উইকিশৈশব:পরিবহন/ইতিহাস
অবয়ব
- প্রথম পরিচিত পরিবহন ছিল হাঁটা, কুড়ি লক্ষ (২ মিলিয়ন) বছর আগে হোমো ইরেকটাসের (সোজা হয়ে দাঁড়ানো মানুষ) আবির্ভাবের পর মানুষ সোজা হয়ে হাঁটতে শুরু করে। তাদের পূর্বসূরি, অস্ট্রালোপিথেকাস অভ্যাসগতভাবে কখনো সোজা হয়ে হাঁটেনি। প্রায় ৪২ থেকে ৩৯ লক্ষ (৪.২ - ৩.৯ মিলিয়ন) বছর আগের অস্ট্রালোপিথেকাস জীবাশ্মে দু পায়ে হাঁটার মত বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া গিয়েছিল, যদিও হয়তো সাহেলানথ্রোপাস চাদেনসিস গোত্রের জীব প্রায় সত্তর লক্ষ (সাত মিলিয়ন) বছর আগে দুই পায়ে হাঁটতে পারত।
- ৭০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রাচীনতম জুতোর কথা জানা গেছে, যদিও হয়তো আরও অনেক আগে থেকেই জুতোর ব্যবহার ছিল।
- ৬০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ডোঙাজাতীয় ক্যানো উদ্ভাবিত হয়েছিল।
- মনে করা হয় ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথম ষাঁড়দের পরিবহনের কাজে লাগানো হয়েছিল।
- ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি সময়ে পরিবহনে কাজে লাগানোর জন্য অশ্বপালন শুরু হয়েছিল।
চাকা
[সম্পাদনা]- মূলত মৃৎশিল্পের জন্য চাকা উদ্ভাবিত হয়েছিল, কারণ ৪২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কুমোরদের চাকাটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে অক্ষ এবং চাকার (হুইল অ্যাণ্ড অ্যাক্সেল) আবিষ্কার পরিবহনের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দিয়েছিল।
- ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - অস্ট্রোনেশীয়রা ক্যাটামারান (একাধিক হালযুক্ত নৌযান) এবং আউটরিগার (নৌকা থেকে বেরিয়ে আসা একটি কাঠামো) তৈরি করেছিল। ভূমধ্যসাগরে, প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্যালি (বিশেষ ধরণের জাহাজ) আবিষ্কৃত হয়েছিল।
- শুরুতে চাকা এবং অক্ষের মিশ্রণে তৈরি গাড়িতে গৃহপালিত ষাঁড়ের ব্যবহার করে পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরপর ষাঁড়ের জায়গায় ঘোড়ার ব্যবহার শুরু হয়েছিল। এই ধরণের যানের উল্লেখ মূলত ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সাহিত্যে পাওয়া গেছে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৯০০ সালে সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতায় রথ ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রাচীন গ্রিস এবং প্রাচীন রোমে যুদ্ধের সময় রথের ব্যবহার ছিল। রোমানরা বেসামরিক পরিবহনের জন্যও গাড়ি (বা কোচ) এবং ওয়াগন তৈরি করেছিল। ৭ম থেকে ৮ম শতাব্দীতে ইউরোপ জুড়ে ব্যাপকভাবে ঘোড়ার গলাবন্ধের (কলার) ব্যবহার ছিল। প্রাচীনকালের প্রাচীন পরিবহন ব্যবস্থা বহু শতাব্দী ধরে মূলত অপরিবর্তিত ছিল। এরপরে শিল্প বিপ্লবের হাত ধরে পরবর্তী আধুনিক যুগ এসেছিল।
- যান্ত্রিকীকরণের পূর্বে প্রথম গণপরিবহন ছিল ১৬৬২ সালের ঘোড়ায় টানা অমনিবাস। ১৭৮৩ সালে মন্টগলফিয়ার ভাইয়েরা ফ্রান্সেও উষ্ণ বায়ু বেলুনে (হট-এয়ার বেলুন) প্রথম মানব চালিত উড়ান তৈরি করেছিলেন।