উইকিশৈশব:পরিবহন/সমাজ
মোটরের মাধ্যমে যাতায়াত শুরু হওয়ার পর থেকে যানবাহনের নিরাপত্তা, আকার, গতি, স্থান এবং শক্তি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা হয়ে উঠেছে। তুমি কিভাবে কার্যকর পরিবহনকে চিহ্নিত করবে? কার্যকারিতার পরিমাপ কি? ভ্রমণ করা দূরত্ব?
ব্যবহার
[সম্পাদনা]সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত বাহন হল ফ্লাইং পিজিয়ন সাইকেল, চীনে যার উৎপাদন হয়েছে ৫০ কোটি (৫০০ মিলিয়ন), এর পরেই আছে হোন্ডা সুপার কার মোটরসাইকেল।
বিলাসিতা
[সম্পাদনা]রাজকীয় ট্রেন এবং রাষ্ট্রীয় গাড়িগুলি হল বিলাসবহুল পরিবহন।
নিরাপত্তা
[সম্পাদনা]পরিবহনের বিভিন্ন পদ্ধতি অনুয়ায়ী তাদের নিরাপত্তার মানও বিভিন্ন হয়ে থাকে। মানব জেটপ্যাক এবং উইংসুট সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিবহনগুলির মধ্যে পড়বে এবং রাস্তায় হাঁটা বা সাইকেল চালানো সম্ভবত সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম। ডানা লাগানো ভারী বিমানের দুর্ঘটনার চেয়ে গাড়ি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ছাত্র পরিবহন
[সম্পাদনা]অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের নিরাপদে বিদ্যালয়ে যাতায়তের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কেউ পায়ে হেঁটে বা কেউ স্কুল বাসে চড়ে যায়। রাস্তার মোড়ে কর্তব্যরত পুলিশ ব্যস্ত রাস্তা পার হতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করে।
আকার
[সম্পাদনা]যে কোন মাধ্যমের যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে বড় হল সমুদ্রভ্রমণের জাহাজ। সবচেয়ে বড় বিমান পরিবহন হল রিজিড আকাশযান। স্থল পরিবহনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যান হল দ্বি - তল বিশিষ্ট (ডাবল ডেকার) ট্রেন বা বাস। বর্তমানে চালিত দ্বি-গ্রন্থিবদ্ধ বাস বা বাই-আর্টিকুলেটেড বাস হল স্থল পরিবহনের দীর্ঘতম একটি যান। রোড ট্রেনও আছে। বড় গাড়িগুলির মধ্যে পড়ে এসইউভি বা বিনোদনমূলক যান (আরভি বা বাড়ি সম্বলিত গাড়ি)।
ধারণক্ষমতা
[সম্পাদনা]সমুদ্রভ্রমণের জাহাজের পরে দ্বি - তল বিশিষ্ট ট্রেন বা বাস এবং দ্বি-গ্রন্থিবদ্ধ বাসগুলির মধ্যে অনেকখানি যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে।
গতিবেগ
[সম্পাদনা]দ্রুততম পরিবহন যান হল রকেট যান। দ্রুততম রাস্তার যানবাহন হল গাড়ি এবং মোটরসাইকেল। দ্রুততম জলে চলাচলকারী গাড়ি হল স্পিডবোট। জল পথে অ্যাটলান্টিক সমুদ্র পারাপার করার দ্রুততম সময় প্রায় চার দিন। দ্রুততম বিমান পরিবহন হল যুদ্ধবিমান।
ক্ষমতা
[সম্পাদনা]পরিবহন পশু, মানুষ, বায়ু, রকেট দ্বারা চালিত হতে পারে। জলে চলা পা-দান (প্যাডেল) সম্বলিত বোটকে পায়ের জোরে চালানো যেতে পারে এমনকি উড়ানেও পা-দানের শক্তি ব্যবহার করা যায়। একটি গাড়িতে একবার জেট ইঞ্জিন লাগানো হয়েছিল। জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন ডিজেল বা পেট্রোল চালিত যানবাহনের চেয়ে বৈদ্যুতিকভাবে চালিত যানবাহনকে পরিবেশবান্ধব বলে মনে করা হয়। এর কারণ হল জীবাশ্ম জ্বালানি বায়ুমণ্ডলে প্রচুর গ্যাস নির্গত করে এবং বৈদ্যুতিকভাবে চালিত যানবাহন থেকে খুব কম গ্যাস নির্গত হয় বা একেবারেই কোন গ্যাস নির্গত হয় না।
সহজে ব্যবহার করতে পারা
[সম্পাদনা]প্রতিবন্ধী বা দৃষ্টিশক্তিহীন মানুষদের চলার জন্য রাস্তার মোড়ে স্পর্শ দ্বারা বুঝতে পারা ফুটপাথ এবং রাস্তা পারাপারের জায়গায় শ্রবণযোগ্য সতর্কতার প্রয়োজন হতে পারে। বাস, ট্রাম এবং ট্রেনের জন্য নিচু তলযুক্ত মেঝের প্রয়োজন হতে পারে। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একটি হ্যারিংটন হাম্পের (রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য) প্রয়োজন হতে পারে। হেলানযুক্ত সাইকেলের ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়িত্ব
[সম্পাদনা]ব্যক্তিগত পরিবহনের চেয়ে গণপরিবহন স্থায়িত্ব বেশি। সবচেয়ে দক্ষ পরিবহন হল হাঁটা। সবচেয়ে দক্ষ যান্ত্রিক বাহন হল সাইকেল। এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। সাধারণ যাত্রী সংখ্যার তুলনায় গাড়ি অনেক বেশি জায়গা নেয়। যানজটের কারণে বায়ু দূষণ একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হিসেবে একে দেখা হয়।
মডেল (খেলনা)
[সম্পাদনা]মডেল রেলওয়ে একটি জনপ্রিয় শখ, এবং আদর্শ শহরের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে এটিও পরিবহনের একাধিক পদ্ধতিতে বিকশিত হয়েছে। এগুলি কখনও কখনও পরিবহন জাদুঘরে দেখা যায় বা তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে আকর্ষণ করে।