বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিশৈশব:ভাষা/কোরীয়

উইকিবই থেকে

এই ভাষা লেখার কোন ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করে?[সম্পাদনা]

রাজা সেজোংয়ের মূর্তি

কোরীয় ভাষার একটি বিশেষ দিক হলো এর হানগ্যুল (হান-গুল) বর্ণমালা। চীনা ভাষা যেখানে প্রতিটি শব্দের জন্য জটিল সব বর্ণ ব্যবহার করে, এবং জাপানি ভাষা চীনার এ জটিল বর্ণের সাথে অক্ষরপদ্ধতি (প্রতিটি বর্ণ একটি ধ্বনির পরিবর্তে একটি ধ্বনিগুচ্ছ নির্দেশ করে) ব্যবহার করে, সেখানে হানগ্যুল পদ্ধতি সত্যিকারের বর্ণ ব্যবহার করে, যার প্রত্যেকের আলাদা ধ্বনি আছে। এই বর্ণগুলো পরপর সাজিয়ে কোরীয় ভাষার অক্ষর গঠিত হয়।

হানগ্যুল প্রতিদিনকার ব্যবহৃত একমাত্র বর্ণমালা যা বিশেষ উদ্দেশ্য মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। ১৪৪৪ সালে রাজা সেজোংয়ের রাজত্বকালে (১৪১৮-১৪৫০) এটি তৈরি করা হয়। রাজা সেজোং জোসন বংশের ৪র্থ রাজা ছিলেন এবং তিনি অনেক শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তিনি আসলে এই হানগ্যুল বর্ণমালার নাম দিয়েছিলেন হুনমিন জংগ্যুম, যার অর্থ "জনসাধারণকে নির্দেশ দেওয়ার সঠিক ধ্বনি"।

কত লোক এই ভাষায় কথা বলে?[সম্পাদনা]

একজন লোক কোরীয় ভাষায় কথা বলছে

সারাবিশ্বে প্রায় ৬.৭ থেকে ৭.৮ কোটি মানুষ কোরীয় ভাষায় কথা বলে। এটি সবচেয়ে বেশি বলা ২০ টি ভাষার মধ্যে একটি।