মিল্লি ভাত
অবয়ব
| মিল্লি ভাত | |
|---|---|
| রন্ধনপ্রণালী বিভাগ | ঐতিহ্যবাহী খাবার |
| পরিবেশন | ৬-৮ জন |
| খাদ্য শক্তি | ৭০০-৯০০ কিলোক্যালরি (প্রতি পরিবেশনা) |
| তৈরির সময় | ২-২.৫ ঘন্টা |
| কষ্টসাধ্য | |
| টীকা | মিল্লি ভাত গরুর মাংস, চালের গুঁড়ো, ডাল ও বিভিন্ন মসলার সংমিশ্রণে তৈরি এক মসলাদার অনন্য পদ |
রন্ধনপ্রণালী | প্রস্তুতপ্রণালী | উপকরণ | যন্ত্রপাতি | কৌশল | রন্ধনপ্রণালী দ্ব্যর্থতা নিরসন পাতা | প্রস্তুতপ্রণালী
মিল্লি ভাত জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবার, যা "পিঠালি" বা "মেন্দা" নামেও পরিচিত। এটি একটি বিশেষ খাবার যা সাধারণত বিয়ে, আকিকা, খতনা, কুলখানি বা মৃত ব্যক্তির চল্লিশার মতো অনুষ্ঠানে তৈরি করা হয়। এটি গরুর মাংস, চালের গুঁড়ো, ডাল ও বিভিন্ন মসলার সংমিশ্রণে তৈরি এক অনন্য পদ। দীর্ঘ সময় ধরে অল্প আঁচে রান্না করার কারণে এর স্বাদ ও সুগন্ধ হয় অসাধারণ।
উপকরণ
[সম্পাদনা]| নাম | উপকরণ |
|---|---|
| গরুর মাংস | ১ কেজি (হাড় ও চর্বিযুক্ত, বড় টুকরা করে কাটা) |
| চাল বাটা/গুঁড়ো | ২৫০ গ্রাম (আতপ চাল বাটা/গুঁড়ো দিলে ভালো হয়) |
| পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
| আদা বাটা | ২ টেবিল চামচ |
| রসুন বাটা | ২ টেবিল চামচ |
| জিরা বাটা/গুঁড়ো | ২ টেবিল চামচ |
| হলুদ গুঁড়ো | ১ টেবিল চামচ |
| মরিচ গুঁড়ো/বাটা | ১ টেবিল চামচ (স্বাদমতো) |
| ধনিয়া গুঁড়ো | ১.৫ টেবিল চামচ |
| কাঁচা মরিচ | ৫-৬টি (ফালি করা, স্বাদমতো) |
| সয়াবিন তেল | ১ কাপ (বা প্রয়োজন মতো) |
| তেজপাতা | ৪টি |
| বড় এলাচ | ৩টি |
| ছোট এলাচ | ৬টি |
| দারুচিনি | ৫ টুকরা |
| লবণ | পরিমাণ মতো |
| আলু | ২টি (ঐচ্ছিক, বড় টুকরা করে কাটা) |
বাগাড়ের জন্য:
[সম্পাদনা]| নাম | উপকরণ |
|---|---|
| পেঁয়াজ কুচি | ১/২ কাপ |
| রসুন কুচি | ১/২ কাপ |
| জিরা | ১/২ চা চামচ |
| মেথি | ১/২ চা চামচ |
| সরিষার তেল/সয়াবিন তেল | ৪-৫ টেবিল চামচ |
প্রস্তুত প্রণালী
[সম্পাদনা]- প্রথমে মাংসের টুকরোগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
- একটি বড় হাঁড়িতে মাংসের সাথে হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনিয়া গুঁড়ো, লবণ, রসুন বাটা, আদা বাটা, তেজপাতা, বড় এলাচ, ছোট এলাচ এবং দারুচিনি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। এই পর্যায়ে আপনি চাইলে আলুও মিশিয়ে দিতে পারেন। ভালোভাবে মাখানোর পর কমপক্ষে ২৫-৩০ মিনিট মেরিনেট হতে দিন।
- হাঁড়িটি চুলায় বসিয়ে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হলে মাখানো মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। মাংস থেকে যে পানি বের হবে, তা দিয়ে মাংস সেদ্ধ হতে শুরু করবে।
- মাংস কষানো হলে এবং কিছুটা সেদ্ধ হয়ে গেলে পরিমাণ মতো পানি (প্রায় দেড় থেকে ২ লিটার) যোগ করুন। মাংস সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। মাংস পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে ঝোল ঘন না হওয়া পর্যন্ত রান্না চালিয়ে যান। তবে পানি একবারে কমিয়ে ফেলা যাবে না।
- মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং ঝোল কিছুটা কমে এলে অল্প অল্প করে চালের গুঁড়ো মেশাতে থাকুন। চালের গুঁড়ো মেশানোর সময় অবিরাম নাড়তে হবে যাতে কোনো দলা না ধরে যায়। চালের গুঁড়ো ভালোভাবে মিশে গেলে ১০-১৫ মিনিট আরও রান্না করুন যতক্ষণ না মিল্লি ঘন ও আঠালো হয়ে আসে। প্রয়োজন হলে আরও একটু গরম পানি যোগ করতে পারেন।
- বাগাড় দেওয়া : একটি আলাদা প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, জিরা এবং মেথি দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন। এই মিশ্রণটি রান্না করা মিল্লির ওপর ঢেলে দিন এবং ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এতে মিল্লির স্বাদ ও সুগন্ধ বেড়ে যাবে।
পরিবেশন
[সম্পাদনা]গরম গরম মিল্লি ভাত সাধারণত সাদা ভাতের সাথে পরিবেশন করা হয়। জামালপুরের ঐতিহ্য অনুযায়ী এটি কলাপাতায় পরিবেশন করার চল রয়েছে।