বিষয়বস্তুতে চলুন

কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা

উইকিবই থেকে

মৌলিক ন্যায়বিচারের জন্য প্রয়োজন এমন একটি ট্রাইবুনাল, যা কারও অধিকার নিয়ে রায় দিতে হলে সেটিকে অবশ্যই ন্যায্যভাবে, সদিচ্ছা নিয়ে, পক্ষপাতহীনভাবে এবং বিচারিক স্বভাব বজায় রেখে কাজ করবে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে তাদের বক্তব্য যথাযথভাবে উপস্থাপনের সুযোগ দিবে।[] বোর্ডের আচরণবিধি মূলত দুটি নীতির উপর ভিত্তি করে গঠিত এবং সেগুলোকে স্বীকৃতি দেয়: (১) আইআরবি-এর সততা, নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীনতার প্রতি জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন; এবং (২) সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা অপরিহার্য।[] বইয়ের এই অংশে শরণার্থী সংক্রান্ত প্রেক্ষাপটে এই প্রয়োজনীয়তাগুলোর ব্যাখ্যা দিতে ব্যবহৃত নীতিগুলোর আলোচনা করা হবে।

মামলা সূত্রে উদ্ভূত শরণার্থী কার্যপ্রণালীর ব্যাখ্যার নীতিসমূহ

[সম্পাদনা]

নিম্নে শরণার্থী বিষয়ক মামলাগুলো থেকে প্রাপ্ত পদ্ধতিগত ন্যায়বিচার সম্পর্কিত ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের কিছু মূল নীতিমালা তুলে ধরা হলো:

আইনগত বিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত নীতিমালা

[সম্পাদনা]

প্রথম ধাপে, একটি আইনগত বিধান ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তদাতা সংশ্লিষ্ট টেক্সট, প্রসঙ্গ ও উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করবেন।[] এটি করতে গিয়ে তারা "আধুনিক ব্যাখ্যার নীতি" অনুসরণ করবেন, অর্থাৎ, একটি আইনকে তার সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে, ব্যাকরণগত ও প্রচলিত অর্থে, আইনটির কাঠামো, উদ্দেশ্য এবং সংসদের অভিপ্রায়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পড়তে হবে।[] সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা এই পাঠ্যাংশের পরিসরের বাইরে হলেও কিছু সংক্ষিপ্ত মন্তব্য যথেষ্ট হতে পারে:

  • শব্দের প্রচলিত অর্থ: যখন কোনো আইনি বিধানের শব্দগুলো সুনির্দিষ্ট, দ্ব্যর্থহীন ও স্পষ্ট হয়, তখন সেগুলোর সাধারণ/প্রচলিত অর্থ ব্যাখ্যার প্রক্রিয়ায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।[] শুধুমাত্র আইনগত উদ্দেশ্য উল্লেখ করে কোনো বিধানের স্পষ্ট ভাষা উপেক্ষা করা ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।[] তবে, যদি কোনো বিধানের শব্দ একাধিক যৌক্তিক অর্থ বহন করতে পারে, তখন প্রচলিত অর্থ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে।[] যদি দুটি ব্যাখ্যা সম্ভব হয়, তবে যেটি বিধানের উদ্দেশ্যের সাথে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ সেটিকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।[] একক ও সঙ্গতিপূর্ণ শব্দপ্রয়োগের অনুমান: "একরূপ শব্দপ্রয়োগ" নীতিতে বলা হয়েছে, কোনও শব্দ বা বাক্যাংশ আইন এবং এর অধীন প্রবিধানের সর্বত্র কেবল একটি অর্থ বহন করে।[] একটি বিধিবদ্ধ মাধ্যমে একই শব্দকে একই অর্থ প্রদান করা সংবিধিবদ্ধ ব্যাখ্যার একটি মৌলিক নীতি। ভিন্ন শব্দ ব্যবহৃত হলে তা ভিন্ন অর্থ নির্দেশ করে।[১০] পাশাপাশি, যেসব আইন একই বিষয়ে প্রণীত, তাদের একত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত।[১১] যেসব মতবাদ উত্থাপিত হতে পারে তার মধ্যে একটি হলো প্যারিমেটেরিয়ায় বিধিসমূহ (অর্থাৎ একই বিষয় বা বিষয়ের উপর বিধি) সুসংহতভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/গোপনীয়তা আইন
  • Expressio unius est exclusio alterius: এই লাতিন নীতির অর্থ—একটি বিষয়ের স্পষ্ট উল্লেখ মানে অন্যটি বাদ দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আইনসভা স্পষ্টভাবে কোনো বিষয় সম্পর্কিত আইনের কেবলমাত্র নির্দিষ্ট অংশকে প্রণয়ন করে, তখন আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য অন্তর্নিহিত বর্জন যুক্তির উপর নির্ভর করতে পারে বাকি অংশ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।[১২]  অন্য কথায়, যদি আইনসভার ইচ্ছা থাকত কোনো উপাদান অন্তর্ভুক্ত করার, তাহলে আদালত আশা করতে পারে যে সেই উপাদানটিকে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে।[১৩]
  • শরণার্থী আইনে ব্যতিক্রমসমূহ কঠোরভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।[১৪] কঠোর ব্যাখ্যা নীতি হচ্ছে, কোনো বিধান শরণার্থীদের অবস্থানকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করলে, ব্যাখ্যায় অস্পষ্টতা থাকলে তা আবেদনকারীর পক্ষে ব্যাখ্যা করতে হবে।[১৫] প্রশাসনিক ব্যাখ্যায় সংশ্লিষ্ট বিধানের প্রয়োগে বিরূপ পরিণতি সম্পর্কে বিবেচনা করতে হবে এবং বিচার করতে হবে আইনসভার সত্যিই এমন প্রয়োগের অভিপ্রায় ছিল কিনা।[১৬] শরণার্থীদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এমন বিধান কঠোরভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।[১৭]
  • পুনরুক্তি বিরোধী অনুমান: আইনসভা অপ্রয়োজনীয় ও পুনরাবৃত্ত শব্দ ব্যবহার করে না ধরে নেওয়া হয়।[১৮]
  • অবাস্তবতার বিরুদ্ধে অনুমান: আইনসভা এমন কিছু উদ্দেশ্য করেন না যার পরিণতি হবে অযৌক্তিক বা অবাস্তব।[১৯]
  • ব্যাখ্যা আইন অনুযায়ী ব্যাখ্যার অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নীতিগুলো অন্তর্ভুক্ত, যেমন—ইন্টারপ্রিটেশন অ্যাক্ট এর ধারা ১১ অনুযায়ী “may” শব্দটি নির্দেশ করে ঐচ্ছিকতা,[২০] এবং ধারা ১৪ অনুযায়ী, মার্জিনাল নোট ও শিরোনাম আইনের অংশ নয়, শুধুমাত্র রেফারেন্সের জন্য থাকে (তবে ব্যাখ্যার প্রক্রিয়ায় সেগুলো বিবেচনাযোগ্য, যদিও অন্য ব্যাখ্যামূলক উপকরণের তুলনায় কম গুরুত্ব পাওয়া উচিত)।[২১]
  • গৌণ আইন: বিধিমালা ও আইনের সম্পর্ক আরপিডি ও আরএডি-এর কিছু বিধান শুধুমাত্র পদ্ধতিগত, যা আই আর পি এ.-তে নির্ধারিত ডিভিশনের বিস্তৃত সিদ্ধান্তগ্রহণ ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করতে পারে না বলে বলা হয়ে থাকে।[২২]

মৌলিক ন্যায়বিচারের জন্য প্রয়োজন যে একটি ট্রাইব্যুনাল যা অধিকারের বিষয়ে রায় দেয় তাকে অবশ্যই ন্যায্যভাবে, সরল বিশ্বাসে, পক্ষপাত ছাড়াই এবং বিচারিক মেজাজে কাজ করতে হবে এবং দলগুলোকে তাদের মামলা যথাযথভাবে বিবৃত করার সুযোগ দিতে হবে।  বোর্ডের আচরণের মানগুলো মৌলিকভাবে দুটি নীতির উপর ভিত্তি করে এবং স্বীকৃতি দেয়: (i) আইআরবির সততা, উদ্দেশ্যমূলকতা এবং নিরপেক্ষতার প্রতি জনগণের আস্থা এবং আস্থা অবশ্যই সংরক্ষণ এবং বাড়ানো উচিত; এবং (২) সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা প্রয়োজন।  বইয়ের এই বিভাগটি শরণার্থী প্রসঙ্গে এই প্রয়োজনীয়তাগুলো ব্যাখ্যা করার সময় ব্যবহৃত নীতিগুলো অন্বেষণ করবে।

বোর্ড সম্পর্কিত যুক্তিসংগত প্রত্যাশাসমূহের নীতিমালা

[সম্পাদনা]
  • প্রথমত, বোর্ড যেন ক্ষতি না করে। বোর্ড তাদের শরণার্থী আপিল বিভাগের কার্যক্রমের জন্য তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশের নির্দেশাবলীতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে "নির্ধারিত সদস্য আপিলের বিষয়বস্তু ব্যক্তির সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য চাইবেন এবং সেই তথ্য ব্যবহার করবেন কেবল তখনই, যখন তিনি ঝুঁকি মূল্যায়ন সম্পন্ন করবেন এবং নিশ্চিত হবেন যে এই তথ্য সংগ্রহের ফলে আপিলের বিষয়বস্তু ব্যক্তি অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা বা নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার গুরুতর সম্ভাবনা নেই।"[২৩] এটি একটি সাধারণ নীতিমালা যা অন্যান্য অনুরূপ তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ, যেকোনো পরিস্থিতিতে এবং সব সময়, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কর্মীদের দায়িত্ব হলো যাতে তারা ভুক্তভোগী, সাক্ষী এবং অন্যান্য সহযোগী ব্যক্তিদের জীবন, নিরাপত্তা, স্বাধীনতা এবং সুস্থতার ক্ষতি না করে।[২৪] একই রকম দায়িত্ব যুক্তিসঙ্গতভাবে কানাডার ইমিগ্রেশন ও রিফিউজি বোর্ডের কর্মীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। তবে যদি বোর্ড সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বা দেওয়ানি অভিযোগ থেকে আইনগত সুরক্ষা রয়েছে।
  • রিফিউজি প্রসঙ্গে একটি উচ্চ মাত্রার প্রক্রিয়াগত ন্যায্যতা প্রদান করতে হয়। ফেডারেল আপিল আদালত বলেছে, “বোর্ডের স্বাধীনতা, তাদের বিচারিক পদ্ধতি ও কার্যাবলি এবং এ বিষয়টি যে তাদের সিদ্ধান্ত দাবি দাতাদের চার্টার অধিকারকে প্রভাবিত করে—এসবই নির্দেশ করে যে বোর্ডের দায়িত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগত ন্যায্যতা, যার মধ্যে পক্ষপাতহীনতার দায়িত্বও রয়েছে, তা ন্যায্যতার ধারাবাহিকতার উচ্চ স্তরে পড়ে।”[২৫]
  • ট্রাইব্যুনাল এবং এর পদ্ধতিগুলো যতটা সম্ভব সবার জন্য সহজলভ্য হওয়া উচিত।[২৬] ফেডারেল কোর্ট বলেছে যে, রিফিউজি মর্যাদা নির্ধারণ সম্পর্কিত আই আর পি এ.-এর বিধানগুলো আইনসভাগতভাবে সেই উদ্দেশ্য প্রকাশ করে যে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলার শুনানির আনুষ্ঠানিকতা এড়ানো উচিত।[২৭] এই লক্ষ্যে, ইউএনএইচসিআর-এর নির্বাহী কমিটি রাষ্ট্রগুলোকে সুপারিশ করেছে যে তারা রিফিউজি আবেদনকারীদের যথাযথভাবে প্রক্রিয়াটি কীভাবে অনুসরণ করতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেবে।[২৮] উদাহরণস্বরূপ, আরপিডি আবেদনকারীদের জানায়: "যদি আপনি আবেদনপত্র পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি অ্যাক্সেস করতে সমস্যা অনুভব করেন, তবে আপনাকে সঙ্গে সঙ্গে আরপিডি রেজিস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তারা আপনাকে মেইল বা ফ্যাক্সের মাধ্যমে ফর্মটি পাঠাতে পারে। আপনি চাইলে আইআরবি অফিস থেকে সরাসরি ফর্ম সংগ্রহের অনুরোধও করতে পারেন।"[২৯] যদি বোর্ড এমন কিছু করে যাতে একজন আবেদনকারী ভুল ধারণা পায় যে তার অধিকার কী বা প্রাসঙ্গিক নিয়মগুলো কী—তাহলে এটি বোর্ডের ত্রুটি হিসেবে বিবেচিত হয়।[৩০]
  • দাবিদারদের আইনি পরামর্শ দেওয়া বোর্ডের কাজ নয়। আরপিডি জানায়, তাদের রেজিস্ট্রি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, কিন্তু তারা ফর্মে কী থাকতে হবে সে বিষয়ে (যা আইনগত পরামর্শ) কোনো নির্দেশনা দিতে পারে না।[৩১] সুন্দরম বনাম কানাডা মামলায় ফেডারেল কোর্ট বলেছে, তারা অভিবাসন ব্যবস্থার মধ্যে কর্মকর্তাদের ওপর অনুশীলন ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে প্রস্তুত নয়। পরামর্শ দেওয়া একেবারেই ভিন্ন বিষয়, যেটি সেইসব কোর্টের সিদ্ধান্ত থেকে আলাদা যেগুলোতে বলা হয়েছে যে, কর্মকর্তাদের আবেদনের জন্য প্রাসঙ্গিক ফর্ম সরবরাহ করতে হবে। মানুষ সরকারের ফর্ম পাওয়ার অধিকার রাখে; কিন্তু তারা আরপিডি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ পাওয়ার অধিকার রাখে না।[৩২] আইন বনাম কানাডা মামলায় ফেডারেল কোর্ট বলেছে যে, কোনো প্রশাসনিক ট্রাইবুনালের ওপর এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে, তারা আইনজীবী নিয়োগ না দেওয়া কোনো দাবি উপস্থাপনকারীর পক্ষ থেকে কাজ করবে।[৩৩] অন্যভাবে বললে, ‘‘বোর্ডের দায়িত্ব নয় যে তারা আবেদনকারীর দাবির সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের আইন ‘শেখাবে’।’’[৩৪] একইভাবে, কোর্ট বা ট্রাইবুনালের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে তারা আইন বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে ছোট খাটো কোর্স করাবে।[৩৫] সিং বনাম কানাডা মামলায় ফেডারেল কোর্ট বলেছে, "আবেদনকারীদের পক্ষে মামলা তৈরি করা আরএডি-এর দায়িত্ব নয়।"[৩৬] তবে স্ব-উপস্থাপনকারী আবেদনকারীদের সম্পর্কে এই পাতাটি দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি নিয়ম ১৪-১৬ - আইনজীবীর নিয়োগ। একটি দাবিতে কী কী আইনগত বিষয় প্রাসঙ্গিক, তা বোর্ড চিহ্নিত করবে—এ সংক্রান্ত প্রত্যাশা নিয়েও দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার
  • ট্রাইবুনালের সিদ্ধান্ত আইনের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। মামলার নিষ্পত্তি হওয়া উচিত সেই সমস্ত আইনের ভিত্তিতে যা বোর্ডের জন্য বাধ্যতামূলক, শুধু সেই আইন নয় যা পক্ষগণ প্যানেলের সামনে উপস্থাপন করেছে।[৩৭] প্যানেলগুলোর উচিত সব আইনি ও প্রক্রিয়াগত শর্ত পালন করা, এবং অন্য প্যানেলের আচরণ পর্যালোচনার সময় ‘‘নিয়মিত কার্যক্রমের অনুমান’’ গ্রহণ করা, যা শুধুমাত্র ‘‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’’ দ্বারা খণ্ডন করা যায়।[৩৮] দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার। এটি কানাডার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ; আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বলেছে যে, একটি প্যানেল পক্ষগণের উপস্থাপিত যুক্তি দ্বারা সীমাবদ্ধ নয় এবং প্যানেল আইনগত বিষয় সম্পর্কে বিচারিক জ্ঞানের মাধ্যমে অবহিত থাকবে এবং তাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রাসঙ্গিক সকল নিয়ম বিবেচনা করতে বাধ্য।[৩৯] দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি নিয়ম ২২ - বিশেষজ্ঞ জ্ঞান
  • ট্রাইবুনালের উচিত নিজের বিচারধারা গড়ে তোলা। আইনের সীমার মধ্যে ফেডারেল কোর্ট মন্তব্য করেছে যে, বোর্ডের নিজস্ব বিচারধারা গড়ে তোলার সম্ভাবনা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।[৪০]
  • বোর্ডের প্রক্রিয়া পূর্বানুমেয় হওয়া উচিত। বোর্ড জানায় যে সদস্যদের উচিত বোঝার চেষ্টা করা যে অন্যান্য প্যানেল কীভাবে বিভিন্ন ইস্যু মোকাবিলা করছে এবং যেখানে সম্ভব, সেই একই পথে চলার চেষ্টা করা উচিত যাতে করে রিফিউজি বিভাগের প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা যায়।[৪১] মানবাধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে আমেরিকান ঘোষণাপত্র-এ প্রতিফলিত সমান সুরক্ষা ও যথাযথ প্রক্রিয়ার মৌলিক নীতিগুলো পূর্বানুমেয় প্রক্রিয়ার দাবি করে।[৪২] কানাডার অবস্থান হলো, তারা আই আর পি এ.-র মান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমেরিকান ঘোষণাপত্রের প্রাসঙ্গিক অংশ বাস্তবায়ন করে।[৪৩] একইভাবে, ইউএনএইচসিআর তাদের শরণার্থী অবস্থা নির্ধারণের জন্য পদ্ধতিগত মানদণ্ড-এ জানায়, "আরএসডি আবেদনসমূহকে স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে।"[৪৪] তবে, ফেডারেল কোর্ট জানিয়েছে, ট্রাইবুনালের অধিকার রয়েছে নির্ধারিত বিধান প্রয়োগে নির্দিষ্ট কেসের প্রেক্ষিতে বেশি বা কম নমনীয়তা প্রদর্শন করার।[৪৫] দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার
  • বোর্ডের নিজস্ব দোষের জন্য পক্ষগুলোর দোষ খোঁজা উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, হুসেইন বনাম কানাডা মামলায় সরকার দেখায় যে টরন্টোর আইআরবি অফিস পরিত্যাগ শুনানির একদিন আগে স্থানান্তর অনুরোধ পেয়েছিল। আদালত মন্তব্য করে, "এটি আইআরবি-র আঞ্চলিক অফিসগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের বিষয়। কারণ ক্যালগেরি আইআরবি অফিস তিন সপ্তাহ আগে ব্যক্তিগতভাবে স্থানান্তর অনুরোধটি গ্রহণ করেছিল। আবেদনকারীদের নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবের বাইরে থাকা এই বিলম্বের জন্য তাদের দোষ দেওয়া অন্যায় হবে।"[৪৬]
  • নীতিনির্ধারকদের উচিত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রস্তুতি নেওয়া কানাডার ইমিগ্রেশন ও শরণার্থী বোর্ডের সদস্যদের জন্য আচরণবিধিতে বলা হয়েছে: "মেম্বারদের উচিত প্রতিটি সিদ্ধান্ত কেসের মেরিটের ভিত্তিতে, প্রাসঙ্গিক তথ্যের যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে এবং প্রযোজ্য আইন প্রয়োগ করে গ্রহণ করা।"[৪৭] ফেডারেল কোর্ট উল্লেখ করেছে যে প্রতিটি সুরক্ষা আবেদন একইরকম মনোযোগ পাওয়ার দাবি রাখে।[৪৮] আদালত আরও বলেছে, সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত “মনোযোগ ও যত্নের সঙ্গে।”[৪৯] বিস্তারিত দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/বোর্ডের অনুসন্ধানমূলক দায়িত্ব#দ্য রিফিউজি প্রোটেকশন ডিভিশনের একটি ইনকুইজিটরিয়াল ম্যান্ডেট রয়েছে
  • সিদ্ধান্তগ্রহণকারীদের উচিত তাদের সামনে থাকা সমস্ত প্রমাণ বিবেচনা করা। কানাডার শরণার্থী আইনে একটি পূর্বধারণা রয়েছে যে সিদ্ধান্তগ্রহণকারীরা তাদের সামনে থাকা সব প্রমাণ বিবেচনা করেছেন।[৫০] কোনো তথ্য যদি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়, বিশেষ করে যদি তা গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, তাহলে তা ব্যাখ্যা ও আলাদাভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা বেশি। এতে সময় প্রয়োজন। আশ্রয়প্রার্থী সম্পর্কিত মামলাগুলোকে বলা হয় ‘অত্যন্ত তথ্যনির্ভর’। সেখানে অনেক বিস্তারিত ও ডকুমেন্ট উপস্থাপন ও বিবেচনা করা লাগে, যা সময়সাপেক্ষ।[৫১] বিচারসম্পর্কিত সামাজিক মনোবিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যয়িত সময় ও যথার্থতার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে: যেসব বিচারকের মামলার সংখ্যা বেশি, তারা বেশি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, কারণ তারা কম ভাবনাচিন্তা করে এবং বেশি “gut feeling” বা অনুমানের উপর নির্ভর করেন।[৫২] তবে দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/বোর্ডের অনুসন্ধানমূলক দায়িত্ব#বোর্ডের সবচেয়ে আপ টু ডেট দেশের অবস্থার প্রমাণ বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও, একটি পূর্বধারণা থাকে যে সদস্যরা কেবলমাত্র তাদের সামনে থাকা নথিপত্রের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেন এবং অন্য কোনো ফাইল থেকে তথ্য ব্যবহার করেন না।[৫৩]
  • বোর্ডের উচিত তাদের দেওয়া ব্যাখ্যার মাধ্যমে পক্ষগুলো যেন নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে পেরেছে বলে মনে করে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা। দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার
  • দাবিগুলো দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা উচিত। বিস্তারিত দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই আইনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে দক্ষ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
  • বোর্ডের উচিত নিশ্চিত করা যে যারা বোর্ডের সামনে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত হচ্ছেন তারা আইন ও বিধিমালার অধীনে অনুমোদিত কিনা তা যাচাই করা: ফেডারেল কোর্ট উল্লেখ করেছে, "বোর্ডের ওপর দায়িত্ব রয়েছে যে যারা তাদের সামনে ক্লায়েন্টদের পক্ষে উপস্থিত হন তারা আইনি প্রতিনিধিত্বের বিধি অনুসারে অনুমোদিত কিনা তা যাচাই করার। অথবা তারা সেবার জন্য কোনো ফি নিচ্ছেন না কি না তা নিশ্চিত করার।"[৫৪] আইআরবি-এর উচিত নয় জেনে-শুনে এমন কাউন্সেলের সঙ্গে কাজ করা যারা আই আর পি এ.-র ৯১ ধারা বা নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরামর্শদাতাদের কলেজের শর্তাবলি লঙ্ঘন করছে। তবে যদি স্পষ্টভাবে অযোগ্য প্রতিনিধি না হয়, তাহলে এ দায়িত্ব বোর্ডের ওপর বর্তায় না যে তারা একজন দাবিদারের নির্বাচিত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে অন্য দাবিদারদের অভিযোগের বিষয়ে তাকে অবহিত করবে, যদি না সেই অভিযোগ তার নিজের দাবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়।[৫৫] দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি নিয়ম ৩-১৩ - তথ্য ও দাখিলযোগ্য নথিপত্র#কাউন্সেল ফি ছাড়াই প্রতিনিধি হতে পারে যারা আইনজীবী, প্যারালিগাল বা অভিবাসন পরামর্শদাতা নয় এবং আরও দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করা এবং প্রয়োগ করা উচিত যা কানাডা সরকার এবং কলেজ অফ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সিটিজেনশিপের মতো বেসরকারী সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার সুবিধার্থে কনসালট্যান্ট
  • বোর্ডকে যাচাই করতে হবে যে বোর্ডের সামনে উপস্থিত প্রতিনিধিরা আইন এবং বিধি অনুসারে অনুমোদিত: ফেডারেল কোর্ট উল্লেখ করেছে যে "বোর্ডের উপর একটি কর্তব্য রয়েছে যে ক্লায়েন্টদের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিরা যাদের সাথে লেনদেন রয়েছে তারা প্রবিধান অনুসারে অনুমোদিত প্রতিনিধি, বা তারা তাদের পরিষেবাগুলোর জন্য কোনও ফি পাচ্ছেন না।  আইআরবি জেনেশুনে আইআরপিএর ৯১ ধারা বা কলেজ অফ সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টসের প্রয়োজনীয়তা লঙ্ঘন করে কাউন্সেলের সাথে আচরণ করা উচিত নয়। যাইহোক, স্পষ্টতই অযোগ্য প্রতিনিধিত্বের অনুপস্থিতিতে, এটি ট্রাইব্যুনালের উপর কোনও দাবিদারের পরামর্শের পছন্দে হস্তক্ষেপ করার দায়িত্ব অর্পণ করে না যা তাদের নিজস্ব দাবির সাথে সম্পর্কিত নয় এমন সেই পরামর্শের বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সম্পর্কে অবহিত করে।  

বোর্ড যেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে সে সম্পর্কে নীতিমালা

[সম্পাদনা]

কানাডার ইমিগ্রেশন ও রিফিউজি বোর্ডের সদস্যদের আচরণবিধি আইআরবি-এর সততা, সদিচ্ছা, ন্যায়পরতা, জবাবদিহিতা, মর্যাদা, শ্রদ্ধাবোধ, স্বচ্ছতা, উন্মুক্ততা, বিচক্ষণতা, সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা ও আনুগত্য—এই মূল মূল্যবোধগুলোর প্রতি অঙ্গীকারের ভিত্তিতে গঠিত।[৫৬] বোর্ডের সকল কার্যক্রম ও সিদ্ধান্তে এসব মূল্যবোধ প্রতিফলিত হওয়া উচিত। বিশেষভাবে:

