বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিশৈশব:ইউরোপ: অস্ট্রিয়া

উইকিবই থেকে
অস্ট্রিয়ার পর্বতমালা

অস্ট্রিয়া পশ্চিম ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। স্থলবেষ্টিত এই দেশের উত্তরে জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্র, পূর্বে স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি, দক্ষিণে স্লোভেনিয়া ও ইতালি, এবং পশ্চিমে সুইজারল্যান্ড ও লিশ্টেন্ষ্টাইন। অস্ট্রিয়া মূলত আল্পস পর্বতমালার উপরে অবস্থিত। দেশটির তিন-চতুর্থাংশ এলাকাই পর্বতময়। অস্ট্রিয়া একটি সংসদীয় গণতন্ত্র। এখানে ৯টি ফেডারেল রাজ্য রয়েছে। দেশটি ইউরোপের ৬টি রাষ্ট্রের অন্যতম যারা স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষতা ঘোষণা করেছে। অস্ট্রিয়া ১৯৫৫ থেকে জাতিসংঘের এবং ১৯৯৫ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। ভিয়েনা বর্তমানে অস্ট্রিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।

অস্ট্রিয়ার ইতিহাস

[সম্পাদনা]
অস্ট্রিয়ার জাতীয় পতাকা

অস্ট্রিয়ার ইতিহাস ৯৭৬ সালে শুরু হয়। ঐ বছর লেওপোল্ড ফন বাবেনবের্গ বর্তমান অস্ট্রীয় এলাকার বেশির ভাগ অংশের শাসকে পরিণত হন। ১২৭৬ সালে রাজা প্রথম রুডলফ হাব্স্বুর্গ বংশের প্রথম রাজা হিসেবে অস্ট্রিয়ার শাসক হন। হাব্‌স্‌বুর্গ রাজবংশের রাজারা প্রায় ৭৫০ বছর অস্ট্রিয়া শাসন করেন। রাজনৈতিক বিবাহ সম্পাদনের মাধ্যমে হাব্‌স্‌বুর্গেরা মধ্য ইউরোপের এক বিরাট এলাকা দখলে সক্ষম হন। তাদের ভূসম্পত্তি এমনকি আইবেরীয় উপদ্বীপ (বর্তমান স্পেন) পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ১৬শ ও ১৭শ শতকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আক্রমণের ফলে অস্ট্রীয় এলাকাটি ধীরে ধীরে দানিউব নদীর অববাহিকার কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় অংশটিতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। ১৬শ ও ১৭শ শতকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আক্রমণের ফলে অস্ট্রীয় এলাকাটি ধীরে ধীরে দানিউব নদীর অববাহিকার কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় অংশটিতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। ১৯২০-এর দশকের শেষে এবং ১৯৩০-এর দশকের শুরুতে আধা-সামরিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলি হরতাল ও সহিংস সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। বেকারত্বের হার বেড়ে ২৫% হয়ে যায়। ১৯৩৪ সালে একটি কর্পোরেশনবাদী স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় আসে। ১৯৩৪ সালের জুলাই মাসে অস্ট্রীয় জাতিয় সমাজতান্ত্রিক (নাৎসি) দল কু-এর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ১৯৩৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানির সামরিক আগ্রাসনের হুমকির মুখে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কুর্ট শুশনিগ অস্ট্রীয় নাৎসিদের সরকারে নিতে বাধ্য হন। ১৯৩৮ সালের ১২ই মার্চ জার্মানি অস্ট্রিয়াতে সৈন্য পাঠায় এবং দেশটিকে জার্মানির অংশভুক্ত করে নেয়। এই ঘটনাটির ঐতিহাসিক নাম দেয়া হয়েছে আন্‌শ্লুস (জার্মান ভাষায় Anschluss)। সেসময় বেশির ভাগ অস্ট্রীয় এই আনশ্লুস সমর্থন করেছিল।

অস্ট্রিয়ার ভূগোল

[সম্পাদনা]
অস্ট্রিয়ার একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট

অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যা বর্তমানে ৮,৭২৫,৯৩১ জন। অস্ট্রিয়াকে তিনটি অসম ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করা যায়। এদের মধ্যে বৃহত্তম অংশটি (৬২%) হল আল্পস পর্বতমালারঅপেক্ষাকৃত নবীন পাহাড়গুলি। । এদের পূর্বে আছে পানোনীয় সমভূমি, এবং দানিউব নদীর উত্তরে আছে বোহেমীয় অরণ্যনামের একটি পুরানো কিন্তু অপেক্ষাকৃত নীচু গ্রানাইট পাথরে নির্মিত পার্বত্য অঞ্চল।

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]
  উইকিশৈশব ইউরোপসূচনাইইউ ভূগোললোকজনভাষাবিষয়কুইজ সম্পাদনা

এ্যান্ডোরা বেলজিয়াম ডেনমার্ক ফ্রান্স আইসল্যান্ড আয়ারল্যান্ড লিশটেনস্টাইন লুক্সেমবুর্গ নেদারল্যান্ডস নরওয়ে পর্তুগাল সুইজারল্যান্ড যুক্তরাজ্য আলবেনিয়া বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ক্রোশিয়া সাইপ্রাস
গ্রীস ইতালি মাল্টা মোনাকো মন্টিনিগ্রো সান মেরিনো কসোভো স্লোভেনিয়া স্পেন ভ্যাটিকান সিটি অস্ট্রিয়া চেক প্রজাতন্ত্র এস্তোনিয়া ফিনল্যান্ড জার্মানি হাঙ্গেরি লাটভিয়া
লিথুয়ানিয়া উত্তর ম্যাসেডোনিয়া পোল্যান্ড সার্বিয়া স্লোভাকিয়া সুইডেন আর্মেনিয়া আজারবাইজান বেলারুশ বুলগেরিয়া জর্জিয়া কাজাখস্তান মলদোভা রোমানিয়া রাশিয়া তুরস্ক ইউক্রেন