উইকিশৈশব:বিলুপ্ত পাখি/হাসু পেঁচা

উইকিবই থেকে

হাসু পেঁচা, হোয়েকাউ বা সাদামুখো পেঁচা, নিউজিল্যান্ডের একটি পেঁচা। ১৯১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের টিমারুর কাছে ব্লু ক্লিফস স্টেশনের একটি রাস্তায় শেষ হাসু পেঁচাটি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অবলুপ্তি[সম্পাদনা]

১৯১৪ সালে এই পেঁচাটি বিলুপ্ত হওয়ার কারণ ছিল, তাদের শিকারী যেমন বীটল, পাখি এবং টিকটিকির এবং অন্যান্য বন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের থেকে বাঁচার জন্য এদের কোন প্রতিরক্ষা ছিল না। এমনকি মানুষ জাদুঘর এবং চিড়িয়াখানার জন্য এই পেঁচা শিকার করেছে। এই পাখিদের বিলুপ্তির ক্ষেত্রে জমির ব্যবহার পরিবর্তনও ভূমিকা পালন করতে পারে। মানুষ‌ নিজের প্রয়োজনে ঘর বাড়ি বানানোর জন্য গাছ ধ্বংস করায় পরবর্তী সময়ে এদের থাকার জায়গা ছিল না।

বিবরণ[সম্পাদনা]

হাসু পেঁচার সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ছিল ৩৫.৫-৪০ সেমি। পুরুষ হাসু পেঁচা সাধারণত মহিলা হাসু পেঁচার চেয়ে আকারে লম্বা হতো।

বাসস্থান[সম্পাদনা]

হাসু পেঁচা শুধু নিউজিল্যান্ডে পাওয়া যেত, এরা গাছের গর্তে বাস করত। বাসিন্দারা বর্তমানে গাছ থেকে এদের পুরানো বাসা তথা পূর্ব আশ্রয়স্থল সংরক্ষিত করে রাখছেন। হাসু পেঁচা প্রজাতির আরেকটি আবাসস্থল হল পাথুরে এলাকা। যদি হাসু পেঁচা আজও বিচরণ করত তবে তারা সম্ভবত দক্ষিণ আল্পস, ক্যান্টারবেরি বা ওটাগোতে থাকতো। এই প্রজাতিগুলি বনের চেয়ে বেশি বিস্তৃত এলাকায় আবাসস্থল বানাতে বেশি পছন্দ করে। এর কারণ হিসেবে বলা যায় আশ্রয় এবং খাবারের সহজ প্রাপ্তি। এরা গুহা, পাথরের ধার এবং পাথরের খাঁজেও বাস করতো।

খাদ্য[সম্পাদনা]

তাসমানিয়ান পেঁচা

মানুষের আগমনের আগে হাসু পেঁচা স্থানীয় প্রজাতির কেউ নেই এবং হাঁস শিকার করে খেত। এছাড়াও তাদের অন্যান্য শিকার গুলির মধ্যে ছিল টিকটিকি, পোকামাকড়, পাখি এবং ইঁদুর। অবশ্য এই হাসিটা যায় তার চেয়ে বড় পাখি তথা ওয়েকা এবং মোরপর্কও শিকার করত। মোরপর্ক হলো নিউজিল্যান্ডের আরেক ধরনের পেঁচা। পরবর্তীকালে পলিনেশীয় মানুষের আগমন পরিবেশের পরিবর্তন ঘটায় এবং এই হাসু পেঁচার খাদ্য সংকুলান কমে আসে। ধীরে ধীরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ইঁদুর এদের মূল খাদ্যে পরিণত হয়।