  • ন্যায়বিচার বাস্তবায়িত হওয়া যেমন জরুরি, তেমনি তা যেন স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয় তাও গুরুত্বপূর্ণ। বোর্ডের একটি প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব হচ্ছে নিশ্চিত করা যে ট্রাইবুনালের বিচারিক কাজ উচ্চমাত্রার দক্ষতা, ন্যায়পরতা ও বস্তুনিষ্ঠতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে এবং তা যেন যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলেই দেখা যায়।[৫৭] একদিকে দক্ষতার সাথে দ্রুত একাধিক মামলা নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তা, অন্যদিকে বিবেচনাপূর্ণ, মনোযোগী ও ন্যায়সংগত থাকার প্রয়োজনীয়তার মধ্যে একটি টানাপোড়েন বিদ্যমান (এবং তা যেন সেভাবেই প্রতীয়মান হয়)।[৫৮] প্রথম দিকের দৃষ্টিভঙ্গি যেন দ্বিতীয় দিকের গুরুত্বকে খর্ব না করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শুনানিতে রিফিউজি প্রোটেকশন ডিভিশন একজন সদস্যকে দ্বৈতভাবে বরাদ্দ করেছিল, যিনি একক শুনানির জন্য নির্ধারিত সময়ে দুটি শুনানি শেষ করতে চেষ্টা করেন; এ বিষয়ে আদালত মন্তব্য করে: "যদিও আমি দক্ষতার দিক থেকে দেখলে প্রশংসা করি যে ওই সদস্য উভয় বিষয়ে শুনানির জন্য প্রস্তুত ছিলেন, তবে শুনানিতে যে তড়িঘড়ি ভাব দেখা গিয়েছিল তা প্রক্রিয়াটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠে বোঝা যায় যে ওই সদস্যের মধ্যে শুনানি শেষ করার বিষয়ে কিছুটা অধৈর্যতা ও উদ্বেগ ছিল।"[৫৯]
  • পক্ষগণ সঙ্গতভাবে প্রত্যাশা করতে পারে যে একই ধরনের মামলাগুলোর নিষ্পত্তি বোর্ড একইভাবে করবে। বিচারিক শিষ্টাচারের নীতি অনুযায়ী, একই আদালতের বিচারকগণ পূর্ববর্তী বিচারকদের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন, যদিও সেগুলো বাধ্যতামূলক নয়। একই নীতি আইআরবি-এর একই ডিভিশনের সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ, ফেডারেল কোর্ট বলেছে যে একটি ডিভিশনের বিধি সকল পক্ষের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য এবং ভিন্ন প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় ভিন্ন মানদণ্ডে পক্ষগণকে বিচার করা যুক্তিসঙ্গত নয়।[৬০] সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধারাবাহিকতা সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত জানতে দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার
  • বোর্ডের প্রক্রিয়া শুধুমাত্র বিচারিক কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। আদালত স্বীকৃতি দিয়েছে যে আইআরবি-এর মতো প্রশাসনিক সংস্থাগুলোকে “অফিসের ভারী চাপ সামলাতে এবং সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারে প্রক্রিয়াগত উদ্ভাবন করতে হয়।”[৬১] বোর্ডের প্রক্রিয়া “শুধুমাত্র বিচারিক কাঠামোর উপর নির্ভর করে এমন কোনো সুবিচার মডেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় যা উদ্ভাবন নিরুৎসাহিত করে। তবে গুণগতমান ও ধারাবাহিকতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি প্রক্রিয়াগুলো এমনভাবে প্রয়োগ করা উচিত নয় যাতে প্রতিটি প্যানেল নিজ নিজ ক্ষেত্রে দাবি করার প্রার্থীকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা দিতে ব্যর্থ হয়।”[৬২] উদাহরণস্বরূপ, আদালত বলেছে: “বোর্ডের একটি শুনানিকে বিচারিক মামলায় পরিণত করা উচিত নয়। যদিও এই শুনানির পরিণতি গুরুতর এবং প্রক্রিয়াগত সুবিচারের মানদণ্ডও উপযুক্ত হওয়া উচিত, তবে তা ফৌজদারি আইনের মতো সম্পূর্ণ প্রকাশের পর্যায়ে পৌঁছায় না।”[৬৩]
  • প্রশাসনিক সুবিধা যেন মৌলিক ন্যায়বিচারের উপর প্রাধান্য না পায়, যার মধ্যে প্রক্রিয়াগত সুবিচার অন্তর্ভুক্ত।[৬৪] আশ্রয় নির্ধারণ প্রশাসনিক আইনের কাঠামোর মধ্যে অবস্থিত। সেখানে দক্ষতা ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সুবিচার ও ন্যায়পরতার ভারসাম্য রক্ষা অত্যন্ত জটিল একটি কাজ।[৬৫] যুক্তরাজ্যে তথাকথিত ডিটেইন্ড ফাস্ট ট্র্যাক (DFT) ব্যবস্থাকে বাতিল করে ২০১৫ সালের এক রায়ে লর্ড ডাইসন বলেন, “ন্যায়বিচার ও সুবিচার যেন দ্রুততা ও দক্ষতার বলিদানে পরিণত না হয়।”[৬৬] কানাডার ফেডারেল কোর্ট বলেছে, বোর্ড “…একদিকে দ্রুত প্রক্রিয়ার এবং অন্যদিকে প্রক্রিয়াগত সুবিচার বা প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের মধ্যে একটি ভারসাম্য স্থাপন করতে বাধ্য।”[৬৭]
  • নিয়মের ব্যাখ্যা যেন অত্যন্ত কঠোর না হয়। আদালত বলেছে, রিফিউজি প্রোটেকশন ডিভিশনের নিয়ম ব্যাখ্যা করার সময় “প্রক্রিয়াগত গোঁড়ামির জঞ্জালে না পড়ে”[৬৮] উচিত, কারণ “প্রক্রিয়া যেন ন্যায়বিচারের সেবক হয়, শাসক নয়।”[৬৯] ফেডারেল কোর্ট বলেছে, “যারা সাধারণ প্রক্রিয়াগত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের জন্য দরজা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত নয়। এমন একটি কঠোর ব্যাখ্যা কানাডার শরণার্থী ব্যবস্থার প্রতি অঙ্গীকার ও আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতাকে ক্ষুণ্ন করবে।”[৭০] আদালত আরও বলেছে, “নিপীড়নের কবল থেকে একটি পরিবারকে মুক্ত করার সুযোগ যেন কঠোর প্রক্রিয়াগত শর্তের ভিত্তিতে প্রত্যাখ্যান না করা হয়।”[৭১] নিয়মের সারবত্তা হলো: ন্যায়বিচারকে প্রাধান্য দিয়ে নমনীয়তা প্রয়োগ করা উচিত যাতে সিদ্ধান্ত গঠনগত বিষয়ে নয় বরং তার বাস্তব ভিত্তিতে গৃহীত হয়।[৭২] প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও শরণার্থী আবেদন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে।[৭৩] ফেডারেল কোর্ট গ্লোওয়াকি বনাম কানাডা মামলায় বলেছে, কোনো আইনজীবীর ত্রুটি বা ভুল যেন ন্যায়বিচারের ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে।[৭৪] এই নীতি কোভিড-১৯ মহামারির সময় আরও জোরালোভাবে প্রযোজ্য ছিল: ২০২০ সালের শরণার্থী সুরক্ষা বিভাগ: সশরীরে শুনানি পুনরায় শুরু করার বিষয়ে অনুশীলন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বোর্ড নিয়মগুলোর ক্ষেত্রে নমনীয়তা প্রয়োগ করবে।[৭৫]
  • আবেদনকারীদের প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং যারা আইনজীবী ছাড়া থাকেন তাদের জন্য নিয়ম শিথিল হওয়া উচিত। শরণার্থী আবেদনকারীদের প্রতিনিধিত্ব একটি মৌলিক সাংবিধানিক ও প্রচলিত আইনগত মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ: গুরুতর পরিণতি যুক্ত জটিল আইনি প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যক্তিদের যেন পূর্ণাঙ্গ ও ন্যায়সঙ্গত শুনানি নিশ্চিত করতে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার সুযোগ থাকে।[৭৬] আদালত বলেছে, যে পক্ষের কোনো আইনজীবী নেই, তারা “সম্পূর্ণরূপে মামলা উপস্থাপন করার জন্য সর্বোচ্চ সম্ভব ও যুক্তিসঙ্গত সুযোগ পাবে এবং কড়া ও কারিগরি নিয়ম তাদের ক্ষেত্রে শিথিল হওয়া উচিত।”[৭৭] ফেডারেল কোর্ট কানাডিয়ান জুডিশিয়াল কাউন্সিলের স্ব-প্রতিনিধিত্বকারী মামলাকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নীতিমালার বিবৃতি উদ্ধৃত করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, স্ব-প্রতিনিধিত্বকারী পক্ষদের সহায়তা দিতে আদালতেরবিবেচনার এখতিয়ার রয়েছে, তবে তা উপস্থাপিত আইনি দুর্বলতা পূরণের পর্যায়ে পৌঁছায় না।[৭৮] আরও বিস্তারিত জানতে দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি নিয়ম ১৪-১৬ - আইনজীবীর নিয়োগ#স্ব-প্রতিনিধিত্বকারী দাবিদারদের সাথে আচরণ করার সময় বোর্ডের পদ্ধতিগত ন্যায্যতার উচ্চতর দায়িত্ব থাকতে পারে
  • সদস্যদের উচিত ন্যায়বোধ ও সংবেদনশীলতার মনোভাব নিয়ে বিচক্ষণতা প্রয়োগ করা। বোর্ড তার দিকনির্দেশনা ৮-এ উল্লেখ করেছে যে, আইআরবির সামনে উপস্থিত হওয়া প্রতিটি ব্যক্তিকে সংবেদনশীলতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আচরণ করতে হবে।[৭৯] ফেডারেল কোর্টের মামলাও বলেছে যে, সদস্যদের সব সময় আবেদনকারীদের প্রতি মনোযোগী ও সংবেদনশীল থাকতে হবে।[৮০] ফেডারেল কোর্ট আরও বলেছে যে, সদস্যদের কাছ থেকে “ভদ্রতা ও সতর্কতা”-র সঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা করা হয়।[৮১] শরণার্থী মর্যাদা নির্ধারণের কাজ কীভাবে করতে হবে, সে বিষয়ে ইউএনএইচসিআর-এর হ্যান্ডবুকের নিম্নলিখিত মন্তব্যটি শিক্ষণীয়: “কারণ কেসের তথ্য নিয়ে পরীক্ষকের সিদ্ধান্ত ও আবেদনকারীর প্রতি তার ব্যক্তিগত ধারণা এমন এক সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে যা মানবজীবনে প্রভাব ফেলবে, সুতরাং তার উচিত ন্যায়বোধ ও সহানুভূতির মনোভাব নিয়ে মানদণ্ড প্রয়োগ করা এবং অবশ্যই আবেদনকারীকে 'অযোগ্য' মনে করে তার রায়কে প্রভাবিত করা উচিত নয়।”[৮২] জার্মানির আনসবাখ আদালত বলেছে যে, “জেনেভা কনভেনশনের আত্মাকে সম্মান জানাতে হলে, এর বিধানগুলোকে উদার ও মানবিক সহানুভূতির ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করা উচিত, এবং তাই উদারভাবে।” [অনূদিত][৮৩] ইমিগ্রেশন ও রিফিউজি বোর্ড গঠনের পেছনে যে প্রতিবেদনটি ছিল, তার রচয়িতা রাব্বি প্লাউট লিখেছেন: “শরণার্থী নির্ধারণ প্রক্রিয়াকে একটি স্বাগত জানানো কর্ম হিসেবে দেখা এবং পরিকল্পনা করা উচিত। এটি অবশ্যই আমাদের মানবিক বোধ ও দায়িত্বের প্রতি সাড়া দেবে এবং যেকোনো অপ্রাসঙ্গিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক থাকবে।”[৮৪] ফেডারেল কোর্ট এ বিষয়ে বলে যে, শরণার্থীর আবেদন পদ্ধতিতে আবেদনকারী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন না।[৮৫]
  • বোর্ডের একটি প্যানেলের উচিত সমস্ত প্রমাণ শোনার আগে উন্মুক্ত মনোভাব বজায় রাখা। সদস্যদের সবসময় “বিচারিক মেজাজ” বজায় রাখা উচিত।[৮৬] অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ধৈর্য সহকারে শ্রবণ ও “পেশাদার ভদ্রতা” দেখানো প্রয়োজন।[৮৬] ফেডারেল কোর্ট Ayele v. Canada মামলায় বলেছে, “বিচারিক প্রক্রিয়ার মূল বিষয় হলো সমস্ত প্রমাণ শোনার আগ পর্যন্ত উন্মুক্ত মনোভাব রাখা। কোনো প্রমাণের নির্ভরযোগ্যতা নির্ধারিত হয় কেসটির সকল প্রমাণ বিবেচনায় নিয়ে। এ কারণেই একজন সিদ্ধান্তদাতা যতক্ষণ না সমস্ত প্রমাণ ও উপস্থাপন সম্পন্ন হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রভাবিত না হয়ে খোলা মন রাখতে বাধ্য।” প্রাথমিকভাবে অবিশ্বাস্য মনে হওয়া কোনো প্রমাণ পরবর্তীতে নতুন প্রেক্ষাপটে বিশ্বাসযোগ্য মনে হতে পারে।[৮৭] দেখুন : কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর অধিকার # বিবৃতি বা আচরণ যা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর পক্ষ থেকে একটি প্রবণতা নির্দেশ করতে পারে।
  • বোর্ডের উচিত দাখিলকৃত বক্তব্য ও যুক্তির ব্যাখ্যা “উদার মনোভাব”-এর আলোকে করা। ফেডারেল কোর্ট বলেছে, কোনো সিদ্ধান্তে যদি কলমচ্যুতি বা অসতর্ক ভুল হয়ে থাকে, তাহলে শুধু সে কারণে সিদ্ধান্তকে দোষারোপ করা উচিত নয়।[৮৮] বোর্ড যখন কোনো উপস্থাপন বা যুক্তির মূল্যায়ন করে, তখন একই নীতিই প্রযোজ্য হওয়া উচিত। লেখার ভুল হতে পারে, এবং তা কোনো আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যানের একমাত্র ভিত্তি হওয়া উচিত নয়।[৮৯] কানাডিয়ান আদালতের জন্য বলা একটি পর্যবেক্ষণ এখানে সমভাবে প্রযোজ্য: কারণ ব্যাখ্যাগুলো “বিচারকের পূর্ণ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ার একটি শব্দ-বিশ্লেষণ” হিসেবে পড়া উচিত নয়।[৯০] কানাডার সুপ্রিম কোর্টের ভাষায়, বোর্ডের যুক্তির ব্যাখ্যাগুলো “আণবিক পর্যবেক্ষণে” পড়া উচিত নয়।[৯১]
  • আবেদনকারীকে অসত্য বলা বা কু-উদ্দেশ্য আরোপ করার আগে বোর্ডের উচিত দৃঢ় কারণ থাকা। ফেডারেল কোর্ট বলেছে, “একজন আবেদনকারীকে অসৎ বা কু-উদ্দেশ্যসম্পন্ন আখ্যা দেওয়ার জন্য খুব উচ্চ মাত্রার প্রমাণের প্রয়োজন।”[৯২] ফেডারেল কোর্ট আরও বলেছে, “বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এটি গড়ে ওঠে আমাদের জীবনের ইতিহাস, কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তার মাধ্যমে। এই বিশ্বাসযোগ্যতা হারানো মানে আমাদের সুনামের কেন্দ্র হারানো। যারা শরণার্থী সুরক্ষা চান, তাদের জন্য বিশ্বাসযোগ্যতাই তাদের দাবির কেন্দ্রবিন্দু।”[৯৩]
  • উপযুক্ত পরিস্থিতিতে আবেদনকারীকে সন্দেহের সুবিধা দেওয়া উচিত।[৯৪] ফেডারেল কোর্ট বলেছে যে, বোর্ডের রয়েছে ব্যাপক স্বাধীনতা, যা দ্বারা তারা প্রয়োজনে শরণার্থী আবেদনকারীর প্রমাণের বোঝা হ্রাস করতে পারে।[৯৫] ইউএনএইচসিআর-এর শরণার্থী অবস্থা নির্ধারণের জন্য পদ্ধতি এবং মানদণ্ডের হ্যান্ডবুক নির্দেশ করে, কিছু পরিস্থিতিতে আবেদনকারীকে সন্দেহের সুবিধা দেওয়া উচিত: “আবেদনকারী যদি আন্তরিকভাবে তার কাহিনি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে, কিন্তু কিছু বক্তব্যে প্রমাণের অভাব থাকে, তবু তার দাবি খারিজ করা উচিত নয়। কারণ যেমনটি আগে বলা হয়েছে (অনুচ্ছেদ ১৯৬), একটি শরণার্থীর পক্ষে তার দাবির প্রতিটি অংশ প্রমাণ করা প্রায় অসম্ভব, এবং যদি এটি বাধ্যতামূলক হতো, তবে অধিকাংশ শরণার্থীই স্বীকৃতি পেত না। তাই আবেদনকারীকে সন্দেহের সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন হয়। তবে, এই সুবিধা দেওয়া উচিত তখনই, যখন সমস্ত উপলভ্য প্রমাণ সংগ্রহ ও যাচাই করা হয়েছে এবং আবেদনকারীর সার্বিক বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে পরীক্ষক সন্তুষ্ট। আবেদনকারীর বক্তব্য অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়া উচিত এবং সাধারণভাবে পরিচিত সত্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়া উচিত নয়।”[৯৬] কানাডীয় আইন এ দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, এবং বলেছে যে, আবেদনকারীর বক্তব্য যদি সাধারণভাবে পরিচিত সত্য বা প্রাপ্ত প্রমাণের বিপরীত হয়, তাহলে সেখানে সন্দেহের সুবিধা প্রযোজ্য নয়।[৯৭][৯৮] আরও উল্লেখযোগ্য যে, “সন্দেহের সুবিধা” নীতিটি অনুমানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।[৯৯] কানাডিয়ান বার অ্যাসোসিয়েশন, কুইবেক বিভাগ ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বলেছিল, যা আইনি বাধ্যবাধকতা না হলেও শিক্ষণীয়: “নিশ্চয়ই ভিত্তিহীন কিছু আবেদন আছে এবং থাকবে। কিন্তু এও স্বীকার করা দরকার যে এই বিষয়ে ভুল হওয়ার আশঙ্কা অনেক বড়। মনে রাখা উচিত যে, কয়েক বছর আগেও সালভাদর ও গুয়াতেমালার নাগরিকরা যখন ‘ডেথ স্কোয়াড’-এর কথা বলত, তখন অনেকেই ভাবত এটি তাদের কল্পনায় রয়েছে। এমনটা সবসময়ই থাকবে। শরণার্থীদের আগমন ঢেউয়ের মতো আসে এবং আমাদের যথেষ্ট বিনয়ী হওয়া উচিত নতুন পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা স্বীকার করার এবং দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো থেকে বিরত থাকার।”[১০০]
  • বোর্ড ন্যায়বিচার পরিচালনার সততা নিশ্চিত করবে। আদালত বলেছে যে, কোনো প্রক্রিয়া, এমনকি অভিবাসন সংক্রান্ত প্রক্রিয়াতেও, ন্যায়বিচার পরিচালনার মৌলিক সততা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।[১০১] আরও দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#আইআরপিএ ধারা ৩ (২) (ই) - ন্যায্য এবং দক্ষ পদ্ধতি যা অখণ্ডতা বজায় রাখে এবং মানবাধিকার বজায় রাখে।

দাবি উপস্থাপনকারী ও শরণার্থীদের কাছ থেকে যৌক্তিকভাবে প্রত্যাশিত আচরণসংক্রান্ত নীতিসমূহ

[সম্পাদনা]
  • দাবি উপস্থাপনকারীদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যায় যে তারা আশ্রয় দাবিগুলো যথাসময়ে উপস্থাপন করবেন। শরণার্থী সনদপত্রের ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রসমূহ আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর কোনো শাস্তি আরোপ করবে না, তবে তা তখনই প্রযোজ্য হবে যদি তারা বিলম্ব না করে কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে: "চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্রসমূহ এমন শরণার্থীদের বিরুদ্ধে, যারা এমন কোনো এলাকা থেকে সরাসরি এসেছে যেখানে তাদের জীবন বা স্বাধীনতা ১ অনুচ্ছেদের অর্থে হুমকির মুখে ছিল এবং যারা অনুমোদন ছাড়াই ঐ রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে বা অবস্থান করছে, তাদের এই অবৈধ প্রবেশ বা অবস্থানের জন্য শাস্তি আরোপ করবে না, যদি তারা বিলম্ব না করে কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং তাদের প্রবেশ বা অবস্থানের যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যাখ্যা করতে পারে।"[১০২] একইভাবে, কানাডার ফেডারেল আদালত মন্তব্য করেছে যে দাবি উপস্থাপনকারীদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যায় যে তারা আশ্রয় দাবি দ্রুততার সাথে উপস্থাপন করবে: "শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের জাতীয় আইন ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় গৃহীত ব্যবস্থাগুলোর প্রতি সম্মান জানানো এবং আশ্রয় প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার দায়িত্ব রয়েছে, যার মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং আশ্রয় দাবি দ্রুত উপস্থাপন করাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।"[১০৩] একটি শরণার্থী দাবি উপস্থাপনকারীর ওপর দায়িত্ব বর্তায় যে সে তার দাবি ও তার পক্ষে প্রমাণাদি সময়মতো এবং দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপন করবে।[১০৪]
  • দাবি উপস্থাপনকারীরা আশ্রয় প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য প্রদান করবে। একজন দাবি উপস্থাপনকারীকে শুনানিতে এমন সমস্ত প্রমাণসহ হাজির হতে হবে, যা সে দিতে সক্ষম এবং তার দাবি প্রমাণ করতে প্রয়োজনীয় বলে মনে করে।[১০৫] দাবি উপস্থাপনকারীরা কোনোভাবেই সরাসরি বা পরোক্ষভাবে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন বা বিকৃত করবে না।[১০৬] ফেডারেল আদালত মত দিয়েছে যে কোনো ব্যক্তি যিনি তার দেশ থেকে পালিয়ে নিরাপত্তার খোঁজ করছেন, তিনি অবশ্যই ঐ উদ্দেশ্যে নির্ধারিত আইনি কাঠামোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সহযোগী হবেন।[১০৭] জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রকাশিত আইনি বাধ্যবাধকতাহীন দিকনির্দেশনায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে তার কেসের তথ্য নির্ধারণে সম্পূর্ণভাবে সহায়তা করতে হবে এবং তার নিজের সম্পর্কে এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য প্রদান করতে হবে।[১০৮] ফেডারেল আদালত বলেছে, "শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের জাতীয় আইন ও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় গৃহীত ব্যবস্থাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দায়িত্ব রয়েছে, যার মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করা, দ্রুত আশ্রয় দাবি উপস্থাপন করা বা তাদের অবস্থান নিয়মিতকরণের প্রক্রিয়া অনুসরণ করাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।"[১০৩] অভিবাসন কার্যক্রমে একজন আবেদনকারীর দায়িত্ব হলো নিশ্চিত করা যে তার দাখিলকৃত কাগজপত্র সম্পূর্ণ এবং সঠিক।[১০৯] দেখুন দাবি ফরম পূরণের নির্দেশাবলী: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি ৩-১৩ - সরবরাহ করা তথ্য এবং নথি# প্রদত্ত তথ্য সম্পূর্ণ, সত্য এবং সঠিক হওয়া প্রয়োজন। t। সত্যিই, যখন মন্ত্রী কোনো মামলায় অংশ নিচ্ছেন না, তখন একতরফা শুনানির (ex parte) নিয়ম অনুযায়ী আইনজীবীর ওপর বিশেষ দায়িত্ব আরোপিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া আইন সমিতির নিয়মে বলা হয়েছে: “একতরফা শুনানিতে একজন আইনজীবীকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে এবং আদালতকে সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য জানাতে হবে, এমনকি প্রতিকূল তথ্যও, যাতে আদালত একটি তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।”[১১০] এই নীতি আরপিডি-এর বিধিমালায় কীভাবে কার্যকর হয় তা বিস্তারিত জানতে দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি ৩১-৪৩- নথি # কোনও দলকে কখন কী নথি সরবরাহ করতে হবে?। যখন কোনো দল সহায়ক তথ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হয় তখন বোর্ড কীভাবে এর ফলে নেতিবাচক বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারে, সেটি দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিএ ধারা ১৭০ - কার্যধারা # বিভাগটি কীভাবে নির্ধারণ করবে যে প্রমাণগুলো বিশ্বাসযোগ্য বা বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবে কিনা?
  • দাবিদাররা আইন মেনে চলবে এবং সততা বজায় রাখবে। ফেডারেল আদালত অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করেছে, "বিচারিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এটি সুস্পষ্ট যে আবেদনকারীদের সম্পূর্ণ ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে হয়... তাদের দায়িত্ব হচ্ছে নিশ্চিত করা যে তাদের দাখিলকৃত তথ্যসমূহ পূর্ণাঙ্গ ও নির্ভুল।"[১১২] আদালত আরও বলেছে, "শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের জাতীয় আইন এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থার প্রতি সম্মান দেখানোর দায়িত্ব রয়েছে।"[১১৩] কানাডায় এই আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, শরণার্থী দাবিদারকে তাদের দাখিল প্রক্রিয়ায় করা প্রশ্নের সকল উত্তর সত্যভাবে দিতে হয়[১১৪] এবং প্রাসঙ্গিক সকল তথ্য সততার নীতির আলোকে প্রকাশ করতে হয়, যেটি কানাডায় প্রবেশ প্রত্যাশী বিদেশিদের জন্য প্রযোজ্য।[১১৫] আবেদনকারীদের উপর একটি আন্তরিকতার দায়িত্ব আরোপিত থাকে, যাতে তারা সম্পূর্ণ, সৎ ও সত্য তথ্য প্রদান করে।[১১৬] আই আর পি এ.-এর ধারা ১৬-এ বলা হয়েছে: "যে ব্যক্তি আবেদন করে, তাকে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে করা সব প্রশ্নের সঠিকভাবে উত্তর দিতে হবে।" একইভাবে, আই আর পি এ.-এর ধারা ১০০(১.১)-এ বলা হয়েছে, "Refugee Protection Division-এ রেফার করার যোগ্যতার প্রমাণের দায়িত্ব দাবিদারের ওপর, এবং তাকে সকল প্রশ্নের সত্য উত্তর দিতে হবে।" এই বাধ্যবাধকতা শরণার্থী কনভেনশনের ২ নং অনুচ্ছেদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সেখানে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক শরণার্থীর এমন দেশের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে যেখানে সে অবস্থান করছে, এবং এর মধ্যে রয়েছে ঐ দেশের আইন, বিধি এবং জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গৃহীত ব্যবস্থা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা।”[১১৭] একইভাবে, ইউএনএইচসিআর-এর (আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নয় এমন) হ্যান্ডবুকে উল্লেখ আছে যে আবেদনকারীকে সত্য কথা বলতে হবে।[১১৭] আরও দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার # পদ্ধতিগত ন্যায্যতার অভাব সম্পর্কে উদ্বেগগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবহারিক সুযোগে উত্থাপন করা উচিত
  • প্রত্যেক পক্ষ তাদের নিজের কেস ফাইলের জন্য দায়ী। ফেডারেল আদালত উল্লেখ করেছে যে "[প্রচুর বিচারিক দৃষ্টান্ত রয়েছে] যেখানে বলা হয়েছে, আবেদনকারীরাই তাদের ফাইলের জন্য দায়ী এবং তারা কোনো প্রক্রিয়াগত ঘাটতির কারণে তাদের ভুলকে ন্যায়সঙ্গত করতে পারে না।"[১২০] যদিও "প্রক্রিয়াগত বাধ্যবাধকতা পূরণে ব্যর্থতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো দাবিদারকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করে না,=তবে কোনো এক সময়ে দাবিদার নিজেই তার দুর্ভাগ্যের জন্য দায়ী হিসেবে বিবেচিত হবেন।"[১২১] উদাহরণস্বরূপ, আদালত বলেছে যে বিচারিক পর্যালোচনা অনুমোদনযোগ্য নয় যখন আবেদনকারী “নিজের আবেদনের অগ্রগতির বিষয়ে খুব কম বা কোনো আগ্রহই দেখায়নি।”[১২২] আদালতের মতে, "যখন কোনো আইনজীবী ডিভিশনের নিয়ম অনুসরণ না করেন, তখন তার নিজের কেসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।"[১২৩] তদুপরি, অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীর ওপর দায়িত্ব বর্তায় যে সে যথাযথভাবে তথ্য সংগ্রহ করে এবং যেসব বিষয় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জেনে নেয়।[১২৪] আদালত আরও বলেছে যে আরপিডি-এর দায়িত্ব নয় একজন আবেদনকারী তার কাহিনির পক্ষে প্রমাণ প্রদান করতে ব্যর্থ হলে তা নিজ দায়িত্বে না নিয়ে বোর্ডকে দায়ী করা।[১২৫]
  • পক্ষগুলোর উচিত তাদের ফাইল সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা। ফেডারেল আদালতের মতে, আবেদনকারীদের দায়িত্ব হলো তাদের শরণার্থী আবেদন সংক্রান্ত প্রাপ্ত লিখিত যোগাযোগ বুঝে নেওয়া।[১২৬] বোর্ডের জাতীয় ডকুমেন্টেশন প্যাকেজে শরণার্থী নির্ধারণ কার্যক্রম বিষয়ক নীতি অনুসারে বলা হয়েছে, "আরপিডি পক্ষগুলোকে জানিয়ে দেয় কোন স্থানে বোর্ডের ওয়েবসাইটে এনডিপি পাওয়া যাবে, এবং এটি পক্ষগুলোর দায়িত্ব যে তারা শুনানির আগে সংশ্লিষ্ট এনডিপি-এর সর্বশেষ সংস্করণ যাচাই করবে।"[১২৭] এটি দাবিদাররা তাদের আবেদন করলে পাওয়া "গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী"-এও বলা আছে: “আপনার শুনানির আগে আইআরবি ওয়েবসাইটে গিয়ে এনডিপি-এর সর্বশেষ সংস্করণ যাচাই করা উচিত” এবং একইরূপে এটি দাবিদারদের নির্দেশিকা বইয়েও আছে। ফলে, ফেডারেল আদালত মনে করে যে আশ্রয়প্রার্থীদের বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এনডিপি-এর মতো পাবলিক ডকুমেন্ট সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত বলে ধরা হয়।[১২৮]
  • শরণার্থীদের পুনরায় ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কেও সচেতন হওয়া উচিত: আল বালুশি বনাম কানাডা মামলায় আদালত সিদ্ধান্তে আসে যে আবেদনকারীর দায়িত্ব ছিল তার ওমানি পাসপোর্ট ব্যবহারের পরিণতি সম্পর্কে জানা।[১২৯]

মন্ত্রীর প্রতি একজন যুক্তিসঙ্গতভাবে যেসব প্রত্যাশা করতে পারেন, তা নিয়ে মূলনীতি

[সম্পাদনা]
  • মন্ত্রীর একটি বিশেষ স্পষ্টবাদিতার দায়িত্ব রয়েছে: ফেডারেল কোর্ট উল্লেখ করেছে যে, মন্ত্রীর কাছ থেকে অকপটতা প্রত্যাশিত এবং তাঁর একটি স্পষ্টবাদিতার দায়িত্ব রয়েছে।[১৩০] এটি, উদাহরণস্বরূপ, প্রাসঙ্গিক এবং অভিযুক্তিকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারে এমন প্রমাণ গোপন করা কিংবা তার অস্তিত্ব বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা প্রতিরোধ করবে।[১৩১] আরও দেখুন: কানাডিয়ান শরণার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার#প্রকাশের অধিকার এবং মন্ত্রীর বাধ্যবাধকতা। আবেদনকারীর ক্ষেত্রে যেই স্পষ্টবাদিতার দায়িত্ব প্রযোজ্য, তা উপরের অংশে দেখুন। এছাড়াও দেখুন একতরফা শুনানি সংক্রান্ত নিয়মাবলি সম্পর্কিত আলোচনা। সেখানে মন্ত্রী কোনো মামলায় অংশগ্রহণ করছেন না এবং কিভাবে এ পরিস্থিতিতে কৌঁসুলিদের উপর বিশেষ দায়িত্ব আরোপ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া আইন সমিতির নিয়ম অনুযায়ী, “একতরফা শুনানিতে, একজন আইনজীবীকে সর্বোচ্চ সততার সাথে কাজ করতে হবে এবং ট্রাইব্যুনালকে সব প্রাসঙ্গিক তথ্য, এমনকি প্রতিকূল তথ্যও জানাতে হবে, যা ট্রাইব্যুনালকে একটি সুবিবেচিত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।”[১৩২]
  • কৌঁসুলি ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সৎভাবে কাজ করার প্রবণতা অনুমান করা যেতে পারে: ফেডারেল কোর্টের একটি দীর্ঘ রায়ধারা আছে যেখানে বলা হয়েছে যে অধিকাংশ ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার আবেদনের ফলাফলের প্রতি কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই এবং তাঁদের সরকারি রেকর্ড ও কর্মকাণ্ড সাধারণত নির্ভরযোগ্য।[১৩৩] অনুরূপভাবে, কৌঁসুলিরা পেশাগত বাধ্যবাধকতার অধীনে সৎভাবে কাজ করার দায়িত্বে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ, অন্টারিও আইন সমিতির পেশাগত আচরণবিধি অনুযায়ী, একজন আইনজীবী যখন একজন ওকালতকারী হিসেবে কাজ করেন, তখন “তাঁকে অবশ্যই আইনের সীমার মধ্যে ক্লায়েন্টের পক্ষে দৃঢ় এবং সম্মানজনকভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে এবং ট্রাইব্যুনালের প্রতি স্পষ্টবাদিতা, ন্যায্যতা, সৌজন্য ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।”[১৩৪]

আবেদনকারীর কৌঁসুলির প্রতি একজন যুক্তিসঙ্গতভাবে যেসব প্রত্যাশা করতে পারেন, তা নিয়ে মূলনীতি

[সম্পাদনা]

আইন পেশা একটি মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানের পেশা হলেও এর সাথে আসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।[১৩৫] লক্ষণীয় কিছু বিষয়:

  • কৌঁসুলিদের সঠিকভাবে কাজ করেছেন বলে অনুমান করা উচিত: সাবেক কৌঁসুলির আচরণ যুক্তিসঙ্গত পেশাগত সহায়তার বিস্তৃত পরিসরের মধ্যে পড়েছে বলে একটি দৃঢ় অনুমান থাকে।[১৩৬] যদিও এই পেশাগত দক্ষতার অনুমান প্রযোজ্য হতে পারে, আদালত সতর্ক করেছে যে কোনো নির্দিষ্ট কৌঁসুলির অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার ভিত্তিতে অনুমান করা অনুচিত, ঠিক যেমনভাবে আরপিডি-এর জন্য আবেদনকারীদের (বা তাঁদের কৌঁসুলিদের) কাছে সরাসরি এমন গোপনীয় বিষয়ে জিজ্ঞেস করা অনুচিত।[১৩৭] তবে, অন্যান্য ফেডারেল কোর্ট প্যানেলগুলো সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে, আবেদনকারী অভিজ্ঞ কৌঁসুলির প্রতিনিধিত্ব পেয়েছেন, এটি বিবেচনা করা যুক্তিসঙ্গত।[১৩৮] এছাড়া, আইন পেশার অন্যান্য ক্ষেত্রেও এটি সাধারণ চর্চা, যেমন শ্রেণি-অভিযোগ মামলায় প্রতিনিধি আবেদনকারীর কৌঁসুলির দক্ষতা মূল্যায়ন করা আদালতের জন্য প্রত্যাশিত।[১৩৯]
  • কৌঁসুলি তাঁদের ক্লায়েন্টকে অন্ততপক্ষে শরণার্থী আবেদন সংক্রান্ত মৌলিক বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেছেন বলে ধরে নেওয়া যায়: ফেডারেল কোর্ট বলেছে, “প্রতিকূল প্রমাণ না থাকলে, এটি ধরে নেওয়া যুক্তিসঙ্গত যে একজন আইনজীবী তাঁর ক্লায়েন্টকে শরণার্থী দাবির অন্তত মৌলিক দিকগুলো ব্যাখ্যা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে: পরিচয় সংক্রান্ত গ্রহণযোগ্য কাগজপত্র উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা, আবেদনকারীকে তাঁর দাবি প্রমাণ করার দায়িত্ব, এবং তা করতে গিয়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা।”[১৪০] আরও দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি ১৪-১৬ - রেকর্ডের পরামর্শ # ১) অযোগ্যতা
  • কৌঁসুলির আচরণের ত্রুটিগুলোর দায় ক্লায়েন্টের উপর বর্তায়: ফেডারেল কোর্ট বলেছে, অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে “বিচারিক রায় অনুযায়ী আবেদনকারীদের অবশ্যই সম্পূর্ণ ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে এবং তাঁদের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের দাখিলকৃত উপস্থাপনাগুলোর দায়ভার তাঁদের নিজেকেই বহন করতে হবে।”[১৪১] সাধারণ নিয়ম হলো, কৌঁসুলির আচরণ ক্লায়েন্ট থেকে পৃথক করা যায় না। কৌঁসুলি ক্লায়েন্টের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন এবং এটি যতই কঠোর হোক না কেন, একজন দুর্বল কৌঁসুলিকে নিয়োগ দেওয়ার পরিণতি ক্লায়েন্টকে বহন করতে হয়।[১৪২] এই নীতিটি আবেদনকারীদের প্রদান করা বেসিস অব ক্লেইম ফর্মের নির্দেশিকাতেও প্রতিফলিত হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, “আপনার যদি কোনো কৌঁসুলি থাকে, তবে আপনি নিশ্চিত করার দায়িত্বে থাকবেন যে আপনার কৌঁসুলি সময়সীমাগুলো পূরণ করছে।”[১৪৩] অধিকাংশ ক্ষেত্রে, আইনি পরামর্শের উপর নির্ভর করলেও তা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না জমা দেওয়ার অজুহাত হিসেবে গণ্য হবে না।[১৪৪] তবে, ব্যতিক্রম রয়েছে যেখানে কৌঁসুলির আচরণ এতটাই অদক্ষতার মধ্যে পড়ে যে তা শুনানিকে অন্যায্য করে তোলে: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি ১৪-১৬ - রেকর্ডের পরামর্শ # কোন প্রসঙ্গে অযোগ্যতার পরামর্শ শুনানিকে অন্যায় করে তুলবে?। ফেডারেল কোর্ট গ্লোওয়াকি বনাম কানাডা মামলায় বলেছে, কৌঁসুলির কোনো ভুল বা ত্রুটির ফলে যাতে ন্যায়বিচার ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।[১৪৫]
  • কৌঁসুলিদের স্পষ্টবাদিতার দায়িত্ব রয়েছে এবং ট্রাইব্যুনালকে তাঁদের উপস্থাপনার উপর আস্থা রাখতে পারা উচিত: বলা হয় যে আদালতে, বিচারপতিরা কৌঁসুলিদের উপস্থাপনার উপর আস্থা রাখতে পারেন, যেহেতু তাঁরা আদালতের অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১৪৬] ট্রাইব্যুনাল সদস্যদের কাছ থেকেও এমনই প্রত্যাশা করা যেতে পারে। যেমন আদালত ডায়াকিটে বনাম কানাডা মামলায় উল্লেখ করেছে, আমাদের বিচারব্যবস্থা আংশিকভাবে কাজ করে এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে যে আদালত কৌঁসুলিদের উপস্থাপনার উপর আস্থা রাখতে পারে।[১৪৭] একই কথা ট্রাইব্যুনাল সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য — তাঁরা কৌঁসুলিদের উপস্থাপনার উপর নির্ভর করেন। যদিও আইনজীবীদের ক্লায়েন্টের পক্ষে সাহসিকতার সঙ্গে সওয়াল করা উচিত, তবে তা করতে হবে সম্মানজনকভাবে, আইন মেনে এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে তাঁদের স্পষ্টবাদিতার দায়িত্ব। কৌঁসুলিদের কখনোই বিভ্রান্ত করা বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা উচিত নয়। যদি কৌঁসুলি অনিচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্ত করে থাকেন, তবে তা বুঝতে পারার সাথে সাথেই সংশোধন করতে হবে।

আইআরপিএ এসএস ৩ (২) এবং ৩ (৩): আইন থেকে প্রাপ্ত ব্যাখ্যা নীতি

[সম্পাদনা]

এই বিভাগটি আইনের উদ্দেশ্য এবং প্রয়োগের বিধান নির্ধারণ করবে এবং তারপরে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর মন্তব্য সরবরাহ করবে। শ্যারিন আইকেনের ভাষায়, এট। ১৯৭৬ সালের ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের পর থেকে কানাডার অভিবাসন আইনের অন্যতম স্থায়ী বৈশিষ্ট্য ছিল "উদ্দেশ্যগুলোর একটি জটিল এবং পরস্পরবিরোধী সেট"।[১৪৮]  এই উদ্দেশ্যগুলো, যতদূর তারা শরণার্থীদের সাথে সম্পর্কিত, বর্তমান আইআরপিএতে নিম্নরূপ:

Objectives — refugees
3...
(২) The objectives of this Act with respect to refugees are
(a) to recognize that the refugee program is in the first instance about saving lives and offering protection to the displaced and persecuted;
(b) to fulfil Canada’s international legal obligations with respect to refugees and affirm Canada’s commitment to international efforts to provide assistance to those in need of resettlement;
(c) to grant, as a fundamental expression of Canada’s humanitarian ideals, fair consideration to those who come to Canada claiming persecution;
(ডি) to offer safe haven to persons with a well-founded fear of persecution based on race, religion, nationality, political opinion or membership in a particular social group, as well as those at risk of torture or cruel and unusual treatment or punishment;
(ই) to establish fair and efficient procedures that will maintain the integrity of the Canadian refugee protection system, while upholding Canada’s respect for the human rights and fundamental freedoms of all human beings;
(এফ) to support the self-sufficiency and the social and economic well-being of refugees by facilitating reunification with their family members in Canada;
(g) to protect the health and safety of Canadians and to maintain the security of Canadian society; and
(h) to promote international justice and security by denying access to Canadian territory to persons, including refugee claimants, who are security risks or serious criminals.

