উইকিশৈশব:বাদ্যযন্ত্র/গিটার

উইকিবই থেকে
প্রাইম ও ব্সে এ্যাকিউস্টিক গিটার

বাবু গীটার বা গিটার একটি বহুল পরিচিত এবং প্রচলিত বাদ্যযন্ত্র। গিটার হল একটি বিচ্ছিন্ন বাদ্যযন্ত্র যার সাধারণত ছয়টি স্ট্রিং থাকে। এটি বাদকের শরীরের বিরুদ্ধে সমতলভাবে ধরে রাখা হয় এবং প্রভাবশালী (ডান) হাত দিয়ে স্ট্রমিং বা স্ট্রিংগুলিকে টেনে বাজানো হয়, একই সাথে বিপরীত হাতের আঙ্গুল দিয়ে ফ্রেটের বিরুদ্ধে নির্বাচিত স্ট্রিংগুলি টিপে ধরা হয়। স্ট্রিংগুলিকে আঘাত করার জন্য একটি প্লেক্ট্রাম বা পৃথক আঙ্গুলের পিক ব্যবহার করা যেতে পারে। গিটারের শব্দ হয় ধ্বনিগতভাবে যন্ত্রের অনুরণিত চেম্বারের মাধ্যমে বা ক্ষেত্র বিশেষে এটি একটি ইলেকট্রনিক পিকআপ এবং একটি পরিবর্ধক দ্বারা প্রসারিত হয়। মূলত গীটার তিন প্রকার। যেমনঃ

  • স্প্যানিশ গিটার
  • হাওয়াইয়ান গিটার
  • বেইজ গিটার

এছাড়াও স্প্যানিশ গিটারের মধ্যেও প্রকারভেদ রয়েছে যেমন ক্লাসিক্যাল, এ্যাকিউস্টিক ও ইলেকট্রিক।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্যারিসে নবম শতাব্দীর একটি বই থেকে পাওয়া চিত্র

বর্তমান ইলেকট্রিক গিটার আসার আগে গিটার ছিল একটি বড় পাটাতনের ওপর সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন তীক্ষ্ণতা বিশিষ্ট তারের গুচ্ছ। সেখান থেকে বিবর্তিত হতে হতে আজকের এই গিটারের উৎপত্তি। মোটামুটি ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দের পর বর্তমান গিটার নির্দিষ্ট রূপ পায়।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে স্টিলের তারবিশিষ্ট গিটারের প্রচলন শুরু হয়। পরে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে নাইলনের তার ব্যবহার হয়।[১]

প্রসার[সম্পাদনা]

বেঙ্গালুরুতে হেভি মেটাল গ্রুপ আয়রন মেইডেন ব্যান্ডটির লাইভ অনুষ্ঠান

হালকা বাদন থেকে শুরু করে জমকালো কনসার্ট প্রতিক্ষেত্রে গিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে পাশ্চাত্য দেশ গুলি থেকে রক সংগীত ভারতে আমদানি হলে ভারতেও গিটারের প্রচার বৃদ্ধি পায়। বর্তমান ভারতীয় উপমহাদেশে‌ সংগীতশিল্পী গিটারের অভিনবত্ব দেখা গিয়েছে।

বিবরণ[সম্পাদনা]

এসব গীটার এ্যাকোস্টিক এবং ইলেকট্রিক (বৈদ্যুতিক) দুরকমই হতে পারে। মূলত গীটার বলতে স্প্যানিশ গীটারকেই বোঝানো হয়, যাতে ফ্রেট থাকে এবং রিদম অথবা লীডের মাধ্যমে বাজাতে হয়।
হাওয়াইয়ান গীটারে স্প্যানিশ গীটারের মতো ফ্রেট থাকে না এবং একে রিদম দিয়ে বাজানো যায় না। এই গীটার বাজাতে হলে কোলের ওপর রেখে একটি স্টিলের তৈরি স্লাইডিং মেটাল বার্ এর মাধ্যমে বাজাতে হয়।
বেস গিটার এক প্রকারের ইলেকট্রিক গিটার যা ৪টি তার বিশিষ্ট। বেস গীটারের তারগুলো অন্যান্য গীটারের তুলনায় অনেক মোটা হয়ে থাকে। এটির মাধ্যমে সঙ্গীতের পটের অন্তরালে একটি গম্ভীর সুরের আবহ দেয়া হয়।

আধুনিক রক এবং মেটাল গান মূলত গীটারের উপর প্রতিষ্ঠিত।

এ্যাকোস্টিক গীটার[সম্পাদনা]

এ্যাকোস্টিক গীটারের অংশগুলো হল বডি, সাউন্ড হোল, ফ্রেট বোর্ড, নেক, ব্রিজ ও হেডস্টক। এর তারগুলো ধাতুর তৈরি। এ্যাকোস্টিক গীটারের শব্দ তৈরি হয় সাউন্ড হোল এর মাধ্যমে। তারের কম্পন গীটারের বডির ভেতর প্রতিধ্বনিত হয় এবং সাউন্ড হোল এর মাধ্যমে প্রকাশ পায়। কিছু এ্যাকোস্টিক গীটার রয়েছে যাদের বডির অভ্যন্তরে পিক-আপ থাকে, যা দ্বারা এমপ্লিফায়ার এর সহায়তায় এর ধ্বনিকে বর্ধিত করা যায়।

ক্লাসিক্যাল গীটার[সম্পাদনা]

এটি দেখতে অনেকটা এ্যাকোস্টিক গীটার এর মতই, তবে তারগুলো মূলত নাইলনের তৈরি হয়ে থাকে।

ইলেক্ট্রিক গীটার[সম্পাদনা]

লীড গীটারে কোনও সাউন্ড হোল থাকে না। এর সুর তৈরি হয় পিক-আপ এর মাধ্যমে। লীড গীটার বাজানোর জন্য এমপ্লিফায়ার অত্যাবশ্যক। প্রসেসর এর মাধ্যমে এর সুরে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা যায়।

ম্যান ব্রাজিলিয়ান লোক সংগীত রসিফ বাজানো
  1. Somogyi, Ervin (জানুয়ারি ৭, ২০১১)। "Tracking The Steel-String Guitar's Evolution, Pt. 1"premierguitar.com। Premier Guitar Magazine। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১