বিষয়বস্তুতে চলুন

ইসলাম/আখলাক/ইভটিজিং

উইকিবই থেকে

বাইবেল অনুসারে প্রথম নারীর নাম ইভ। আর ইংরেজিতে Tease অর্থ পরিহাস, প্রশ্ন দ্বারা জ্বালাতন করা, উত্ত্যক্ত করা। এখানে শব্দ ইভ আর টিজিং একত্রিরূপ। ইভটিজিং এ ইভ দ্বারা নারী সমাজকে বোঝানো হয়েছে। কথা, কাজ, আচরণ দ্বারা নারীদের উত্ত্যক্ত করাকে ইভটিজিং বলে। নারীদের প্রতি অশালীন উক্তি করা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা ইভটিজিং এর অন্তর্ভুক্ত।

১৯৭৬ সালে প্রণীত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অডিন্যান্সে ইভটিজিংকে সঙ্গায়িত করা হয়। এতে বলা হয় যে, রাস্তা বা জন সম্মুখে কোন নারীকে অশোভন শব্দ, অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্য্র মাধ্যমে যৌন্য উৎপীড়ন করা ইভটিজিং হিসেবে গণ্য করা হবে।

অপকারিতা

[সম্পাদনা]

ইভটিজিং একটি সামাজিক ব্যধি। নারীদেরকে উত্ত্যক্ত করা, কাউকে মন্দনামে ডাকা বা উপহাস গর্হিত কাজ। আল্লাহ বলেছেন, তোমরা একে অন্যের প্রত্যি দোষারোপ করবেনা এবং একে অপরকে মন্দনামে ডাকবেনা। ইমান গ্রহণের পর মন্দনামে ডাকা বড় অপরাধ। যারা তওবা না করে তারাই যালিম। বর্তমানে প্রায়ই স্কুল কলেজের সামনে, রাস্তার মোটে কিছু বখাটে ছেলের দল দাঁড়িয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এর ফলে অনেক মেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, প্রয়োজনোয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। কেউ কেউ আবার আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এতে সামাজিক শান্তি বিনষ্ট হয়। সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। জাতি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।

প্রতিকার

[সম্পাদনা]

১৯৭৬ সালে প্রণীত বাংলাদেশের আইনে ইভটিজিং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এর শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদন্ড অথবা দুই হাজার টাকা জরিমান্য অথব্য উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।