পেশাদার ও কারিগরি লেখনী/শব্দকোষ
এই শব্দগুলো পেশাদার ও কারিগরি লেখকদের কাছে পরিচিত হওয়া উচিত।
পরিভাষার শব্দকোষ
[সম্পাদনা]অ্যাডভাইজারস - যেসব ব্যক্তি বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের তথ্য প্রদান করে।
ব্রেইনস্টর্মিং - যত দ্রুত সম্ভব ধারণা তৈরি করা, এবং সেসব ধারণার মূল্যায়ন পরে করা।
জটিল পাঠকগোষ্ঠী - বৈচিত্র্যময় মানুষদের একটি দল যারা আপনার লেখা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পড়তে পারে।
কপিরাইট আইন - এমন আইনসমষ্টি যা নির্ধারণ করে আপনি অন্য কারো লেখা অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন কি না।
কাভার লেটার - নিয়োগকর্তার উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠি যাতে সংক্ষেপে বলা হয় কেন একজন আবেদনকারীকে বিবেচনা করা উচিত। এই চিঠি নির্দিষ্ট চাকরির জন্য উপযোগী করে লেখা উচিত।
ক্লাস্টার স্কেচ - একটি কাগজের মাঝখানে মূল বিষয় লিখে চারপাশে উপবিষয়গুলো যুক্ত করে আঁকানো হয়।
ডিসিশন মেকারস - একটি প্রতিষ্ঠানের সেই ব্যক্তিরা যারা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানের করণীয় নির্ধারণ করেন।
এক্সিকিউটিভ সামারি - একটি রিপোর্টের শুরুতে থাকা সংক্ষিপ্তসার যা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। এটি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট নামেও পরিচিত।
ফ্রিওরাইটিং - নতুন ধারণাগুলোকে থামিয়ে না রেখে সম্পূর্ণ বাক্যে লেখা, যাতে ধারাবাহিকভাবে নতুন ধারণা আসতে পারে।
ভবিষ্যৎ পাঠক - যেসব ব্যক্তি ভবিষ্যতে আপনার লেখা পড়বেন।
ইমপ্লিমেন্টারস - যেসব ব্যক্তি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন।
চাকরি অনুসন্ধান ওয়েবসাইটসমূহ - অনলাইন সাইট যেখানে আপনি আপনার জীবনবৃত্তান্ত আপলোড করতে পারেন এবং চাকরিদাতাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যেমন: Monster.com, Careerbuilder.com, Theladders.com, Jobdig.com, Hotjobs.yahoo.com, BDJobs.com ইত্যাদি।
চিঠি - প্রতিষ্ঠানের বাইরের কারও উদ্দেশ্যে লেখা যোগাযোগপত্র।
মেমো - মেমোরান্ডাম এর সংক্ষিপ্তরূপ; এটি একটি সংক্ষিপ্ত লিখিত যোগাযোগ যা নির্দিষ্ট কোম্পানির বিন্যাস অনুযায়ী তৈরি হয়। এটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে একজন থেকে অন্যদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়।
আউটলাইন - একটি লিখিত ডকুমেন্টের মূল বিষয় বা অংশগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ যা লেখাটিকে আরও সংগঠিত ও সহজপাঠ্য করে তোলে।
PAR স্টেটমেন্ট - কাভার লেটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেখানে কোনো সমস্যা, সেই সমস্যার সমাধানে নেওয়া পদক্ষেপ এবং ফলাফল সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়। সাধারণত এটি কাভার লেটারের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে থাকে এবং সংশ্লিষ্ট চাকরির সাথে প্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত।
ফ্যান্টম পাঠক - যেসব ব্যক্তি আপনার লেখা পড়বেন, যদিও আপনি তাদের জন্য লেখা লেখেননি।
পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট (PDF) - অনলাইনে ডকুমেন্ট আদান-প্রদানের জন্য পছন্দনীয় ফরম্যাট। এডবি সিস্টেমস (Adobe Systems) এই ফরম্যাট তৈরি করেছে এবং এটি বিভিন্ন কম্পিউটার প্ল্যাটফর্মে সহজে ব্যবহারযোগ্য।
প্রফেশনাল রাইটিং - পেশাগত পরিবেশে সংঘটিত লেখা যা প্রভাবক, আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক এবং জটিল পাঠকগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে।
প্রস্তাবনা (প্রোপোজাল) - একটি ডকুমেন্ট যা সম্ভাব্য ক্রেতাকে প্রভাবিত করার জন্য তৈরি হয়।
রিডার-কেন্দ্রিক পন্থা - পাঠকের পরিস্থিতি, লক্ষ্য এবং প্রত্যাশা বিবেচনায় রেখে লেখা।
রিজ়্যুমে - একটি ডকুমেন্ট যাতে কারও শিক্ষা, পেশাগত অভিজ্ঞতা ও চাকরির যোগ্যতা সংক্ষেপে উপস্থাপিত থাকে। সাধারণত এটি এক পৃষ্ঠার মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত, তবে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদের জন্য ব্যতিক্রম হতে পারে।
স্কিল রিজ়্যুমে - এমন রিজ়্যুমে যেখানে আবেদনকারীর সাফল্য ও অভিজ্ঞতা শুরুতেই একত্রে উপস্থাপিত হয়।
