উইকিশৈশব:প্রাণিজগৎ/স্তন্যপায়ী

উইকিবই থেকে
একটি ভাল্লুক (যা একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী)

স্তন্যপায়ী জীবজগতের একটি ভাগ এবং যেহেতু মানুষ নিজেও একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী, তাই আমরা এই সম্পর্কে অনেক জানি। স্তন্যপায়ী বলতে সাধারণত মাতৃপ্রাণীর স্তন্যদুগ্ধ পান করে জীবনধারণকারী প্রাণীসমূহকে বোঝানো হয়। এরা কর্ডাটা পর্বের অন্তর্গত ম্যামালিয়া শ্রেণীর অধীনে উন্নত গঠনের মেরুদণ্ডী প্রাণী। ১৭৫৮ সালে ক্যারোলাস লিনিয়াস স্তন্যপায়ী বলতে ম্যামাল শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন।

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

শব্দটি গ্রিক শব্দ ম্যামি থেকে উদ্ভূত যার অর্থ স্তনগ্রন্থি। সকল স্ত্রী স্তন্যপায়ীর স্তনগ্রন্থি থাকে এবং এরা এর মাধ্যমে সন্তানদের দুধ সরবরাহ করে। সাধারণত মানুষের স্তনগ্রন্থি-র আকার স্তন্যপায়ী দের মধ্যে সবচেয়ে বড় হয়। এদের দেহ কমবেশি লোম বা চুলে আবৃত থাকে। মেরুদণ্ডী ও উষ্ণরক্তের প্রাণীদের মধ্যে স্তন্যপায়ীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কয়েকটি স্তন্যপায়ী প্রাণী হল মানুষ, হাতি, নীল তিমি, বানর প্রভৃতি। বাদুড় একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যাদের পাখা আছে এবং এরা উড়তে সক্ষম। এরা নিশাচর প্রাণী এবং অন্ধকারে প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে পথ চলতে পারে। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে সবচাইতে বড় নীল তিমি। আর এরা ২০০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এদের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য হলো-

১) দেহ লোমে আবৃত।

২) স্তন্যপায়ী প্রাণিরা সন্তান প্রসব করে, তবে এর ব্যতিক্রম আছে। যেমন: প্লাটিপাস

৩) উষ্ণ রক্তের প্রাণি।

৪) চোয়ালে বিভিন্ন ধরনের দাঁত থাকে।

৫) শিশুরা মাতৃদুগ্ধ পান করে।

৬) হৃৎপিণ্ড চার প্রকোষ্ট বিশিষ্ট।

স্তন্যপায়ী প্রাণীর শিশুরা সম্পূর্ণভাবে তাদের মায়ের জরায়ুতে বেড়ে ওঠে। ক্যাঙারুর মতো মারসুপিয়ালদের সন্তানরা তাদের মায়ের পাকগ্রন্থির চামড়া যারা নিয়মিত পকেটে বেড়ে ওঠে।

উদাহরণ[সম্পাদনা]

১) মানুষ

২) ডলফিন

৩) বাদুড়

৪) কুকুর

৫) তিমি