উইকিশৈশব:এটা কীভাবে কাজ করে/এলসিডি ডিসপ্লে

উইকিবই থেকে

এটি কে আবিষ্কার করেন?[সম্পাদনা]

জর্জ হেইলমেয়ার এলসিডি ডিসপ্লে আবিষ্কার করেন। তিনি একজন আমেরিকান প্রকৌশলী ছিলেন যিনি ২০১৪ সালে ৭৭ বছর বয়সে মারা যান।

এটি শক্তি কিভাবে পায়?[সম্পাদনা]

এলসিডি ডিসপ্লে চালু করার জন্য বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করতে হয়। এটি ব্যাকলাইট করার জন্য শক্তি প্রদান করতে এবং ডিসপ্লের আকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।

এটি কিভাবে কাজ করে?[সম্পাদনা]

এলসিডি-এর পুরো কথা, এল দিয়ে লিকুইড সি দিয়ে ক্রিষ্টাল ডি দিয়ে ডিসপ্লে। নাম অনুসারে, এটি একটি ডিসপ্লে যা তরল ক্রিস্টাল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। ডিসপ্লে স্ক্রিনের মাধ্যমে আলোর উত্তরণ নিয়ন্ত্রণ করতে তরল স্ফটিক ব্যবহার করা হয়। যেখানে আলোর মাধ্যমে পর্দার ঔজ্জ্বল্য নির্ভর, আলো যেতে দিলে পর্দা উজ্জ্বল দেখায় এবং যেখানে আলো আটকালে সেখানে পর্দা অন্ধকার দেখায়।

প্রাকৃতিক অবস্থায় তরল স্ফটিক কুণ্ডলিত কিন্তু অনুমানযোগ্য আকারে থাকে। এগুলি ডিসপ্লেতে পোলারাইজিং ফিল্টারের একটি জোড়ার মধ্যে অবস্থিত। পোলারাইজিং ফিল্টারগুলিকে একটি পাতলা পাত হিসাবে ভাবা যেতে পারে যা শুধুমাত্র একবার রূপ পরিবর্তনে আলোর তরঙ্গগুলিকে নিজেকে অতিক্রম করতে দেয়। একটি এলসিডি ডিসপ্লেতে দুটি পোলারাইজিং ফিল্টার সারিবদ্ধ থাকে এবং তাদের পাতগুলি একই দিকে থাকে। প্রথম ফিল্টারের মধ্য দিয়ে যাওয়া আলোকে পোলারাইজ করা হয়। পোলারাইজ করা আলো তরল স্ফটিক বরাবর চলে যাওয়ার সাথে সাথে এটি স্ফটিক দ্বারা পরিচালিত হয় এবং পোলারাইজিং ফিল্টারের দ্বিতীয় সেটের সমান্তরালে গিয়ে পড়ে। যেহেতু আলোক তরঙ্গগুলি পোলারাইজিং ফিল্টারের সমান্তরাল তাই সেগুলি আর বাধা পায় না।

যখন তরল স্ফটিকগুলিতে একটি ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হয়, তখন তাদের নির্দিষ্ট করে রাখা প্যাঁচ সামান্য খুলে যায়, পোলারাইজ হওয়া আলোর স্থিতিবিন্যাস পরিবর্তন করে যাতে এটি আর দ্বিতীয় পোলারাইজিং ফিল্টারের সমান্তরালে গিয়ে পড়ে না। আলো ফিল্টার দ্বারা আলোকে অবরুদ্ধ যায়, ফলে সেই সময়ে পর্দাটি অন্ধকার দেখায়।

এলসিডি ডিসপ্লেতে তরল স্ফটিকের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আলাদা আলাদা অংশ থাকে। এগুলোর সংখ্যা মাত্র কয়েকটি (ঠিক যেমন একটি ঘড়িতে থাকে) থেকে কয়েক হাজার বা মিলিয়ন পর্যন্ত হতে পারে (যেমন একটি কম্পিউটার ডিসপ্লে বা টেলিভিশনে)।

একই কতটা বিপদজনক?[সম্পাদনা]

গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে এলসিডি স্ক্রিন গুলি নিরাপদ। অন্যথায় অন্য যে কোনো বৈদ্যুতিক মেশিনের মতো ক্ষতিগ্রস্ত এলসিডি ডিসপ্লের সংস্পর্শে এলে বৈদ্যুতিক শক লাগার ঝুঁকি রয়েছে।

এটা কি করে?[সম্পাদনা]

এটি একটি স্ক্রিনে ছবি এবং চলমান ছবির তথ্য দেখায়। অনেক ইলেকট্রনিক ডিভাইসের স্ক্রিনই এলসিডি স্ক্রিন।

এটি কত প্রকারের?[সম্পাদনা]

কিছু ডিসপ্লে স্ক্রিনে আলোকসজ্জা প্রদানের জন্য প্রাকৃতিক (অ্যামবিয়েন্ট) আলোর উপর নির্ভর করে থাকতে হয় এবং সাধারণত ডিসপ্লের পিছনে একটি প্রতিফলিত পৃষ্ঠ থাকে যাতে ডিসপ্লের মধ্য দিয়ে ডিসপ্লেতে প্রবেশ করে তার পৃষ্ঠে ফিরে আসা কোনো প্রাকৃতিক আলো প্রতিফলিত হয়।

অন্যান্য ধরণের ডিসপ্লেতে ব্যাকলাইটিং থাকে, যেখানে ডিসপ্লের পিছনে একটি বৈদ্যুতিক আলোর উৎস থাকে যা ডিসপ্লেকে আলোকিত করে যেখানে আলোর বিনা বাধায় যেতে দেয়।

আসল পুরানো এলসিডিতে শুধুমাত্র দুটি ভিন্ন 'রঙ' ছিল, একটি অন্ধকার এবং একটি আলোকিত, মাত্র দুটিই তীব্রতা (চালু এবং বন্ধ) ছিল এতে। রঙগুলি সাধারণত কালো এবং হালকা ধূসর (ডিসপ্লের মাধ্যমে পরিবেষ্টিত আলোর দ্বারা উত্পাদিত রঙ) ছিল। অতি সম্প্রতি, পরিবর্তনশীল তীব্রতা সহ এলসিডি তৈরি করা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি তরল স্ফটিকের উপর প্রযোজ্য ভোল্টেজকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে যাতে মোচড়ানোর পরিমাণ বৈচিত্র্যময় হয় এবং তাই আলোর পরিমাণ ভিন্ন হয়।

রঙিন এলসিডিগুলিও তৈরি করা হয়েছে (যেমন রঙিন টেলিভিশনগুলিতে ব্যবহৃত হয়)। এগুলি লক্ষ লক্ষ বিন্দু (বা পিক্সেল) নিয়ে গঠিত, যার প্রতিটিতে বেশ কয়েকটি রঙিন বিভাগ রয়েছে যা পৃথকভাবে বিভিন্ন তীব্রতায় চালু করা যেতে পারে। যেহেতু পিক্সেল বিভাগগুলি খুব ছোট এবং একসাথে খুব কাছাকাছি, আমাদের দৃষ্টি এই রঙের সংমিশ্রণটিকে একক ছায়া হিসাবে ব্যাখ্যা করে৷ তাই ডিসপ্লে লক্ষ লক্ষ সম্ভাব্য রং উপস্থাপন করতে সক্ষম।

বিশ্বের উপর এর প্রভাব কি?[সম্পাদনা]

এলসিডি এটির প্রধান বিকল্পগুলির তুলনায় খুব কম শক্তি ব্যায় করে। এইভাবে এটি শক্তি অপচয় আটকিয়েও ভাল গুণমান বিশিষ্ট ছবি দেখায়। অনেক কম্পিউটার, ফোন এবং টেলিভিশনে এলসিডি স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। আপনি এই বর্ণনাটি একটি এলসিডি ডিসপ্লে ব্যবহার করে পড়ছে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না!

এই আবিষ্কারের আগে এর সহায়ক আবিষ্কার কি কি ছিল?[সম্পাদনা]

ফ্রিডরিখ রেইনিৎজারের তরল স্ফটিক আবিষ্কার না হলে,একটি লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে তৈরি করা অসম্ভব ছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]