Application
(৩) This Act is to be construed and applied in a manner that
(a) furthers the domestic and international interests of Canada;
(b) promotes accountability and transparency by enhancing public awareness of immigration and refugee programs;
(c) facilitates cooperation between the Government of Canada, provincial governments, foreign states, international organizations and non-governmental organizations;
(ডি) ensures that decisions taken under this Act are consistent with the Canadian Charter of Rights and Freedoms, including its principles of equality and freedom from discrimination and of the equality of English and French as the official languages of Canada;
(ই) supports the commitment of the Government of Canada to enhance the vitality of the English and French linguistic minority communities in Canada; and
(এফ) complies with international human rights instruments to which Canada is signatory.

উপরের উদ্দেশ্যগুলো আইআরপিএর বিভাগের সাথে তুলনা করা যেতে পারে যা অভিবাসনের জন্য উদ্দেশ্যগুলো নির্ধারণ করে (মানবিক বা শরণার্থীর বিপরীতে) স্ট্রিম:

Objectives — immigration

(j) to work in cooperation with the provinces to secure better recognition of the foreign credentials of permanent residents and their more rapid integration into society.

এই মর্মে একটি বিধিবদ্ধ ব্যাখ্যা কনভেনশন রয়েছে যে আইনে উদ্দেশ্যগুলোর বিবৃতিগুলো আইন বাস্তবায়নে নির্বাহী বিবেচনাকে সীমাবদ্ধ করে। শ্যারিন আইকেনের ভাষায়, তবে, আইআরপিএর উদ্দেশ্যগুলো "এত প্রচুর এবং সুদূরপ্রসারী যে তারা যুক্তিযুক্তভাবে যে কোনও সম্ভাব্য বিবেচনামূলক বাস্তবায়ন পছন্দকে সমর্থন করে।"[১৪৯]  যেমন, ক্যাথরিন ডাউভার্গনের দৃষ্টিতে, উদ্দেশ্যগুলো "এত জটিল যে তারা পরিচালনা করতে পারে না বা সীমাবদ্ধ করতে পারে না।[১৫০]  শাওনা ল্যাবম্যান লিখেছেন, এই আইনের উদ্দেশ্য এবং প্রয়োগকে সম্বোধন করে পঁচিশটি পৃথক অনুচ্ছেদ আইআরপিএর "দ্বন্দ্ব এবং বিভ্রান্তি" যুক্ত করে।[১৫১]  ডাউভার্গনে লিখেছেন যে এই বিধানগুলো "কানাডার রাজনীতিতে অভিবাসন কতটা কণ্টকাকীর্ণ বিষয় সে সম্পর্কে সরকার সচেতন এবং আইনটি সংশোধন ছাড়াই প্রচলিত রাজনৈতিক মতামতকে প্রতিফলিত করতে সক্ষম তা নিশ্চিত করা ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্য সাধন করে না।[১৫০]  প্রকৃতপক্ষে, ফেডারেল কোর্ট এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে এমনকি যদি কোনও আরপিডি বিধি এই উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হয় তবে এটি আইনে তার সক্ষম বিধানের বহির্ভূত কাজ করবে।[১৫২]

এটি বলেছিল, এই উদ্দেশ্যগুলোর কাঠামোটি কানাডিয়ান শরণার্থী বিচারের দীর্ঘকালীন নীতির ইঙ্গিত দেয়: এই ধারণাটি যে অভিবাসন বিবেচনাগুলো শরণার্থী বিচার পরিচালনা করে এমন নীতিগুলো থেকে পৃথক। ১৯৮২ সালে রিফিউজি স্ট্যাটাস অ্যাডভাইজরি কমিটির জন্য জারি করা মন্ত্রিপরিষদ নির্দেশিকার কথায়, "এটি স্বীকৃত যে শরণার্থী সংজ্ঞা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অভিবাসন বিবেচনাগুলো অবশ্যই আনা উচিত নয়। যদি একজনকে শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হয়, তবে আরও অনেকে শরণার্থী মর্যাদা দাবি করার অধিকারী হতে পারে, দাবিদার শরণার্থী কিনা তার সাথে প্রাসঙ্গিক নয়।"[১৫৩]

আইআরপিএ ধারা ৩ (২) (ক) - শরণার্থী প্রোগ্রামটি জীবন বাঁচানো এবং সুরক্ষা প্রদানের বিষয়ে

[সম্পাদনা]
Objectives — refugees
(২) The objectives of this Act with respect to refugees are
(a) to recognize that the refugee program is in the first instance about saving lives and offering protection to the displaced and persecuted;

এই আইনে এটি দীর্ঘদিনের বিধান

[সম্পাদনা]

এটি ১৯৭৬ সালের ইমিগ্রেশন অ্যাক্টে সন্নিবেশ করা অন্যতম উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে, যা ছিল "শরণার্থীদের বিষয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করা এবং বাস্তুচ্যুত ও নিপীড়িতদের প্রতি তার মানবিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখা।

শরণার্থী কর্মসূচির লক্ষ্য হলো সুরক্ষা প্রদান করা, যার মধ্যে শরণার্থী কনভেনশন-এ উল্লিখিত আইনগত অধিকারসমূহ অন্তর্ভুক্ত

[সম্পাদনা]

আই আর পি এ.-এর ধারা ৩(২)(ক)-তে বলা হয়েছে যে শরণার্থীদের বিষয়ে এই আইনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—প্রথমত, শরণার্থী কর্মসূচিটি মানুষের জীবন রক্ষা করা এবং নির্যাতিত ও বাস্তুচ্যুতদের সুরক্ষা প্রদান করা। এখানে কেবলমাত্র ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া-এর বিরুদ্ধে সুরক্ষার কথাই বলা হয়নি, বরং শরণার্থী কনভেনশন-এ যে ইতিবাচক অধিকারসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোরও কথা বলা হয়েছে। ডোনাল্ড গ্যালোওয়ের ভাষায়, শরণার্থী কনভেনশন অনুযায়ী কানাডার দায়িত্ব কেবলমাত্র নেতিবাচক অর্থে কাউকে এমন স্থানে ফেরত না পাঠানোর দায়িত্ব নয় যেখানে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়বে বা স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে—যা অনুচ্ছেদ ৩৩-তে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—বরং এটি আরও বিস্তৃত ইতিবাচক দায়িত্বও ধারণ করে, যেমন ব্যক্তির অবস্থান স্বীকৃতি দেওয়া (এবং আরও অনেক অধিকার) যিনি নিজের দেশের সুরক্ষার সুবিধা নিতে অক্ষম বা তা না নেওয়ার যথার্থ কারণ আছে।[১৫৪]

শরণার্থী কনভেনশন শরণার্থীর জন্য কিছু মৌলিক অধিকার নির্ধারণ করে এবং এরপর শরণার্থীর আশ্রয়প্রদানকারী রাষ্ট্রের সাথে সংযুক্তির প্রকৃতি ও সময়কাল অনুসারে অতিরিক্ত অধিকার পাওয়া যায়। শরণার্থীরা যেই মুহূর্তে কোনো রাষ্ট্রের de jure বা de facto বিচারিক এখতিয়ারের মধ্যে আসে, তখন থেকেই কিছু মৌলিক অধিকার প্রযোজ্য হয়; দ্বিতীয় স্তরের অধিকারগুলো প্রযোজ্য হয় যখন শরণার্থী সেই রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে; আরও কিছু অধিকার কেবল তখনই প্রযোজ্য হয় যখন শরণার্থী বৈধভাবে রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে অবস্থান করে; কিছু অধিকার তখনই প্রযোজ্য হয় যখন শরণার্থী সেখানে বৈধভাবে বসবাস শুরু করে; আর কয়েকটি অধিকার কেবল দীর্ঘস্থায়ী আবাসনের শর্ত পূরণ করার পর প্রযোজ্য হয়।[১৫৫]

সারাংশ হিসেবে, কনভেনশন-এ আলোচনা করা অধিকারগুলো নিম্নরূপ:

রাষ্ট্রের বিচারিক এখতিয়ারের মধ্যে ধারা ৩: বৈষম্য না করা

ধারা ১২: ব্যক্তিগত অবস্থা ধারা ১৩: স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন (বিদেশিদের মতো) ধারা ১৬: আদালতে প্রবেশাধিকার ও আইনি সহায়তা (নাগরিকদের মতো) ধারা ২০: রেশন প্রাপ্তির অধিকার (নাগরিকদের মতো) ধারা ২২(১): প্রাথমিক শিক্ষা (নাগরিকদের মতো) ধারা ২২(২): মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (বিদেশিদের মতো) ধারা ২৯: রাজস্ব ও কর সংক্রান্ত ব্যবস্থা (বিদেশিদের মতো) ধারা ৩০: সম্পদের স্থানান্তর ধারা ৩৩: ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া-এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা

শারীরিক উপস্থিতি ধারা ৪: ধর্মীয় স্বাধীনতা (নাগরিকদের মতো)

ধারা ২৫: প্রশাসনিক সহায়তা ধারা ২৭: পরিচয়পত্র ধারা ৩১: অবৈধ প্রবেশের জন্য শাস্তি থেকে মুক্তি

বৈধ উপস্থিতি ধারা ১৮: স্ব-উদ্যোগে কর্মসংস্থান (বিদেশিদের মতো)

ধারা ২৬: চলাচলের স্বাধীনতা (বিদেশিদের মতো) ধারা ৩২: বিতাড়ন না করা

বৈধভাবে অবস্থান বা অভ্যাসগত বসবাস ধারা ১৪: শিল্প ও সৃজনশীল অধিকার (নাগরিকদের মতো)

ধারা ১৫: সংগঠন গঠনের অধিকার (বিদেশিদের জন্য সর্বোত্তম সুবিধা অনুযায়ী) ধারা ১৭: মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থান (বিদেশিদের জন্য সর্বোত্তম সুবিধা অনুযায়ী) ধারা ১৯: পেশাগত স্বাধীনতা (বিদেশিদের মতো) ধারা ২১: আবাসনের অধিকার (বিদেশিদের মতো) ধারা ২৩: জনসেবা ও সাহায্য (নাগরিকদের মতো) ধারা ২৪: শ্রম আইন ও সামাজিক নিরাপত্তা (নাগরিকদের মতো) ধারা ২৮: ভ্রমণ দলিল

দীর্ঘমেয়াদি বসবাস ধারা ৩৪: নাগরিকত্ব গ্রহণ সহজতর করা[১৫৬]

এই অধিকারসমূহ কনভেনশন-এ অন্তর্ভুক্ত করার মূল উদ্দেশ্য ছিল শরণার্থীরা যেন আইনিভাবে “অদৃশ্য ব্যক্তি” হয়ে না পড়ে। যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডস-এর ভাষায়, "কনভেনশনের সার্বিক উদ্দেশ্য হলো সেই ব্যক্তিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সুরক্ষার জন্য মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া, যে ব্যক্তি নিজের দেশে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার হারিয়েছে।"[১৫৭]

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, অধ্যাপক অ্যালেওয়েল্ড উল্লেখ করেন, শরণার্থীদের সাধারণ সমস্যা ছিল আশ্রয়দাতা রাষ্ট্রে কোনো আইনি অবস্থান না থাকা, যার ফলে তারা অনেক অধিকার ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতো। এজন্য, মানবিক ও পারস্পরিক সহযোগিতার বাস্তব কারণেই, কনভেনশন-এ অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলো শরণার্থীদের এমন একটি অবস্থান প্রদানের চিন্তা করেছিল যা তাদের মানবাধিকার ও স্বাধীনতার একটি মূল সেটকে ধারণ করে।[১৫৮]

সংক্ষেপে বললে, কনভেনশন-এ স্বীকৃত শরণার্থীদের যে অধিকারগুলো নিশ্চিত করা হয়েছে, সেগুলোর উদ্দেশ্য হলো নতুন জীবন শুরু করার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় অধিকার প্রদান করা।[১৫৯]

শরণার্থী সুরক্ষা প্রথমত জীবন বাঁচানো এবং সুরক্ষা প্রদানের বিষয়ে, এই বিষয়টি আই আর পি এ.-তে প্রদত্ত অভিবাসন কর্মসূচির লক্ষ্যগুলির সাথে তুলনা করা যেতে পারে।

[সম্পাদনা]

আদালত ইঙ্গিত দেয় যে সংসদ যে নির্দেশ দিয়েছে যে আইআরপিএ "বাস্তুচ্যুত ও নিপীড়িতদের জীবন বাঁচানো এবং সুরক্ষা প্রদানের বিষয়ে [মূল সিদ্ধান্তে জোর দেওয়া]" এই লক্ষ্যটির গুরুত্ব এবং অগ্রাধিকারকে বোঝায়।  আইআরপিএ'র ৩(২)(ক) ধারায় বলা হয়েছে, শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই আইনের উদ্দেশ্য হলো, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে এই স্বীকৃতি দেয়া যে, শরণার্থী কর্মসূচি হচ্ছে বাস্তুচ্যুত ও নিপীড়িতদের জীবন বাঁচানো এবং সুরক্ষা প্রদান করা। এটি আইনের এস ৩ (৩) (১) এ নির্ধারিত কানাডার অভিবাসন প্রোগ্রামগুলোর উদ্দেশ্যগুলোর বৃহত্তর সেটের সাথে বিপরীত হতে পারে, যার মধ্যে অভিবাসীদের সফল একীকরণ এবং কানাডার জন্য অভিবাসনের অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো সর্বাধিক করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই বৈপরীত্য আইনের ব্যাখ্যা অবহিত করা উচিত। যদিও অভিবাসন আইনে একজন অভিবাসীর আকাঙ্ক্ষা (যেমন তাদের কাজের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, ফরাসি বা ইংরেজিতে সাবলীলতা, বা যুবক) সরকার কীভাবে মর্যাদা দিতে পারে তার জন্য যথাযথ বিবেচনা হিসাবে স্বীকৃত, শরণার্থী আইন, বিপরীতে, নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য কাঠামো সরবরাহ করে যেখানে প্রাথমিক বিবেচনাটি হতে হবে, আইআরপিএর এস ৩ (২) (এ) এর ভাষায়, জীবন বাঁচানো এবং সুরক্ষা প্রদান করা। মলি জোকের ভাষায়, "দুটোকে একত্রিত করা একটি বিপজ্জনক অনুশীলন"।

শরণার্থী সুরক্ষা প্রথমত জীবন বাঁচানো এবং সুরক্ষা প্রদানের বিষয়ে, এই সত্যটি সিদ্ধান্তগুলি সঠিক হওয়ার গুরুত্বের দিকে ইঙ্গিত করে

[সম্পাদনা]

বিচারপতি গাউথিয়ার, আইআরপিএর উদ্দেশ্যগুলো, বিশেষত "জীবন বাঁচানো এবং বাস্তুচ্যুত ও নিপীড়িতদের সুরক্ষা প্রদান" উল্লেখ করে বলেছিলেন যে আরএডি একটি "সুরক্ষা জাল যা আরপিডির সমস্ত ভুল ধরবে, এটি আইন বা বাস্তবতা যাই হোক না কেন। এর জন্য প্রয়োজন ছিল যে আরএডির পর্যালোচনার মান, আইনের প্রশ্ন এবং সত্যের প্রশ্ন উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, সঠিকতা হতে হবে।

আইআরপিএ ধারা ৩ (২) (বি) - শরণার্থীদের বিষয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক আইনী বাধ্যবাধকতা পূরণ করা

[সম্পাদনা]
Objectives — refugees
(২) The objectives of this Act with respect to refugees are
(b) to fulfil Canada’s international legal obligations with respect to refugees and affirm Canada’s commitment to international efforts to provide assistance to those in need of resettlement;

এই আইনে এটি দীর্ঘদিনের বিধান

[সম্পাদনা]

এটি ১৯৭৬ সালের ইমিগ্রেশন অ্যাক্টে সন্নিবেশ করা অন্যতম উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে, যা ছিল "শরণার্থীদের বিষয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করা এবং বাস্তুচ্যুত ও নিপীড়িতদের প্রতি তার মানবিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখা।

আইআরপিএকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত যাতে কানাডা শরণার্থীদের ক্ষেত্রে তার আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করে তা নিশ্চিত করা যায়

[সম্পাদনা]

আইনের ধারা ৩ (২) (বি) নির্দিষ্ট করে যে শরণার্থীদের বিষয়ে আইআরপিএর উদ্দেশ্যগুলো অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে শরণার্থীদের বিষয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করা। একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ধারণা রয়েছে যে। সেখানে সম্ভব, কানাডার অভ্যন্তরীণ আইনটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ব্যাখ্যা করা উচিত।  কানাডার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে আইআরপিএর বিধানগুলো "তারা যে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি প্রতিফলিত করে তা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বিবেচনা করা যায় না"।  আইনের ধারা ৩ (২) (বি) জোরদার করে যে। সেখানে সম্ভব, আইআরপিএর বিধানগুলো এমনভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত যা শরণার্থী কনভেনশন অনুসারে কানাডার বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করে। এটি আইআরপিএর ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে একটি সমালোচনামূলক আইনী সীমাবদ্ধতা - এটি সংসদ বাধ্যতামূলক করেছে যে অভিবাসন বিচারকরা আইনটি ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে বিবেচনা করবেন, শরণার্থী কনভেনশনের মতো আন্তর্জাতিক চুক্তির বিষয়ে যুক্তি জমা দেওয়ার পক্ষগুলো স্পষ্টভাবে উত্থাপিত হোক বা না হোক।

আরও দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত যা কনভেনশনের অন্যান্য রাষ্ট্রের ব্যাখ্যার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ

শরণার্থী কনভেনশনে শরণার্থীদের অধিকারের কয়েকটি অধিকার নির্ধারণ করা হয়েছে

[সম্পাদনা]

দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#শরণার্থী প্রোগ্রামের লক্ষ্য শরণার্থী কনভেনশনে উল্লিখিত আইনী অধিকার সহ সুরক্ষা প্রদান করা। এটি বলেছিল, কনভেনশনটি কানাডার আইনে পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত নয়। যদিও কনভেনশনের শর্তাবলী মূলত আইআরপিএতে প্রতিফলিত হয়, তবে কনভেনশনের কার্যক্রম এবং আইআরপিএ পরিচালনার মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।

চুক্তি আইন সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন শরণার্থী কনভেনশনের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য চুক্তি ব্যাখ্যার পাবলিক আন্তর্জাতিক আইনের নিয়মগুলিকে সংহিতাবদ্ধ করে।

[সম্পাদনা]

শরণার্থীদের বিষয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক আইনী বাধ্যবাধকতার বিষয়বস্তু বোঝার জন্য চুক্তির ব্যাখ্যার নিয়মগুলো চুক্তির আইন সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনে কোড করা হয়েছিল। ভিয়েনা কনভেনশনের ৩১ এবং ৩২ অনুচ্ছেদ সরবরাহ করে যে:

ARTICLE 31: General rule of interpretation
1. A treaty shall be interpreted in good faith in accordance with the ordinary meaning to be given to the terms of the treaty in their context and in the light of its object and purpose.

2. The context for the purpose of the interpretation of a treaty shall comprise, in addition to the text, including its preamble and annexes:
(a) any agreement relating to the treaty which was made between all the parties in connection with the conclusion of the treaty;
(b) any instrument which was made by one or more parties in connection with the conclusion of the treaty and accepted by the other parties as an instrument related to the treaty.

3. There shall be taken into account, together with the context:
(a) any subsequent agreement between the parties regarding the interpretation of the treaty or the application of its provisions;
(b) any subsequent practice in the application of the treaty which establishes the agreement of the parties regarding its interpretation;
(c) any relevant rules of international law applicable in the relations between the parties.

4. A special meaning shall be given to a term if it is established that the parties so intended.

ARTICLE 32: Supplementary means of interpretation
1. Recourse may be had to supplementary means of interpretation, including the preparatory work of the treaty and the circumstances of its conclusion, in order to confirm the meaning resulting from the application of article 31, or to determine the meaning when the interpretation according to article 31: 
(a) leaves the meaning ambiguous or obscure; or 
(b) leads to a result which is manifestly absurd or unreasonable.

ARTICLE 33: Interpretation of treaties authenticated in two or more languages
1.When a treaty has been authenticated in two or more languages, the text is equally authoritative in each language, unless the treaty provides or the parties agree that, in case of divergence, a particular text shall prevail.

2. A version of the treaty in a language other than one of those in which the text was authenticated shall be considered an authentic text only if the treaty so provides or the parties so agree.

3.The terms of the treaty are presumed to have the same meaning in each authentic text.

4.Except where a particular text prevails in accordance with paragraph 1, when a comparison of the authentic texts discloses a difference of meaning which the application of articles 31 and 32 does not remove, the meaning which best reconciles the texts, having regard to the object and purpose of the treaty, shall be adopted.

এই কথা বলার পরেও, ভিয়েনা কনভেনশন নিজে থেকে শরণার্থী কনভেনশন-এ প্রযোজ্য নয়, কারণ ভিয়েনা কনভেনশন শুধুমাত্র সেইসব চুক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যা ১৯৮০ সালের ২৭ জানুয়ারির পরে স্বাক্ষরিত হয়েছে (উক্ত কনভেনশনের ৪নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী)[১৬০] এবং ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন ও তার ১৯৬৭ সালের প্রোটোকল এই সময়ের আগেই কার্যকর হয়েছিল। তবে, হাথাওয়ে যেমনটি উল্লেখ করেছেন,[১৬১] ভিয়েনা কনভেনশনে যেভাবে চুক্তি ব্যাখ্যার পদ্ধতি সংরক্ষিত হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক প্রথাগত চুক্তি ব্যাখ্যার নিয়ম হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।[১৬২] এসব নিয়ম সাধারণভাবে আন্তর্জাতিক পাবলিক আইনের অংশ হিসেবে চুক্তি ব্যাখ্যার নিয়মসমূহের সংহিত রূপ হিসেবে বিবেচিত হয়।[১৬৩] এই প্রেক্ষাপটে, ভিয়েনা কনভেনশনের ৩১ থেকে ৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের চুক্তি ব্যাখ্যার মূলনীতিগুলোর একটি সাধারণ রূপ।[১৬৪] ফলে, শরণার্থী কনভেনশন ব্যাখ্যার সময়, ভিয়েনা কনভেনশনে বর্ণিত ব্যাখ্যার নিয়মগুলো প্রযোজ্য বিবেচনা করা হয়, যদিও sensu stricto বলতে এর অনুচ্ছেদসমূহ সরাসরি শরণার্থী কনভেনশন-এ প্রযোজ্য নয়। এই কারণে, শরণার্থী কনভেনশনের প্রেক্ষিতে নিউজিল্যান্ডের,[১৬৫] যুক্তরাজ্যের,[১৬৬] এবং কানাডার[১৬৭] দেশীয় আদালতসমূহ শরণার্থী কনভেনশন ব্যাখ্যার সময় VCLT-এর ৩১ ও ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করেছেন।

কানাডাকে শরণার্থীদের প্রতি আন্তর্জাতিক আইনি দায়িত্ব সদিচ্ছার সঙ্গে পালন করতে হবে

[সম্পাদনা]

আই আর পি এ.-এর ৩(২)(b) ধারা অনুযায়ী, শরণার্থীদের প্রসঙ্গে আইনটির উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি হল কানাডার আন্তর্জাতিক আইনি দায়িত্বসমূহ পালন করা। এই দায়িত্বসমূহ সদিচ্ছার সঙ্গে ব্যাখ্যা করতে হবে।[১৬৮] এটি ভিয়েনা কনভেনশনের ৩১ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে বলা হয়েছে, "একটি চুক্তিকে সদিচ্ছার সঙ্গে ব্যাখ্যা করতে হবে"। এটি ভিয়েনা কনভেনশনের ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে রাষ্ট্রগুলোকে তাদের আন্তর্জাতিক চুক্তিগত দায়িত্বগুলো সদিচ্ছার সঙ্গে পালনের কথা বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনে, সদিচ্ছা বা bona fides-এর অর্থের মধ্যে সততা, আনুগত্য এবং যুক্তিযুক্ততার দায়িত্ব অন্তর্ভুক্ত।[১৬৯] তবে, ব্রিটেনে লর্ড বিংহাম মন্তব্য করেছেন যে "একটি রাষ্ট্র যদি চুক্তির অর্থকে তার ভাষাগত মানে হিসেবে ব্যাখ্যা করে এবং সেটির চেয়ে বেশি কিছু না করে, তাহলে সেটি সদিচ্ছার অভাব নয়।"[১৭০] এই প্রেক্ষাপটে, কানাডার ফেডারেল কোর্ট রায় দিয়েছে যে "আই আর পি এ.-এর অতি পাঠনির্ভর এবং সীমিত ব্যাখ্যা, যা আইনটির উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে যায়, তা এড়ানো উচিত।"[১৭১]

শরণার্থী কনভেনশনের ব্যাখ্যা সদিচ্ছার সঙ্গে, এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা উচিত

[সম্পাদনা]

চুক্তির আইন সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনের ৩১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “একটি চুক্তিকে সদিচ্ছার সঙ্গে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এবং এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অনুসারে চুক্তির পরিভাষার স্বাভাবিক অর্থ অনুযায়ী ব্যাখ্যা করতে হবে।”[১৭২] এতে প্রশ্ন আসে, শরণার্থী কনভেনশনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কী? বিচারব্যবস্থায় প্রধান যে উত্তরটি উঠে আসে, তা হল এই চুক্তির মানবিক উদ্দেশ্য। যুক্তরাজ্যের হাউস অফ লর্ডস রায় দিয়েছে যে একটি ‘সদিচ্ছাপূর্ণ’ ব্যাখ্যা এমন একটি ব্যাখ্যা যা চুক্তির সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যকে কার্যকর করে এবং কেবল ভাষাগতভাবে নয় বরং মানবিক লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাখ্যা প্রদান করে।[১৭৩] আই আর পি এ.-এর ৩(২)(ডি) ধারায় বলা হয়েছে, “এই আইনটির উদ্দেশ্য হল, কানাডার মানবিক আদর্শের মৌলিক প্রকাশ হিসেবে, যারা নির্যাতনের দাবি নিয়ে কানাডায় আসে, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন প্রদান করা।” গবেষক মিশেল ফস্টার লিখেছেন, “একটি দৃষ্টিভঙ্গি হল, শরণার্থী কনভেনশনের লক্ষ্য একটি সামাজিক ও মানবাধিকার ভিত্তিক উদ্দেশ্য সাধন করা, অর্থাৎ আন্তর্জাতিকভাবে সেইসব ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যারা শরণার্থী সংজ্ঞার আওতাভুক্ত।”[১৭৪] কানাডার সুপ্রিম কোর্টও শরণার্থী কনভেনশনের মানবাধিকারমূলক উদ্দেশ্যকে স্বীকার করে বলেছে, এটি “পরিষ্কারভাবে একটি মানবাধিকার সংক্রান্ত উদ্দেশ্য বহন করে” – যেমনটি নেমেথ বনাম কানাডা মামলায় বলা হয়েছে।[১৭৫] অনুরূপভাবে, ইজোকোলা বনাম কানাডা মামলায় আদালত শরণার্থী কনভেনশনের “সার্বিক ও সুস্পষ্ট মানবাধিকার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য”-এর কথা উল্লেখ করেছে।[১৭৬] কানাডা বনাম ওয়ার্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা করেছে, ১৯৫১ সালের কনভেনশনের মূল উদ্দেশ্য হল “বৈষম্য ছাড়াই মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অঙ্গীকার।”[১৭৭]

তবে, অস্ট্রেলিয়ান আদালত এক্ষেত্রে একটি সতর্কতার বার্তা দিয়েছে: “চুক্তির ভাষা ও প্রেক্ষাপটের দাবি থেকে সরে এসে কেবল মানবিক উদ্দেশ্যের দোহাই দিয়ে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়, যদি না সেই উদ্দেশ্য অর্জনের ওপর কনভেনশন নিজেই সীমা নির্ধারণ করে দেয়।”[১৭৮] বাস্তবতাও হল, যুক্তরাজ্যের লর্ড বিংহামও জোর দিয়ে বলেছেন যে ১৯৫১ সালের কনভেনশন ছিল “বিভিন্ন স্বার্থের মধ্যে একটি আপস – একদিকে নিপীড়নের শিকারদের মানবিক আচরণ নিশ্চিত করার প্রয়োজন এবং অন্যদিকে সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলোর নিজেদের ভূখণ্ডে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষা।”[১৭০] ফস্টার উল্লেখ করেন, এই দুই দৃষ্টিভঙ্গিকে একত্রিত করা সম্ভব, যদি গুরুত্ব দেওয়া হয় ১৯৫১ সালের কনভেনশনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা “মানবিক সমস্যার সমাধানে সহযোগিতার প্রয়োজন”-কে।[১৭৯] কাব্বার্স-এর মতামতের ভিত্তিতে, যদি একটি চুক্তির ধারাগুলো কোনও নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে হয়, তাহলে সেটিই চুক্তির উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচিত হয়, ফস্টার যুক্তি দেন যে ১৯৫১ সালের কনভেনশনের প্রধান উদ্দেশ্যই হল মানবাধিকার। সার্বিকভাবে এই চুক্তিটি শরণার্থীদের অধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে প্রাপ্য সুবিধাগুলো নিশ্চিত করে।[১৭৯]

শরণার্থী কনভেনশন স্পষ্টভাবে কোনো নির্দিষ্ট শরণার্থী অবস্থা নির্ধারণ (আরএসডি) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে না

[সম্পাদনা]

এই আইনের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শরণার্থীদের বিষয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করা। এই বিষয়টি কীভাবে শরণার্থী সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত? কানাডার শরণার্থী মর্যাদা নির্ধারণ প্রক্রিয়াটি ১৯৫১ সালের শরণার্থীদের অবস্থা সম্পর্কিত কনভেনশনের মতো আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাগুলোর প্রতিফলন। এই প্রক্রিয়ার মূল চ্যালেঞ্জ হলো কে "শরণার্থী" এবং কে নয়, তা নির্ধারণ করা। এই দায়িত্ব কীভাবে পালন করা হবে, সে বিষয়ে চুক্তি বা আইন কোনোটিই সরাসরি নির্দেশনা দেয় না: শরণার্থী কনভেনশন-এ মোট ৪৬টি অনুচ্ছেদ এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয়ের সংবিধি-এ ২২টি অনুচ্ছেদ রয়েছে, যার কোনোটিই আরএসডি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে না।[১৮০] ইউএনএইচসিআর-এর পদ্ধতি এবং মানদণ্ডের উপর হ্যান্ডবুক অনুযায়ী, “চুক্তিটি শরণার্থী মর্যাদা নির্ধারণের জন্য কী ধরনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে, তা নির্ধারণ করে না।”[১৮১]

