উইকিশৈশব:পাখপাখালির দেশে/টুনটুনি

উইকিবই থেকে
টুনটুনি

টুনটুনি (বৈজ্ঞানিক নাম-অর্থোটোমাস সুটোরিউ) সিলভিডি পরিবারের অর্ন্তগত অর্থোটোমাস গণের অর্ন্তভুক্ত পাখি।[১]

প্রজাতির তালিকা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ ও ভারতে সাদারণত কালাগলা টুনটুনি, পাহাড়ি টুনটুনিপাতি টুনটুনি এই তিনটি প্রজাতির টুনটুনি দেখা যায়। বিশ্বে মোট ১৫ প্রজাতির টুনটুনি পাওয়া যায়।[১]

দেহের গঠন[সম্পাদনা]

এটি ছোট আকারের পাখি। টুনটুনির বুক ও পেট সাদাটে। অনেকটা মাটির ঢিলার মত। ডানার উপরিভাগ জলপাই-লালচে। মাথা জলপাই-লালচে। চোখের মনি পাকা মরিচের মত। বুক সাদা পালকে ঢাকা। লেজ খাড়া, তাতে কালচে দাগ আছে। ঋতুভেদে পিঠ ও ডানার রঙ কিছুটা বদলায়।

স্বভাব[সম্পাদনা]

এদের যত চালাক পাখি ভাবা হয় আসলে তা নয়। এরা যেমন চালাক তেমন বোকা। টুনটুনি বিপদ দেখলেই চেঁচামেচি করে। ফলে সহজেই শত্রুর কবলে পড়ে।

টুনটুনির খাদ্য[সম্পাদনা]

টুনটুনি বিভিন্ন রকম খাবার খায়। এরা অনেক অপকারী পোকামাকড়,কীটপতঙ্গ খাদ্য হিসেবে খায়। তাছাড়াও ছোট কেঁচো, মৌমাছি, ফুলের মধু, রেশম মথ ইত্যাদি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। ধান-পাট-গম পাতার পোকা, শুয়োপোকা ও তার ডিম, আম পাতার বিছা পোকা তাদের খাদ্য তালিকায় আছে।

টুনটুনির বাসা[সম্পাদনা]

টুনটুনির বাসা খুব বেশি উচুতে হয়না। সাধারনত এরা ৬-১০ সেমি উচ্চতায় বাসা বাধে। ছোট গুল্ম জাতীয় গাছ অথবা ঝোপঝাড় এদের প্রধান পছন্দ। শিম, লাউ, কাঠ বাদাম, সূর্যমূখী, ডুমুর, লেবু এগুলোর গাছে এরা বেশি বাসা বাধে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি মিলে বাসা তৈরী করে।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ১.০ ১.১ "টুনটুনি"bn.banglapedia.org