার্ত (ছেলে/মেয়ের জন্য)
আস পাসিকলিডাউ - আমি হারিয়ে গেছি