কানাডা যে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করবে, তা অবশ্যই শরণার্থী কনভেনশনের মৌলিক বিধানগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে

[সম্পাদনা]

আইনের ৩(২)(খ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, শরণার্থীদের বিষয়ে আই আর পি এ.-র লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে কানাডার আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করা। শরণার্থী কনভেনশন অনুস্বাক্ষরের মাধ্যমে কানাডা একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফেরত না দেওয়া নীতির প্রতি শ্রদ্ধা, যা শরণার্থী কনভেনশনের ৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত। তাহলে এই প্রতিশ্রুতিগুলো কীভাবে কানাডার শরণার্থী মর্যাদা নির্ধারণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত? হফম্যান ও লোহর লিখেছেন, ১৯৫১ সালের চুক্তির ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে, এই চুক্তি কোনো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া প্রবর্তন বা নিষেধ করে না, তবে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে এমন কোনো প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে বারণ করে যা শরণার্থী আবেদনকারীদের সেই সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে, যেগুলোর প্রতি চুক্তি স্বাক্ষর করে কানাডা সম্মত হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি pacta sunt servanda থেকে উদ্ভূত—অর্থাৎ চুক্তি মানা আবশ্যক।[১৮২] প্রক্রিয়াগত বিষয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আদালতগুলো এমন নীতি প্রতিষ্ঠা করেছে যে, একটি দেশের প্রক্রিয়াগত আইন অবশ্যই তার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা পূরণের পথ তৈরি করতে হবে। লাগান্ড (জার্মানি বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) রায় দিয়েছে যে, একটি রাষ্ট্রের ওপর আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাগুলো পুরোপুরি পালনের যে দায়িত্ব রয়েছে, তার অর্থ হলো সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াগত আইনগুলো এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে যাতে তা রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক আইনি দায়বদ্ধতাকে কার্যকর করে।[১৮৩] উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো দেশ এমন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে যা ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া ঘটায়, তবে সেই প্রক্রিয়া প্রবর্তন করা নিজেই শরণার্থী কনভেনশনের ৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।[১৮৪] এর ফলে রাষ্ট্রগুলোর বেছে নেওয়া প্রক্রিয়াগুলোর ওপর পরোক্ষভাবে প্রভাব পড়ে; উদাহরণস্বরূপ, ইউএনএইচসিআর বলেছে যে, ফেরত না দেওয়া বাধ্যবাধকতার ফলে রাষ্ট্রগুলোর ওপর একটি ‘স্বাধীন অনুসন্ধানের দায়িত্ব’ বর্তায়।[১৮৫] এই দায়িত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রগুলোর অবশ্যই ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রয়োজন কি না, তা নির্ধারণ করতে হবে, তাদের কোনো তৃতীয় দেশে ফেরত পাঠানোর আগে।[১৮৬]

শরণার্থী কনভেনশন-কে একটি জীবন্ত দলিল হিসেবে বিবেচনা করা উচিত যা সময়োপযোগী প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম

[সম্পাদনা]

রাষ্ট্রগুলো স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছে যে, শরণার্থী কনভেনশন হলো “আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি [যার] স্থায়ী মূল্য ও ২১শ শতাব্দীতে প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।”[১৮৭] যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডস সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, “এটি স্পষ্ট যে, চুক্তি স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলো এমন একটি চুক্তি চেয়েছিল যা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শরণার্থীদের সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। আমাদের মতে, এই চুক্তিকে একটি জীবন্ত দলিল হিসেবে গণ্য করতে হবে।”[১৮৮] এটি কানাডার সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সেখানে বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোকে বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে ব্যাখ্যা করতে হবে।”[১৮৯] প্রকৃতপক্ষে, চুক্তি আইন সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন-এ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি যে, চুক্তির শব্দগুলোর অর্থ কেবলমাত্র স্বাক্ষরের সময়কার অর্থেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এর একটি খসড়ায় এমন সীমাবদ্ধতা ছিল, যা পরে মুছে ফেলা হয়, কারণ এতে আইনের বিকাশে বাধা তৈরি হতো এবং “সততার সঙ্গে ব্যাখ্যা” এই মর্মে অনুচ্ছেদটির সঠিক অর্থ নির্ধারণ সম্ভব বলে বিবেচিত হয়।[১৯০]

শরণার্থী কনভেনশনের একটি মাত্র সঠিক ব্যাখ্যা থাকতে পারে

[সম্পাদনা]

দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত যা কনভেনশনের অন্যান্য রাষ্ট্রের ব্যাখ্যার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কানাডার আন্তর্জাতিকভাবে বাধ্যতামূলক কোনো আইনগত দায়িত্ব নেই বিদেশ থেকে শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য গ্রহণ করার

[সম্পাদনা]

আইনের ৩(২)(খ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, শরণার্থীদের বিষয়ে এই আইনের উদ্দেশ্য হলো ১) শরণার্থীদের বিষয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা পূরণ এবং ২) পুনর্বাসনের প্রয়োজন রয়েছে এমন ব্যক্তিদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রতি কানাডার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা। পুনর্বাসন দ্বিতীয় লক্ষ্যটির অন্তর্ভুক্ত, প্রথমটির নয়, কারণ বিদেশ থেকে শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য কানাডার কোনো আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। শরণার্থী কনভেনশন আলোচনার সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বোঝাপড়া ভাগাভাগির গুরুত্ব স্বীকার করেছিল এবং এটি চুক্তির প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল, তবে একে বাধ্যতামূলক আইনি দায়বদ্ধতা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।[১৯১] সত্যি বলতে, হ্যাথওয়ে মন্তব্য করেছেন যে, যখন শরণার্থী কনভেনশন নিয়ে আলোচনা চলছিল, তখন বিভিন্ন সরকার তাদের সীমান্তের বাইরে অবস্থানরত শরণার্থীদের গ্রহণ করার কোনো বাধ্যতামূলক দায়িত্বের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেয়, বরং কেবলমাত্র এমন একটি সীমিত বাধ্যবাধকতা গ্রহণ করে যে, তারা শরণার্থীদের এমন দেশে ফেরত পাঠাবে না যেখানে তাদের নির্যাতনের মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।[১৯২] পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আইনে আশ্রয় লাভের ব্যক্তিগত অধিকার নির্ধারণের বিভিন্ন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে—যেমন ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আঞ্চলিক আশ্রয়ের ঘোষণাপত্র বাধ্যতামূলক নয় এবং প্রস্তাবিত আঞ্চলিক আশ্রয় সংক্রান্ত কনভেনশন কখনো বাস্তবায়িত হয়নি।[১৯৩] আরও বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া এবং বোঝা ভাগ করে নেওয়া শরণার্থী কনভেনশনের মৌলিক নীতি

আইআরপিএ ধারা ৩(২)(গ) - যারা কানাডায় নির্যাতনের আশঙ্কা থেকে আশ্রয়ের দাবি জানায়, তাদের প্রতি ন্যায্য বিবেচনা প্রাপ্য

[সম্পাদনা]
Objectives — refugees
(2) The objectives of this Act with respect to refugees are
(c) to grant, as a fundamental expression of Canada’s humanitarian ideals, fair consideration to those who come to Canada claiming persecution;

এই বিধানটি আইনে বহুদিন ধরে অন্তর্ভুক্ত

[সম্পাদনা]

এটি ১৯৭৬ সালের ইমিগ্রেশন অ্যাক্টে যুক্ত হওয়া লক্ষ্যগুলোর একটি প্রতিফলন। সেখানে বলা হয়েছিল “শরণার্থীদের বিষয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক আইনগত বাধ্যবাধকতা পূরণ এবং বাস্তুচ্যুত ও নিপীড়িতদের বিষয়ে তার মানবিক ঐতিহ্য বজায় রাখা।”[১৯৪] এটি আইআরবি-এর মিশন স্টেটমেন্টেও প্রতিফলিত হয়েছে। সেখানে বোর্ডের পক্ষ থেকে কানাডীয়দের প্রতিনিধিত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে: "আমাদের মিশন হলো, কানাডীয়দের পক্ষে অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক সিদ্ধান্তগুলো দক্ষভাবে, ন্যায্যভাবে এবং আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রহণ করা।"[১৯৫]

শরণার্থী কর্মসূচি সম্পর্কে জনগণের ধারণায় বোর্ড পদ্ধতিগুলোর ন্যায়সংগত হওয়ার গুরুত্ব

[সম্পাদনা]

সার্বিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাক্ষ্য প্রদানের সুবিধার্থেও পদ্ধতিগত ন্যায়বিচার অপরিহার্য, তবে এটি শরণার্থী নির্ধারণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, যদি অংশীজনেরা দেখে যে প্রক্রিয়াটি পক্ষপাতদুষ্ট, পূর্বধারণাপ্রসূত, খামখেয়ালি বা অন্যভাবে অনুপযুক্ত এবং যারা কানাডায় এসে আবেদন করেন তাদের ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে না, তাহলে তারা এই ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। যেমন আইনতত্ত্ববিদ প্যাট্রিসিয়া মিন্ডাস যুক্তি দেন, খামখেয়ালিপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ব্যবস্থার বৈধতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং আইনের প্রতি আস্থা নষ্ট করে, যা সহজে পুনরুদ্ধারযোগ্য নয়।[১৯৬] এই কারণে, পদ্ধতিগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা শুনানি ও শরণার্থী নির্ধারণ প্রক্রিয়ার নির্ভরযোগ্যতা এবং জনগণের সমর্থন বজায় রাখার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

যারা কানাডায় এসে নির্যাতনের আশঙ্কা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করেন, তাদের আবেদন ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচিত হচ্ছে কি না, তা বোর্ডের দায়িত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। থেরিও লেখেন, "যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা জোরদার করে। যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা লিখতে গিয়ে বিচারকরা একটি আত্মনিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে যান, যা সিদ্ধান্তকে যুক্তিনিষ্ঠ করে তোলে। পক্ষগুলো এতে বুঝতে পারে কেন একটি সিদ্ধান্ত এভাবে হয়েছে। আপিল আদালতগুলোও তখন সিদ্ধান্তের গুণগত মান বিচার করতে পারে। একই সঙ্গে, stare decisis নীতির মাধ্যমে সাধারণ আইন বিকাশেও যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় এবং এটি আইনজীবী সমাজ ও সাধারণ মানুষের কাছে আইনের নিয়মাবলির বিষয়বস্তু ও বিবর্তন তুলে ধরে।"[১৯৭]

এই বিধানটি ন্যায়বিচারের মৌলিক নীতিমালা সম্পর্কিত কানাডিয়ান বিল অব রাইটস-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত

[সম্পাদনা]

আই আর পি এ.-এর ধারা ৩(২)(c) অনুযায়ী, এই আইনের শরণার্থী সংক্রান্ত উদ্দেশ্য হলো নির্যাতনের আশঙ্কায় যারা কানাডায় আসে তাদের ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনা করা। এটি কানাডিয়ান বিল অফ রাইটস-এর ধারা ২(ই)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে বলা হয়েছে যে কানাডার কোনো আইন এমনভাবে ব্যাখ্যা বা প্রয়োগ করা যাবে না যাতে এখানে স্বীকৃত বা ঘোষিত কোনো অধিকার বা স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয় এবং বিশেষভাবে বলা হয়েছে, "(ই) কোনো ব্যক্তিকে তার অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণে ন্যায়বিচারের মৌলিক নীতিমালার ভিত্তিতে একটি সুষ্ঠু শুনানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।"[১৯৮]

এই বিধানটি কানাডার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত

[সম্পাদনা]

আই আর পি এ.-এর ধারা ৩(২)(c) অনুযায়ী, এই আইনের শরণার্থী সংক্রান্ত উদ্দেশ্য হলো নির্যাতনের আশঙ্কায় যারা কানাডায় আসে তাদের ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনা করা। এই “ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনা” করার ধারণার ব্যাপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত দেখতে দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা দেখুন# শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই আইনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে এমন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা সমস্ত মানুষের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি কানাডার শ্রদ্ধাকে সমর্থন করবে

এই বিধানটি কানাডার অভ্যন্তরে অবস্থানরত দাবি দাতাদের উপর কেন্দ্রিত

[সম্পাদনা]

আই আর পি এ.-এর ধারা ৩(২)(c) অনুযায়ী, এই আইনের শরণার্থী সংক্রান্ত উদ্দেশ্য হলো নির্যাতনের আশঙ্কায় যারা কানাডায় আসে তাদের ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনা করা। এই বিধানটিকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে যে এটি মূলত তাদের লক্ষ্য করে যারা কানাডায় এসে সুরক্ষা দাবি করেন (অভ্যন্তরীণ আশ্রয়প্রার্থী), বহিঃস্থ অবস্থানরতদের (পুনর্বাসনের জন্য অপেক্ষমাণ) তুলনায়। কেননা পুনর্বাসনের জন্য নির্বাচিত শরণার্থীরা সাধারণত আগে থেকেই শরণার্থীর মর্যাদা পেয়ে থাকেন। আরও দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#পুনর্বাসনের জন্য বিদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের গ্রহণ করার জন্য কানাডার বাধ্যতামূলক আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। আরেকটি ব্যাখ্যায় বলা যেতে পারে, "যারা কানাডায় নির্যাতনের আশঙ্কায় আসে"—এই বাক্যে "কানাডা" শব্দটি দেশের ভূখণ্ডের পরিবর্তে "কানাডা সরকার" বোঝাতে ব্যবহার হয়েছে; যদিও এ ব্যাখ্যাটি বিতর্কিত।

আই আর পি এ. ধারা ৩(২)(ডি) - নিরাপদ আশ্রয় প্রদান

[সম্পাদনা]
Objectives — refugees (2) The objectives of this Act with respect to refugees are (d) to offer safe haven to persons with a well-founded fear of persecution based on race, religion, nationality, political opinion or membership in a particular social group, as well as those at risk of torture or cruel and unusual treatment or punishment;

উদ্দেশ্য — শরণার্থীরা
(২) এই আইনের অধীনে শরণার্থীদের সংক্রান্ত উদ্দেশ্য হলো—
(d) বর্ণ, ধর্ম, জাতীয়তা, রাজনৈতিক মতামত বা নির্দিষ্ট সামাজিক গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার ভিত্তিতে নির্যাতনের যুক্তিসঙ্গত আশঙ্কা রয়েছে এমন ব্যক্তি এবং নির্যাতন বা নিষ্ঠুর ও অস্বাভাবিক আচরণ বা শাস্তির ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করা।

শরণার্থী বিধানের উদ্দেশ্য নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করা — এটি উৎস দেশ সম্পর্কে একটি মূল্যায়ন অন্তর্নিহিত করে

[সম্পাদনা]

এই আইনের ধারা ৩(২)(ডি) অনুযায়ী শরণার্থীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় প্রদানের বিষয়টি একটি উদ্দেশ্য। এই নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করার ধারণাটিই বোঝায় যে, আশ্রয়প্রার্থী ব্যক্তির উৎস দেশ এই নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যেমন প্লাউট লিখেছেন, এইভাবে শরণার্থীর মর্যাদা প্রদান উৎস দেশ সম্পর্কে একটি রায় প্রদান: "জেনেভা কনভেনশন আসলে অপরাধী দেশগুলোর নীতির উপর একটি নৈতিক রায় নয় কী? যখনই একটি দেশ কোনো ব্যক্তিকে প্রকৃত শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তখনই সে দেশ ওই ব্যক্তির উৎস দেশের বিচার করছে।"[১৯৯] তিনি আরও লেখেন, "কনভেনশনের অধীনে কোনো ব্যক্তিকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করার অর্থ হচ্ছে তার উৎস দেশ তার ভূখণ্ডে শরণার্থী তৈরি করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।"[২০০]

এই আইনের উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপদ আশ্রয় প্রদান — এবং এই অঙ্গীকার স্থায়ী যতক্ষণ না আশ্রয়প্রার্থীর মর্যাদা রহিত হয়

[সম্পাদনা]

এই আইনের শরণার্থী সংক্রান্ত উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে, যারা কনভেনশন অনুযায়ী নির্যাতনের যুক্তিসঙ্গত আশঙ্কায় রয়েছেন, কিংবা যারা নির্যাতন বা নিষ্ঠুর ও অস্বাভাবিক আচরণের ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের নিরাপদ আশ্রয় প্রদান। এই দায়বদ্ধতা আংশিকভাবে শরণার্থী কনভেনশনের মানদণ্ড অনুসরণ করে এবং এই চুক্তিটিকে তৃতীয় পক্ষের জন্য দায়িত্ব নেওয়ার একটি চুক্তি হিসেবে দেখা যেতে পারে। সেখানে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলো একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধতা গ্রহণ করে শরণার্থীদের উপকারার্থে।[২০১] হাদ্দাদ লিখেছেন, শরণার্থী হলেন সেই ব্যক্তি যিনি আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে তার নিজ রাষ্ট্র ত্যাগ করেছেন এবং ফলে তিনি এখন আন্তর্জাতিক সমাজের একটি দায়িত্ব।[২০২]

শরণার্থীদের প্রদত্ত "নিরাপদ আশ্রয়" কানাডার অন্যান্য অনিশ্চিত অভিবাসন মর্যাদার (যেমন স্থায়ী বাসিন্দা) থেকে স্বাধীন। একজন আবেদনকারীর আশ্রয়প্রার্থী মর্যাদা তার স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা হারালে কিংবা স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও তা প্রভাবিত হয় না।[২০৩] এমনকি কেউ যদি একটি নিরাপদ রাষ্ট্র থেকে অন্য আরেকটিতে চলে যায়, যে রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সুরক্ষা দিয়েছিল, তবু আগের রাষ্ট্রটির উপর দায়বদ্ধতা বহাল থাকে যতক্ষণ না ব্যক্তিটির মর্যাদা রহিত হয়।[২০৪] বাস্তবিকপক্ষে, এমনও হতে পারে যে কেউ আইআরবি কর্তৃক সুরক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও তিনি কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা বা নাগরিক হতে সক্ষম নাও হতে পারেন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি ২৬-২৮ - বর্জন, সততা সমস্যা, অগ্রহণযোগ্যতা এবং অযোগ্যতা # আইআরপিএতে অগ্রহণযোগ্যতার অন্যান্য কারণগুলো দাবিদারদের শরণার্থী শুনানির জন্য অযোগ্য করে তোলে না, তবে তবুও যেখানে দাবি গৃহীত হয় সেখানেও পরিণতি হতে পারে। তবে, এটি স্পষ্ট যে শরণার্থীর মর্যাদা তখনই শেষ হয় যখন কনভেনশন অনুযায়ী এর জন্য নির্ধারিত ‘cessation clauses’ প্রযোজ্য হয়।[২০৫] উদাহরণস্বরূপ, শরণার্থী কনভেনশনের ধারা ১(C)(৩) অনুসারে, নাগরিকত্ব অর্জনের মাধ্যমে—অর্থাৎ "একজন শরণার্থী নতুন নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং তার নতুন দেশের সুরক্ষা উপভোগ করেন"—তখন তার শরণার্থী মর্যাদা বাতিল হয়ে যায়।[২০৬] একবার কোনো ‘cessation clause’ এর শর্ত পূরণ হয়ে গেলে তখন 'শরণার্থীতা' বৈধভাবে শেষ হয়েছে বলে গণ্য করা যায়। এর আগ পর্যন্ত, এটি বলা যায় যে শরণার্থীত্ব একটি অস্থায়ী অবস্থান—আসলে, আগিয়ার যেমন বলেন, ‘refuge’ শব্দটিই বোঝায় ‘একটি অস্থায়ী আশ্রয়, অপেক্ষা চলতে থাকে আরও ভালো কিছুর জন্য।’[২০৭] আরও দেখুন, কীভাবে কনভেনশনের ‘cessation clause’ কানাডীয় নাগরিকত্ব অর্জনের সঙ্গে মিলে যায়: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি ৬৪ - শরণার্থী সুরক্ষা খালি করার বা বন্ধ করার আবেদন# এই বিধানটি এমনকি যারা কানাডার নাগরিক হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য

আইআরপিএ ধারা ৩ (২) (ই) - ন্যায্য এবং দক্ষ পদ্ধতি যা অখণ্ডতা বজায় রাখে এবং মানবাধিকার বজায় রাখে

[সম্পাদনা]
Objectives — refugees
(২) The objectives of this Act with respect to refugees are
(ই) to establish fair and efficient procedures that will maintain the integrity of the Canadian refugee protection system, while upholding Canada’s respect for the human rights and fundamental freedoms of all human beings;

শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই আইনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা

[সম্পাদনা]

করা আইআরপিএ'র ৩(২)(ই) ধারায় বলা হয়েছে, শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই আইনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে সুষ্ঠু ও দক্ষ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা। আইআরপিএ'র ১৬২(২) ধারায় বলা হয়েছে, প্রতিটি বিভাগ তার সামনে থাকা সকল কার্যক্রম অনানুষ্ঠানিকভাবে এবং দ্রুততার সাথে মোকাবেলা করবে যতটা পরিস্থিতি এবং ন্যায্যতা ও প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের বিবেচনার অনুমতি দেয়; এই বিষয়ে আরও আলোচনার জন্য, দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/১৬২- বোর্ডের এখতিয়ার এবং পদ্ধতি # আইআরপিএ ধারা ১৬২(২) - অনানুষ্ঠানিকভাবে এবং দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা।

সাধারণ আইনে এলিয়েনের অবস্থান সম্পর্কিত সূচনা পয়েন্টটি লর্ড ডেনিং নিম্নরূপে সংক্ষিপ্ত করেছিলেন:

সাধারণ আইনে ক্রাউনের অনুমতি ব্যতীত কোনও বিদেশীর এই দেশে প্রবেশের কোনও অধিকার নেই; এবং ক্রাউন কোনও কারণ ছাড়াই ছুটি প্রত্যাখ্যান করতে পারে। যদি তিনি ছুটির মাধ্যমে আসেন তবে ক্রাউন তার থাকার সময়কাল বা অন্যথায় উপযুক্ত বলে মনে করে এমন শর্ত আরোপ করতে পারে। তার এখানে থাকার কোনো অধিকার নেই। ক্রাউনের মতে, এখানে তার উপস্থিতি জনসাধারণের মঙ্গলের পক্ষে অনুকূল না হলে তাকে যে কোনও সময় তার নিজের দেশে পাঠানো যেতে পারে; এবং এ উদ্দেশ্যে নির্বাহী বিভাগ তাকে গ্রেফতার করে নিজ দেশের উদ্দেশ্যে কোনো জাহাজ বা বিমানে তুলে দিতে পারেন। সাধারণ আইনে এলিয়েনদের অবস্থান তখন থেকে বিভিন্ন বিধিবিধানের আওতাভুক্ত হয়েছে; কিন্তু নীতি একই রয়ে গেছে।  [অভ্যন্তরীণ উদ্ধৃতি বাদ দেওয়া হয়েছে]

কানাডায় প্রবেশ বা থাকার আইনগত অধিকার নেই এমন মরিয়া মানুষের অপ্রতিরোধ্য প্রবাহের বাস্তবতা শরণার্থী নির্ধারণ ব্যবস্থাকে বারবার লড়াই করতে হয়েছে। এইভাবে, হ্যাথাওয়ে শরণার্থী কনভেনশনের ঐতিহাসিক পূর্বসূরিগুলোর মধ্যে একটির জন্ম দেওয়া পরিস্থিতি বর্ণনা করার সময় লিখেছেন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক সুবিধার সীমাবদ্ধতা শরণার্থী কর্মসূচির সাথে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে: সাম্প্রদায়িক বন্ধের আদর্শের প্রয়োজন-ভিত্তিক ব্যতিক্রমকে বৈধতা এবং সংজ্ঞায়িত করে, শরণার্থী আইন সংরক্ষণবাদী আদর্শকে বজায় রাখতে পারে। এইভাবে, "যতক্ষণ পর্যন্ত শরণার্থীদের প্রবেশের [রাষ্ট্রগুলো] আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত বলে বোঝা যায়, ততক্ষণ তাদের আগমন আইনত অস্থিতিশীল [বন্ধ হয়ে যায়]।  এই প্রেরণার বেশ কয়েকটি প্রভাব রয়েছে। ফেডারেল কোর্ট অফ আপিল বলেছে যে "কানাডায় দাবি করার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শরণার্থী মর্যাদা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে জনস্বার্থ বাধ্যতামূলক রয়েছে।  কানাডিয়ান বার অ্যাসোসিয়েশন যেমন জমা দিয়েছে, দ্রুততার অভাব "সিস্টেমে বৈধ দাবির দিকে পরিচালিত করে এবং অযৌক্তিক দাবির বিস্তারকে উত্সাহিত করে।  কানাডার সুপ্রিম কোর্ট কোনও পদ্ধতি নির্বাচন করার সময় আনুপাতিকতার গুরুত্বের উপর জোর দেয়, কারণ "কোনও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সর্বোত্তম ফোরাম সর্বদা সবচেয়ে শ্রমসাধ্য পদ্ধতির সাথে হয় না"।  এই লক্ষ্যগুলো আইনে অন্তর্ভুক্ত কাঠামো এবং পদ্ধতিতে প্রতিফলিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে:

  • সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের যে কার্যধারা দেওয়া হয়েছে তার উপর নিয়ন্ত্রণ: শুনানির দক্ষতা বাড়ানোর জন্য, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের শরণার্থী সুরক্ষা কার্যক্রমের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার জন্য সুষম শরণার্থী সংস্কার আইন (২০১০) এবং কানাডার ইমিগ্রেশন সিস্টেম সুরক্ষা আইন (২০১২) পাস করার পরে পদ্ধতিগুলো সংশোধন করা হয়েছিল।  সত্য যে আইআরবির প্রতিটি বিভাগকে ন্যায্যতা এবং প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের পরিস্থিতি হিসাবে অনানুষ্ঠানিকভাবে এবং তাড়াতাড়ি তার সামনে সমস্ত কার্যক্রম মোকাবেলা করতে হবে, উদাহরণস্বরূপ, ট্রাইব্যুনাল সদস্যের প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোতে সময় নষ্ট না করার অধিকার।  দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি ৪৪-৪৮ - সাক্ষী # ৪৪ (৫): কোনও সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়, বিভাগকে অবশ্যই কোনও প্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
  • সদৃশ প্রক্রিয়াগুলো আইন থেকে বাদ দেওয়ার উপায়গুলো: শরণার্থী আপিল বিভাগ, দক্ষতার বিষয়গুলো বিবেচনা করার সময়, পর্যবেক্ষণ করেছে যে আইনের একটি ব্যাখ্যা যা কাজের সদৃশতা হ্রাস করবে এবং একটি অতিরিক্ত, অপ্রয়োজনীয়, শুনানি থাকা পছন্দ করা উচিত।  ফেডারেল কোর্ট "অপ্রয়োজনীয় পদ্ধতি এড়াতে বিচারিক অর্থনীতি অর্জনের উদ্দেশ্যে যে কোনও যুক্তিতে" সহানুভূতি উল্লেখ করেছে।  এই নীতিটি আইনের ধারা 97 এর আইনী ইতিহাসে দেখা যায় ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট থেকে আইআরপিএতে রূপান্তরের সাথে ধারা 97 চালু করা হয়েছিল এবং এইভাবে আশ্রয় সুরক্ষার পরিধি প্রসারিত করা হয়েছিল এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যারা নির্যাতনের ঝুঁকিতে রয়েছে এবং এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা তাদের জাতীয়তার দেশে বা প্রাক্তন অভ্যাসগত বাসস্থানে নির্বাসনের পরে নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণের ঝুঁকিতে রয়েছে। রেবেকা হ্যামলিন লিখেছেন যে ২০০২ সালে ভোটের আগে সংসদ আইআরপিএ নিয়ে আলোচনা করার সময় অনুচ্ছেদ ৯৭ প্রবর্তনকে স্মরণীয় বলে মনে করেছিল এমন পরামর্শ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। বিলটি নিয়ে যখন বিতর্ক চলছিল, তখন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন মন্ত্রী এলিনর ক্যাপলান সংসদ সদস্যদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে আইআরপিএ "আমাদের পদ্ধতিগুলো সহজতর করার ক্ষমতা দেয়, যাতে যাদের আমাদের সুরক্ষার সত্যিকারের প্রয়োজন তাদের আরও দ্রুত কানাডায় স্বাগত জানানো হবে এবং যাদের সুরক্ষার প্রয়োজন নেই তাদের আরও দ্রুত অপসারণ করা সম্ভব হবে। এই স্ট্রিমলাইনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইআরপিএ কার্যকর হওয়ার পরপরই, আইআরবি আইনী পরিষেবা বিভাগ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য ধারা 97 সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে একটি গাইড তৈরি করেছিল; গাইডটিতে বলা হয়েছে যে পূর্ববর্তী "খণ্ডিত" এবং "বহুস্তরীয় পদ্ধতির" "বিলম্ব এবং অসঙ্গতি" এড়াতে এই সিদ্ধান্তগুলো আইআরবি ম্যান্ডেটের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
  • অতিরিক্ত প্রমাণ মুলতুবি রেখে দাবি স্থগিত রাখার ন্যায্যতার প্রয়োজনীয়তা: আদালত বলেছে যে মৌলিক ন্যায়বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বিলম্বিত করা দরকার যদি তারা জানে যে যুক্তিসঙ্গত সময় দেওয়া হলে, আবেদনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি পেতে পারেন।  দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার#নতুন প্রমাণ প্রাপ্তির মুলতুবি রেখে শুনানি আহ্বান বা সিদ্ধান্ত জারি করতে বিলম্ব করার অনুরোধ।

শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই আইনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে এমন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা যা কানাডিয়ান শরণার্থী সুরক্ষা ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রাখবে

[সম্পাদনা]

আইআরপিএর ধারা ৩ (২) (ই) সরবরাহ করে যে শরণার্থীদের ক্ষেত্রে আইনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে ন্যায্য এবং দক্ষ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা কানাডিয়ান শরণার্থী সুরক্ষা ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রাখবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন যে "তাদের দুর্বল পরিস্থিতির কারণে, শরণার্থীরা তারা যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে বা প্রত্যক্ষ করেছে সে সম্পর্কে তথ্য অতিরঞ্জিত বা গোপন করার জন্য চাপের মুখোমুখি হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তারা যদি মনে করে যে, মানবিক সহায়তা বা শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার আরও ভালো সুযোগ তাদের আছে, তাহলে তারা হয়তো সমস্যাগুলোর অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে পারে।"  হ্যারল্ড ট্রপার যেমন নোট করেছেন, শরণার্থী কর্মসূচিকে অবশ্যই যে উদ্বেগের সমাধান করতে হবে তা হলো উদ্বেগ যে "শরণার্থী দাবিদারদের অনেকেই, যাদের মধ্যে কয়েকজন যারা সফলভাবে নির্ধারণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটি তৈরি করেছিলেন, তারা সত্যই বৈধ শরণার্থী ছিলেন না তবে এমন ব্যক্তিরা যারা কানাডার কঠোর অভিবাসন বিধিবিধানের আশেপাশে উপায় খুঁজছিলেন।  প্রকৃতপক্ষে, প্রতারণামূলক আবেদনগুলো কানাডার বেশ কয়েকটি অভিবাসন প্রোগ্রামকে "জর্জরিত" করেছে বলে বলা হয় এবং এটি কেবল কানাডার আশ্রয় ব্যবস্থার সাথে উদ্বেগের বিষয় নয়।  উদাহরণস্বরূপ, পুনর্বাসনের জন্য আইআরপিএ-তে প্রাক্তন উত্স দেশ শ্রেণির অধীনে, আইসিআরসি ইঙ্গিত দিয়েছিল যে ব্যক্তিরা কানাডিয়ান দূতাবাসে আইসিআরসি থেকে প্রতারণামূলক রেফারেল ব্যবহার করেছিল।  ২০০৪ সালে, কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ একটি স্কিম আবিষ্কার করেছিল যেখানে গেরিলা বা আধাসামরিক বাহিনীর কাছ থেকে মৃত্যু বা অপহরণের হুমকির শিকার ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার নথির জন্য কলম্বিয়ার জাতীয় সিনেট কর্তৃক নিযুক্ত বেসামরিক কর্মচারীদের যথেষ্ট পরিমাণে ঘুষ দেওয়া হচ্ছিল। বোগোটায় অবস্থিত কানাডিয়ান দূতাবাসে অন্তত পঞ্চাশ জনের জন্য সোর্স কান্ট্রি ক্লাস রিসেটেলমেন্টের জন্য এসব নথি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড বলেছে যে এটি যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তার মধ্যে একটি হলো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলো আমাদের জাতীয় অভিবাসন নীতিকে এড়ানোর উপায় হিসাবে শরণার্থী দাবিগুলো ব্যবহার করতে পারে না তা নিশ্চিত করা।  যখন আইআরবি অস্তিত্ব লাভ করে, তখন সরকারী প্রোগ্রাম বিতরণ কৌশলে বলা হয়েছিল যে অ-বিশ্বাসযোগ্য শরণার্থী দাবিদারদের অপসারণ ছিল আইনের "ভিত্তি"।  এটি অগত্যা একটি ভারসাম্য জড়িত, যা জেনিফার বন্ড এবং ডেভিড ওয়াইজম্যান আলোচনা করেন যখন তারা লেখেন যে কানাডার আশ্রয় ব্যবস্থা পরিচালনাকারী পদ্ধতিগত কাঠামোতে নমনীয়তা এবং কঠোরতা উভয়ই সক্ষম করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া রয়েছে।  এই বিবেচনাগুলো কানাডার সুপ্রিম কোর্ট "শরণার্থী মর্যাদার মর্যাদা" বজায় রাখার গুরুত্ব হিসাবেও উল্লেখ করে।  ইউএনএইচসিআর অনুরূপ বিবেচনার কথা উল্লেখ করে যখন এটি লেখে যে "আশ্রয়ের বেসামরিক চরিত্র রক্ষার জন্য, রাষ্ট্র ... আগতদের পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে মূল্যায়ন করা দরকার যাতে সশস্ত্র উপাদানগুলো সনাক্ত করা যায় এবং তাদের বেসামরিক শরণার্থী জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা করা যায়।  ফেডারেল কোর্ট অফ আপিল লিখেছে যে "কানাডিয়ান শরণার্থী সুরক্ষা ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রাখা বিবেচনা করার জন্য একটি বৈধ উদ্দেশ্য এবং এমন একটি যা সিস্টেমের সংশ্লিষ্ট সকলের দ্বারা গুরুত্ব সহকারে নেওয়া কর্তব্য হিসাবে প্রয়োজন।

