উইকিশৈশব:রাসায়নিক মৌল/স্ট্রনসিয়াম

উইকিবই থেকে
পর্যায়ক্রমিক চার্টে স্ট্রনসিয়ামের অবস্থান।
পর্যায় সারণীতে স্ট্রনসিয়াম-এর প্রতীক

স্ট্রনসিয়াম একটি রাসায়নিক মৌল যার প্রতীক Sr এবং পারমাণবিক সংখ্যা ৩৮। এটি অন্যান্য মৌলের সাথে খুব সহজে বিক্রিয়া করে।

স্ট্রনসিয়াম

ধাতুটি দেখতে, স্পর্শে, স্বাদে, অথবা গন্ধে কেমন লাগে?[সম্পাদনা]

স্ট্রনসিয়াম রূপালী-সাদা হলুদাভ রঙের ধাতু। এটি একটি নরম ধাতব মৌল। রাসায়নিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয় ধাতু।

ধাতুটি কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল?[সম্পাদনা]

১৭৯০ সালে অ্যাডায়ার ক্রফোর্ড স্কটল্যান্ডের স্ট্রনসিয়ানের কাছে একটি খনির খনিজে স্ট্রনসিয়াম মৌলের সন্ধান পান। সেই সময় বিজ্ঞানীরা মনে করতেন স্ট্রনসিয়াম এবং বেরিয়াম একই মৌল।

ধাতুটির নাম কোথা থেকে এসেছে?[সম্পাদনা]

স্কটল্যান্ডের একটিি গ্রামের নাম স্ট্রনসিয়ান। সেখানকার একটি সীসার খনির আকরিক থেকে স্ট্রনসিয়াম আবিষ্কৃত হয়েছিল। তাই স্ট্রনসিয়ান গ্রামের নাম অনুসারে ধাতুটির নামকরণ করা হয় স্ট্রনসিয়াম।

তুমি কি জান?

  • স্ট্রনসিয়ামের রূপালী সাদা রঙ রয়েছে। বাতাসের সংস্পর্শে এলে এটি হলুদ হয়ে যায়।
  • ধাতুটি ক্যালসিয়ামের থেকে নরম এবং বেরিয়ামের থেকে শক্ত।
  • স্ট্রনসিয়ামের প্রাথমিক ব্যবহার ছিল রঙিন টেলিভিশনের মধ্যে থাকা ক্যাথোড-রশ্মির কাচ নলে, যেখানে এটি এক্স-রে নির্গমনকে বাধা দেয়।

ধাতুটি কোথায় পাওয়া যায়?[সম্পাদনা]

প্রকৃতিতে স্ট্রনসিয়াম ধাতু বিভিন্ন খনিজে স্ট্রনসিয়ামের যৌগ হিসাবে পাওয়া যায়। খনি থেকে স্ট্রনসিয়ামের আকরিক খনন করার পরে ধাতুটি নিষ্কাশন করা হয়।

এর ব্যবহার কোথায়?[সম্পাদনা]

আতশবাজিতে লাল রঙের জন্য স্ট্রনসিয়ামের লবণ ব্যবহার করা হয়। সংবেদনশীল দাঁতের জন্য যে টুথপেস্ট ব্যবহার করা হয় তাতে স্ট্রনসিয়াম ক্লোরাইড থাকে।

ধাতুটি কি বিপজ্জনক?[সম্পাদনা]

সাধারণত এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক নয়। তবে স্ট্রনসিয়াম যৌগের গুঁড়োর উপস্থিতিতে শ্বাস নিলে সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।