ব্যবহারকারী:Writer Sazzad
শেষ সময়ের চিঠি ✉️
সাজ্জাদুর রহমান 🖊️
আমি অন্ধ ঘরে বন্দী থেকেও বলতে দ্বিধাবোধ করবো না, এই সমাজ দূষিত, এই সমাজের খানিক সংখ্যক দূষিত মানুষের দ্বারাই আজ কেবল নির্দিষ্ট সমাজ নয়, বিশাল ভূখণ্ডেও ছড়িয়ে পড়ছে দূষিতের ধুলো | কালো দেহ কেবল কালোই নয়, মনের সৌন্দর্যই যেনো প্রকৃতির সৌন্দর্য। লোকাল বাসে চড়ে হাটে যেমন যাওয়া যায়, তেমনি কোনো বিশেষ প্রোগ্রামেও লোকাল বাসে করে যাওয়া সম্মান হানির কোনো কিছু প্রকাশিত নহে। কেবল মনের বিশালতার অভাব ই যেনো তার দূর্বলতা। উদার মনের মানুষের মনে এগুলো বিশেষ কোনো কারণ নাই বটে। দিন যায় রাত পোহায়, সূর্য ডুবি অন্ধকার ই শ্রেষ্ঠ। সূর্য উদয়ে আলোর সাক্ষাৎ, প্রতিঘরে আলোর ঝলকানি। রাজা কিংবা প্রজার ঘর। নেই কোনো বাধা-বিপত্তি। স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ আলোয় আলোকিত ধরনী! কে রাজা, কে প্রজা নেই সেসবের হিসেব মেলানোর সময়। এক প্রান্তে সূর্য উদয় অপর প্রান্ত অস্ত, এরই মাঝে চুরিচামারি, লুটতরাজ, ধর্ষণ, গুম, ভাংচুর ধ্বংস হচ্ছে সমস্ত। জোড় যাহার মুলুক তাহার নহে, এ যেনো একাকিত্বের খেলা নয়, খেলা সেতো সমস্তের। পাঁচ আঙ্গুলির দৈর্ঘ্য নহে সমান, মানুষ বাঁচে কেবল উঁচুনিচু করে ব্যবধান! মফিজের ছাই, মজুমদারের ঠাই অল্প পানিতেই সাতার বিহীন শুধু শান্তিই পাই। ক্ষতে নয়, খ্যাতিতে চাই সবার মন জয়। আপনারি আশ্রয়ে নয় একার বসবাস, চাই অহায়ের জন্য একটু শান্তির আবাসস্থল। গুরু মানে শিক্ষাদানে, হোক সেটি একটি বর্ণ শিখনে।
চারিদিকে মার মার ধর ধর
মানুষ আজ খেকো ছুটেছে পথে-প্রান্তর!
বিন বাজিয়ে ডাকছে ইদুর কিংবা বাদুর;
অসৎ এ সতীন পোষে, বিনা দোষে করে দোষী,
জীবন নিয়ে খেলা লোভে করে রাশা রাশি!
মুকুট পড়ার যোগ্য নয় পড়ে কেবল মুকুট,
রাতারাতি বড় হওয়া অন্যের গায়ে মারে পাথর কংকট |
সিন্ধুকের চাবি উপরে রাখি জালপেতে বসেছে কত,
লোভ হিংসা করেছে গ্রাস মেতেছে আনন্দে যত!
অর্ধপথে পথের সঙ্গী শেষ প্রান্তে লুট,
পথের কোনায় পথের ধারে নেমেছে একজোট |
বিচ্ছিন্ন বিবর্ণমুখ চেহারার কতই না দশা,
সময় ঘনিয়ে যাওয়া মুহূর্তের যত আশা-
চোখ থাকতে কানের দোষ, কান কেবল খাঁড়া,
চোরের ভোষে সাধুবেশে চলে মানুষ যারা,
মানুষ কেবল টাকাই চিনে, চিনেনা কেবল মানুষ!