আইআরপিএর ধারা ৩ (১) (এফ.১ সরবরাহ করে যে অভিবাসন সম্পর্কিত এই আইনের উদ্দেশ্যগুলো হলো ... ন্যায্য এবং দক্ষ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন সিস্টেমের অখণ্ডতা বজায় রাখা। এটি ধারা ৩ (২) (ই) এর একটি "বোন বিধান" বলা হয়।

শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই আইনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে এমন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা যা সমস্ত মানুষের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি কানাডার শ্রদ্ধাকে সমর্থন করবে

[সম্পাদনা]

আইআরপিএর ধারা ৩ (২) (ই) সরবরাহ করে যে শরণার্থীদের বিষয়ে আইনের উদ্দেশ্যগুলো হলো ন্যায্য ও দক্ষ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করা যা কানাডার শরণার্থী সুরক্ষা ব্যবস্থার অখণ্ডতা বজায় রাখবে, যখন মানবাধিকার এবং সমস্ত মানুষের মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি কানাডার শ্রদ্ধা বজায় রাখবে। এটি আইআরপিএর ধারা ৩ (২) (সি) এর সাথে একত্রে বিবেচনা করা যেতে পারে, যা সরবরাহ করে যে শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই আইনের উদ্দেশ্যগুলো হলো যারা নিপীড়নের দাবি করে কানাডায় আসে তাদের ন্যায্য বিবেচনা দেওয়া। "ন্যায্য বিবেচনা" ধারণার সুযোগ হিসাবে, এটি আইআরপিএর এস ৩ (৩) (এফ) এর সাথে একত্রে বিবেচনা করা উচিত, যা সরবরাহ করে যে আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করা এবং প্রয়োগ করা উচিত যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলগুলোর সাথে মেনে চলে যার সাথে কানাডা স্বাক্ষরকারী।

এই জাতীয় মানবাধিকার দলিলগুলো বিবেচনা করার সময়, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির বিধানের প্রতি সাধারণত বিবেচনা করা যায় না যা কোনও ব্যক্তির "আইনে অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা" নির্ধারণে ন্যায্য বিচারের সাথে সম্পর্কিত বিস্তৃত অধিকার প্রদান করে।  কিছু, যেমন মাচারিয়া-মোকোবি, নোট করুন যে এই বিধানটি শরণার্থী অবস্থা নির্ধারণের পদ্ধতিগুলো কভার করতে পারে।  নির্বাসন কার্যক্রম নিজেরাই আইসিসিপিআরের সেই নিবন্ধের আওতায় পড়ে না,[ তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি বলেছে যে যতদূর দেশীয় আইন বহিষ্কার বা নির্বাসন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে একটি বিচারিক সংস্থাকে (নির্বাহী বিভাগের অংশ হিসাবে ট্রাইব্যুনালের বিপরীতে) অর্পণ করে, আইসিসিপিআরের এই নিবন্ধে অন্তর্ভুক্ত গ্যারান্টিগুলো প্রযোজ্য। তদুপরি, আইসিসিপিআরের অনুচ্ছেদ ১৪ এর সমস্ত প্রাসঙ্গিক গ্যারান্টি প্রযোজ্য যেখানে বহিষ্কার শাস্তিমূলক অনুমোদনের রূপ নেয় বা যেখানে বহিষ্কার আদেশ লঙ্ঘন ফৌজদারি আইনের অধীনে শাস্তি দেওয়া হয়।  যেমন, আরপিডি এবং আরএডির আগে কানাডায় সাধারণ শরণার্থী দাবির জন্য, অনুচ্ছেদ ১৪ তাদের সংকল্পের সাথে প্রাসঙ্গিক হবে না। এই উত্তরটি তর্কসাপেক্ষে, ফৌজদারি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলে ছুটি বা অবসানের কার্যক্রমের জন্য আলাদা হতে পারে বা যেখানে আইন আদালত আন্তর্জাতিক শিশু অপহরণের নাগরিক দিক সম্পর্কিত হেগ কনভেনশন সম্পর্কিত কার্যক্রমের অংশ হিসাবে শরণার্থী অবস্থা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করে: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি 65 - বিসর্জন # কানাডা থেকে দাবিদারের প্রস্থানের পরে একটি দাবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিত্যক্ত হয় না এবং কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি 60-61 - একটি প্রত্যাহার দাবি বা আবেদন পুনর্বহাল #:~:পাঠ্য = একটি হেগ কনভেনশন কার্যক্রম:।

পরিবর্তে, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রাসঙ্গিক বিধানটি প্রায়শই অনুচ্ছেদ ১৩ হবে, যা বিশেষত একটি রাষ্ট্রের অঞ্চলে আইনত এলিয়েনদের অধিকারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে:

বর্তমান চুক্তির কোন রাষ্ট্রপক্ষের ভূখণ্ডে আইনসম্মতভাবে অবস্থানকারী কোন বিদেশীকে কেবল আইনানুযায়ী গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে উক্ত রাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা যেতে পারে এবং জাতীয় নিরাপত্তার বাধ্যতামূলক কারণ ব্যতীত, তার বহিষ্কারের বিরুদ্ধে কারণ পেশ করার এবং তার মামলা পর্যালোচনা করার অনুমতি দেওয়া হবে। এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিশেষভাবে মনোনীত কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে উক্ত উদ্দেশ্যে প্রতিনিধিত্ব করিতে হইবে।

১৩ নং অনুচ্ছেদের বিশেষ অধিকার কেবল সেই বহিরাগতদের সুরক্ষা দেয় যারা আইনত একটি রাষ্ট্রপক্ষের ভূখণ্ডে রয়েছে। এর অর্থ হলো সেই সুরক্ষার সুযোগ নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রবেশ এবং থাকার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত জাতীয় আইনকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি তার প্রাসঙ্গিক সাধারণ মন্তব্য অনুসারে, "অবৈধ প্রবেশকারী এবং বহিরাগতরা যারা আইন বা তাদের অনুমতিগুলোর চেয়ে বেশি সময় অবস্থান করেছে, বিশেষত, [এই নিবন্ধের] বিধানের আওতায় পড়ে না"। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটি তাদের প্রাসঙ্গিক সাধারণ মন্তব্যে লিখেছে, যদি কোনো বিদেশির প্রবেশ বা অবস্থানের বৈধতা নিয়ে বিতর্ক থাকে, তাহলে এ বিষয়ে বিদেশিকে বহিষ্কার বা নির্বাসনের যে কোনো সিদ্ধান্ত ১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিতে হবে।  এটি শরণার্থী কনভেনশনের প্রস্তাবনাকেও প্রতিফলিত করে, যা পড়ে:

চুক্তি সম্পাদনকারী দুই পক্ষের... জাতিসংঘ সনদ এবং ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে এই নীতিকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে মানুষ বৈষম্য ছাড়াই মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা ভোগ করবে ... নিম্নরূপ একমত হয়েছেন: ...

এটি ব্যবহৃত পদ্ধতি এবং তাদের মধ্যে গৃহীত প্রমাণগুলোর জন্য প্রভাব রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নির্যাতনের ফলে প্রাপ্ত কোনও বিবৃতি বা প্রমাণ কোনও কার্যধারায় প্রমাণ হিসাবে নির্ভর করা উচিত নয়।  যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের লর্ড হফম্যানের ভাষায়, 'নির্যাতনের ব্যবহার অসম্মানজনক। এটি রাষ্ট্রকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অধঃপতিত করে যা এটি ব্যবহার করে এবং যে আইনি ব্যবস্থা এটি গ্রহণ করে।  বিচারপতি ব্ল্যানচার্ড লিখেছেন, "এই ধরনের প্রমাণের স্বীকারোক্তি বিচারিক কার্যক্রমের অখণ্ডতার বিরোধী এবং ক্ষতিগ্রস্থ করে।  শরণার্থী অবস্থা নির্ধারণের ন্যায্য পদ্ধতি সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার।

আইআরপিএ ধারা ৩ (২) (জি) - কানাডিয়ানদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা রক্ষা এবং কানাডিয়ান সমাজের সুরক্ষা বজায় রাখা

[সম্পাদনা]
Objectives - refugees
(২) The objectives of this Act with respect to refugees are ...
(g) to protect the health and safety of Canadians and to maintain the security of Canadian society; and

এটি আইনের ধারা ৩(১)(জ) এর সাথে অভিন্নভাবে লেখা হয়েছে

[সম্পাদনা]

আইআরপিএর ধারা ৩ (১) (এইচ) অভিন্নভাবে বলা হয়েছে যে "অভিবাসন সম্পর্কিত এই আইনের উদ্দেশ্যগুলো হলো () কানাডিয়ানদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা রক্ষা করা এবং কানাডিয়ান সমাজের সুরক্ষা বজায় রাখা"। এই বিধানটি বিবেচনা করা হয়েছিল মেডোভারস্কি বনাম কানাডা। সেখানে কানাডার সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে যে "আইআরপিএতে প্রকাশিত উদ্দেশ্যগুলো সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অভিপ্রায় নির্দেশ করে":

আইআরপিএ-তে প্রকাশিত উদ্দেশ্যগুলো সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অভিপ্রায় নির্দেশ করে। এই উদ্দেশ্যটি ফৌজদারি রেকর্ড সহ আবেদনকারীদের প্রবেশ রোধ করে, কানাডা থেকে এই জাতীয় রেকর্ড সহ আবেদনকারীদের অপসারণ করে এবং কানাডায় থাকাকালীন স্থায়ী বাসিন্দাদের আইনত আচরণের বাধ্যবাধকতার উপর জোর দিয়ে কার্যকর করা হয়। এটি পূর্বসূরী সংবিধির ফোকাস থেকে একটি পরিবর্তন চিহ্নিত করে, যা সুরক্ষার চেয়ে আবেদনকারীদের সফল সংহতকরণের উপর জোর দিয়েছিল: উদাঃ, দেখুন এস ৩ (১) (আই) এর আইআরপিএ বনাম এস ৩ (জে) এর পূর্ববর্তী আইন; আইআরপিএর এস ৩(১) () বনাম পূর্ববর্তী আইনের এস ৩ (ডি); আইআরপিএর এস ৩ (১) (এইচ) বনাম পূর্ববর্তী আইনের এস ৩ (আই) সম্মিলিতভাবে দেখলে, আইআরপিএর উদ্দেশ্যগুলো এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের সম্পর্কিত এর বিধানগুলো অপরাধী এবং সুরক্ষা হুমকির সাথে পূর্ববর্তী আইনের চেয়ে কম নমনীয়ভাবে আচরণ করার দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ

এই উদ্দেশ্যটি আইআরপিএর এসএস ৩৪-৪২ এ পাওয়া অগ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হয়।  যা দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/৩৩-৪৩ - অগ্রহণযোগ্যতা।

আইআরপিএ ধারা ৩ (২) (এইচ) - শরণার্থী দাবিদার সহ ব্যক্তিদের কানাডার ভূখণ্ডে অ্যাক্সেস অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও সুরক্ষা প্রচার করা, যারা সুরক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুতর অপরাধী

[সম্পাদনা]
Objectives - refugees
(২) The objectives of this Act with respect to refugees are ...
(h) to promote international justice and security by denying access to Canadian territory to persons, including refugee claimants, who are security risks or serious criminals.

যদিও আইআরপিএ কানাডার ফৌজদারি কোডের অনুরূপ পদ ব্যবহার করতে পারে, তবে তাদের অভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই

[সম্পাদনা]

রানা বনাম কানাডা মামলায় ফেডারেল কোর্ট মন্তব্য করেছে:

[৪৭] সাধারণভাবে বলতে বলতে, যদিও ফৌজদারি বিধি এবং আইআরপিএ দুই জননিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়, তবে তারা “একত্রে রাষ্ট্র” হয় না বা এক নিয়ন্ত্রক গঠনের অংশ হিসাবে একত্রে কাজ করে না, এমনকি সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা না করুন (তুলনা করুন বেল এক্সপ্রেসভি লিমিটেড পার্টনারশিপ বনাম রেক্স, 2002 SCC 42 (CanLII), প্যারা ৪৬ [বেল এক্সপ্রেসভিউ])। এই দুইটি কোনো অভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করা না, আইনস্ত এমন একটি বিষয় যার উপর ভিত্তির প্রয়োগের প্রয়োজন দেখা দেয়—অর্থাৎ যখন শব্দটি একই বিষয়ের উপর প্রণীত হয়, তখন বর্ণকে একত্র ব্যাখ্যা করে। করা যেতে পারে এবং একটির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হতে পারে (দেখুন রুথ সুলিভান, সুলিভান অন কনস্ট্রাকশন অফ স্ট্যাটিউটস, ৬ষ্ঠ সংস্করণ (মার্কহাম: লেক্সিসনেক্সিস, ২০১৪), পৃষ্ঠা ৪১৬-৪২১)।

এর ফলে, আমার দৃষ্টিতে, এই বিরোধিতা- ফৌজদারি বিধিতে “সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অর্থ আইআরপিএ-এর ধারা ৩৪(১)-এ “সন্ত্রাসবাদ” শব্দের প্রযোজ্য করা মানে নয়। এই কারণে আমি শ্রদ্ধার সাথে আমার সহ বিএনপির নেতা ব্রাউনের সাথে এক মতই, আলি বনাম কানাডা (নাগরিকত্ব ও অভিবাসন), 2017 FC 182 (CanLII) [আলি] মামলায় এই ব্যাখ্যার উপর ভিত্তি করে ফৌজদারি বিধিতে "সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ" শব্দের অর্থ আইআরপিএ- প্রয়োগের চেষ্টা ধারা ৩৪(১)(চ)-এর উদ্দেশ্যে (দেখুন আলী, প্যারা ৪২-৪৪; আরও দেখুন আলম, প্যারা ২৬-২৮)। [২০৮]

আইনের উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি, এবং এই ক্ষেত্রে কানাডার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাগুলির বিষয়েও বিবেচনা করা যেতে পারে

[সম্পাদনা]

আইনের উদ্দেশ্যের মধ্যে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত, এবং এই সম্পর্কিত বিষয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাগুলিকে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ফেডারেল কোর্ট উল্লেখ করেছে:

কানাডার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণবাধতা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: সন্ত্রাসে অর্থায়ন দমনের জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন, ১২ ডিসেম্বর ১৯৯৯, ইউএনটিএস ২১৭৮, পৃষ্ঠা ১৯৭; সন্ত্রাসবাদী বোমা হামলার দমনের জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন, ১৫ ডিসেম্বর ১৯৯৭, UNTS 2149, পৃষ্ঠা ২৫৬; জিম্মি করার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশন, ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯, UNTS 1316, পৃষ্ঠা ২০৫; নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন 1373 (2001) [সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার হুমকির উপর] (UNSC, ৫৬তম অধিবেশন, UN ডক S/RES/1373(2001)); নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ২৩২২ (২০১৬) [সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকির বিষয়ে], UNSC, ২০১৬, S/RES/2322; এবং নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ২১৭৮ (২০১৪) [বিদেশী সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের ক্রমবর্ধমান সমস্যা সমাধানের বিষয়ে], (UNSC, ৬৯তম অধিবেশন, UN Doc S/RES/2178 (২০১৪))। এই দলিলগুলো আইআরএ-এর ব্যাখ্যামূলক প্রেক্ষাপটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ (আইআরপিএ, ধারা ৩(১)(i) ৩(২)(h))। [২০৯]

আইআরপিএ ধারা ৩(৩)(b) - এই আইনকে এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যা অভিবাসন ও শরণার্থী কর্মসূচি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়িয়ে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে

[সম্পাদনা]
Application 
(3) This Act is to be construed and applied in a manner that 
(b) promotes accountability and transparency by enhancing public awareness of immigration and refugee programs;

প্রয়োগ
(৩) এই আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যা—
(b) অভিবাসন ও শরণার্থী কর্মসূচি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা উন্নীত করে;

জনগণের কাছে আইনের অধীনে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বৈধ বলে প্রতিভাত হওয়া জরুরি

[সম্পাদনা]

আইনের ধারা ৩(৩)(b) অনুযায়ী, আইনটি এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যা অভিবাসন ও শরণার্থী কর্মসূচি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে। Rezaei মামলায় কোর্ট বলেছে, বোর্ডের অংশীদারদের মধ্যে শুধু সেই আবেদনকারীরাই নন যারা বোর্ড ও তার বিভাগসমূহের সামনে হাজির হন, বরং এর মধ্যে কানাডার সাধারণ জনগণও অন্তর্ভুক্ত, যারা অভিবাসন নীতির কার্যকর প্রয়োগ ব্যবস্থার মাধ্যমে উপকৃত হন।[২১০] বোর্ডকে এই উভয় পক্ষের সমর্থন রক্ষা করতে হবে।

কানাডার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, "শরণার্থী সুরক্ষা ব্যবস্থার অখণ্ডতা ও বৈধতা রক্ষা" করা এর "টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জনসমর্থনের" সঙ্গে জড়িত।[২১১]

শরণার্থী আইনজীবী ডেভিড মাতাস এক নীতিগত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে তিনি বলেন, যদি জনগণ শরণার্থী নির্ধারণ ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারায়, তবে “মানুষ একসময় এই ব্যবস্থার প্রতি সবরকম আশা ছেড়ে দেবে... [যারা শরণার্থীদের রক্ষা করতে চায়] তারা বৈধ পথের পরিবর্তে অবৈধ পথ অবলম্বন করবে—একটি কানাডিয়ান স্যাংচুয়ারি আন্দোলন শুরু হতে পারে।”[২১২]

শরণার্থীদের সমস্যা কানাডার জন্য অন্যান্য বিদেশিদের থেকে আলাদা, এবং এই কারণে আশ্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলোতে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা দরকার কেন কাউকে কানাডায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে অথবা কেন তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।[২১৩]

তবে, শরণার্থী ব্যবস্থার উদ্দেশ্য বিদেশি রাষ্ট্রসমূহকে নিন্দা করা নয়।

আইআরপিএ ধারা ৩(৩)(c) - এই আইনকে এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যা কানাডার সরকার, প্রাদেশিক সরকার, বিদেশি রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা সহজতর করে

[সম্পাদনা]
Application (৩) This Act is to be construed and applied in a manner that (b) promotes accountability and transparency by enhancing public awareness of immigration and refugee programs;

প্রয়োগ
(3) এই আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যা—
(c) কানাডার সরকার, প্রাদেশিক সরকার, বিদেশি রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থাসমূহের মধ্যে সহযোগিতা সহজতর করে;

কানাডা ইউএনএইচসিআর-এর সঙ্গে সহযোগিতার বাধ্যবাধকতায় আবদ্ধ এবং আইআরপিএ-কে এমনভাবে প্রয়োগ ও ব্যাখ্যা করতে হবে যা এই বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করে

[সম্পাদনা]

আইনের ধারা ৩(৩)(c) অনুযায়ী, এটি এমনভাবে প্রয়োগ ও ব্যাখ্যা করতে হবে যা কানাডা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের মধ্যে সহযোগিতা সহজতর করে। এই বিধান কানাডার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

শরণার্থী কনভেনশনের ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ইউএনএইচসিআর-এর ব্যাখ্যা ও মতামত বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ইউএনএইচসিআর-এর কনভেনশন বাস্তবায়নের তদারকির দায়িত্বে সহযোগিতা করবে। শরণার্থী কনভেনশনের ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ১৯৬৭ সালের প্রোটোকলের ২(১) অনুচ্ছেদ বলছে: “[প্রত্যক্ষ প্রোটোকলে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রসমূহ] ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষ করে এই প্রোটোকলের বিধানসমূহের বাস্তবায়নের তদারকির ক্ষেত্রে।”[২১৪]

এছাড়া, শরণার্থী কনভেনশনের প্রস্তাবনাতে বলা হয়েছে:

উচ্চ চুক্তিকারী পক্ষগুলো, ... লক্ষ্য করছেন যে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার আন্তর্জাতিক কনভেনশনসমূহের তদারকি দায়িত্বে রয়েছে যা শরণার্থীদের সুরক্ষার জন্য রয়েছে, এবং তারা স্বীকার করছেন যে এই সমস্যার সমাধানে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কার্যকর সমন্বয় নির্ভর করবে হাইকমিশনার-এর সঙ্গে রাষ্ট্রসমূহের সহযোগিতার ওপর, ... এই মর্মে সম্মত হয়েছেন: ... [২১৫]

ইউএনএইচসিআর-কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ শরণার্থী কনভেনশনের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ তদারকির দায়িত্ব দিয়েছে।[২১৬]

তাই, ইউএনএইচসিআর-এর নীতিমালা যেমন তার হ্যান্ডবুকে উল্লেখিত আছে, তা শরণার্থী নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, যদিও সেগুলো কানাডায় আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নয়।[২১৭]

রহমান বনাম কানাডা মামলায় ফেডারেল কোর্ট অফ আপিল বলেছে:

জেনেভা কনভেনশন-এর ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রসমূহ ইউএনএইচসিআর-এর সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়, বিশেষ করে কনভেনশনের প্রয়োগ তদারকির ক্ষেত্রে। তাই, শরণার্থী নির্ধারণ ও সুরক্ষার বিষয়ে হাই কমিশনারের নির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত সুপারিশসমূহকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া উচিত।[২১৮]

এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের মামলার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ যেখানে বলা হয়েছে ইউএনএইচসিআর-এর নির্দেশনা "যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত"।[২১৯]

যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “এই সংস্থার সম্মিলিত ও তুলনাহীন দক্ষতা, বিশ্বব্যাপী সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা, উচ্চ মানসম্পন্ন ও ধারাবাহিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতি উন্নয়ন, প্রচার ও প্রয়োগ করার কার্যক্রম, এ সবই ইউএনএইচসিআর-এর সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট কর্তৃত্ব দেয়।”[২২০]

তবে, বোর্ডের প্যানেলকে তাদের সিদ্ধান্তে ইউএনএইচসিআর-এর নির্দেশনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।[২২১] উপরন্তু, ইউএনএইচসিআর-এর তদারকি ভূমিকা শরণার্থী কনভেনশনের ব্যাখ্যার চূড়ান্ত কর্তৃত্ব প্রদান করে না।[২২২]

এই কারণে, ইউএনএইচসিআর শুধুমাত্র শরণার্থী কনভেনশনের ব্যাখ্যা নিয়ে “দিকনির্দেশনা” দিতে পারে। ফেডারেল কোর্ট অফ আপিল জয়সেকারা বনাম কানাডা মামলায় বলেছে, ইউএনএইচসিআর-এর বক্তব্য "কোর্টের ভূমিকার ওপরে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে না যা কনভেনশনের শব্দাবলীর ব্যাখ্যার দায়িত্বে রয়েছে।"[২২৩]

অতিরিক্তভাবে, ইউএনএইচসিআর-এর পক্ষ থেকে প্রচুর সংখ্যক ঘোষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে, যেগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বিভিন্ন মাত্রার। ইংরেজ আইনতত্ত্ব অনুযায়ী, ইউএনএইচসিআর নির্বাহী কমিটির ঘোষণাগুলোকে ইউএনএইচসিআর-এর স্রেফ স্টাফদের লেখা প্রকাশনার চেয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে—যেমন ইউএনএইচসিআর-এর আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত “আন্তর্জাতিক সুরক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা”।[২২৪] তবে, বলা উচিত যে ইউএনএইচসিআর নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তগুলোও রাষ্ট্রগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক নয়, যদিও সেগুলো ১৯৫১ সালের কনভেনশনের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগে সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।[২২৫]

রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দায়িত্ব ও বোঝা ভাগাভাগি হলো শরণার্থী কনভেনশনের মৌলিক নীতি

[সম্পাদনা]

আইনের ধারা ৩(৩)(গ) অনুযায়ী, এই আইন এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে কানাডা সরকার ও বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা সহজতর হয়। এই বিধানটি উদ্বাস্তু ব্যবস্থায় “বোঝা ভাগাভাগি” ও “দায়িত্ব ভাগাভাগি”র গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। বলা হয়, শরণার্থী কনভেনশন দুটি মূল নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত: ফেরত না দেওয়া—যা অনুসারে আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানো বা তাদের উৎস দেশে প্রত্যাবর্তনে বাধ্য করা যায় না; এবং দায়িত্ব ভাগাভাগি—অর্থাৎ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উচিত শরণার্থী সহায়তার খরচ, শ্রম ও ঝুঁকি একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া।[২২৬] প্রথম নীতিটি কনভেনশনের কার্যকর ধারাগুলোতে স্পষ্টভাবে উল্লিখিত হলেও, দ্বিতীয়টি কনভেনশনের ভূমিকার অংশ হিসেবে অন্তর্নিহিত, যেখানে লেখা আছে:[২২৭]

উচ্চ চুক্তিস্বাক্ষরকারী পক্ষসমূহ, ... বিবেচনা করে যে আশ্রয় প্রদান কিছু কিছু দেশের ওপর অত্যধিক বোঝা চাপাতে পারে, এবং যে সমস্যার আন্তর্জাতিক পরিসর ও প্রকৃতিকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে তার একটি সন্তোষজনক সমাধান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ব্যতিরেকে সম্ভব নয়, ... একমত হয়েছে যে: ...[২২৮]

জেমস হ্যাথাওয়ে তাঁর শরণার্থী মর্যাদা আইন গ্রন্থে লিখেছেন যে বোঝা ভাগাভাগি ছিল শরণার্থী কনভেনশন প্রণয়নের অন্যতম মূল প্রেরণা:

... অধিকাংশ রাষ্ট্র যারা এই কনভেনশন খসড়া করেছিল, তারা এমন একটি অধিকারভিত্তিক ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে কাজ করেছিল যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শরণার্থী বোঝা ইউরোপের কাঁধ থেকে ভাগ করে নেওয়া সম্ভব করে। ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো অভিযোগ করেছিল যে, যুদ্ধ-পরবর্তী অধিকাংশ মানব বিপর্যয় তাদেরকেই সামলাতে হয়েছে, এবং এখন সময় এসেছে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র এই দায়িত্ব ভাগ করে নিক। শরণার্থীরা ইউরোপের বাইরে যেতে বেশি আগ্রহী হবে যদি তারা নিশ্চিত হয় যে বিদেশেও তাদের অধিকার ও সুবিধাসমূহ রক্ষা পাবে। তাই, এই কনভেনশন এমন একটি নিরাপদ কাঠামো তৈরি করেছিল যা ইউরোপীয় শরণার্থী বোঝা ভাগাভাগিকে সহায়তা করবে।[২২৯]

ফলে, কানাডার সিনেটের একটি প্রতিবেদনের ভাষায়, দায়িত্ব ভাগাভাগি হলো বৈশ্বিক শরণার্থী ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।[২৩০]

বর্তমানে অধিকাংশ শরণার্থী ইউরোপে নয়, বরং নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে অবস্থান করছে; বিশ্বের ছয়টি ধনীতম দেশ মিলে মোট শরণার্থীর ১০ শতাংশেরও কম আশ্রয় দিয়েছে, অন্যদিকে ৮০ শতাংশ শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে।[২৩১] এই দেশগুলোর বেশিরভাগই নিজেরাই গুরুতর সম্পদসংকট ও শাসন-সংক্রান্ত সমস্যায় জর্জরিত।[২৩২] উদাহরণস্বরূপ, কানাডা ১৯৮০ সাল থেকে ১,০৮৮,০১৫ জন শরণার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে[২৩৩]—যার মধ্যে ৭০৭,৪২১ জন পুনর্বাসনের মাধ্যমে এবং বাকি অংশ অভ্যন্তরীণ আশ্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে এসেছে। এই পুনর্বাসিতদের মধ্যে ৩১৩,৪০১ জন ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে, ৩৮৫,০১৪ জন সরকার-সহায়িত শরণার্থী কর্মসূচির মাধ্যমে এবং ৯,০০৬ জন ব্লেন্ডেড ভিসা অফিস রেফারড (BVOR) কর্মসূচির মাধ্যমে এসেছেন।[২৩৪] এই সংখ্যাগুলো সম্মিলিতভাবে কানাডার বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে, জর্ডানে শরণার্থীর সংখ্যা বর্তমান জনসংখ্যার ৯ শতাংশ এবং লেবাননে তা ২০ শতাংশের বেশি, যদিও এসব দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ কানাডার তুলনায় অনেক কম।[২৩৫]

“দায়িত্ব ভাগাভাগি” বলতে সাধারণত মানুষ ভাগাভাগিকে বোঝানো হয়, আর “বোঝা ভাগাভাগি” বলতে বোঝানো হয় শরণার্থীদের নিয়ে আর্থিক ও অন্যান্য ব্যয় ভাগাভাগি।[২৩৬] এই নীতিগুলোর অনেকগুলো ফলাফল রয়েছে। প্রথমত, ইউএনএইচসিআর নির্বাহী কমিটি রাষ্ট্রগুলোকে আঞ্চলিক উদ্যোগে শরণার্থী সুরক্ষা ও টেকসই সমাধানে উৎসাহিত করে যাচ্ছে।[২৩৭] ফেডারেল কোর্ট উল্লেখ করেছে, "মূলত, আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন শরণার্থীদের নিজ পছন্দমতো আশ্রয় রাষ্ট্র বেছে নেওয়ার অধিকার দেয় না"।[২৩৮] আদালত আরও বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন শরণার্থীদেরকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করে কেবল বেশি সুবিধা পাওয়ার আশায় চলাচল করতে অনুমোদন দেয় না।[২৩৯] আদালত ইউএনএইচসিআর-এর শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের অনিয়মিত অগ্রসরতার প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত নির্দেশিকা (২০১৯) দলিলকেও উল্লেখ করেছে।[২৩৯] এই আইআরপিএ আইনের একটি প্রতিফলন হলো “Five Eyes” দেশগুলোর মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগির চুক্তি (ধারা ১০১(গ.১)): কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/১০০-১০২ - দাবি উল্লেখ করার যোগ্যতার পরীক্ষা

তবুও, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে শরণার্থীদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা নির্দিষ্ট পর্যায়ে আশ্রয় চাওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।[২৪০] ১৯৫১ সালের কনভেনশন প্রণয়নের সময় থেকেই এটি দায়িত্ব ভাগাভাগির একটি যন্ত্র হিসেবে দেখা হয়েছিল, এবং এই লক্ষ্যে রাষ্ট্রগুলোর ওপর বাধ্যতামূলক দায়িত্ব আরোপকে কার্যকর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য অপরিহার্য মনে করা হয়েছিল।[২৪১] এইভাবে, অভ্যন্তরীণ আশ্রয় ব্যবস্থাগুলোকে টেকসই দায়িত্ব ভাগাভাগির মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়। শাওনা ল্যাবম্যান লিখেছেন যে অভিবাসী পুনর্বাসন কর্মসূচি তুলনামূলকভাবে "অবিন্যস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ", কারণ রাজনীতিবিদরা পুনর্বাসনের সংখ্যা নিয়ে সরাসরি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, অথচ আশ্রয় চাওয়ার সংখ্যা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না, এবং পুনর্বাসন কর্মসূচি একেবারেই বাতিল হয়ে যেতে পারে।[২৪২] আরও দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#পুনর্বাসনের জন্য বিদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের গ্রহণ করার জন্য কানাডার বাধ্যতামূলক আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। অন্যদিকে, “ফেরত না দেওয়া” নিয়মকে বলা হয়েছে “আন্তর্জাতিক আইনে শরণার্থী দায়িত্ব ভাগাভাগির একমাত্র বাধ্যতামূলক নীতি”।[২৪৩]

