উইকিশৈশব:গণিতে হাতেখড়ি/দশমিক
নতুন শব্দসমুহ
[সম্পাদনা]- প্রায় সমান চিহ্ন
- দশমিক সংখ্যা
- দশমিক বিন্দু
অধ্যায়
[সম্পাদনা]কেনো আমরা দশমিক ব্যবহার করি?
[সম্পাদনা]কিছু ভগ্নাংশ আকারে অনেক বড় হয়, যেগুলো ব্যবহার করা কঠিন। উদাহরণস্বরূপ, বলতো নিচের কোনটি সবচেয়ে বড় ভগ্নাংশ?
•+৫/৩
•+৩/২
•+৪/৩
কিছু ভগ্নাংশ মিশ্র ভগ্নাংশ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বড়ো ভগ্নাংশ বের করা সহজ হয়।
•+৫/৩=১+২/৩
•+৩/২=১+২/৩
•+৭/৫=১+২/৫
তবে এখনও কোনটা বড়ো তা বোঝা কষ্টকর হতে পারে। একটি ভিন্ন পদ্ধতি এই প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
দশমিক সংখ্যা
[সম্পাদনা]মিশ্র ভগ্নাংশেরমত দশমিক সংখ্যারও দুটি অংশ রয়েছে। একটি চটি বিন্দু দ্বারা এই দুই অংশকে আলাদা করা হয়। এই বিন্দুকে দশমিক বিন্দু বলে। দশমিক বিন্দুর ডান দিকের অংশকে ভগ্নাংশ অংশ বলা হয়। এবং বাদ পাশের অংশকে সমগ্র অংশ বলা হয়। তুমি হাতে গণনা করে কিংবা ক্যালকুলেটরের সাহায্যে দশমিক সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে। কিছু দশমিক সংখ্যার উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
চোখের দেখাতেই ছোট-বড় সংখ্যা নির্ণয় করতে দশমিক সাহায্য করে। দশমিক বিন্দু এটি করতে ভূমিকা রাখে।
দ্রষ্টব্য: এক দশমাংশ = , এক শতাংশ =
4 | ৪ দশক |
6 | ৬ শতক |
2 | ২ সহস্র |
8 | ৮ ওযুত |
9 | ৯ লক্ষ |
7 | ৭ নিযুত |
প্রায় সমান
[সম্পাদনা]তুমি যখন ভগ্নাংশ থেকে দশমিকে নিয়ে যায় কখনো কখনো দশমিক শেষ হয় না। উদাহরণস্বরূপ কে দশমিকে নিলে ০.৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩৩… এবং এভাবে চলতে থাকে। যেহেতু তুমি অসীম পর্যন্ত লিখতে পারো না তাই তোমার যতটুকু উত্তর লিখতে লাগবে ততটুকু ব্যবহার করো।
যখন তুমি একটা দশমিকের পর কিছু সংখ্যা অপসারণ করা তখন সখার মান আগের মত থাকে না। তবে মান কাছাকাছি থাকে। তুমি এই কাছাকাছি মানলেই ব্যবহার করতে পারো। প্রায় সমান চিহ্ন (≈) ব্যবহার করে দুটি প্রায় সমান সংখ্যা লেখা হয়। উদাহরণস্বরূপ:
কোনটা সর্বোচ্চ?
[সম্পাদনা]দশমিক সংখ্যা ব্যবহার করে কোনটা সর্বোচ্চ তা নির্ণয় করা যায়।
যেহেতু শতকের ঘরে ৬ আছে তাই তুমি সহজেই বলতে পারো মাঝের তাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।