উইকিশৈশব:সৌরজগৎ/প্লুটো/শ্যারন

উইকিবই থেকে
নিউ হরিজন্স মহাকাশযান থেকে দেখা শ্যারন

শ্যারন প্লুটোর তিনটি চাঁদের মধ্যে একটি।

শ্যারন কত বড়?[সম্পাদনা]

শ্যারনের ব্যাস প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার, যা প্রায় প্লুটোর অর্ধেক। কেননা, প্লুটো এবং শ্যারনের মধ্যে আকারের পার্থক্য এতটাই কম যে, কেউ কেউ এটিকে দুটি গ্রহ বলে বিবেচনা করে থাকেন। এগুলি কখনও কখনও প্রথম দুটি ট্রান্স-নেপ্টুনিয়ান বস্তু হিসাবেও ভাবা হয়।

এর পৃষ্ঠতল কেমন?[সম্পাদনা]

হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দ্বারা তোলা এই ছবিতে প্লুটো এবং শ্যারনকে দেখানো হয়েছে। ডানদিকের ছোট চাঁদটি হল শ্যারন। এটিকে প্রোব ছাড়া স্পষ্টভাবে দেখা যায় না, কারণ এটি অনেক দূরে অবস্থিত

শ্যারনের পৃষ্ঠতল পানি ও বরফে আচ্ছাদিত।

শ্যারনে দিন কত লম্বা?[সম্পাদনা]

শ্যারনের একদিন পৃথিবীর ৬ দিন, ৯ ঘন্টা এবং ১৮ মিনিটের সমান।

এর কক্ষপথের স্থায়িত্ব কত?[সম্পাদনা]

শ্যারন এবং প্লুটো তাদের মধ্যে অবস্থিত একটি কেন্দ্রীয় বিন্দুর চারপাশে কক্ষপথ ভাগ করে নেয়। কার্যত, তারা সর্বদা একই দিকে মুখোমুখি থাকে। এই কক্ষপথটি সাড়ে ৬ দিন স্থায়ী হয়।

পরবর্তীতে এর নামকরণ কিভাবে করা হয়?[সম্পাদনা]

গ্রিক পুরাণের একটি চরিত্রের নামানুসারে শ্যারনের নামকরণ করা হয়েছে। (তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী) শ্যারন মৃতদেরকে আচেরন নদী পার করে হেডিসে নিয়ে যায়, যদি তারা তাকে মূল্য প্রদান করতে পারে।

এটি কে আবিষ্কার করেন?[সম্পাদনা]

১৯৭৮ সালের ২২ শে জুন জেমস ক্রিস্টি শ্যারন আবিষ্কার করেন। তিনি প্লুটোর অত্যন্ত বিবর্ধিত চিত্রগুলি পরীক্ষা করছিলেন এবং লক্ষ্য করেছিলেন যে কিছু কিছু ছবিতে একটি অংশ স্ফীত দেখা যায়। পরে পুরানো ছবিগুলোর দ্বারা স্ফীত অংশটুকু নিশ্চিত করা হয়েছিল এবং এর অস্থায়ী নাম দেওয়া হয়েছিল এস/১৯৭৮ পি ১