যদিও মাঝে মাঝে “asylum shopping” শব্দবন্ধটি ব্যবহৃত হয়, ফেডারেল কোর্ট উল্লেখ করেছে এটি "কোনো আইনি ধারণা নয় এবং আন্তর্জাতিক আইনে এর কোনো সংজ্ঞা নেই।... বাস্তবে এই প্রবণতা, যদি তা থেকে থাকে, তা সাধারণত প্রতিযোগী আশ্রয় ব্যবস্থার মধ্যে বেছে নেওয়ার সুযোগ নয় বরং একজন ব্যক্তি যে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কায় আছে, তার জন্য অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্য থেকে তুলনামূলকভাবে কম অনিশ্চিত বিকল্পটি বেছে নেওয়ার চেষ্টা মাত্র"।[২৪৪]

রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শরণার্থীদের সমস্যা যেন উত্তেজনার কারণ না হয়, সে লক্ষ্যে সবকিছু করা উচিত

[সম্পাদনা]

আইনের ধারা ৩(৩)(গ) নির্ধারণ করে যে আইনটি এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যাতে কানাডা সরকার ও বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ে। এই বিধানটিকে কনভেনশনের ভূমিকাংশের প্রতিফলন হিসেবে দেখা যায়, যেখানে লেখা আছে:

উচ্চ চুক্তিস্বাক্ষরকারী পক্ষসমূহ, ... আশা প্রকাশ করে যে সকল রাষ্ট্র, শরণার্থীদের সমস্যাটির সামাজিক ও মানবিক প্রকৃতি স্বীকার করে, এই সমস্যাটি যেন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে উত্তেজনার কারণ না হয় তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে, ... একমত হয়েছে যে: ...[২২৮]

এর সাথে সম্পর্কিতভাবে, ১৯৬৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ রাষ্ট্রগুলোর উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক আশ্রয়ের ঘোষণাপত্র গৃহীত করে। সেখানে বলা হয়, আশ্রয় প্রদান একটি শান্তিপূর্ণ ও মানবিক কাজ এবং এটি অন্য কোনো রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অমিত্রতাপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না।[২৪৫] আধুনিক শরণার্থী ব্যবস্থাটিকে এমন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা যায় যা রাষ্ট্র ও তাদের সীমান্তের স্থিতিশীলতাকে সহায়তা করে, কারণ এটি ব্যক্তিকে সীমান্ত অতিক্রম করার পর চিহ্নিত হওয়ার একটি উপায় দেয়, ফলে জাতিগত বা রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে সীমান্ত পুনর্নির্ধারণের দাবি কমে যেতে পারে।[২৪৬]

আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত যাতে "অর্বিটে থাকা শরণার্থী" হওয়ার সম্ভাবনা রোধ করা যায়

[সম্পাদনা]

আইনের ধারা ৩(৩)(c) অনুযায়ী, এই আইনটিকে এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে কানাডার সরকার ও বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা সহজ হয়। কানাডার সিনেট সংশ্লিষ্ট বিলগুলো সংশোধন করে এই বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে যে, আইআরপিএ-তে (আইআরপিএ) যে নিরাপদ তৃতীয় দেশের ধারা আছে, তা যেন "অর্বিটে থাকা শরণার্থী" সৃষ্টি না করে—অর্থাৎ এমন শরণার্থী, যারা এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হন নিরাপত্তা পাওয়ার আশায়।[২৪৭] এই শব্দগুচ্ছটির বিভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে।

"অর্বিটে থাকা শরণার্থী"র প্রাচীন উদাহরণ হলেন ইহুদিরা—তারা বহু রাষ্ট্রে সাময়িকভাবে আশ্রয় পেলেও কোনো স্থায়ী আবাস পায়নি। র‍্যাবাই ডব্লিউ. গুন্তার প্লট-এর ভাষায়, খ্রিষ্টান ইউরোপ তাদের "ভবঘুরে ইহুদি" বলে ডাকত এবং সেই অনুযায়ী আচরণ করত:

ভবঘুরেরা যেন মানুষের চিরাচরিত দৃশ্যের অংশ—তারা আসত, থাকত, আবার চলে যেত। যতক্ষণ তারা "ভিন্ন" রয়ে যেত এবং সমাজে মিশে যেতে পারত না, ততক্ষণ তারা কোনো রাজনৈতিক হুমকি ছিল না। তাদের শুধু কাজে লাগানো হতো, আর প্রয়োজন ফুরালে ফেলে দেওয়া হতো। তাদের স্থায়ী বসবাসের কোনো অধিকার ছিল না, এবং তারা একপ্রকার "অর্বিটে থাকা শরণার্থী" হিসেবেই রয়ে যেত।[২৪৮]

এইভাবে, "অর্বিটে থাকা শরণার্থী" বলতে এমন ব্যক্তিদের বোঝানো হয়, যারা বছরের পর বছর, এমনকি দশক বা প্রজন্মব্যাপী ছুটে বেড়াচ্ছেন—কেউ নিরবিচারে, কেউ বিরতিতে।[২৪৯]

অড্রে ম্যাকলিন এই শব্দটির আরও সমসাময়িক উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, "অর্বিটে থাকা শরণার্থী"র অবস্থা তখন সৃষ্টি হয় যখন:

দেশ A দেশ B-কে নিরাপদ তৃতীয় দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। এর ফলে দেশ A এমন শরণার্থীর আবেদন গ্রহণ না করার অধিকার পায়, যিনি দেশ B হয়ে A-তে এসেছেন। কিন্তু যদি কোনো পুনঃপ্রবেশ চুক্তি না থাকে, তবে দেশ B ওই ব্যক্তিকে ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে এবং তাকে দেশ C-তে পাঠিয়ে দেয়, C আবার তাকে D-তে পাঠায়—এইভাবে চলতেই থাকে।[২৫০]

"অর্বিটে থাকা শরণার্থী" ধারণাটি ১৯৮০-এর দশকে যখন কানাডার অভিবাসন আইনে নিরাপদ তৃতীয় দেশের ধারা সংযোজন হচ্ছিল, তখন এটি একটি প্রচলিত শব্দ ছিল। ১৯৮৮ সালে বিল C-55 পরীক্ষা করে সংসদের স্থায়ী আইনি ও সাংবিধানিক বিষয়ক কমিটি জানায়, এই বিলের ‘নিরাপদ দেশ’ সংক্রান্ত ধারাটি নিয়ে তাদের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত উদ্বেগ ছিল। অ্যালান ন্যাশ বর্ণনা করেন যে, বিলটিতে যেসব ব্যক্তিকে নিরাপদ তৃতীয় দেশে ফেরত পাঠানো হবে, তাদের ভাগ্য পরীক্ষা করার কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এতে তাদের অন্যত্র পাঠিয়ে refoulement-এর শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, যা তাদের জীবন বিপন্ন করতে পারত।

এজন্য সিনেট কমিটি এমন একটি সংশোধনী প্রস্তাব করে, যাতে বলা হয়: কেবল তখনই কাউকে নিরাপদ তৃতীয় দেশে ফেরত পাঠানো যাবে, যদি শরণার্থী বিভাগের একজন সদস্য ও তদন্তের একজন বিচারক নিশ্চিত হন যে ওই দেশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রহণ করবে অথবা তার আবেদন বিবেচনা করবে। তাদের মতে, এর ফলে শরণার্থীদের "অর্বিটে" পড়ার সম্ভাবনা হ্রাস পেত।[২৫১] যদিও এই সুপারিশ গৃহীত হয়নি, পরে এই সমস্যার প্রতিকার করার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিস্তারিত জানতে দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আইআরপিআর এস ১৫৯ - নিরাপদ তৃতীয় বিশ্বের দেশ, বিশেষত নিরাপদ তৃতীয় দেশের চুক্তি-এর ধারা ৩, যা এই সমস্যার প্রতিরোধে রচিত হয়েছে।

এছাড়াও, শরণার্থী কনভেনশনের ধারা ৩৩(১) দীর্ঘদিন ধরেই এমনভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, এটি শুধু সরাসরি নয়, বরং তৃতীয় দেশের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে কোনো শরণার্থীকে সেই দেশে ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধেও প্রযোজ্য।[২৫২] দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/১১৫-১১৬ - অ-প্রত্যাবাসনের নীতি

আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত যা কনভেনশনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য রাষ্ট্রের ব্যাখ্যার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ

[সম্পাদনা]

ধারা ৩(৩)(c) অনুসারে, এই আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে কানাডা ও অন্যান্য বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা সহজ হয়। গ্রে যুক্তি দেন যে, একজন ব্যক্তির শরণার্থী সুরক্ষা দাবি নির্দিষ্টভাবে কোনো রাষ্ট্রের প্রতি নয়, বরং সেই রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করায় তার প্রতি উত্থাপিত হয়।[২৫৩]

এইভাবে, আইআরপিএ-কে এমনভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত যাতে তা বিচ্ছিন্ন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি না করে, যা আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থার ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।[২৫৪]

যুক্তরাজ্যের আদালত এ বাধ্যবাধকতাকে এভাবে বর্ণনা করে: "নীতিগতভাবে কোনো চুক্তির একটি মাত্র প্রকৃত ব্যাখ্যাই থাকতে পারে।"[২৫৫]

ফলে, যুক্তরাজ্যের রায়গুলোতে প্রায়ই বলা হয় যে প্রতিটি রাষ্ট্রকে তার জাতীয় আইন সংস্কৃতির ধারণা থেকে মুক্ত থেকে চুক্তির স্বতন্ত্র ও আন্তর্জাতিক অর্থ অন্বেষণ করতে হবে।[২৫৫] একই কারণে, কানাডার আদালত শরণার্থী কনভেনশন ও আইআরপিএ ব্যাখ্যার সময় প্রায়শই অন্যান্য দেশের রায় বিশ্লেষণ করে।[২৫৬]

এটি যথাযথ, কারণ IRB গঠনের পূর্ববর্তী Plaut রিপোর্ট অনুযায়ী: "কেউ শরণার্থী কি না, তা মূলত কানাডার আইনের নয়; এটি আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা ও ন্যায়বিচারের আওতাভুক্ত প্রশ্ন।"[২৫৭] দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার # সিদ্ধান্ত গ্রহণ বোর্ড জুড়ে অনুমানযোগ্য এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত

আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত যাতে কানাডার সরকার ও কলেজ অফ ইমিগ্রেশন এবং সিটিজেনশিপ কনসালট্যান্টসের মতো বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা সহজ হয়

[সম্পাদনা]

ধারা ৩(৩)(c) অনুযায়ী, এই আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে কানাডার সরকার ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা সহজ হয়। কানাডার অভিবাসন খাতে উল্লেখযোগ্য কিছু বেসরকারি সংস্থা হলো কলেজ অফ ইমিগ্রেশন এবং সিটিজেনশিপ কনসালট্যান্টস এবং কানাডার প্রাদেশিক আইন সমিতিগুলো।

ফলে, বোর্ডের উচিত আইআরপিএ-কে এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করা, যা এসব সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা উন্নত করে। এমন পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে যখন কেউ এসব সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই আইনি পরামর্শ দিচ্ছে, অথবা একজন সদস্য তাদের অনুমোদিত কার্যপরিধির বাইরে কাজ করছে। বিস্তারিত দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/৯১-৯১.১ - প্রতিনিধিত্ব বা পরামর্শ # আইআরপিএ বিভাগ ৯১-৯১.১

আইআরপিএ ধারা ৩(৩)(ডি) - আইনটি এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যাতে তা চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়

[সম্পাদনা]
Application
(৩) This Act is to be construed and applied in a manner that
(d) ensures that decisions taken under this Act are consistent with the Canadian Charter of Rights and Freedoms, including its principles of equality and freedom from discrimination and of the equality of English and French as the official languages of Canada;

প্রয়োগ
(৩) এই আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে:
(d) আইনটির অধীনে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ কানাডিয়ান চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বৈষম্য থেকে মুক্তি ও সমতার নীতি এবং ইংরেজি ও ফরাসি ভাষাকে কানাডার সরকারিভাষা হিসেবে সমতার ভিত্তিতে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি;

বোর্ডের কার্যধারায় চার্টারের অধিকার প্রযোজ্য হওয়ায় আবেদনকারীদের প্রতি উচ্চ পর্যায়ের প্রক্রিয়াগত সুবিচার প্রযোজ্য

[সম্পাদনা]

ফেডারেল কোর্ট অফ অ্যাপিল বলেছে: “বোর্ডের স্বায়ত্তশাসন, এর বিচারিক কার্যপ্রণালী ও কাজের ধরণ, এবং এর সিদ্ধান্তে আবেদনকারীর চার্টার অধিকার প্রভাবিত হওয়ায় বোর্ডের ওপর যে প্রক্রিয়াগত সুবিচারের দায়িত্ব রয়েছে—বিশেষত নিরপেক্ষতার দায়িত্ব—তা প্রক্রিয়াগত সুবিচার ধারাবাহিকতার সর্বোচ্চ প্রান্তে অবস্থান করে।”[২৫৮]

এই দায়িত্ব শুধু কানাডার অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক আইন থেকেই নয়, বরং কানাডার আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ও বাধ্যবাধকতা থেকেও উদ্ভূত। শরণার্থী কনভেনশন-এ বলা হয়েছে, কোনো শরণার্থীর বহিষ্কার কেবল "আইনানুগ প্রক্রিয়ার" ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই হতে পারে।[২৫৯]

  • আজিজা বনাম সুইডেন মামলায় জাতিসংঘের কমিটি এগেইনস্ট টর্চার সিদ্ধান্ত দেয় যে CAT-এর অনুচ্ছেদ ৩-এর মাধ্যমে একটি কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আপিলের অধিকার নিহিত রয়েছে।[২৬০]

যখন বোর্ড স্ব-উপস্থাপিত আবেদনকারীদের নিয়ে কাজ করে, তখন তার সুবিচারের দায়িত্ব আরও বাড়ে: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি ১৪-১৬ - রেকর্ডের পরামর্শ#স্ব-প্রতিনিধিত্বকারী দাবিদারদের সাথে আচরণ করার সময় বোর্ডের পদ্ধতিগত ন্যায্যতার উচ্চতর দায়িত্ব রয়েছে

তবে, যদিও এটি সাধারণ আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য, শরণার্থী প্রক্রিয়ায় প্রযোজ্য প্রক্রিয়াগত সুবিচারের পরিমাণ অনেকক্ষেত্রে আইআরপিএ-র ধারায় নির্ধারিত হয়েছে এবং আদালত উল্লেখ করে যে “এই বিধানগুলো যেকোনো সাধারণ আইনের নিয়মের চেয়েও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত।”[২৬১] দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/১৭০ - কার্যক্রম

চার্টার সংক্রান্ত বিষয়সমূহ সাধারণত ডিভিশনের পূর্বেই উত্থাপন করা উচিত

[সম্পাদনা]

অভিবাসন প্রসঙ্গে অধিকাংশ ক্ষেত্রে, একজন আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে সেই কার্যক্রমের মধ্যে চার্টার সংক্রান্ত বিষয় উত্থাপন করতে হয়। বর্তমান প্রসঙ্গে, উদাহরণস্বরূপ, IRB (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজ বোর্ড) চার্টার সংক্রান্ত বিষয় বিবেচনা করার জন্য উপযুক্ত। যদি আবেদনকারী সফল না হন, তবে তিনি ফেডারেল কোর্টে সেই সিদ্ধান্তের বিচারিক পর্যালোচনার অনুমতি চাইতে পারেন।[২৬২] এ বিষয়ে আরও আলোচনার জন্য দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/আরপিডি বিধি ৬৬ - সাংবিধানিক প্রশ্নের নোটিশ

এই আইনের আওতায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহকে সমতা ও বৈষম্যমুক্তির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে

[সম্পাদনা]

আইআরপিএ-এর ধারা ৩(৩)(ডি) অনুযায়ী, এই আইন এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে নিশ্চিত হয় যে, আইন অনুযায়ী গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ 'কানাডিয়ান চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমস'-এর নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার মধ্যে রয়েছে সমতা ও বৈষম্যমুক্তির নীতি। এই বিধানটি শরণার্থী কনভেনশনের ৩ নম্বর ধারার বাধ্যবাধকতাকে প্রতিফলিত করে, যেখানে বলা হয়েছে, “চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্রসমূহ শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এই কনভেনশনের বিধানসমূহ প্রয়োগ করবে, বর্ণ, ধর্ম কিংবা জাতিগত উৎসের ভিত্তিতে কোনো প্রকার বৈষম্য না করে।”[২৬৩]

গত শতাব্দীতে আন্তর্জাতিক অভিবাসনের প্রকৃতিতে একটি রূপান্তর লক্ষ্য করা যায়, যেখানে এটি ক্রমবর্ধমানভাবে বহুজাতিক ও বৈশ্বিক চরিত্র ধারণ করেছে। ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন যখন আলোচনাধীন ছিল, তখন এর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল মূলত ইউরোপকেন্দ্রিক এবং ইউরোপের বাইরে থেকে ব্যাপক সংখ্যক শরণার্থী আসার সম্ভাবনা অগ্রাহ্যযোগ্য মনে করা হতো। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৫১ সালের কনভেনশন নিয়ে আলোচনাকারী সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি মন্তব্য করেন যে, “[ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো যদি] বিশাল সংখ্যক আরব শরণার্থীর মুখোমুখি হয়, তার সম্ভাবনা এতই নগণ্য যে তা বিবেচনারও যোগ্য নয়।”[২৬৪]

বর্তমানে এই দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, এবং আজ স্বীকৃত যে অধিকাংশ শরণার্থী নিম্ন আয়ের দেশসমূহে অবস্থান করছে এবং কানাডায় শরণার্থী আবেদনকারীরা বিশ্বব্যাপী নানা দেশ থেকে আসে। আসলে, যদিও “শরণার্থী আবেদনকারী” শব্দটি স্বতঃসিদ্ধভাবে বা de jure কোনো জাতিগত শ্রেণি নয়, সমকালীন কানাডিয় অভিবাসন ব্যবস্থায় এটি একটি de facto জাতিগত শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে, যেখানে অধিকাংশই অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি।[২৬৫]

বোর্ড সদস্যদের তাদের বিবেচনা প্রয়োগ করতে হবে বৈষম্য ও পূর্বধারণা ছাড়াই, কারণ এরূপ আচরণ, ফেডারেল কোর্টের ভাষায়, “এক ধরনের অজ্ঞতা ও পক্ষপাতদুষ্ট মানসিকতা প্রকাশ করে, যা শুধু সাধারণভাবে অস্বাভাবিক নয় বরং বিশেষভাবে বিস্ময়কর যখন তা এমন কারও পক্ষ থেকে আসে যার দায়িত্ব সংবেদনশীল দাবিসমূহের নিষ্পত্তি করা।”[২৬৬] আরও দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর অধিকার#যেখানে একজন সদস্য বৈষম্যমূলক মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন

এই আইনের আওতায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহকে কানাডার সরকারিভাষা হিসেবে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে

[সম্পাদনা]

আইনের ধারা ৩(৩)(ডি)-তে বলা হয়েছে যে, এই আইন এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে এটি কানাডার সরকারিভাষা হিসেবে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার সমতার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এ বিষয়ে আলোচনা দেখতে পারেন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শুনানির অধিকার ও ন্যায্য শুনানির অধিকার#কার্যধারার ভাষা

আইআরপিএ ধারা ৩(৩)(এফ) - আইনের প্রয়োগে কানাডা স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত দলিলসমূহের প্রতি সম্মান জানানো আবশ্যক

[সম্পাদনা]
প্রয়োগ
(৩) এই আইন এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে
(এফ) এটি কানাডা স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

সাধারণভাবে, কানাডায় আইন আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই ধরে নেওয়া উচিত

[সম্পাদনা]

কানাডা একটি "দ্বৈততান্ত্রিক রাষ্ট্র", অর্থাৎ আন্তর্জাতিক আইন ও অভ্যন্তরীণ আইন পৃথক ক্ষেত্রে বিবেচিত হয়। সেজন্য রাষ্ট্র কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যে বাধ্যবাধকতা গ্রহণ করে, তা অভ্যন্তরীণ আইনের অংশ হতে হলে, তা সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে রূপান্তরিত হতে হয়।[২৬৭] তা সত্ত্বেও, একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যাখ্যাগত নীতি হলো, আইনকে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই ধরে নিতে হবে।[২৬৮] এই ধারনাটি এমন একটি নীতির উপর ভিত্তি করে গঠিত, যার দ্বারা আদালত এমন ব্যাখ্যা এড়াতে চায় যা রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের দিকে ঠেলে দেয়, যদি না আইনের ভাষা স্পষ্টভাবে সেই ব্যতিক্রম নির্দেশ করে।[২৬৯]

সুপ্রিম কোর্ট অফ কানাডা বেকার বনাম কানাডা মামলায় আইন নির্মাণের উপর ড্রাইডগার থেকে নিম্নলিখিত বক্তব্য গ্রহণ করে এই নীতিটি ব্যাখ্যা করেছে:

"সংসদ আন্তর্জাতিক আইনে নিহিত মূল্যবোধ ও নীতিমালার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বলে ধরে নেওয়া হয়, তা সে প্রচলিত হোক বা চুক্তিভিত্তিক। এসব আন্তর্জাতিক মূল্যবোধই সেই প্রেক্ষাপট তৈরি করে যার মধ্যে আইন প্রণীত ও ব্যাখ্যা করা হয়। অতএব, যতদূর সম্ভব, এমন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য যা এসব মূল্যবোধ ও নীতিমালার প্রতিফলন ঘটায়।”[২৭০]

আইআরপিএ-এর ব্যাখ্যায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলসমূহ নির্ধারক ভূমিকা পালন করে, যদি পরিষ্কারভাবে ভিন্ন কোনো আইনগত অভিপ্রায় না থাকে

[সম্পাদনা]

আইআরপিএ-এর ধারা ৩(৩)(এফ) উপরের সাধারণ ব্যাখ্যাগত নীতির চেয়েও অগ্রসর। আইআরপিএ-এর যেকোনো ধারা ব্যাখ্যার সময় কানাডার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে এবং তা যেখানে সম্ভব, আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। ডি গুজম্যান বনাম কানাডা মামলায় আদালত মন্তব্য করেন যে “shall be construed and applied in a manner that complies with …” বাক্যাংশটি বাধ্যতামূলক এবং এটি নির্দেশ করে যে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলসমূহ আইআরপিএ ব্যাখ্যায় শুধু প্রাসঙ্গিক নয়, বরং নির্ধারক ভূমিকা পালন করে। ধারা ৩(৩)(এফ)-এ বলা হয়েছে যে আইনের ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ হতে হবে আন্তর্জাতিক দলিলসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে—যদি পরিষ্কারভাবে তার বিপরীত কোনো আইনগত অভিপ্রায় না থাকে।[২৭১] বিচারপতি বাস্তারাচে পুষ্পনাথন মামলায় মন্তব্য করেন যে, "ব্যক্তিগত ধারাগুলোর ব্যাখ্যার পেছনে মানবাধিকার সংক্রান্ত সুস্পষ্ট ও প্রাধান্যপ্রাপ্ত উদ্দেশ্যই মূল প্রেক্ষাপট।"[২৭২]

তবে, আইআরপিএ-এর যেসব ধারা দ্ব্যর্থহীন, সেগুলো কার্যকর করতেই হবে, এমনকি তা কানাডার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার পরিপন্থী হলেও।[২৭৩] অন্যভাবে বললে, আইন এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে তা কানাডা স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক দলিলসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, “যদি না আধুনিক ব্যাখ্যাগত পদ্ধতিতে তা অসম্ভব হয়ে পড়ে।”[২৭৪]

Sharryn Aiken প্রমুখ Immigration and Refugee Law: Cases, Materials, and Commentary গ্রন্থে লেখেন, আইআরপিএ-এর ধারা ৩(৩)(এফ) অভিবাসী অধিকারকর্মীদের মধ্যে অনেক আশার সঞ্চার করেছিল, কারণ এতে বলা হয়েছিল যে এই আইনকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে যাতে তা “কানাডা স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।” তারা মনে করেন, এই বিধানটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিতে সরাসরি প্রবেশের একটি সম্ভাব্য সংক্ষিপ্তপথ খুলে দেয়।[২৭৫] তবে, ডি গুজম্যান বনাম কানাডা মামলায় ফেডারেল কোর্ট অব অ্যাপিলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে লেখকরা উপসংহারে পৌঁছান যে, “de Guzman সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে যে ধারা ৩(৩)(এফ)-কে শুধু কানাডীয় আইনের প্রতিফলন হিসেবে দেখতে হবে এবং এটি প্রকৃতপক্ষে ব্যাখ্যাগত কাঠামোতে নতুন কিছু যোগ করে না।”[২৭৬]

তবে, আদালত রায় দিয়েছে যে এই বিধানটির একটি প্রভাব হলো অভিবাসন বিচারকদের প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইন বিবেচনায় নিতে বাধ্য করা, যার মধ্যে ফেরত না দেওয়া নীতিও অন্তর্ভুক্ত, তা দলগুলোর পক্ষ থেকে উত্থাপিত না হলেও।[২৭৭]

কানাডা যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সদস্য, তা অনুমোদন করুক বা না-করুক, তাদের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত

[সম্পাদনা]

ডি গুজম্যান বনাম কানাডা মামলায় আদালত মন্তব্য করে যে, ৩(৩)(এফ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আন্তর্জাতিক আইনের উৎসগুলোর মধ্যে কিছু এমন আছে যেগুলো আন্তর্জাতিক আইনে কানাডার জন্য বাধ্যতামূলক এবং কিছু এমন আছে যেগুলো নয়। এই অনুচ্ছেদটি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যেসব চুক্তিতে কানাডা স্বাক্ষর করেছে। আন্তর্জাতিক আইনে, কোনো রাষ্ট্র একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও সেটি বাধ্যতামূলক হয় না, যতক্ষণ না তা অনুমোদন করা হয়, যদি না সংশ্লিষ্ট চুক্তিতে উল্লেখ থাকে যে স্বাক্ষরের মাধ্যমেই তা বাধ্যতামূলক। সাধারণভাবে, স্বাক্ষর মানে হলো ভবিষ্যতে বাধ্যতামূলক করার ইচ্ছার প্রকাশ, যদিও তাৎক্ষণিকভাবে চুক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেওয়ার একটি বাধ্যবাধকতাও আরোপ করতে পারে। [২৭৮]

আন্তর্জাতিক আইনে কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষরের একটি নির্দিষ্ট অর্থ আছে, যা সাধারণত সেই চুক্তির সদস্য হওয়ার পূর্ববর্তী একটি ধাপ। চুক্তি সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশনের ১৮(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যখন কোনো রাষ্ট্র একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বা অনুমোদন, গৃহীত বা অনুমোদনের শর্তসাপেক্ষে চুক্তি গঠনের জন্য দলিল বিনিময় করে, তখন সে চুক্তির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ব্যাহত করে এমন কোনো কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার বাধ্যবাধকতা থাকে, যতক্ষণ না সে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে সে ঐ চুক্তির পক্ষ হতে চায় না...”।[২৭৯]

তবে এটি স্পষ্ট যে, এই বিধানে যেসব দলিলের কথা বলা হয়েছে, তা শুধুমাত্র সেই দলিলগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় যেগুলিতে কানাডা স্বাক্ষর করেছে কিন্তু অনুমোদন করেনি। কানাডার সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে যে, শরণার্থী সংক্রান্ত কনভেনশন নিজেই এমন একটি দলিল যা এই বিধানের আওতায় পড়ে। দেখুন:কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#শরণার্থী ব্যবস্থা মানবাধিকারের ধারণার সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত

যেসব ক্ষেত্রে কানাডা চুক্তি অনুমোদনের সময় কোনো সংরক্ষণ বা ব্যাখ্যামূলক ঘোষণা দিয়েছে, সেই ক্ষেত্রে নির্ভুলভাবে কী কী বাধ্যবাধকতা কানাডা গ্রহণ করেছে, তা বিবেচনায় রাখা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, কানাডা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশন অনুমোদন করেছে, তবে ১২ নম্বর অনুচ্ছেদে একটি সংরক্ষণ এবং ব্যাখ্যামূলক ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে “উপযুক্ত পরিস্থিতিতে এবং উপযুক্ত ও কার্যকর সুরক্ষা শর্তসাপেক্ষে” বিকল্প সিদ্ধান্ত গ্রহণ ব্যবস্থার ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার অধিকার সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। [২৮০]

কানাডা যেসব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সদস্য?