স্টেকহোল্ডার - প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ও বাইরে যেসব ব্যক্তি আপনার লেখার দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন।
সুপারস্ট্রাকচার - কর্মক্ষেত্রে প্রায়ই ব্যবহৃত ডকুমেন্টগুলোর জন্য নির্ধারিত সাংগঠনিক কাঠামো।
টেকনিক্যাল রাইটিং - জটিল তথ্যকে স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত, সঠিক ও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের জন্য করা লেখা।
ইউজেবিলিটি - একটি লিখিত বার্তা পাঠকের দ্বারা তাদের নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনে কতটা সহজে ব্যবহারযোগ্য।
নকশা বিষয়ক পরিভাষা
[সম্পাদনা]টাইপোগ্রাফিক কনট্রাস্ট - ফন্টের বিভিন্ন আকার ও ওজন ব্যবহার করে উপাদানগুলোর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করা। এটি শিরোনাম ও মূল লেখার মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য তৈরিতে সবচেয়ে কার্যকর।
সাদা জায়গা - একটি ডকুমেন্টে তথ্য ছড়িয়ে দিতে ব্যবহৃত খালি জায়গা।
কারিগরি লেখার পরিভাষা
[সম্পাদনা]অ্যাবস্ট্র্যাক্ট - একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন বা প্রস্তাবনার শুরুতে থাকা সারসংক্ষেপ। এটি এক্সিকিউটিভ সামারি নামেও পরিচিত।
ব্যাক ম্যাটার - শেষ অধ্যায় বা অংশের পর যে উপাদানগুলো থাকে, যেমন: পরিশিষ্ট, শব্দকোষ, সূচিপত্র।
বটম-আপ প্রসেসিং - পাঠকরা একটি অনুচ্ছেদের ছোট ছোট তথ্য কিভাবে একত্রে গঠন করে তা বোঝার চেষ্টা করেন।
কারণ ও ফলাফল - একটি যোগাযোগ সংগঠিত করার উপায় যা একটি বিষয়ে অন্য বিষয়ের প্রভাবে কী ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করে।
শ্রেণিবিন্যাস - তথ্যকে সম্পর্কযুক্ত দলগুলোতে ভাগ করা।
তুলনা - দুটি বিভাগ থেকে যেকোনো একটি বেছে নিয়ে তথ্য শ্রেণিবিন্যাস করা।
ইকো শব্দ - এমন শব্দ যা পাঠকদের আগে পড়া তথ্যের কথা মনে করিয়ে দেয়।
এক্সিকিউটিভ সামারি - শীর্ষ ব্যবস্থাপকদের জন্য তৈরি সারসংক্ষেপ যা একটি আনুষ্ঠানিক রিপোর্টের মূল বিষয়গুলো সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করে।
ফোরকাস্টিং স্টেটমেন্ট - সামনের বিষয়বস্তুর কাঠামো সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়, প্রায়শই টপিক স্টেটমেন্টের সাথে দেখা যায়।
ফরমাল শ্রেণিবিন্যাস - যে বৈশিষ্ট্য সব আইটেমের মধ্যে বিদ্যমান তা অনুযায়ী দলবদ্ধ করা।
ফরমাল রিপোর্ট - এমন রিপোর্ট যাতে কভার পেজ, ফ্রন্ট ম্যাটার এবং ব্যাক ম্যাটার থাকে।
ফ্রন্ট ম্যাটার - শুরু অধ্যায়ের আগে থাকা উপাদান যেমন: শিরোনাম পৃষ্ঠা, এক্সিকিউটিভ সামারি, বা সূচিপত্র।
শিরোনাম - লেখায় পাঠককে পরবর্তী অংশ সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেয় এমন অংশ।
ইনক্লুসিভ ভাষা - এমন শব্দ যা লিঙ্গ-নিরপেক্ষ, যেমন: 'man', 'he', বা 'she' না লিখে নিরপেক্ষ শব্দ ব্যবহার করা।
ইনফরমাল শ্রেণিবিন্যাস - যেখানে শ্রেণিবিন্যাসের একক নিয়ম নেই বা বিভাগগুলোর মধ্যে ওভারল্যাপ আছে, তখন এমনভাবে দলবদ্ধ করা।
মেমো - কয়েকটি বাক্য থেকে কয়েক পৃষ্ঠার একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা যা সাধারণত লেখকের কর্মস্থলের ভেতরের অন্যদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়।
ওপেননেস - পাঠক আপনার লেখার প্রতি প্রাথমিকভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য মনোভাব পোষণ করেন।
প্যারালেলিজম - বাক্য ও তালিকাগুলোকে একধরনের গঠনগত সমান্তরালে সাজানো।
পার্টিশনিং - কোনো বস্তুকে আলাদা অংশে ভাগ করে বর্ণনা করা।
সমস্যা ও সমাধান - এমন একটি সংগঠনের ধরণ যা মূল সমস্যার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ করণীয় প্রস্তাব করে।
সেগমেন্টিং - কোনো প্রক্রিয়াকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করে বর্ণনা করা।
টপ-ডাউন প্রসেসিং - পাঠক যখন লেখার সামগ্রিক কাঠামো জানেন, তখন তারা জানেন কিভাবে তথ্য একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
টপিক স্টেটমেন্ট - অনুচ্ছেদটি কী বিষয়ে তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।
ট্রানজিশন - পাঠককে লেখার পার্শ্ববর্তী অংশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বোঝাতে সাহায্য করে।
ইউজেবিলিটি - আপনার কাঙ্ক্ষিত পাঠকরা কত সহজে আপনার লেখাটি ব্যবহার করে তাদের নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে পারে।