পশুর ন্যায় যতো আচরণ প্রকাশ,
দিন যায় রাত পোহায় সূর্য্যি উঠার মুহূর্তে সব সর্বনাশ |
Immediately কিছু করতে যাবেন না, ধীর গতিতে করেন, বেশি চাইবেন না, বেশি ঠকবেন না, আপনার জীবনের যেমন সকল চাহিদার প্রয়োজন তেমনি অন্য মানুষেরও অনেক কিছু চাহিদা আছে। অন্তরে ফিট্ করে রাখবেন উপরওয়ালা একজন আছেন, সময়ের বেলা উনি ঠিকই ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে থাকেন। কারোর ব্যক্তিত্ব নিয়ে, কারোর সম্মান নিয়ে মশকরা করতে যাবেন না। পদে পদে মানুষের অবস্থান। পদকে নয়, আপনার মনুষ্যত্বকে প্রধান্য দেন। মনুষ্যত্ব ঠিক থাকলে অবস্থান ঠিক থাকবে। হুট করে চাঁদ কে ধরতে বা আনতে যাবেন না। চাঁদ কে ধরতে বা আনতে হাজারো বাধা অতিক্রম করে যেতে হবে। নূন্যতম জ্ঞান থাকলে কখনো আপনার ব্যক্তিত্বের হীনতার পরিচয় দিবেন না।
ভাবের মূর্তি না হয়ে বাস্তবরুপী জীবন গড়তে শিখুন, কাউকে ছোট বা হেয় করবেন না, কেননা বিধাতা সবাইকে একই রক্তে-মাংসে গড়েছেন।
এবং সবারই গন্তব্য শেষ কবরে! বিবেকবুদ্ধি থাকা স্বত্তেও পশুর আচরণ প্রকাশ করবেন না কখনো |মূল মন্ত্রে আর মূল যন্ত্রের কাজ কখনো বিফলে যায়না, সঠিক মাত্রায় সভ্যতার বিকাশ ঘটিয়ে মানুষ শুধু চূড়ায় নয় সর্বোচ্চ চূড়ায়ও পৌঁছে যেতে পারে |
সৎসাহস আর সৎ ভাবনায় জীবনের মোড় ঘুরে দেওয়া কোনো ব্যাপার না, মস্তিষ্ক অসুস্থ হলে সেটা কেবল পাগলের বেশ, আর বিবেক যখন অসুস্থ সেটা একমাত্র অল্পবিদ্যার ভয়ংকর রুপ! চারিপাশ চোখ ঘুড়িয়ে দিলে দেখতে পাওয়া যায় অসংখ্য অসুস্থ বিবেকশূন্য মানব! হাঁটা-চলার মধ্যে অনেকেই গা ঘেঁষে চলে, গায়ের জোড় নাকি পায়ের জোড় নাকি সুস্থ মস্তিষ্কের জোড় খানিকটা বুঝা মুশকিল | যারা অল্প জায়গায় হাঁটার অভ্যাস বা থাকার অভ্যাস গড়ে তুলে দিন শেষে তারাই বিশাল জায়গা জোড়ে বসে | পথের ধুলো আর ঘরের কালো মানবটাই একটা সময় প্রিয় থেকে সবার প্রিয় হয়ে যায় | ঐ ধুলো গায়ে মাখানোর নানান ফাঁদ পেতে বসে থাকে হাজারো মানব | ঘরের কালো মানবটাই হয়ে ওঠে এক সময় সবার প্রিয় মুখ |
যাকে প্রতিনিয়ত হেয় করা হতো, সেই এখন প্রতিনিয়ত প্রিয় মুখ, খুবই প্রিয় | সময়ের অপেক্ষা করার শক্তি সবার থাকে না, যার আছে সেই যেনো সংগ্রামের মধ্যে বেঁচে আছে! হুম সেটাই যেনো জীবন সংগ্রাম |
ধারা পাল্টে,সময় পাল্টে, অবস্থান পাল্টে, মানুষও পাল্টে |যখন তুমি তোমার সফলতা নিয়ে নিজের জন্য একটা স্টেজ তৈরি করতে পারবে, তখনই তোমার কথা শোনার জন্য লোকেরা শুভেচ্ছা জানাতে নিজেরাই আমন্ত্রিত হবে !
ডাকতে হবে না বরং তোমাকেই ডাকবে !
চলে দেখো শত মানুষের সাথে
দিন শেষে কজনে রবে তোমারই পাশে!
আগাছা যেমন ঘেরাও করে বৃক্ষের চারিপাশ,
তেমনি এসে ঘেরাও করবে আগাছার মতো কিছু মানুষ তোমার আমার আশপাশ |
যতো ধর্মের লড়াই, ততই কর্মের লড়াই!
আত্মকেন্দ্রিক আত্মার সুদ্ধি, আর বিবেক কেবল অন্যের নয় নিজের বিবেক কেও জাগাতে হয়! বদলে দিন জীবনের মোড়
দেখতে পাচ্ছেন হারাচ্ছেন সব, হারিয়ে যাচ্ছে সব অর্জন!
জানেন কি!
জীবনের মোড় পাল্টাতে হলে নিজের অবস্থান পাল্টাতে হবে | একটা মাছি ততক্ষণই ও-ই জায়গায় থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত মধু থেকে থাকে ওই জায়গাতে |
যখন ওই জায়গা থেকে মধুর স্বাদ আর পাবে না, তখনই মাছি অন্য জায়গায় মধু খোজতে যায় | ঠিক আপনিও যদি মনে করেন যে আপনি বর্তমানে যে জায়গায় আছেন, সেই জায়গায় আপনার সময় ভালো যাচ্ছে না, তাহলে আপনি ছুটে চলুন, খোঁজে নেন নতুন কোনো জায়গা, নতুন কোনো পরিবেশ | যেখানে পাবেন মনের শান্তি, কাজের প্রতি ভালো লাগা সেখানেই আপনি লেগে পড়ুন | দেখবেন আপনার পূর্বের জায়গার থেকে বর্তমান জায়গাটা শতগুণে ভালো পেয়েছেন |
আজকের সমাজ মানুষ শূণ্য পরিবেশ নয়, আজকের সমাজ বিবেকশূন্য পরিবেশে পরিণক হয়েছে |
জীবনের মোড় বদলাতে হলে আপনাকে আপনার ঘাঁটি শক্ত রাখতে হবে,
❝যার আছে পুঁজি তার আছে সবই বুঝি❞
আপনার জমে রাখা পুঁজি কারো নেবার সাধ্য নেই, কিন্তু আপনার জমে রাখা পুঁজি থেকে অন্যকেও দিতে পারেন | তবে আপনার পুঁজি কমবে না, বরং বৃদ্ধি পাবে শতগুণে!
ত্যাগ ছাড়া সুখ নেই, সুখ ছাড়া প্রিয়জন নেই!🖊️