[সম্পাদনা]

ফেডারেল আপিল আদালত উল্লেখ করেছে যে আইআরপিএ “৩(৩)(এফ) অনুচ্ছেদের আওতায় যেসব ব্যবস্থা পড়ে, তাদের তালিকা দেয়নি, এমনকি তাদের পাঠ্যও দেয়নি।”[২৮১] তারা আরও উল্লেখ করেছে, "যেসব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলে কানাডা স্বাক্ষর করেছে" — এই বাক্যাংশটি "স্বয়ং-পরিষ্কার নয়"।[২৮১]

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে, শরণার্থী সংক্রান্ত কনভেনশন এই বিধানের আওতায় সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্তযোগ্য দলিলগুলোর মধ্যে একটি। দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#শরণার্থী ব্যবস্থা মানবাধিকারের ধারণার সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত

কানাডার বিচার বিভাগ “আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি যার কানাডা একটি পক্ষ” শিরোনামে একটি তালিকা প্রদান করে, যা এই বিধানের ব্যাখ্যা দানে সহায়ক হতে পারে:[২৮২]

  • গণহত্যা প্রতিরোধ ও দমন সংক্রান্ত কনভেনশন (১৯৫২)
  • জাতিগত বৈষম্য বিলোপ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন (১৯৭০)
  • অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি (১৯৭৬)
  • নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) (১৯৭৬)
    • আইসিসিপিআর-এর ঐচ্ছিক প্রোটোকল (অভিযোগ প্রক্রিয়া) (১৯৭৬)
    • আইসিসিপিআর-এর দ্বিতীয় ঐচ্ছিক প্রোটোকল, মৃত্যুদণ্ড বিলুপ্তির লক্ষ্যে (২০০৫)
  • নারী প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য বিলোপ সংক্রান্ত কনভেনশন (সিডও) (১৯৮১)
    • সিডও-এর ঐচ্ছিক প্রোটোকল (অভিযোগ প্রক্রিয়া) (২০০২)
  • নির্যাতন ও নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অপমানজনক আচরণ বা শাস্তি বিরোধী কনভেনশন (১৯৮৭)
  • শিশু অধিকার কনভেনশন (সিআরসি) (১৯৯১)
    • সশস্ত্র সংঘর্ষে শিশুদের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত সিআরসি-এর ঐচ্ছিক প্রোটোকল (২০০০)
    • শিশু বিক্রি, শিশু যৌনপল্লী এবং শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত সিআরসি-এর ঐচ্ছিক প্রোটোকল (২০০৫)
  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশন (২০১০)
    • এই কনভেনশনের ঐচ্ছিক প্রোটোকল (২০১৮)

উপরের তালিকায় আরও কিছু চুক্তি যুক্ত করা যেতে পারে, যেমন:

  • দাসপ্রথা সংক্রান্ত কনভেনশন (১৯২৬)[২৮৩]
  • নারীর রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশন (১৯৫৩)
  • রাষ্ট্রহীনতা হ্রাস সংক্রান্ত কনভেনশন (১৯৫৪)
  • বিবাহিত নারীর নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কনভেনশন (১৯৫৭)
  • আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর কনভেনশন:
    • সংগঠনের স্বাধীনতা ও সংগঠন প্রতিষ্ঠার অধিকারের সুরক্ষা (নং ৮৭) (১৯৪৮)
    • সমমূল্যের কাজের জন্য পুরুষ ও নারীদের সম বেতন (নং ১০০) (১৯৫১)
    • জোরপূর্বক শ্রম বিলোপ সংক্রান্ত (নং ১০৫) (১৯৫৭)
    • কর্মসংস্থানে বৈষম্য বিরোধী (নং ১১১) (১৯৫৮)
    • কর্মসংস্থান নীতিমালা সংক্রান্ত (নং ১২২) (১৯৬৪)[২৮৪]
    • শিশুশ্রমের নিকৃষ্টতম রূপ সম্পর্কে কনভেনশন (নং ১৮২)
    • ন্যূনতম বয়স সংক্রান্ত কনভেনশন (নং ১৩৮)
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধি
  • নারীদের ও শিশুদের পাচার প্রতিরোধ ও দমন সংক্রান্ত প্রোটোকল

“আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিল” শব্দগুচ্ছের ব্যাখ্যায় আন্ত-আমেরিকান অঞ্চলভুক্ত দলিলগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত ধরা যেতে পারে, যেগুলোতে কানাডা স্বাক্ষর করেছে। কানাডা যদিও আমেরিকান মানবাধিকার কনভেনশনের সদস্য নয়, তবে আমেরিকান ডিক্লারেশন অফ দ্য রাইটস অ্যান্ড ডিউটিজ অফ ম্যান ("আমেরিকান ঘোষণা")-এর আওতায় পড়ে।[২৮৫] এই দলিলে প্রতিটি ব্যক্তির মৌলিক অধিকার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং আমেরিকান রাষ্ট্রগুলোর সংস্থা হিসেবে কানাডা এসব অধিকার রক্ষা করতে বাধ্য। ওএএস সনদ এবং আমেরিকান ঘোষণা কানাডার জন্য প্রযোজ্য আইনি বাধ্যবাধকতার উৎস।[২৮৬]

কানাডা আরও কয়েকটি আন্তঃআমেরিকান মানবাধিকার চুক্তি অনুমোদন করেছে, যেমন:

  • নারীদের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কনভেনশন (১৯৩৪)[২৮৭]
  • নারীদের রাজনৈতিক অধিকার প্রদান সংক্রান্ত আন্তঃআমেরিকান কনভেনশন[২৮৮]
  • নারীদের নাগরিক অধিকার প্রদান সংক্রান্ত আন্তঃআমেরিকান কনভেনশন[২৮৯]

জেনেভা কনভেনশন ১, ২, ৩ ও ৪ এবং প্রোটোকল ১, ২ ও ৩-ও এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে, তবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিষয়ে আরও ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে।

এছাড়া, কানাডার আদিবাসীদের অধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র আইন-এর কথাও বিবেচনায় রাখা যেতে পারে, যা ঘোষণা দেয় যে "এই ঘোষণাটি একটি সার্বজনীন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিল এবং এটি কানাডার আইনে প্রযোজ্য।"[২৯০]

আইআরপিএ-কে এমনভাবে প্রয়োগ করার অন্যতম যৌক্তিক কারণ হলো — আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ‘interim measures requests’ পাঠানো হলে, যাতে বিদেশি নাগরিকদের বহিষ্কার স্থগিত রাখা যায়, মন্ত্রী সেটি বিবেচনা করতে পারেন। এইরকম অনুরোধ পাঠানোর অধিকার রয়েছে চারটি আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে, যেগুলোর সদস্য কানাডা:

  • নারী প্রতি সকল বৈষম্য বিলোপ সংক্রান্ত কনভেনশন
  • নির্যাতন বিরোধী কনভেনশন
  • নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি
  • আমেরিকান ঘোষণা[২৯১]

এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করার সময় আফ্রিকান মানবাধিকার ও জনগণের অধিকার সনদের আওতায় গঠিত আফ্রিকান আদালতের দৃষ্টান্ত বিবেচনায় রাখা যেতে পারে, যেখানে বলা হয়েছে যে, তারা কেবল তাদের গঠনতন্ত্র নয়, বরং যেসব মানবাধিকার দলিল সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রসমূহ অনুমোদন করেছে, তা-ও বিবেচনা করে।[২৯২] আদালত ব্যাখ্যা দিয়েছে, কিছু দলিলে মানবাধিকার বিষয়ক ধারা রয়েছে, আবার কিছু ধারা মানবাধিকার সম্পর্কিত নয়।

উল্লিখিত কনভেনশনগুলোর অনেকগুলোর ক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট যে আইআরপিএ-এর ব্যাখ্যা এই দলিলগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে; যেমন: নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনের একটি অংশ সরাসরি আইআরপিএ-তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দেখুন:কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/২-৩ - সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য এবং আইআরপিএর প্রয়োগ

এছাড়াও আইআরপিএ-তে "নন-রিফাউলমেন্ট" (ফেরত না দেওয়া) সংক্রান্ত বিধান এবং এই ধারণাটি কিভাবে উপরের কিছু দলিলের সাথে সম্পর্কিত, তা দেখুন:: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#আইআরপিএ ধারা ৩ (২) (ই) - ন্যায্য এবং দক্ষ পদ্ধতি যা অখণ্ডতা বজায় রাখে এবং মানবাধিকার বজায় রাখে

এই বিধানটি সই না-করা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন সম্পর্কিত দলিল ও পাঠ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে

[সম্পাদনা]

আইআরপিএ-এর ধারা ৩(৩)(এফ) অনুযায়ী, আইনটি এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে তা কানাডা যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলগুলোতে স্বাক্ষরকারী, সেগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে কিছু ধরণের দলিলের ব্যতিক্রম থাকা সম্ভব, যেমন:

  • যেসব দলিল মানবাধিকার সংক্রান্ত নয়, বরং মানবিক আইন সংক্রান্ত: কানাডা জেনেভা কনভেনশন ১, ২, ৩, এবং ৪ এবং প্রোটোকল ১, ২, ও ৩-এ স্বাক্ষর করেছে। এসব দলিল শরণার্থী নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় প্রাসঙ্গিক হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যুদ্ধের সময় বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষা সম্পর্কিত চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন (১৯৪৯)-এর অনুচ্ছেদ ৪৫, প্যারাগ্রাফ ৪-এ বলা হয়েছে, কোনো সুরক্ষিত ব্যক্তিকে এমন দেশে পাঠানো নিষিদ্ধ যেখানে রাজনৈতিক মতামত বা ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তার নির্যাতনের আশঙ্কা থাকতে পারে।[২৯৩] তবে এই দলিলটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অংশ, মানবাধিকার আইনের নয়, ফলে আইআরপিএ-এর ধারা ৩(৩)(এফ)-এর আওতায় না পড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আন্তর্জাতিক আইন কমিশন সাধারণত এই দুইটি আইনের ক্ষেত্রকে পৃথক হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।[২৯৪] কানাডার আইনে এসব কিভাবে বিবেচিত হয় তা জানতে দেখুন: জেনেভা কনভেনশন আইন[২৯৫]
  • যেসব দলিলে স্বাক্ষর করা হয়নি: যেমন, ১৯৪৮ সালের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র একটি চুক্তি নয়, বরং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি অননুগত্যযোগ্য, বাধ্যতামূলক নয় এমন (তবুও উচ্চাকাঙ্ক্ষী) প্রস্তাব।[২৯৬] ঘোষণাটির প্রস্তাবনাতে বলা হয়েছে, এটি একটি সাধারণ মান নির্ধারণের প্রচেষ্টা মাত্র, বাধ্যতামূলক নয়।[২৯৭] ফলে যেহেতু দলিলটি স্বাক্ষরিত নয় এবং দেশগুলোকে এর স্বাক্ষরকারী বলা যায় না, তাই আইআরপিএ-এর ধারা ৩(৩)(এফ)-এর আওতায় এটি পড়ে না।

শরণার্থী ব্যবস্থা মানবাধিকারের ধারণার সাথে অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত

[সম্পাদনা]

আইনের ধারা ৩(৩)(এফ) অনুযায়ী, এটি এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে হবে যাতে তা কানাডা যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলগুলোতে স্বাক্ষরকারী, তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। কানাডার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে শরণার্থী কনভেনশন নিজেই একটি “মানবাধিকার দলিল”, আইআরপিএ-এর ধারা ৩(৩)(এফ)-এর অর্থে:

ধারা ৩(৩)(এফ) আদালতকে নির্দেশ দেয় আইআরপিএ-কে এমনভাবে ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করতে যাতে তা “কানাডা যেসব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলে স্বাক্ষরকারী, সেগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ” হয়। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে শরণার্থী কনভেনশন একটি মানবাধিকার দলিল, কারণ এটি অন্য দেশে আশ্রয় খোঁজার অধিকারকে কেন্দ্র করে গঠিত, যেমনটি মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের অনুচ্ছেদ ১৪-তে বলা হয়েছে।[২৯৯]

তদ্ব্যতীত, শরণার্থীদের অবস্থা সম্পর্কিত প্রোটোকল-কেও একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৩০০]

এটি অন্যান্য আদালতের ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কনভেনশনের প্রস্তাবনাতে বলা হয়েছে: “জাতিসংঘ বিভিন্ন সময়ে শরণার্থীদের প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা সর্বোচ্চভাবে নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হয়েছে।”[৩০১] অস্ট্রেলিয়ার হাই কোর্টের ব্রেনান সিজে মন্তব্য করেছেন, “প্রস্তাবনাটি কনভেনশনকে এমন একটি আন্তর্জাতিক দলিল হিসেবে স্থাপন করে যার উদ্দেশ্য প্রতিটি ব্যক্তির মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার সমান উপভোগ নিশ্চিত করা।”[৩০২] ২০১৮ সালে আন্তঃআমেরিকান মানবাধিকার আদালত এক উপদেষ্টা মতামতে বলেছে, আশ্রয় একটি মানবাধিকার।[৩০৩]

এটি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের অবস্থানের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইউএনএইচসিআর এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে যে শরণার্থী কনভেনশন মানবাধিকার আইনের অংশ এবং ঘোষণা দিয়েছে, “এই কনভেনশনের মানবাধিকারভিত্তি এটিকে মানবাধিকার দলিলগুলোর বিস্তৃত কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করে।”[৩০৪] হাই কমিশনার নিজে বলেছেন:

মানবাধিকার ও শরণার্থী সমস্যাগুলো এতটাই পরস্পর সম্পর্কযুক্ত যে একটিকে অন্যটির উল্লেখ ছাড়া আলোচনা করা কঠিন। মানবাধিকার লঙ্ঘনই শরণার্থীর স্রোতের প্রধান কারণ এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পথে প্রধান বাধা। ইতিবাচকভাবে বলতে গেলে, মানবাধিকার রক্ষা করা সেই শর্ত তৈরি করে যার মাধ্যমে মানুষ শরণার্থী হতে বাধ্য হয় না; আশ্রয়প্রার্থী দেশেও মানবাধিকার রক্ষা শরণার্থীদের সুরক্ষার একটি মূল উপাদান; এবং মানবাধিকার মান বজায় রাখার উন্নত অবস্থা শরণার্থী সমস্যার সমাধানের পূর্বশর্ত।[৩০৫]

একইভাবে, একাডেমিক ব্যাখ্যাগুলোও শরণার্থী কনভেনশন-কে মানবাধিকার দলিল হিসেবে গণ্য করে। ম্যাকঅ্যাডাম যুক্তি দিয়েছেন, শরণার্থী আইন মানবাধিকার আইনের অন্তর্গত একটি বিশেষায়িত ক্ষেত্র।[৩০৬] হাথওয়ে বলেছেন, শরণার্থীদের অধিকার হলো একটি উপায় যার মাধ্যমে মানবাধিকার সুরক্ষার সাধারণ কাঠামোর আওতায় নির্দিষ্ট দুর্বলতাগুলো সমাধান করা যায়। তিনি বলেন, “শরণার্থী অধিকার আলাদা কোনো কাঠামো নয়, বরং মানবাধিকার কাঠামোরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।”[৩০৭]

আইআরপিএ-এর এই বিধানটি ধারা ৩(২)(ই)-এর সাথে মিলিয়ে পড়তে হবে। সেখানে বলা হয়েছে, শরণার্থীদের প্রতি আইনটির উদ্দেশ্য হলো "মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি কানাডার শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা"। এই বিধানগুলো প্রমাণ করে, শরণার্থীদের দুর্দশা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে অবিচ্ছিন্নভাবে জড়িত। শরণার্থী আইনজীবী ডেভিড মাতাসের কথায়, “শরণার্থীদের দুর্দশা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন দুটি আলাদা সমস্যা নয়, বরং একই সমস্যার দুটি দিক। মানবাধিকার লঙ্ঘনই গণপর্যায়ে দেশত্যাগের মূল কারণ।”[৩০৮] দেখুন: কানাডায় শরনার্থী প্রক্রিয়া/শরণার্থী প্রক্রিয়া ব্যাখ্যার নীতিমালা#আইআরপিএ ধারা ৩(২)(ই) - ন্যায্য এবং দক্ষ পদ্ধতি যা সততা বজায় রাখে এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখে

সবশেষে, আশ্রয় প্রক্রিয়া মানবাধিকার-ভিত্তিক হলেও এটি অন্যান্য আইনের শাখার সাথেও সম্পর্কযুক্ত হতে পারে। যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের ভাষায়, আশ্রয়কে ইমিগ্রেশন আইনের একটি দিক হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই বিবেচনা করা যায়।[৩০৯]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Singh, [1985] 1 SCR 177, at 212.
  2. Immigration and Refugee Board of Canada, Code of Conduct for Members of the Immigration and Refugee Board of Canada, Effective Date: April 9, 2019, <https://irb-cisr.gc.ca/en/members/Pages/MemComCode.aspx> (Accessed May 3, 2020), at section 5.
  3. Benchwood Builders, Inc v Prescott, 2025 ONCA 171 (March 6, 2025), para. 5.
  4. Canada (Minister of Citizenship and Immigration) v. Vavilov, 2019 SCC 65, [2019] 4 SCR 653 at para. 117.
  5. Canada Trustco Mortgage Co. v. Canada, 2005 SCC 54 at para. 10.
  6. Dow Chemical Canada ULC v Canada, 2024 SCC 23 at para 101.
  7. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness) v. Weldemariam, 2024 FCA 69 (CanLII), at para 84, <https://canlii.ca/t/k419v#par84>, retrieved on 2024-06-12.
  8. McBratney v McBratney, 1919 CanLII 42 (SCC) (per Duff J).
  9. R v Zeolkowski, 1989 CanLII 72 (SCC), [1989] 1 SCR 1378 at p 1387.
  10. Maurice v Priel, 1987 CanLII 207 (SK CA), 46 DLR (4th) 416, per Bayda CJ, at pp. 20-21.
  11. Sharbern Holding Inc. v. Vancouver Airport Centre Ltd., 2011 SCC 23, [2011] 2 SCR 175 at para. 117.
  12. Nazifpour v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration) (F.C.A.), 2007 FCA 35 (CanLII), [2007] 4 FCR 515, at para 20, <https://canlii.ca/t/1qg9c#par20>, retrieved on 2024-05-24.
  13. Tesfaye v. Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 2040 (CanLII), at para 41, <https://canlii.ca/t/k8d50#par41>, retrieved on 2024-12-17.
  14. Júlia Zomignani Barboza, International Protection for Criminals: To Grant or Not to Grant? Lessons from Australia, Belgium, and Canada, International Journal of Refugee Law, 2024, eeae026, https://doi.org/10.1093/ijrl/eeae026, at page 21.
  15. Canada (Citizenship and Immigration) v Heidari Gezik, 2015 FC 1268 at para 61.
  16. Mason v Canada (Citizenship and Immigration), 2023 SCC 21 at para 69.
  17. Canada (Citizenship and Immigration) v Heidari Gezik, 2015 FC 1268 at para 51.
  18. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness) v. Weldemariam, 2024 FCA 69 (CanLII), at para 90, <https://canlii.ca/t/k419v#par90>, retrieved on 2024-06-12.
  19. Rizzo & Rizzo Shoes Ltd (Re), 1998 CanLII 837 (SCC), [1998] 1 SCR 27 at para 27.
  20. Virani v. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness), 2017 FC 1083 (CanLII), at para 9, <https://canlii.ca/t/hp4hx#par9>, retrieved on 2024-03-17.
  21. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness) v. Weldemariam, 2024 FCA 69 (CanLII), at para 96, <https://canlii.ca/t/k419v#par96>, retrieved on 2024-06-12.
  22. Al-Lamy v. Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 1621, para. 21.
  23. Immigration and Refugee Board of Canada, Instructions for Gathering and Disclosing Information for Refugee Appeal Division Proceedings, Effective: May 30, 2016, <https://irb.gc.ca/en/legal-policy/policies/Pages/InstRadSpr0516.aspx> (Accessed October 2, 2023), section D.
  24. United Nations Office of the High Commissioner for Human Rights, Manual on human rights monitoring: Chapter 14 (Protection of victims, witnesses and other cooperating persons),<https://www.ohchr.org/sites/default/files/Documents/Publications/Chapter14-56pp.pdf>, page 8.
  25. Geza v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2006 FCA 124, para. 53.
  26. S. Ronald Ellis, The Corporate Responsibility of Tribunal Members, Canadian Journal of Administrative Law & Practice, February 2009, 22 Can. J. Admin. L. & Prac. 1, <http://www.ccat-ctac.org/CMFiles/Ron%20Ellis/21.TheCorporateResponsibilityofTribunalMembers.pdf#page15> (Accessed July 25, 2020), page 10.
  27. Benitez v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2006 FC 461 (CanLII), [2007] 1 FCR 107, par. 64, <https://canlii.ca/t/1n3nx#par64>, retrieved on 2021-07-17.
  28. Conclusions Adopted by the Executive Committee in the International Protection of Refugees 1975-2009 (Conclusion 1-109). See Conclusion 8 9, <https://www.unhcr.org/en-us/578371524.pdf> (Accessed February 5, 2021).
  29. Immigration and Refugee Board of Canada, Questions and answers: Practice Notice on Procedural Issues, Date modified: 2024-09-09 <https://irb.gc.ca/en/legal-policy/procedures/Pages/rpd-pnpi-qa.aspx>, at question 13.
  30. Nwankwo v. Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 1827 (CanLII), at para 32, <https://canlii.ca/t/k7zdl#par32>, retrieved on 2024-12-12.
  31. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :252 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  32. Sundaram v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2006 FC 291 (CanLII), par. 12, <http://canlii.ca/t/1mr2v#par12>, retrieved on 2020-04-11.
  33. Law v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration) (2007), 2007 FC 1006, 160 A.C.W.S. (3d) 879 at para. 16.
  34. Ngyuen v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2005 FC 1001, [2005] F.C.J. No. 1244 (QL), at para. 17.
  35. Kerqeli v. Canada (Citizenship and Immigration), 2015 FC 475 (CanLII), at para 13, <https://canlii.ca/t/ghc6p#par13>, retrieved on 2024-12-12.
  36. Singh v. Canada (Citizenship and Immigration), 2021 FC 810 (CanLII), at para 58, <https://canlii.ca/t/jhcg4#par58>, retrieved on 2022-01-21.
  37. Canada (Citizenship and Immigration) et al. v. The Canadian Council for Refugees et al., 2021 FCA 72, para. 125.
  38. Varela v Canada (Citizenship and Immigration), 2017 FC 1157 [Barnes J].
  39. Alain Pellet, Judicial Settlement of International Disputes, Max Planck Encyclopedia of Public International Law, July 2013, <https://prawo.uni.wroc.pl/sites/default/files/students-resources/law-9780199231690-e54-1.pdf> (Accessed September 30, 2022).
  40. M.C.I v. Huruglica, 2016 FCA 93 (C.A.F.), para. 74.
  41. Immigration and Refugee Board of Canada. Mission, Vision, and Values of the Immigration and Refugee Board, Last updated: 2006 04 20, online <https://web.archive.org/web/20071115151510/http://www.irb-cisr.gc.ca/en/references/legal/rpd/handbook/hbmission_e.htm> (Accessed November 9, 2023).
  42. Inter-American Commission on Human Rights (IACHR), Report on the Situation of Human Rights of Asylum Seekers Within the Canadian Refugee Determination System, 2000, Inter-Am. C.H.R., OEA/Ser.L/V/II.106, Doc. 40 rev. (2000), available at: https://www.refworld.org/docid/50ceedc72.html [accessed 18 August 2020], para. 52.
  43. Inter-American Commission on Human Rights (IACHR), Report on the Situation of Human Rights of Asylum Seekers Within the Canadian Refugee Determination System, 2000, Inter-Am. C.H.R., OEA/Ser.L/V/II.106, Doc. 40 rev. (2000), available at: https://www.refworld.org/docid/50ceedc72.html [accessed 18 August 2020], para. 36.
  44. UN High Commissioner for Refugees (UNHCR), Procedural Standards for Refugee Status Determination Under UNHCR's Mandate, 26 August 2020, available at: https://www.refworld.org/docid/5e870b254.html [accessed 5 September 2020], page 15.
  45. Canada (Citizenship and Immigration) v. Singh, 2016 FCA 96 (CanLII), [2016] 4 FCR 230, at para 64, <https://canlii.ca/t/gp31b#par64>, retrieved on 2022-04-22.
  46. Huseen v. Canada (Citizenship and Immigration), 2015 FC 845 (CanLII), par. 34, <http://canlii.ca/t/gkmz2#par34>, retrieved on 2020-03-11.
  47. Immigration and Refugee Board of Canada, Code of Conduct for Members of the Immigration and Refugee Board of Canada, Effective Date: April 9, 2019, <https://irb-cisr.gc.ca/en/members/Pages/MemComCode.aspx> (Accessed May 3, 2020), at section 33.
  48. Guermache v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2004 FC 870 (CanLII), at para 4, <https://canlii.ca/t/1j2dt#par4>, retrieved on 2022-10-20.
  49. Egenti v. Canada (Citizenship and Immigration), 2023 FC 639 (CanLII), at para 20, <https://canlii.ca/t/jxd96#par20>, retrieved on 2023-09-06.
  50. Cepeda-Gutierrez v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 1998 CanLII 8667 (FC).
  51. J. Ramji‐Nogales et al. (eds), Refugee Roulette (2009), p. 125, citing Immigration Litigation Reduction Hearing before the S. Comm. on the Judiciary, 109th Cong. 5–7 (2006) (statement of Hon. John M. Walker, Jr., C.J., US Court of Appeals for the Second Circuit).
  52. C. Guthrie et al., ‘Blinking on the Bench: How Judges Decide Cases’ (2007) 93 Cornell Law Rev. 1.
  53. Lopez Aguilar v. Canada (Citizenship and Immigration), 2011 FC 908 (CanLII), at para 5, <https://canlii.ca/t/fn552#par5>, retrieved on 2023-11-02.
  54. Domantay v. Canada (Citizenship and Immigration), 2008 FC 755.
  55. X (Re), 2019 CanLII 129885 (CA IRB) at paras. 14 and 25 to 30. Online: http://canlii.ca/t/j59c6
  56. Immigration and Refugee Board of Canada, Code of Conduct for Members of the Immigration and Refugee Board of Canada, Effective Date: April 9, 2019, <https://irb-cisr.gc.ca/en/members/Pages/MemComCode.aspx> (Accessed May 3, 2020), at section 6.
  57. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :22 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  58. Hambly, J. and Gill, N. (2020), Law and Speed: Asylum Appeals and the Techniques and Consequences of Legal Quickening. J. Law Soc., 47: 3-28. doi:10.1111/jols.12220.
  59. Guylas v. Canada (Citizenship and Immigration), 2015 FC 202 (CanLII), para. 39.
  60. Abi-Mansour v Canada (Passport), 2015 FC 363, and Qita v Immigration Consultants of Canada Regulatory Council, 2020 FC 671.
  61. Geza v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), [2006] FCJ No 477 at para 1 (CA).
  62. Kozak v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2006 FCA 124 (CanLII), [2006] 4 FCR 377, para. 56.
  63. Razburgaj v. Canada (Citizenship and Immigration), 2014 FC 151 (CanLII), par. 19, <http://canlii.ca/t/g34tl#par19>, retrieved on 2020-04-01.
  64. Singh v. Canada, 1985 1 SCR 177.
  65. Hambly, J. and Gill, N. (2020), Law and Speed: Asylum Appeals and the Techniques and Consequences of Legal Quickening. J. Law Soc., 47: 3-28. doi:10.1111/jols.12220.
  66. The Lord Chancellor v. Detention Action [2015] EWCA Civ 840 para. 49.
  67. Pillai v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2001 FCT 1417, [2002] 3 FC 481.
  68. Andreoli v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2004 FC 1111 (CanLII), para. 16.
  69. Hamel v. Brunelle and Labonté, 1975 CanLII 1 (SCC), [1977] 1 SCR 147.
  70. Huseen v. Canada (Citizenship and Immigration), 2015 FC 845 (CanLII), par. 16, <http://canlii.ca/t/gkmz2#par16>, retrieved on 2020-03-11.
  71. Huseen v. Canada (Citizenship and Immigration), 2015 FC 845 (CanLII), par. 17, <http://canlii.ca/t/gkmz2#par17>, retrieved on 2020-03-11.
  72. Ahmed v. Canada (Citizenship and Immigration), 2018 FC 1157 (CanLII), para. 44.
  73. Huseen v Canada (Citizenship and Immigration), 2015 FC 845, para. 36.
  74. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :21 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  75. Immigration and Refugee Board of Canada, Refugee Protection Division: Practice Notice on the resumption of in-person hearings, June 23, 2020, <https://irb-cisr.gc.ca/en/legal-policy/procedures/Pages/rpd-pn-hearing-resumption.aspx> (Accessed August 1, 2020). This practice notice was revoked following the Covid period on September 9, 2024: <https://irb.gc.ca/en/news/2024/Pages/rpd-pnpi.aspx>.
  76. Martin David Jones and Sasha Baglay. Refugee Law (Second Edition). Irwin Law, 2017, page 328.
  77. Soares v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2007 FC 190, [2007] F.C.J. No. 254 (QL), at para. 22.
  78. Yu v. Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 1189 (CanLII), at para 14, <https://canlii.ca/t/k61w7#par14>, retrieved on 2024-08-20.
  79. Immigration and Refugee Board of Canada, Guideline 8 - Concerning Procedures with Respect to Vulnerable Persons Appearing Before the Immigration and Refugee Board of Canada, Amended: December 15, 2012, <https://irb-cisr.gc.ca/en/legal-policy/policies/Pages/GuideDir08.aspx#a1> (Accessed February 9, 2020), at section 1.5.
  80. Hernandez v. Canada (Minister of Citizenship & Immigration), [2010] F.C.J. No. 199, 2010 FC 179 (F.C.), para. 54.
  81. Khan v. Canada (Citizenship and Immigration), 2022 FC 1330 (CanLII), at para 37, <https://canlii.ca/t/js3dw#par37>, retrieved on 2022-10-20.
  82. UN High Commissioner for Refugees (UNHCR), Handbook on Procedures and Criteria for Determining Refugee Status and Guidelines on International Protection Under the 1951 Convention and the 1967 Protocol Relating to the Status of Refugees, April 2019, HCR/1P/4/ENG/REV. 4, available at: https://www.refworld.org/docid/5cb474b27.html [accessed 26 January 2020], para. 202.
  83. R. G. L. Fairweather, Canada's New Refugee Determination System, 27 CAN. Y.B. INT'l L. 295 (1989), page 306.
  84. W. Gunther Plaut, Refugee determination in Canada: A report to the Honourable Flora MacDonald, Minister of Employment and Immigration, April 1985, Government of Canada publication, page 17.
  85. Jaballah (Re), 2010 FC 224 (CanLII), [2011] 3 FCR 155, at para 97, <https://canlii.ca/t/28cx7#par97>, retrieved on 2023-11-09.
  86. ৮৬.০ ৮৬.১ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :232 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  87. Ayele v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration) (2007), 2007 FC 126, 60 Imm. L. R. (3d) 197 at para. 12.
  88. Aguilar Cedeno, Angel Felipe v. M.C.I. (F.C., no. IMM-2360-21), Norris, April 13, 2023; 2023 FC 537.
  89. Singh v. Canada (Citizenship and Immigration), 2023 FC 1611 (CanLII), at para 6, <https://canlii.ca/t/k1xgj#par6>, retrieved on 2024-02-09.
  90. R. v. Kruk, 2024 SCC 7 (CanLII), at para 84, <https://canlii.ca/t/k39g6#par84>, retrieved on 2024-03-14.
  91. Boulis v. Minister of Manpower and Immigration, 1972 CanLII 4 (SCC), [1974] SCR 875, <https://canlii.ca/t/1nfn8>, retrieved on 2024-05-22, page 885.
  92. A.B. v. M.C.I. (F.C., no. IMM-5967-19), Pamel, April 28, 2020; 2020 FC 562.
  93. Amiragova v. Canada (Citizenship and Immigration), 2008 FC 64 (CanLII), at para 17, <https://canlii.ca/t/1w3f0#par17>, retrieved on 2024-01-09.
  94. Nicholas Alexander Rymal Fraser, Shared Heuristics: How Organizational Culture Shapes Asylum Policy, Department of Political Science, University of Toronto (Canada), ProQuest Dissertations Publishing, 2020, <https://search.proquest.com/openview/f925dea72da7d94141f0f559633da65a/1> (Accessed August 1, 2020), at page 91 of PDF.
  95. Uppal v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2006 FC 1142 (CanLII), par. 16, <https://canlii.ca/t/1pnxv#par16>, retrieved on 2021-07-14.
  96. UN High Commissioner for Refugees (UNHCR), Handbook on Procedures and Criteria for Determining Refugee Status and Guidelines on International Protection Under the 1951 Convention and the 1967 Protocol Relating to the Status of Refugees, April 2019, HCR/1P/4/ENG/REV. 4, available at: https://www.refworld.org/docid/5cb474b27.html [accessed 26 January 2020].
  97. Chan v. M.E.I., [1995] 3 S.C.R. 593.
  98. Noga c Canada (Ministre de la citoyenneté et de l’immigration), 2003 CFPI 454 paras 10-12.
  99. Razzaque v. Canada (Citizenship and Immigration), 2023 FC 420 (CanLII), at para 19, <https://canlii.ca/t/jwdhz#par19>, retrieved on 2024-03-04.
  100. W. Gunther Plaut, Refugee determination in Canada: A report to the Honourable Flora MacDonald, Minister of Employment and Immigration, April 1985, Government of Canada publication, page 106.
  101. Mahjoub (Re), 2010 FC 787 (CanLII), <https://canlii.ca/t/2btjw>, para. 51.
  102. UN General Assembly, Convention relative au statut des réfugiés, 28 July 1951, available at: https://www.refworld.org/docid/48abd59af.html at Article 31.
  103. ১০৩.০ ১০৩.১ Paulos Teddla v. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness), 2020 FC 1109 (CanLII), par. 26, <http://canlii.ca/t/jc709#par26>.
  104. Mohammed v. Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 713 (CanLII), at para 29, <https://canlii.ca/t/k4jc6#par29>, retrieved on 2024-07-03.
  105. Kante, Abdoulaye v. M.E.I. (F.C.T.D., no. IMM-2585-93), Nadon, March 23, 1994.
  106. Immigration and Refugee Protection Act, SC 2001, c 27, s 109, <https://canlii.ca/t/7vwq#sec109>, retrieved on 2025-01-03.
  107. Barrientos v Canada (Ministre de la Citoyenneté et de l’Immigration), 1997 CanLII 5278.
  108. Uçaryılmaz, Talya. (2020). The Principle of Good Faith in Public International Law (El principio de buena fe en el Derecho internacional público). Estudios de Deusto. 68.43.10.18543/ed-68(1)-2020pp43-59 <https://dialnet.unirioja.es/servlet/articulo?codigo=7483935> (Accessed July 25, 2020), page 13 of the article.
  109. Malhi v. Canada (Citizenship and Immigration), 2023 FC 392 (CanLII), at para 19, <https://canlii.ca/t/jwbjd#par19>, retrieved on 2023-06-27.
  110. "Chapter 5 – Relationship to the Administration of Justice | The Law Society of British Columbia"www.lawsociety.bc.ca। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-০৫ 
  111. Mohammadian v Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2000 CanLII 17118 (FC), [2000] 3 FC 371, 185 FTR 144.
  112. Ahmed v. Canada (Citizenship and Immigration), 2020 FC 107, at paragraph 34.
  113. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :72 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  114. Singh v. Canada, IMM-12081-23, decision dated October 1, 2024, para. 14; Paulos Teddla v. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness), 2020 FC 1109 (CanLII), par. 20, <http://canlii.ca/t/jc709#par20>, retrieved on 2020-12-21.
  115. Yang v. Canada (Citizenship and Immigration), 2019 FC 402 (CanLII), par. 40, <https://canlii.ca/t/hzrhk#par40>, retrieved on 2021-04-28.
  116. Goburdhun v Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2013 FC 971 at paras 28.
  117. ১১৭.০ ১১৭.১ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :12 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  118. Tahir v. Canada (Citizenship and Immigration), 2021 FC 1202 (CanLII), at para 23, <https://canlii.ca/t/jkd84#par23>, retrieved on 2022-01-26.
  119. Ganiyu v. Canada (Citizenship and Immigration), 2022 FC 296 (CanLII), at para 10, <https://canlii.ca/t/jmswk#par10>, retrieved on 2022-04-01.
  120. Andreoli v Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2004 FC 1111 at para 20.
  121. Perez v. Canada (Citizenship and Immigration), 2020 FC 1171 (CanLII), par. 26, <http://canlii.ca/t/jc9b0#par26>, retrieved on 2021-01-14.
  122. Khan v Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2005 FC 833 (“Khan”) at para 29, citing Mussa v Canada (Minister of Employment and Immigration), [1994] FCJ No 2047 at para 3.
  123. Barrientos, Jorge Enrique Valenzuela v.  MCI (no. IMM-2481-96), Noël, June 4, 1997.
  124. Kaur v. Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 416 (CanLII), at para 25, <https://canlii.ca/t/k3d36#par25>, retrieved on 2024-03-28.
  125. Ibrahim v. Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 497 (CanLII), at para 46, <https://canlii.ca/t/k3trv#par46>, retrieved on 2024-05-03.
  126. Sainvry v. Canada (Citizenship and Immigration), 2013 FC 468 (CanLII), par. 16, <https://canlii.ca/t/fxbpj#par16>, retrieved on 2021-06-26.
  127. Immigration and Refugee Board of Canada, Policy on National Documentation Packages in Refugee Determination Proceedings, Effective date: June 5, 2019, <https://irb-cisr.gc.ca/en/legal-policy/policies/Pages/national-documentation-packages.aspx> (Accessed August 30, 2020).
  128. Singh c. Canada (Citoyenneté et Immigration), 2025 CF 437 (CanLII), at para 11, <https://canlii.ca/t/k9z4l#par11>, retrieved on 2025-03-28.
  129. Al Balushi v. Canada (Citizenship and Immigration), 2025 FC 567 (CanLII), at para 41, <https://canlii.ca/t/kb9kc#par41>, retrieved on 2025-04-17.
  130. Oladipupo v. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness), 2024 FC 921 (CanLII), অনুচ্ছেদ 36 ও 40, <https://canlii.ca/t/k5thz#par36>, উদ্ধৃত হয়েছে 2024-08-27 তারিখে।
  131. Canada (Citizenship and Immigration) v. Shen, 2025 FC 756, অনুচ্ছেদ 37।
  132. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :242 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  133. Saifullah v. Canada (Citizenship and Immigration), 2023 FC 1060 (CanLII), অনুচ্ছেদ 35, <https://canlii.ca/t/jzgzf#par35>, উদ্ধৃত হয়েছে 2023-09-07 তারিখে।
  134. Anulur v. Canada (Citizenship and Immigration), 2023 FC 1070 (CanLII), অনুচ্ছেদ 41, <https://canlii.ca/t/jzgzs#par41>, উদ্ধৃত হয়েছে 2023-12-28 তারিখে।
  135. Diakité v. Canada (Immigration, Refugees and Citizenship), 2024 FC 170 (CanLII), অনুচ্ছেদ 50, <https://canlii.ca/t/k2p18#par50>, উদ্ধৃত হয়েছে 2024-10-01 তারিখে।
  136. Satkunanathan v. Canada (Citizenship and Immigration), 2020 FC 470 (CanLII), অনুচ্ছেদ 87, <http://canlii.ca/t/j65bj#par87>, উদ্ধৃত হয়েছে 2020-04-17 তারিখে।
  137. Anulur v. Canada (Citizenship and Immigration), 2023 FC 1070 (CanLII), অনুচ্ছেদ 34, <https://canlii.ca/t/jzgzs#par34>, উদ্ধৃত হয়েছে 2023-12-28 তারিখে।
  138. Mercado v. Canada (Citizenship and Immigration), 2010 FC 289 (CanLII), অনুচ্ছেদ 38, <https://canlii.ca/t/2c4vw#par38>, উদ্ধৃত হয়েছে 2024-07-01 তারিখে।
  139. Richard v. The Attorney General of Canada, 2024 ONSC 3800 (CanLII), অনুচ্ছেদ 411, <https://canlii.ca/t/k5mx6#par411>, উদ্ধৃত হয়েছে 2024-07-09 তারিখে।
  140. Zerihaymanot, Brhane Ghebrihiwet, v. M.C.I. (F.C., no. IMM-3077-21), McHaffie, April 26, 2022; 2022 FC 610।
  141. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :52 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  142. Jouzichin v Canada (Minister of Citizenship and Immigration) (1994), 52 ACWS (3d) 157, 1994 CarswellNat 1592।
  143. Immigration and Refugee Board of Canada, Basis of Claim Form, নভেম্বর 2012 সংস্করণ <https://irb-cisr.gc.ca/en/forms/Documents/RpdSpr0201_e.pdf>, সংযুক্তি পৃষ্ঠা ২।
  144. Shirzad v. Canada (Citizenship and Immigration), 2022 FC 89 (CanLII), অনুচ্ছেদ 37, <https://canlii.ca/t/jm412#par37>, উদ্ধৃত হয়েছে 2022-07-22 তারিখে।
  145. Glowacki v. Canada (Citizenship and Immigration), 2021 FC 1453 (CanLII), অনুচ্ছেদ 22, <https://canlii.ca/t/jljcw#par22>, উদ্ধৃত হয়েছে 2022-01-06 তারিখে।
  146. Sachdeva v. Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 1522 (CanLII), অনুচ্ছেদ 34, <https://canlii.ca/t/k71jm#par34>, উদ্ধৃত হয়েছে 2024-10-01 তারিখে।
  147. Diakité v Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 170, অনুচ্ছেদ 48।
  148. Sharryn Aiken, et al, Immigration and Refugee Law: Cases, Materials, and Commentary (Third Edition), Jan. 1 2020, Emond, ISBN: 1772556319, at page 27.
  149. Sharryn Aiken, et al, Immigration and Refugee Law: Cases, Materials, and Commentary (Third Edition), Jan. 1 2020, Emond, ISBN: 1772556319, at page 29.
  150. ১৫০.০ ১৫০.১ Catherine Dauvergne, Evaluating Canada's New Immigration and Refugee Protection Act in Its Global Context, 2003 41-3 Alberta Law Review 725, 2003 CanLIIDocs 127, <https://canlii.ca/t/2d8f>, retrieved on 2021-06-25 at page 732.
  151. Shauna Labman, Crossing Law’s Border: Canada’s Refugee Resettlement Program, 2019, UBC Press: Vancouver, page 43.
  152. Uppal v.  Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2006 FC 1142 (CanLII), par. 13, <https://canlii.ca/t/1pnxv#par13>, retrieved on 2021-07-14.
  153. Ministerial Guidelines, Refugee Status Advisory Committee (RSAC Feb 20, 1982), as reproduced at https://refuge.journals.yorku.ca/index.php/refuge/article/view/41404/37052
  154. Donald Galloway, Populism and the failure to acknowledge the human rights of migrants, in Dauvergne, C. (ed), Research handbook on the law and politics of migration, April 2021, ISBN: 9781789902259.
  155. Hathaway, J. (2005). The Rights of Refugees under International Law. Cambridge: Cambridge University Press. doi:10.1017/CBO9780511614859.
  156. Colin Yeo, Book review: The Rights of Refugees Under International Law by James Hathaway, April 15 2021, freemovement.org.uk (blog), <https://www.freemovement.org.uk/book-review-the-rights-of-refugees-under-international-law-by-james-hathaway/> (Accessed April 25, 2021).
  157. Horvath v. Secretary of State for the Home Department, [2000] 3 All ER 577 (UK HL, July 6, 2000), per Lord Hope of Craighead.
  158. The 1951 Convention Relating to the Status of Refugees and its 1967 Protocol: A Commentary. Edited by Andreas Zimmermann. Oxford University Press, 2011, 1799 pp. ISBN 978-0-19-954251-2, Preamble 1951 Convention, Alleweldt, at p. 232 (paras. 26-27).
  159. Haddad, E. (2008). The Refugee in International Society: Between Sovereigns (Cambridge Studies in International Relations). Cambridge: Cambridge University Press. doi:10.1017/CBO9780511491351, page 190.
  160. Leslie Katz, The Use of the Vienna Convention on the Law of Treaties in the Interpretation of the Refugee Convention and the Refugee Protocol, CanLII Connects, March 27, 2019, <https://canliiconnects.org/en/commentaries/66071> (Accessed August 28, 2020).
  161. Hathaway, J. (2005). International law as a source of refugee rights. In The Rights of Refugees under International Law (pp. 15-74). Cambridge: Cambridge University Press. doi:10.1017/CBO9780511614859.002.
  162. Kasikili/Seduda Island (Botswana v. Namibia), Preliminary Objections, [1996] ICJ Rep 803, at 812.
  163. M. Lennard, ‘‘Navigating by the Stars: Interpreting the WTO Agreements,’’ (2002) 5 Journal of International Economic Law 17 (Lennard, ‘‘Navigating by the Stars’’), at 17–18.
  164. I. Sinclair, The Vienna Convention and the Law of Treaties (1984) at 153.
  165. Attorney-General v Zaoui and Inspector-General of Intelligence and Security [2006] 1 NCLR 289 (Supreme Court of New Zealand) at para. 24
  166. European Roma Rights Centre & Ors, R (on the application of ) v Immigration Officer at Prague Airport & Anor [2004] UKHL 55 (UK House of Lords) at para. 18 (per Lord Bingham), at para. 43 (per Lord Steyn), at para. 63 (per Lord Hope).
  167. Pushpanathan v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 1998 CanLII 778 (SCC), [1998] 1 SCR 982, par. 52, <http://canlii.ca/t/1fqs6#par52>, retrieved on 2020-11-28.
  168. The terms of the Refugee Convention are to be interpreted pursuant to the principles set out at arts 31–32 of the Vienna Convention on the Law of Treaties (adopted 23 May 1969, entered into force 27 January 1980) 1155 UNTS 331, Can TS 1980 No 37 as noted in Joshua Blum, When Law Forgets: Coherence and Memory in the Determination of Stateless Palestinian Refugee Claims in Canada, International Journal of Refugee Law, eeaa019, https://doi-org.peacepalace.idm.oclc.org/10.1093/ijrl/eeaa019.
  169. Uçaryılmaz, Talya. (2020). The Principle of Good Faith in Public International Law (El principio de buena fe en el Derecho internacional público). Estudios de Deusto. 68.43.10.18543/ed-68(1)-2020pp43-59 <https://dialnet.unirioja.es/servlet/articulo?codigo=7483935> (Accessed July 25, 2020), page 15 of the article.
  170. ১৭০.০ ১৭০.১ R v. Immigration Officer at Prague Airport, ex parte Roma Rights Centre, [2004] UKHL 5, [2005] 2 AC 1 (UK).
  171. Mwano v. Canada (Citizenship and Immigration), 2020 FC 792, para. 23 <https://decisions.fct-cf.gc.ca/fc-cf/decisions/en/item/485650/index.do>.
  172. Tristan Harley, Refugee Participation Revisited: The Contributions of Refugees to Early International Refugee Law and Policy, Refugee Survey Quarterly, 28 November 2020, https://doi.org/10.1093/rsq/hdaa040, at page 4.
  173. Adan v Secretary of State for the Home Department, [1999] 1 AC 293.
  174. Michelle Foster, "A Human Rights Framework for Interpreting the Refugee Convention" in Michelle Foster, International Refugee Law and Socio-Economic Rights: Refugee from Deprivation (Cambridge: Cambridge University Press, 2007).
  175. Németh v. Canada (Justice), 2010 SCC 56 (CanLII), [2010] 3 SCR 281, par. 33, <http://canlii.ca/t/2djll#par33>, retrieved on 2020-12-19.
  176. Ezokola v Canada (Citizenship and Immigration), 2013 SCC 40, para. 32.
  177. Canada (Attorney-General) v. Ward, [1993] 2 SCR 689.
  178. Applicant A v. Minister for Immigration and Ethnic Affairs (1997) 190 CLR 225 (Australia), 231 (Brennan CJ).
  179. ১৭৯.০ ১৭৯.১ Foster, M., International Refugee Law and Socio-Economic Rights: Refuge from Deprivation (2007), p. 44, as cited in Jane McAdam, ‘Interpretation of the 1951 Convention’ in Andreas Zimmermann (ed), The 1951 Convention Relating to the Status of Refugees and its 1967 Protocol: A Commentary (Oxford University Press 2011) at page 92.
  180. Jones, M., & Houle, F. (2008). Building a Better Refugee Status Determination System. Refuge: Canada’s Journal on Refugees, 25(2), 3-11. Retrieved from https://refuge.journals.yorku.ca/index.php/refuge/article/view/26027, page 3.
  181. Jones, M., & Houle, F. (2008). Building a Better Refugee Status Determination System. Refuge: Canada’s Journal on Refugees, 25(2), 3-11. Retrieved from https://refuge.journals.yorku.ca/index.php/refuge/article/view/26027, page 4.
  182. Uçaryılmaz, Talya. (2020). The Principle of Good Faith in Public International Law (El principio de buena fe en el Derecho internacional público). Estudios de Deusto. 68.43.10.18543/ed-68(1)-2020pp43-59 <https://dialnet.unirioja.es/servlet/articulo?codigo=7483935> (Accessed July 25, 2020), page 11 of the article.
  183. ICJ. LaGrand, Judgment, ICJ Reports (2001), pp. 497-498, paras. 89-91.
  184. The 1951 Convention Relating to the Status of Refugees and its 1967 Protocol: A Commentary. Edited by Andreas Zimmermann. Oxford University Press, 2011, 1799 pp, £260 hb. ISBN 978-0-19-954251-2, at p. 1100.
  185. UNHCR, UNHCR Intervention before the Court of Final Appeal of the Hong Kong Special Administrative Region in the case between C, KMF, BF (Applicants) and Director of Immigration, Secretary for Security (Respondents) (31 January 2013) para 74 http://www.refworld.org/docid/510a74ce2.html accessed 6 January 2019.
  186. Azadeh Dastyari, Daniel Ghezelbash, Asylum at Sea: The Legality of Shipboard Refugee Status Determination Procedures, International Journal of Refugee Law, eez046, https://doi.org/10.1093/ijrl/eez046
  187. “Ministerial Communiqué,” UN Doc. HCR/MIN/COMMS/2011/16, Dec. 8, 2011, at [2], as cited in James C. Hathaway, The Rights of Refugees under International Law, April 2021, ISBN: 9781108810913, <https://assets.cambridge.org/97811084/95899/excerpt/9781108495899_excerpt.pdf> (Accessed March 6, 2021), at page 9.
  188. Sepet (FC) and Another (FC) v. Secretary of State for the Home Department, [2003] UKHL 15, United Kingdom: House of Lords (Judicial Committee), 20 March 2003, available at: https://www.refworld.org/cases,GBR_HL,3e92d4a44.html [accessed 26 December 2020].
  189. Suresh v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), [2002] 1 SCR 3 (Canada), para. 87.
  190. The 1951 Convention Relating to the Status of Refugees and its 1967 Protocol: A Commentary. Edited by Andreas Zimmermann. Oxford University Press, 2011, 1799 pp. ISBN 978-0-19-954251-2, at p. 103 (para. 84).
  191. Shauna Labman, Crossing Law’s Border: Canada’s Refugee Resettlement Program, 2019, UBC Press: Vancouver, page 5.
  192. Hathaway, J. (2005). The Rights of Refugees under International Law. Cambridge: Cambridge University Press. doi:10.1017/CBO9780511614859 at page 161.
  193. Adamu Umaru Shehu, Understanding the Legal Rights of Refugee, Migrants, and Asylum Seekers Under International Law, Journal of Conflict Resolution and Social Issues, Vol 1 No 2 (2021) <http://journal.fudutsinma.edu.ng/index.php/JCORSI/article/viewFile/1824/1275> (Accessed February 13, 2021), pages 40-41.
  194. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :14 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  195. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :233 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  196. Mindus, P. (2020). Towards a Theory of Arbitrary Law-making in Migration Policy. Etikk I Praksis - Nordic Journal of Applied Ethics, 14(2), 9-33. https://doi.org/10.5324.eip.v14i2.3712 at page 16.
  197. Pierre-André Thériault, Settling the Law: An Empirical Assessment of Decision-Making and Judicial Review in Canada's Refugee Resettlement System, April 2021, Ph.D Thesis, Osgoode Hall Law School, York University, <https://yorkspace.library.yorku.ca/xmlui/bitstream/handle/10315/38504/Theriault_Pierre-Andre_2021_PhD_v2.pdf> (Accessed July 10, 2021), page 332.
  198. Canadian Bill of Rights, SC 1960, c 44, s 2, <http://canlii.ca/t/7vnh#sec2>, retrieved on 2020-12-22.
  199. W. Gunther Plaut, Asylum: A Moral Dilemma, Westport, Conn.: Praeger, 1995, page 124.
  200. W. Gunther Plaut, Asylum: A Moral Dilemma, Westport, Conn.: Praeger, 1995, page 140.
  201. The 1951 Convention Relating to the Status of Refugees and its 1967 Protocol: A Commentary. Edited by Andreas Zimmermann. Oxford University Press, 2011, 1799 pp. ISBN 978-0-19-954251-2, at p. 40 (para. 2).
  202. Haddad, E. (2008). The Refugee in International Society: Between Sovereigns (Cambridge Studies in International Relations). Cambridge: Cambridge University Press. doi:10.1017/CBO9780511491351, page 198.
  203. Gaspard v Canada (Citizenship and Immigration), 2010 FC 29, paras. 15-16.
  204. Paulos Teddla v. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness), 2020 FC 1109 (CanLII), par. 21, <http://canlii.ca/t/jc709#par21>, retrieved on 2020-12-21.
  205. Brid Ni Ghrainne, Internally displaced persons and international refugee law, in Satvinder S. Juss, Research Handbook on International Refugee Law, 2019. Edward Elgar Publishing: Northampton, Massachusetts, page 34.
  206. Pierre-André Thériault, Settling the Law: An Empirical Assessment of Decision-Making and Judicial Review in Canada's Refugee Resettlement System, April 2021, Ph.D Thesis, Osgoode Hall Law School, York University, <https://yorkspace.library.yorku.ca/xmlui/bitstream/handle/10315/38504/Theriault_Pierre-Andre_2021_PhD_v2.pdf?sequence=2> (Accessed July 10, 2021), page 38.
  207. Agier, Michel. 2008. On the Margins of the World: The Refugee Experience Today. Cambridge: Polity Press.
  208. Rana v. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness), 2018 FC 1080, প্যারা ৪৭।
  209. Talukder v. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness), 2024 FC 1489 (CanLII), প্যারা ৭৩, <https://canlii.ca/t/k6zb1#par73>, সংগৃহীত ২০২৪-০৯-২৪।
  210. Rezaei v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), [2003] 3 FC 421 (TD), প্যারা ৭০।
  211. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :182 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  212. David Matas and Ilana Simon, Closing the Doors: The Failure of Refugee Protection, Summerhill Press Ltd., Toronto, 1989, ISBN 0-920197-81-7, পৃষ্ঠা ১৪৬।
  213. Haddad, E. (2008). The Refugee in International Society: Between Sovereigns (Cambridge Studies in International Relations). Cambridge: Cambridge University Press. doi:10.1017/CBO9780511491351, পৃষ্ঠা ৭।
  214. United Nations General Assembly. (1967). “Protocol Relating to the Status of Refugees.” United Nations Treaty Series, Volume 606, Page 267।
  215. UNHCR, Convention and Protocol Relating to the Status of Refugees, December 2010 <https://www.unhcr.org/3b66c2aa10>, পৃষ্ঠা ১৩।
  216. Statute of the Office of the United Nations High Commissioner for Refugees, UN General Assembly Resolution 428(V), ১৪ ডিসেম্বর ১৯৫০।
  217. Canadian Council for Refugees v R, 2007 FC 1262 (CanLII), [2008] 3 FCR 606, প্যারা ২০৮, <http://canlii.ca/t/1tz0l#par208>।
  218. Rahaman v. Minister of Citizenship and Immigration, 2002 ACWSJ Lexis 1026 (Can. FCA, Mar. 1, 2002), per. Evan’s J.A.
  219. Al-Sirri v Secretary of State for the Home Department, [2012] UKSC 54; [2013] 1 AC 745, প্যারা ৩৬।
  220. IA (Iran) v Secretary of State for the Home Department, [2014] UKSC 6; [2014] 1 WLR 384, প্যারা ৪৪।
  221. Singh v. Canada (Citizenship and Immigration), 2021 FC 1410 (CanLII), প্যারা ৩৪, <https://canlii.ca/t/jlcdb#par34>।
  222. Jane McAdam, ‘Interpretation of the 1951 Convention’ in Andreas Zimmermann (ed), The 1951 Convention Relating to the Status of Refugees and its 1967 Protocol: A Commentary (Oxford University Press 2011), পৃষ্ঠা ৭৯।
  223. Jayasekara v Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2008 FCA 404, প্যারা ৩৯।
  224. Secretary of State for the Home Department v. MA (Somalia), [2018] EWCA Civ 994 (Eng. CA, May 2, 2018)।
  225. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :11 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  226. Mai-Linh K. Hong (2020) Navigating the Global Refugee Regime: Law, Myth, Story, Amerasia Journal, DOI: 10.1080/00447471.2020.1776571, পৃষ্ঠা ৩।
  227. Srobana Bhattacharya, Bidisha Biswas, International Norms of Asylum and Burden-Sharing: A Case Study of Bangladesh and the Rohingya Refugee Population, Journal of Refugee Studies, ২২ ডিসেম্বর ২০২০, https://doi-org.ezproxy.library.yorku.ca/10.1093/jrs/feaa122, পৃষ্ঠা ৩।
  228. ২২৮.০ ২২৮.১ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :4 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  229. James C Hathaway, The Law of Refugee Status, Markham, Ont: Butterworths, 1991, পৃষ্ঠা ৬-১১।
  230. Senate of Canada, Ripped from Home: The Global Crisis of Forced Displacement, December 2024, <https://sencanada.ca/content/sen/committee/441/RIDR/Reports/GlobalForcedDisplacement_e.pdf>, পৃষ্ঠা ৫৮।
  231. Srobana Bhattacharya, Bidisha Biswas, op. cit., পৃষ্ঠা ৪।
  232. op. cit., পৃষ্ঠা ২।
  233. UNHCR Canada, Refugees in Canada, Data to 2017 <https://www.unhcr.ca/in-canada/refugees-in-canada/> (Accessed December 26, 2020)।
  234. Pierre-André Thériault, Settling the Law: An Empirical Assessment of Decision-Making and Judicial Review in Canada's Refugee Resettlement System, April 2021, Ph.D Thesis, Osgoode Hall Law School, York University, <https://yorkspace.library.yorku.ca/xmlui/bitstream/handle/10315/38504/Theriault_Pierre-Andre_2021_PhD_v2.pdf> (Accessed July 10, 2021), পৃষ্ঠা ১৫৫।
  235. World Bank, Refugee population by country or territory of asylum, 2019 <https://data.worldbank.org/indicator/SM.POP.REFG> (Accessed December 26, 2020)।
  236. Julian M. Lehmann, At the crossroads: The 1951 Geneva Convention today, in Satvinder S. Juss, Research Handbook on International Refugee Law, 2019. Edward Elgar Publishing, পৃষ্ঠা ৯।
  237. UNHCR Executive Committee Conclusion N° 81(k), 1997।
  238. Paulos Teddla v. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness), 2020 FC 1109 (CanLII), অনুচ্ছেদ ২৬, <https://canlii.ca/t/jc709#par26>।
  239. ২৩৯.০ ২৩৯.১ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :73 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  240. Idil Atak, Zainab Abu Alrob, Claire Ellis, Expanding refugee ineligibility: Canada’s response to secondary refugee movements, Journal of Refugee Studies, 14 December 2020, https://doi-org.ezproxy.library.yorku.ca/10.1093/jrs/feaa103, পৃষ্ঠা ১৩।
  241. The 1951 Convention Relating to the Status of Refugees and its 1967 Protocol: A Commentary, Andreas Zimmermann (সম্পাদক), Oxford University Press, 2011, পৃষ্ঠা ৪০ (অনুচ্ছেদ ১)।
  242. Shauna Labman, Crossing Law’s Border: Canada’s Refugee Resettlement Program, 2019, UBC Press, পৃষ্ঠা ৪৬।
  243. Philipp Lutz, Anna Stünzi, Stefan Manser-Egli, Responsibility-Sharing in Refugee Protection: Lessons from Climate Governance, International Studies Quarterly, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, https://doi.org/10.1093/isq/sqab016
  244. Freeman v. Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 1839 (CanLII), অনুচ্ছেদ ৬২, <https://canlii.ca/t/k7zf1#par62>, প্রাপ্তি তারিখ: ২০২৪-১২-০৭।
  245. UNHCR and Inter-Parliamentary Union, Refugee Protection: A Guide to International Refugee Law, <https://www.academia.edu/36070452/REFUGEE_PROTECTION_A_Guide_to_International_Refugee_Law?email_work_card=view-paper> (Accessed December 13, 2020), পৃষ্ঠা ১৫।
  246. Haddad, E. (2008). The Refugee in International Society: Between Sovereigns (Cambridge Studies in International Relations). Cambridge: Cambridge University Press. doi:10.1017/CBO9780511491351, পৃষ্ঠা ১৩৭।
  247. David Matas with Ilana Simon, *Closing the Doors: The Failure of Refugee Protection*, Summerhill Press Ltd., Toronto, 1989, ISBN 0-920197-81-7, পৃষ্ঠা ১৬১।
  248. W. Gunther Plaut, *Asylum: A Moral Dilemma*, Westport, Conn.: Praeger, 1995, পৃষ্ঠা ৪৪–৪৫।
  249. Siobhán McGuirk, Adrienne Pine, সম্পাদক, *Asylum for Sale: Profit and Protest in the Migration Industry*, PM Press: 2020, ISBN: 9781629637822, পৃষ্ঠা ২।
  250. Audrey Macklin, “Disappearing Refugees: Reflections on the Canada-US Safe Third Country Agreement” (2005) 36 *Colum HRL Rev* 365 at 373-74।
  251. Alan Nash, *International Refugee Pressures and the Canadian Public Policy Response*, Discussion Paper, January 1989, Studies in Social Policy, পৃষ্ঠা ৫৬।
  252. * R v Secretary of State for the Home Department, Ex p Bugdaycay* [1987] AC 514, 532।
  253. Colin Grey, *Cosmopolitan Pariahs: The Moral Rationale for Exclusion under Article 1F*, *International Journal of Refugee Law*, 2024, eeae025, https://doi.org/10.1093/ijrl/eeae025
  254. Mathilde Crepin, *The Notion of Persecution in the 1951 Convention Relating to the Status of Refugees and its Relevance for the Protection Needs of Refugees in the 21st Century,* Dissertation, King’s College London, 2019, https://kclpure.kcl.ac.uk/portal/ (প্রবেশ: ১ আগস্ট ২০২০), পৃষ্ঠা ৭০।
  255. ২৫৫.০ ২৫৫.১ * R v Secretary of State for the Home Department, Ex p Adan* [2001] 2 AC 477, 516 (Lord Steyn)।
  256. যেমন, *Ezokola v. Canada (Citizenship and Immigration),* 2013 SCC 40 (CanLII), [2013] 2 SCR 678, প্যারা ৬৯–৭৭, http://canlii.ca/t/fzq5z#par69, উদ্ধৃত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২০।
  257. W. Gunther Plaut, *Refugee determination in Canada: A report to the Honourable Flora MacDonald, Minister of Employment and Immigration*, এপ্রিল ১৯৮৫, Government of Canada।
  258. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :02 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  259. Convention Relating to the Status of Refugees (১৯৫১ সালের ২৮ জুলাই গৃহীত, ১৯৫৪ সালের ২২ এপ্রিল কার্যকর), ১৮৯ UNTS ১৩৭, Article 32।
  260. UN doc CAT/C/34/D/233/2003 (২০ মে ২০০৫)।
  261. * Mohammed v. Canada (Citizenship and Immigration),* 2024 FC 713 (CanLII), প্যারা ২৮, https://canlii.ca/t/k4jc6#par28, উদ্ধৃত: ৩ জুলাই ২০২৪।
  262. Inter-American Commission on Human Rights (IACHR), Report on the Situation of Human Rights of Asylum Seekers Within the Canadian Refugee Determination System, 2000, Inter-Am. C.H.R., OEA/Ser.L/V/II.106, Doc. 40 rev. (2000), available at: https://www.refworld.org/docid/50ceedc72.html [accessed 18 August 2020], para. 86.
  263. UN General Assembly, Convention Relating to the Status of Refugees, 28 July 1951, United Nations, Treaty Series, vol. 189, p. 137, available at: https://www.refworld.org/docid/3be01b964.html [accessed 25 April 2021].
  264. Krause, U. Colonial roots of the 1951 Refugee Convention and its effects on the global refugee regime. J Int Relat Dev (2021). https://doi.org/10.1057/s41268-020-00205-9 at page 17.
  265. Achiume, E. Tendayi. “Digital Racial Borders.” AJIL Unbound, vol. 115, 2021, pp. 333–338., doi:10.1017/aju.2021.52.
  266. Herrera v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2005 FC 1233.
  267. Statement applies mutatis mutandis to Canada, and is derived from E Macharia-Mokobi, J Pfumorodze, Advancing refugee protection in Botswana through improved refugee status determination, African Human Rights Law Journal 13 (1), 01-26, <http://www.scielo.org.za/scielo.php?pid=S1996-20962013000100008&script=sci_arttext&tlng=es> (Accessed February 5, 2021), page 166.
  268. R. v. Hape, 2007 SCC 26 (CanLII), [2007] 2 SCR 292, par. 53, <http://canlii.ca/t/1rq5n#par53>, retrieved on 2020-09-03.
  269. R. Sullivan, Sullivan and Driedger on the Construction of Statutes (4th ed. 2002), at p. 422.
  270. Baker v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 1999 CanLII 699 (SCC), [1999] 2 SCR 817, par. 70, <http://canlii.ca/t/1fqlk#par70>, retrieved on 2020-12-22.
  271. De Guzman v. Canada (Minister of Citizenship & Immigration), [2005] F.C.J. No. 2119 at para. 75 (F.C.A.).
  272. Pushpanathan v Canada (Minister of Citizenship and Immigration), [1998] 1 SCR 982 (Supreme Court of Canada).
  273. Németh v. Canada (Justice), 2010 SCC 56, [2010] 3 S.C.R. 281 at para. 35.
  274. Freeman v. Canada (Citizenship and Immigration), 2024 FC 1839 (CanLII), at para 26, <https://canlii.ca/t/k7zf1#par26>, retrieved on 2024-12-07.
  275. Sharryn Aiken, et al, Immigration and Refugee Law: Cases, Materials, and Commentary (Third Edition), Jan. 1 2020, Emond, ISBN: 1772556319, at page 307.
  276. Sharryn Aiken, et al, Immigration and Refugee Law: Cases, Materials, and Commentary (Third Edition), Jan. 1 2020, Emond, ISBN: 1772556319, at page 309.
  277. Canada (Public Safety and Emergency Preparedness) v. Weldemariam, 2024 FCA 69 (CanLII), at para 52, <https://canlii.ca/t/k419v#par52>, retrieved on 2024-06-12.
  278. De Guzman v. Canada (Minister of Citizenship & Immigration), [2005] F.C.J. No. 2119 at para. 76 (F.C.A.).
  279. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :132 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  280. United Nations Treaty Series, “15. Convention on the Rights of Persons with Disabilities,” vol. 2515, https://treaties.un.org/doc/Publication/MTDSG/Volume%20I/Chapter%20IV/IV-15.en.pdf (accessed May 15, 2021), p. 4.
  281. ২৮১.০ ২৮১.১ de Guzman v. Canada (Minister of Citizenship and Immigration), 2005 FCA 436 (CanLII), [2006] 3 FCR 655, par. 58, <http://canlii.ca/t/1m8q8#par58>, retrieved on 2020-12-22.
  282. Government of Canada Department of Justice, International Human Rights Treaties to which Canada is a Party, Date modified: 2019-07-30, <https://www.justice.gc.ca/eng/abt-apd/icg-gci/ihrl-didp/tcp.html> (Accessed April 17, 2020).
  283. "United Nations Treaty Collection"treaties.un.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-২৭ 
  284. "Canada & The UN: Conventions And Treaties"CCLA (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-২৭ 
  285. Sharryn Aiken, et al, Immigration and Refugee Law: Cases, Materials, and Commentary (Third Edition), Jan. 1 2020, Emond, ISBN: 1772556319, at page 320.
  286. IACtHR, Advisory Opinion OC-10/89 of July 14, 1989...
  287. "Convention on the Nationality of Women"hrlibrary.umn.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-২৭ 
  288. ...OASTS No 3...
  289. ...OASTS No 23...
  290. United Nations Declaration on the Rights of Indigenous Peoples Act, SC 2021, c 14, s 4...
  291. Ahouga, Y. (2024) “Legal and Policy Infrastructures of Returns in Canada...”
  292. African Union, Protocol to the African Charter on Human and Peoples' Rights on the Establishment of an African Court on Human and Peoples' Rights...
  293. UNHCR, Refugee Protection: A Guide to International Refugee Law
  294. International Law Commission, 2011
  295. Geneva Conventions Act, RSC 1985, c G-3, Schedule V, subsection 2(2)
  296. UNGA Res. 217A(III)
  297. Zimmermann, Oxford University Press, 2011
  298. R (AAA) v Secretary of State, [2023] UKSC 42
  299. B010 v. Canada, 2015 SCC 58
  300. Canada v. Weldemariam, 2024 FCA 69
  301. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :44 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  302. Applicant A v Minister, 1997
  303. Advisory Opinion OC-25/18
  304. Hamlin, 2014
  305. Sadako Ogata, 1993
  306. McAdam, 2010
  307. Hathaway, 2021
  308. David Matas, 1989
  309. R (AAA) v Secretary of State, [2023] UKSC 42